১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি ভারত বর্ষের গভর্ণর জেনারেল নিযুক্ত হন। তাঁর শাসনকালকে উপমহাদেশের
ইতিহাসে সংকটময় যুগ বলা যেতে পারে। জন শোরের উদার নিরপেক্ষনীতির ফলে শাসন ভার গ্রহণ করেই ওয়েলেসলি
নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।
প্রথমত: ইংরেজদের চিরশত্রæ মহীশূরের টিপু সুলতান তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের পর প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য ফ্রান্সের
বিদ্রোহী জেকোবিন ক্লাবের সাথে এবং মরিশাসের ফরাসি শাসনকর্তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। উপরন্তু তিনি ফরাসি
সেনাপতি দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাদের সাহায্যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
দ্বিতীয়ত: কোম্পানির শর্ত অনুযায়ী মারাঠাদের বিরুদ্ধে নিজামকে সাহায্য না করায় নিজাম ইংরেজদের প্রতি অসুন্তুষ্ট হয়ে
ফরাসি সেনাপতি রেমন্ডের নেতৃত্বে নিজ বাহিনীকে সুসজ্জিত করে তোলেন।
তৃতীয়ত: দৌলতরাও সিন্ধিয়া ফরাসি সেনাপতি পেরনের নেতৃত্বে ইংরেজদের
বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন।
চতুর্থত: একমাত্র কুর্গ ছাড়া মালাবারের সকল রাজা ইংরেজ বিরোধী হয়ে
উঠেন।
পঞ্চমত: কাবুলের জামান শাহের উপমহাদেশ বিজয়ের হুমকি ইংরেজদের
ভয়ে ভীত করে তোলে।
ষষ্ঠত: এ সময় ফরাসী-ইংরেজ শত্রæতার জের ধরে ফরাসি বীর নেপোলিয়ন
উপমহাদেশ বিজয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন।
সপ্তমত: এ সময় কোম্পানির আর্থিক অবস্থাও শোচনীয় পর্যায়ে নেমে যায়।
বৃটিশ সাম্রাজ্য যখন এমনিভাবে নানা সমস্যায় জর্জরিত ঠিক সেই সংকটময়
মুহূর্তে লর্ড ওয়েলেসলিকে শত্রæ মোকাবিলায় অগ্রসর হতে হয়।
উদ্দেশ্য ও নীতি
লর্ড ওয়েলেসলি ছিলেন একজন ঘোর সাম্রাজ্যবাদী শাসক। প্রতিভাবান, বিদ্বান, আতœমর্যাদা সম্পন্ন ও অভিজাত সুলভ লর্ড
ওয়েলেসলি চেয়েছিলেন উপমহাদেশে ব্রিটিশ শক্তিকে সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী করে তুলতে। এ ছাড়া এ উপমহাদেশ
থেকে ফরাসি প্রভাব ও প্রাধান্য সম্পূর্ণভাবে দূর করে ফরাসি সাম্রাজ্য স্থাপন বিফল করাও তাঁর আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল।
এ সকল উদ্দেশ্য সফল করে তোলার জন্য স্বভাবত:ই সামাজ্যবাদী ওয়েলেস্লী সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ নীতি অবলম্বন করেন।
মিত্রতা নীতি
লর্ড ওয়েলেসলি পাশ্চাত্য সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই এদেশবাসীর চাওয়া পাওয়াকে বিবেচনার যোগ্য মনে
করেন নি। পরস্পর বিবদমান এদেশীয় রাজাগণকে ইউরোপীয় সামরিক সাহায্য গ্রহণে আগ্রহী ও উৎসাহী দেখে লর্ড
ওয়েলেসলি তাঁদেরকে পুরোপুরি ইংরেজ সাহায্যের উপর নির্ভরশীল করে তুলতে চাইলেন। এ নীতি ওয়েলেসলির আগে
ক্লাইভ এবং বিশেষ করে হেস্টিংস কর্তৃক অনুসৃত হয়েছিল। তবে ওয়েলেসলি এ নীতিকে নিপুণতার সাথে ব্যাপকভাবে
কার্যকর করেছিলেন। তাই তিনি স্যার জন শোরের নিরপেক্ষ নীতি ত্যাগ করে সামরিক অধীনতার ভিত্তিতে গঠিত এ নীতির
নামকরণ করলেন ‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’।
শর্তাবলী
লর্ড ওয়েলেসলির প্রবর্তিত এ নীতির প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিলো :-
প্রথমত: যে সকল দেশীয় রাজা অধীনতা মূলক মিত্রতা বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তাঁরা ইংরেজদের বিনা অনুমতিতে
অন্যকোনো রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে কিংবা কোনপ্রকার আলাপ-আলোচনা চালাতে পারবেন না।
