বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো প্রশাসনিক কাঠামোর কার্যাবলি প্রশাসনিক কাঠামোর কার্যসম্পাদন প্রক্রিয়া জানতে পারবে

মুখ্য শব্দ বিন্যাস, আন্ত:সম্পর্ক, কল্যাণমূলক মন্ত্রিপরিষদ, দাপ্তরিক সচিবালয়, স্থানীয় প্রশাসন।
প্রশাসনকে রাষ্ট্র বা সরকার ব্যবস্থার হৃৎপিন্ড বলে আখ্যা দেয়া হয়। কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে
সামষ্টিকভাবে কর্মের সুষ্ঠু পরিচালনাকে প্রশাসন বলা হয়। সেদিক থেকে প্রশাসন হল সামষ্টিক কাজের সুশৃঙ্খল
ব্যবস্থাপনা ও বিন্যাস। বাংলাদেশ এককেন্দ্রিক সরকার কাঠামোর অধীনে সংসদীয় সরকার ব্যস্থার ওপর গঠিত একটি রাষ্ট্র।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো সরকার পদ্ধতির নির্দেশনা ও কার্যকরণের সহমতের ওপর প্রতিষ্ঠিত। কেননা, এককেন্দ্রিক
শাসনব্যবস্থায় সরকার পদ্ধতি প্রদর্শিত নীতিমালা ব্যতিরেকে প্রশাসনিক কাঠামো নির্মাণ ও সে অনুযায়ী প্রশাসনিক কার্যাদি
সম্পন্ন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সমগ্র প্রশাসন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন কাঠামোর মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। এই
ভিন্নমাত্রিক প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয় সাধন ও দায়-দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি শাসনের কাজটি করে থাকে। বাংলদেশ মূলত এককেন্দ্রিক সরকার কাঠামো দ্বারা
পরিচালিত হয়। অর্থাৎ এদেশে একটি কেন্দ্রীয় সরকারই জনগণের পক্ষে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগকারী সংস্থা হিসাবে কাজ করে থাকে। রাষ্ট্রের সকল প্রকার প্রশাসনিক কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার পুরো দেশটিকে কেন্দ্র এবং মাঠ প্রশাসনের
বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগে ভাগ করেছে। যেমন- সরকারের কেন্দ্রে একটি সচিবালয়, ৭টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং প্রায়
পাঁচশতটি উপজেলায় পুরো দেশটিকে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা বিধান ও
কল্যাণমূলক নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিও তা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। এই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় শাসন ও প্রশাসন পরিচালিত করে।
কেন্দ্রীয় প্রশাসন বা সরকার:
কেন্দ্রীয় সরকার বলতে মূলত সরকারের তিনটি বিভাগ যথা: (ক) আইন বিভাগ, (খ) শাসন বিভাগ ও (গ) বিচার বিভাগকে
বোঝানো হয়। সকল ধরনের আদালত সংক্রান্ত কার্যাবলি উচ্চ আদালত দেখভাল করে তার নিজস্ব কাঠামোর মধ্যে।
জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত কাজ করে এবং তার নিজস্ব সচিবালয়ের মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্যাবলি সম্পাদন করে।
রাষ্ট্রের সকল প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য রাজধানী ঢাকায় একটি কেন্দ্রীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই
সচিবালয়ের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের সকল কার্যাবলি সম্পাদন করা হয়। রাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাংলাদেশের
সকল অঞ্চলের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার কার্যাবলি পরিচালনার জন্য এই সচিবালয় মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। আইন
অনুসারে দেশের রাষ্ট্রপতি এই প্রশাসনিক দপ্তরের প্রধান এবং তাঁর নামেই সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। তবে সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত প্রধান হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রীর মাধ্যমে এই সচিবালয়ের সকল কাজকর্ম
পরিচালনা করে থাকে। একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব যিনি রাষ্ট্রের স্থায়ী প্রশাসনের প্রধান, প্রধানমন্ত্রীকে সকল কাজের দাপ্তরিক
প্রধান হিসেবে সহযোগিতা করে থাকেন। কেন্দ্রীয় প্রশাসন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, সচিবালয়, মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য শাখাসমূহে বিস্তৃত।
স্থানীয় প্রশাসন বা সরকার :
সরকারের প্রবর্তিত নীতিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় পর্যায়ে নিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি
কর্তৃক এলাকাভিত্তিক শাসন ব্যবস্থাকে স্থানীয় প্রশাসন বলে। স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষ সরকারের নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ
নিয়ন্ত্রণাধীনে দায়িত্ব পালন করে। স্থানীয় প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ঠ যারা, তারা সকলেই সরকারী কর্মচারী। স্থানীয়
প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের নীতি ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়।
মূলত: নাগরিকের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দায়-দায়িত্বপালনের জন্য এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কাজ যুগোপযোগি করার
জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে তিন স্তরে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা। বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রের
পরই বিভাগীয় প্রশাসনের স্থান। বিভাগীয় কমিশনার বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বিভাগের অন্তর্গত জেলাসমূহের
তত্ত¡াবধান করে থাকেন। বিভাগের পর জেলা হচ্ছে স্থানীয় সরকারের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। জেলা প্রশাসক জেলা
প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু। জেলা প্রশাসক জেলার সকল কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। জেলার পর মূলতঃ সর্বশেষ স্তর হল
উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের প্রধান হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে থাকেন।
সারসংক্ষেপ
প্রশাসনিক কাঠামোর ওপর কোন রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন নির্ভর করে। এ কারণে প্রশাসনকে রাষ্ট্র ব্যবস্থার
হৃৎপিন্ড বলা হয়। সরকারি কাজের সুষ্ঠু পরিচালনা প্রশাসনের মাধ্যমে করা হয়। এ কারণে প্রশাসনিক কাঠামো অবশ্যই
নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশাসন সকল ক্ষেত্রে তৃণমূল সমস্যার
সমাধানে যথেষ্ঠ নয়। সে জন্য কেন্দ্রীয় প্রশাসনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের তাগিদে স্থানীয় প্রশাসন বিন্যাস করা হয়েছে। যা জনগণের দ্বার প্রান্তে সেবা পৌঁছে দিয়ে জনকল্যাণ করে থাকে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৫.৯
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
র. এককেন্দ্রিক
রর. দুইস্তর বিশিষ্ট
ররর. রাষ্ট্রপতি শাসিত
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) র ও রর (গ) র ও ররর (ঘ) রর ও ররর
২। বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসনের কয়টি স্তর?
(ক) একটি (খ) দুইটি
(গ) তিনটি (ঘ) চারটি

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]