স্থানীয় শাসন সম্পর্কে বলতে পারবে স্থানীয় শাসনের গুরুত্ব স্পষ্ট হবে।

মুখ্য শব্দ নিয়মতান্ত্রিক, আর্থ-সামাজিক, অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, তৃণমূল, উন্নয়নমূলক, স্থানীয়
শাসন, কেন্দ্রিয় প্রশাসন, বিকেন্দ্রীকরণ, উন্নয়ন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও লোকপ্রশাসন আলোচনায় স্থানীয় শাসনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে স্থানীয় শাসন ও
স্থানীয় সরকারের অস্তিত্ব বহু পুরোনো। যখন আধুনিক ধরণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি তখনো স্থানীয় পর্যায়েই
শাসনের কাজটি হত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কিন্তু এই সকল শাসন পদ্ধতি সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক আলোচনা
তুলনামূলক নতুন। স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় শাসনের মধ্যেও কিছুটা ধারণাগত পার্থক্য রয়েছে। স্থানীয় সরকার বলতে
বুঝায় স্থানীয় পর্যায়ের এক ধরণের সরকার কাঠামোকে যেখানে জনগণের প্রতিনিধিরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে শাসনের কাজটি
করে থাকে। আর স্থানীয় শাসন বলতে বুঝায় স্থানীয় পর্যায়ের সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে
স্থানীয় সকল ধরণের আর্থ-সামাজিক সম্পদের ব্যবস্থাúনাকে স্থানীয় শাসনের ধারণায় স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয়
পর্যায়ের আমলা, সুশীল সমাজ, মিডিয়া ও কমিউনিটি ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ইত্যাদির ভূমিকাকে স্বীকার করা হয়। স্থানীয়
শাসনে স্থানীয় পর্যায়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করা হয় বলে এর গুরুত্ব অধিক।
বাংলাদেশ একটি দ্রæত অগ্রসরমান উন্নয়নশীল দেশ। জনবসতির দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ
দেশ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর নিত্যনতুন চাহিদা সরকার কেন্দ্র থেকে কোনোভাবেই পূরণ করতে পারবে না। তাই কেন্দ্রীয়
প্রশাসনের পাশাপাশি এদেশে যুগ-যুগ ধরে স্থানীয় পর্যায়ের শাসন ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করছে।
স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা বিধান, কষ্ট লাঘব ও চাহিদা পূরণ করার জন্য শাসন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণের দ্বার খুলে দেয়।
স্থানীয় শাসনের গুরুত্ব:
কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সাথে স্থানীয় শাসনব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটা
প্রতিষ্ঠিত যে, কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যগত সফলতা মূলত: নির্ভর করে স্থানীয় শাসন কর্তৃপক্ষের ওপর। তাই স্থানীয় শাসনের
গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না। শাসনতান্ত্রিক কেন্দ্রীকরণ অনেকাংশেই তৃণমূলের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ
হয়। আর সেই ধারণা থেকেই বিকেন্দ্রীকরণ শাসন ব্যবস্থায় প্রবর্তিত হয়েছে। প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণের সফলতা নির্ভর
করে শক্তিশালী স্থানীয় শাসনের উপর। বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ একমাত্র বিকেন্দ্রীকৃত স্থানীয়
প্রশাসনের মাধ্যমেই সম্ভব। কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে নয়। এ দিক দিয়ে কেন্দ্রীভূত প্রশাসনের ঝুঁকি রোধ করতে স্থানীয় শাসন গুরুত্ব বহন করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় জনগণের সীমিত চাহিদা পূরণ ও উন্নয়নের জন্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে তার
অধিকাংশ স্থানীয়ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। দেশের কোটি কোটি মানুষের সমস্যা ও সমাধান এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ
স্থানীয় সরকার যত তৎপরতা ও দক্ষতার সাথে করতে পারে, তা কেন্দ্রীয় প্রশাসন কখনই করতে পারে না। কেননা,
সরকারি যাবতীয় কাজ সম্পাদিত হয় আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু আমলাতন্ত্র প্রশাসনিক প্রয়োজনে সৃষ্টি হলেও তা স্বভাবতই জটিল, যা উন্নয়নমূলক কাজকে অনেক সময় ব্যাহত করে থাকে। আমলাতান্ত্রিক এই জটিলতা থেকে রক্ষা পেতে হলে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই।
স্থানীয় সরকার নাগরিকদের অংশগ্রহণ যতটা নিশ্চিত করে থাকে, কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে তা অনেকাংশেই সম্ভব নয়।
জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত থাকে, যা কেবল স্থানীয় সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব। এদিক
বিবেচনায় স্থানীয় সরকার অসীম গুরুত্ব লাভ করেছে।
শিক্ষার্থীর কাজ স্থানীয় সরকারের গুরুত্ব আলোচনা করুন।
সারসংক্ষেপ
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় জনগণের প্রতিনিধিরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে শাসনের কাজটি করে থাকে। স্থানীয় শাসন বলতে
বুঝায় স্থানীয় পর্যায়ের সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে স্থানীয় সকল ধরণের আর্থ-সামাজিক
সম্পদের ব্যবস্থাúনাকে। স্থানীয় শাসন কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত আইন দ্বারা স্বশাসনের অধিকার প্রাপ্ত হয়ে পরিচালিত হয়
এবং নাগরিকের কল্যাণার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর দায়-দায়িত্বের অনেকাংশ নিজেদের এখতিয়ারের মধ্যে বাস্তবায়ন
করে। কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থার জটিলতা দূর করে স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বলে স্থানীয় প্রশাসন গণতান্ত্রিক শাসন প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৬.২
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। স্থানীয় শাসন কাঠামোর সর্বশেষ স্তর কী?
(ক) থানা প্রশাসন (খ) বিভাগীয় প্রশাসন
(গ) উপজেলা প্রশাসন (ঘ) জেলা প্রশাসন
২। স্থানীয় সমস্যাগুলো কাদের দ্বারা সমাধান হওয়া উচিত?
(ক) রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে (খ) পুলিশের মাধ্যমে
(গ) রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা (ঘ) স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]