দ্বিতীয়ত: দেশীয় রাজাদের মধ্যে যাঁরা শক্তিশালী তাঁরা নিজ সেনাবাহিনী রাখতে পারবেন তবে তা একজন ইংরেজ
সেনাপতির অধীনে রাখতে হবে।
তৃতীয়ত: মিত্রতাবদ্ধ দেশীয় রাজ্যসমূহ হতে একমাত্র ইংরেজ ব্যতীত সকল ইউরোপীয় কর্মচারী ও নাগরিককে বিতাড়িত
করতে হবে।
লর্ড ওয়েলেসলি
চর্তুথত: মিত্রতা নীতিতে আবদ্ধ যেকোনো দেশ তাঁদের রাজ্যে একদল সৈন্য পালন করবেন এবং তাদের ব্যয়ভার
নির্বাহের জন্য নগদ অর্থ বা নিজ রাজ্যের একাংশ ছেড়ে দেবেন। সংক্ষেপে
বলা যায় যে, দেশীয় রাজাদের নিরাপত্তার বিনিময়ে তাঁদের স্বাধীন রাজনৈতিক
সত্তার বির্সজনই এ নীতির মূল লক্ষ্য ছিল।
লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি এ উপমহাদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারের
ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে।
প্রথমত: এ নীতি প্রয়োগের প্রথম শিকার হন হায়দ্রাবাদের দুর্বল নিজাম।
দ্বিতীয়ত: মহীশূরের বাঘ টিপু সুলতান এ নীতি গ্রহণ করতে রাজী না হলে কোম্পানির
সঙ্গে যুদ্ধে তাঁকে পরাজিত ও নিহত করে তাঁর রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
তৃতীয়ত: মারাঠা শক্তিকে যুদ্ধে পরাজিত করে মারাঠা রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভুক্ত করেন।
চতুর্থত: ওয়েলেসলি ছোট ছোট রাজ্য যেমন তাঞ্জোর সুরাট ও কর্ণাটের উপর বল প্রয়োগ
করে তাদের অধীনতামূলক মিত্রতা গ্রহণে বাধ্য করেন। অযোধ্যার মতো বড় রাজ্য ও এ
নীতির আওতা হতে বাদ পড়ে নি।
সংস্কার
কৃষি: লর্ড ওয়েলেসলি উপমহাদেশের কৃষির উন্নতির জন্য
চেষ্টা করেন। বিশেষ করে মহীশূরের এবং মালাবারের যে
অংশ ইংরেজ অধিকারে আসে সেখানে তিনি জমি জরিপ
করার জন্য ড. ফ্রান্সিস বুকাননকে নিযুক্ত করেন। শুধু তাই
নয় এদেশের কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কেও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে
গিয়েছেন যা থেকে পরবর্তীকালে ভারত সরকার কৃষি
সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা লাভে সক্ষম হয়েছিল।
বিচার ব্যবস্থা: ১. কোর্ট ফি পুনরায় চালু করেন। ২. আপিল
করার নিয়ম কানুন ও আগের চেয়ে কঠিন করা হয়। ৩.
সহকারী জজের সংখ্যাও বাড়ানো হয়। ৪. সদর দিউয়ানী
আদালতের মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে ওয়েলেসলি
গভর্নর জেনারেল ও তাঁর কাউন্সিলের উপর থেকে বিচারের
ভার সরিয়ে নিয়ে তিনজন ও পরে চারজন জজের উপর এ
দায়িত্ব দিয়ে দেন।
জমিদারের ক্ষমতা
লর্ড ওয়েলেসলি রায়তদের উচ্ছেদ করবার ও তাদেরকে
গ্রেফতার করবার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে জমিদারদের ক্ষমতা
বৃদ্ধি করলেন।
শিক্ষা: লর্ড ওয়েলেসলি এ উপমহাদেশে নতুন ইংরেজ
কর্মচারীদের শিক্ষার জন্য কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে
একটি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব করেন। কিন্তু বোর্ড অব
ডাইরেকটরস্ তাঁর এ পরিকল্পনা অনুমোদন না করায় পরে
তা ভারতীয় ভাষা শিক্ষার কলেজে পরিণত হয়। তারই
নির্দেশে কলকাতার বর্তমান গভর্নর ভবনটি নির্মিত হয়।
চরিত্র ও কৃতিত্ব
টিপু সুলতান
ওয়েলেসলির সময় ইংরেজ রাজ্য
এ উপমহাদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য গঠনে যে সকল গভর্নর জেনারেল অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন, লর্ড ওয়েলেসলি
ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
প্রথমত: কোম্পানির সংকটময় মুহূর্তে ওয়েলেসলি দায়িত্ব নিয়ে একে একে সকল সমস্যার সমাধান করে কোম্পানির
সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটান।
