দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ

অনেকগুলো পরস্পরবিরোধী কারণ সামনে রেখেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু। এক্ষেত্রে বিশেষ কোনো কারণকে এক এবং
একমাত্র বলে দায়ী করা যায় না। এর পেছনে দীর্ঘমেয়াদে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তার মধ্যে তিনটি
ঘটনা সবার আগে উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৯২০ সালের দিকে ইতালির ফ্যাসিজম, ১৯২০ সালের দিকে জাপানি
সামরিকবাদের বিকাশ এবং ঠিক তার এক দশকের মাথায় ১৯৩০ সালে চীন আক্রমণকে এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে।
পাশাপাশি ১৯৩৩ সালে এসে জার্মানিতে উদ্ভব ঘটে কুশলী রাষ্ট্রনায়ক হিটলারের। যাকে বিশ্বের বেশিরভাগ ইতিহাসবিদ
ঘৃণ্যতম স্বৈরতান্ত্রিক শাসক হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। তবে ইতিহাসের বাস্তবতায় হিটলার ছিলেন একটি উপলক্ষ মাত্র,
যিনি ১৯৩৩ সালের দিকে নাৎসি পার্টির নেতা হিসেবে জার্মানির শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি ভার্সাই চুক্তির
অপমানজনক শর্তগুলোকে পায়ে মাড়িয়ে জার্মানিকে নতুন উদ্যমে মাথা তুলে দাঁড়াতে প্রণোদিত করেন।
১৯৩৯ সালে জার্মান বাহিনী পোল্যান্ড আক্রমণ করে বসলে ব্রিটেন ও ফ্রান্স মিলিতভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করে জার্মানির
বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান কারণগুলোকে দার্শনিক, অর্থনীতি সম্পর্কিত ও বিশেষ কয়েকটি দিক বিচারে আলাদা করা যেতে
পারে। যেমন মতাদর্শ, শাসনকাঠামো কিংবা দার্শনিক দিক থেকে চারটি কারণকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। তা হচ্ছে
সমাজতন্ত্রবিরোধী মতবাদ , স¤প্রসারণবাদ , সামরিকবাদ ও
বর্ণবাদ । অন্যদিকে ভার্সাই চুক্তি একটি ক্ষত সৃষ্টি করেছিল। ভার্সাই চুক্তির প্রতি পরবর্তীকালে জার্মানির
দৃষ্টিভঙ্গি, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাজার দখলের লড়াই, লীগ অব নেশন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা, ম্যাসন-ওভেরি তত্ত¡
যা যুদ্ধের প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলোকে প্রণোদিত করে। এর পাশাপাশি আরো কিছু
সরাসরি কারণ ছিল যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে প্রণোদিত করে।
সরাসরি বলতে গেলে জার্মানিতে নাৎসি বাহিনীর নেতা হিটলারের ক্ষমতায় আরোহণ ও উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনার
বিকাশ, রাইনল্যান্ডে সেনা সমাবেশ, ইথিওপিয়ায় ইতালির আক্রমণ এর সবকিছুই আরেকদফা মহাযুদ্ধে লিপ্ত হতে বাধ্য
করে বিশ্বকে। পাশাপাশি প্যান জার্মানিজমকে সামনে রেখে তৈরি মতবাদ , মিউনিখ চুক্তি, সোভিয়েতজাপান সীমান্ত বিরোধ, ডানজিগ সংকট, মিত্র পক্ষের সাথে পোল্যান্ডের সংযুক্তি উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালে। অন্যদিকে
মলটোভ-রিবেনট্রপ সংকট আরো তীব্রতা পেয়েছে ততদিনে। ধীরে ধীরে ক্ষমতা ও প্রভাববলয় বাড়িয়ে তোলা জার্মানি
এবার আক্রমণ করে বসে পোল্যান্ডে। শক্তিশালী সোভিয়েট ইউনিয়নের ভূমিকা এতদিনে আগ্রাসী রূপ লাভ করে। ঠিক
তেমনি মুহূর্তে জাপানের পার্ল হারবার আক্রমণ আরেকদফা যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করে বিশ্বকে।
সমাজতন্ত্রবিরোধী মতবাদ
১৯১৭ সালে রাশিয়ার শাসন ক্ষমতায় আসে বলশেভিক দল। এই দলের নেতারা সমাজতন্ত্রকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে চেষ্টা
করেন। যে বিপ্লব রাশিয়ায় সফল হয়ে জার ক্ষমতার পতন ঘটিয়ে শ্রমিক দলকে ক্ষমতায় বসাতে পেরেছিল। তারা
