একেবারে শুরু থেকে শেষ অর্থাৎ ১৯১৪ সাল হতে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ককেশাসের দখল নিয়ে লড়াই চলতে থাকে রুশ ও
অটোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে। পূর্বাঞ্চলীয় আনাতোলিয়ার এ স্থান কৌশলগতভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় রুশ ও তুর্কি
বাহিনীর কেউই ছাড় দিতে চায়নি। ফলে তুরস্কের জেনারেল আনোয়ার পাশা, জেনারেল করিম পাশা, জেনারেল মোস্তফা
কামাল ও জেনারেল কাজিম কারাবাকির নেতৃত্বে অটোমান বাহিনী তুমুল লড়াই জমিয়ে রাখে শেষ পর্যন্ত। এদিকে বেশ
কয়েকজন সেনানায়ক যেমন জেনারেল আইভানোভিচ ভরন্তসভ দাসখব, জেনারেল নিকোলাই ইউদেনিস, জেনারেল
আন্দ্রানিক ওজানিয়ান, জেনারেল দ্রাস্তামাত কানায়ান, জেনারেল নাজদেহ, জেনারেল মোভসেজ সিলিকায়েন, ক্রেস ফন
কেসেনস্টোইন, জেনারেল লিওনেল দুনস্তারভিল প্রমুখের নেতৃত্বে রুশ সাম্রাজ্য আর্মেনিয়ার লড়াই চলতে থাকে। দীর্ঘ যুদ্ধে
দু’পক্ষের প্রচুর হতাহত হলেও কোনো পক্ষই বড় বিজয় অর্জন করতে পারেনি।
সিনাই-ফিলিস্তিনের পথে
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পশ্চিম ও পূর্ব রণাঙ্গনের মত মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গনেও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ১৯১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে
১৯১৮ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সিনাই উপদ্বীপ, ফিলিস্তিন ও সিরিয়াতে তুমুল লড়াই চলে। যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী জয়লাভ
করলেও অটোমান তুর্কিদের পাশাপাশি জার্মান বাহিনী ছেড়ে কথা বলেনি। স্যার জন ম্যাক্সওয়েল, আর্চিবল্ড মুরে, হেনরি,
জর্জ চাউভেল, ফিলিপ চেটউট, চার্লস ডোবেল ও এডমন্ড অ্যালেনবাইয়ের নেতৃত্বে য্ক্তুরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের
বাহিনী আক্রমণ করে সিনাই উপত্যকা। তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন জামাল পাশা, ক্রেস ফন ক্রেসেনস্টেইন, জাদির বে,
তালা বে, এরিক ফন ফাকেনহায়েন ও অটো লিমান ফন স্যান্ডার্সের নেতৃত্বাধীন তুরস্ক ও জার্মানির মিলিত বাহিনী। তুর্কি
নৌমন্ত্রী জামাল পাশার নেতৃত্বে অটোমান বাহিনী সুয়েজ খালের প্রতিরক্ষায় নিযুক্ত ছিল। পানি ও রাস্তাঘাটবিহীন সিনাইয়ের
ফাঁকা উপত্যকা পাড়ি দেয়া যেকোনো সেনাবাহিনীর জন্য এককথায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু ক্রেস ফন ক্রেসেনস্টেইন এই
মরুভূমি পাড়ি দিয়ে তুর্কি বাহিনীর কাছে রসদ পৌঁছে দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিসরে নিযুক্ত ব্রিটিশ
বাহিনীকে অটোমান তুর্কিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিন অভিযানে নির্দেশ দেয়া হয়। এদিকে পশ্চিম রণাঙ্গনে জার্মানদের ¯িপ্রং
অফেন্সিভ শুরু হলে সিরিয়ায় হামলার পরিকল্পনা কয়েক মাস পিছিয়ে দেয় মিত্রবাহিনী।
কুত অবরোধ
মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে অটোমান তুর্কিদের বিজয় অভিযান হিসেবে কুত অবরোধের কথা বলা যেতে পারে। ব্রিটিশ ভারতের
সৈন্যসহ ব্রিটেনের সেনাবাহিনীর ৩০ হাজার সৈন্যের নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল টাউনশেল্ড যার ২৩ হাজার এ যুদ্ধে হতাহত
হয়। অন্যদিকে তুর্কি বাহিনীর ৫০ হাজার সৈন্যের নেতৃত্বে ছিলেন ব্যারন ফন ডার গোলটাজ ও খলিল পাশা। শেষ পর্যন্ত তুর্কি
বাহিনীর ১০ হাজার সৈন্য নিহত হলেও কুল আল-আমারা মেসোপটেমিয়া তথা বর্তমান ইরাকের কাছাকাছি সংঘটিত এ
লড়াইয়ে জয়লাভ করে অটোমান তুর্কিরাই। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জেমস মরিস কুতের যুদ্ধে পরাজয়কে তাদের ইতিহাসে একটি
ন্যক্কারজনক আত্মসমর্পণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ম্যাগিদোর সংঘাত
১৯১৭ সালের শেষদিকে জেরুজালেম দখল করেও স্বস্তি মেলেনি মিত্রবাহিনীর নেতা জেনারেল এডমান্ড অ্যালেনবাইয়ের।
ঠিক এসময়ে জার্মানরা ¯িপ্রং অফেন্সিভ শুরু করে পশ্চিম রণাঙ্গনে আতঙ্কের জন্ম দেয়। সেখানে মিত্রবাহিনী নিজেদের
অবস্থান ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। জেরুজালেম থেকে কয়েক ইউনিট সৈন্য সরিয়ে সেখানে শক্তিবৃদ্ধি করা হলে
এদিকে দুর্বলতা দেখা দেয়। এদিকে তার ট্যাংক বাহিনীকেও পাঠিয়ে দেয়া হয় ফ্রান্সের রণাঙ্গনে। বলতে গেলে নানা দিক
থেকে কোণঠাসা অবস্থায় পড়েও অ্যালেনবাই জর্দার নদীর দখল নিতে মরিয়া হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের
ম্যাগিদোতে ১৯১৮ সালের ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর ঘটে তুমুল সংঘাত। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত
ও আরব ব্রিদ্রোহীদের সে বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল এডমান্ড অ্যালেনবাই। ১২ হাজার অশ্বারোহী ও ৫৭ হাজার
পদাতিক সৈন্যের পাশাপাশি ৫৪০টি কামান নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত তুর্কি বাহিনী তাদের কাছে
আত্মসমর্পণ করে।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র