দ্বিতীয়ত: ওয়েলেসলি ভারতীয় রাজাদের মধ্যে সব চেয়ে স্বাধীনচেতা, ইংরেজের চিরশত্রæ টিপুকে পরাজিত ও নিহত করে
দাক্ষিণাত্যে ইংরেজ শক্তিকে অপ্রতিহত করে তোলেন।
তৃতীয়ত: ওয়েলেসলি মারাঠা শক্তিকে ধ্বংস করে মারাঠাদের সম্পূর্ণভাবে কোম্পানির উপর নির্ভরশীল করে তোলেন।
চতুর্থত: ওয়েলেসলি হায়দ্রাবাদ মহীশূর ও মারাঠা সংঘকে ধ্বংস করে দাক্ষিণাত্য হতে ফরাসি প্রভাব ও প্রাধান্য সম্পূর্ণভাবে
বিলোপ করেন।
পঞ্চমত: তিনি মিশরের দিকে ফরাসি অগ্রগতিকে বন্ধ করার জন্য মিশরকে সামরিক সাহায্য দিয়ে এবং পারস্যের দিকে
রাশিয়ার অগ্রগতিকে বাধাদানের জন্য পারস্যে একটি মিশন প্রেরণ করে তাঁর রাজনৈতিক ও ক‚টনৈতিক বুদ্ধির পরিচয় দেন।
ষষ্ঠত: ওয়েলেসলি অভ্যন্তরীণ শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই বিচার, কৃষি ও রাজস্ব
ব্যবস্থার সংস্কার সাধনে মনোনিবেশ করেছিলেন। এটা তাঁর কৃতিত্বেরই পরিচায়ক। কিন্তু তাসত্তে¡ও তিনি ছিলেন ঘোর
সাম্রাজ্যবাদী ও যুদ্ধবাজ। ফলে তাঁকে স্বদেশে ফিরে যেতে হয়। তিনি এতই অহংকারী ছিলেন যে তা ঔদ্ধত্য বলে মনে
হতো। তিনি অন্যের অসুবিধা ও কষ্টকে কিছু মনে না করে নিজের ইচ্ছাকেই চাপিয়ে দিতেন। ফলে এদেশীয় মানুষের দুঃখ
দুর্দশা বেড়ে গিয়েছিল।
১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল হয়ে আসেন। যেকোনো উপায়ে হোক, ইংরেজ
সাম্রাজ্যের বিস্তৃতির জন্য ব্যাকুল এ সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ এদেশের দুর্বলতা কোথায় তা বুঝতে পেরেছিলেন। আর এ
সুযোগ নিয়েই লর্ড ওয়েলেসলি সামরিক অধীনতার ভিত্তিতে এক নীতি প্রবর্তন করেন যা ইতিহাসে অধীনতামূলক মিত্রতা
নীতি নামে খ্যাত। তিনি নিজাম ও মারাঠাদের অধীনতামূলক মিত্রতা চুক্তি গ্রহণে বাধ্য করেন। অন্যায়ভাবে টিপুর বিরুদ্ধে
যুদ্ধ ঘোষণা করে তাঁকে পরাজিত ও নিহত করেন। গৃহবিবাদের সুযোগে ছোট ছোট দেশীয় রাজ্যগুলোকে ব্রিটিশ অধীনে
নিয়ে আসেন। এভাবে লর্ড ওয়েলেসলি ছলে বলে কৌশলে উপমহাদেশের প্রধান তিন প্রতিদ্ব›দ্বী শক্তি মহীশূর, নিজাম ও
মারাঠাদের পতন ঘটিয়ে এদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করেন। এদেশের জনগণের স্বার্থ তাঁর লক্ষ্য
ছিল না। লক্ষ্য ছিল শুধু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। অধীনতামূলক মিত্রতানীতি প্রবর্তন করেন কে?
ক) লর্ড কর্নওয়ালিস খ) লর্ড ওয়েলেসলি গ) লর্ড ডালহৌসি ঘ) লর্ড কার্জন
২। মহীশূরের বাঘ বলা হয় কাকে?
ক) হায়দার আলী খ) টিপু সুলতান গ) নিজাম ঘ) আসিফ উদ্দৌলা
৩। যে গভর্নর জেনারেল উপমহাদেশে সাম্রাজ্যবাদী বলে পরিচিত, তার নাম কী?
ক) লর্ড কার্জন খ) লর্ড ওয়েলেসলি গ) লর্ড হার্ডিঞ্জ ঘ) লর্ড কর্নওয়ালিস
উদ্দীপকটি পড়ে ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
উইলিয়াম ফ্রান্সিস অভ্যন্তরীণ শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বলেই তিনি বিচার, কৃষি ও
রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার সাধন করেন; তা সত্তে¡ও তিনি ছিলেন ঘোর সাম্রাজ্যবাদী ও যুদ্ধবাজ। ফলে তাকে স্বদেশে
ফিরে যেত হয়।
৪। উদ্দীপকের উইলিয়াম ফ্রান্সিসের সাথে পাঠ্য পুস্তকের কোম্পানি আমলের কোন শাসকের সাদৃশ্য আছে?
ক) লর্ড কর্নওয়ালিস খ) লর্ড ওয়েলেসলি গ) লর্ড ডালহৌসি ঘ) লর্ড কার্জন
৫। উক্ত শাসকÑ
র. নিজাম ও মারাঠাদের অধীনতামূলক মিত্রতানীতি গ্রহণে বাধ্য করেন
রর. গৃহ বিবাদের সুযোগে ছোট ছোট দেশীয় রাজ্যগুলোকে ব্রিটিশ শাসনাধীনে আনেন
ররর. অন্যায়ভাবে টিপুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাকে পরাজিত ও নিহত করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র