চেয়েছিলেন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যাক এই মতবাদ। বিশ্বের অন্যদেশ তাদের এই মনোভাব ভালোভাবে নিতে পারেনি।
অন্যদিকে বিশ্বের যে দেশেই অনেকটা বিপ্লবী পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাশিয়া সেখানে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে। তারা
বিপ্লবী জনগোষ্ঠীকে অস্ত্র থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়তা দিতে কার্পণ্য করেনি। এ কারণে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে
রাশিয়াবিরোধী অবস্থান তুঙ্গে ওঠে। রাষ্ট্রগুলো চেয়েছিল যেভাবেই হোক রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে, অন্তত সেটা করা সম্ভব
না হলে রাশিয়ার দেখাদেখি তাদের দেশেও জনগণ বিদ্রোহী হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়া যদি বিদ্রোহী জনগণের পাশে
গিয়ে দাঁড়ায়, তাদের পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দেখা দেবে। বিষয়গুলোকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতি লাভ
করে সমাজতন্ত্রবিরোধী মতবাদ। এ মতবাদ অনেকগুলো সাম্রাজ্যবাদী দেশকে একই পতাকার নিচে একত্রিত হওয়ার পথ
করে দেয় যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ।
স¤প্রসারণবাদ (ঊীঢ়ধহংরড়হরংস) : একটি নির্দিষ্ট স্থানভিত্তিক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টাকে স¤প্রসারণবাদ
হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। ইতালির শাসন ক্ষমতায় এসে বেনিতো মুসোলিনি চেষ্টা করেছিলেন নতুন করে রোমান
সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে। এক্ষেত্রে পূর্বে রোমানদের অধীন দেশগুলোতে ইতালির আগ্রাসন সম্ভাব্য হয়ে দেখা দেয়। এ লক্ষ্য
সামনে রেখে তারা ১৯৩৯ সালে আলবেনিয়া আক্রমণ করে, গ্রিসের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি
১৯৩৫ সালে ইথিওপিয়া আক্রমণ করে বসে। এ বিষয়গুলো লীগ অব নেশনসের নীতিমালাবহির্ভূত কাজ। এমনি আগ্রাসী
চিন্তা দ্রæতই একটি বিশ্বযুদ্ধ সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করে যা জার্মানির সরাসরি ভূমিকায় বাস্তব রূপ লাভ করে।
সামরিকবাদ (গরষরঃধৎরংস) : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যুদ্ধ শুরুর বেশ আগে থেকেই সশস্ত্র
শান্তির যুগে একের পর এক বিস্তৃত হতে থাকে সামরিকবাদ। প্রতিটি দেশ আর্থিক দৈন্য উপেক্ষা করে ধীরে ধীরে দ্বিগুণ
থেকে তিনগুণ করে তোলে সামরিক বাহিনীর আকার। এক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের সেনাবাহিনীর ট্রেনিং নেয়া
বাধ্যতামূলক করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর এক দশক আগে থেকে অনেকগুলো দেশে সামরিক বাহিনীর আকার বৃদ্ধি
থেকে শুরু করে সমরসজ্জা বাড়িয়ে তুলতে দেখা যায়। সেনাবাহিনীর এই আকৃতিগত স¤প্রসারণ তাদের নতুন করে
আরেকটি যুদ্ধে জড়িত হতে প্রণোদনা দেয়।
বর্ণবাদ (জধপরংস)
জার্মানি ও ইতালির একত্রীকরণ ইউরোপে রাজনীতির প্রেক্ষাপট পাল্টে দেয়। তারা প্রথমে নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কে
সচেতন হয়, পরে আত্মপ্রকাশ করে উগ্র জাতীয়তাবাদী হিসেবে। শেষ পর্যন্ত প্যান জার্মানিজম মতবাদের আওতায় তারা
প্রকাশ ঘটাতে থাকে নানা ন্যক্কারজনক চিন্তা চেতনার। এদিকে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও ইতালির মত দেশগুলোও বর্ণবাদী চিন্তায়
পিছিয়ে থাকেনি। পাশাপাশি সোশ্যাল ডারউইনিজমের চিন্তা একবার বিস্তৃতির সুযোগ হলে তা ছড়িয়ে পড়ে বেশ দ্রæত। এর
প্রভাবে প্যান শ্লাভিজম, প্যান ইতালিজম, প্যান জার্মানিজম প্রভৃতি চিন্তাকে উসকে দেয়। ইতিহাস, প্রতœতত্ত¡ ও
সমাজবিজ্ঞানের মত বিষয়গুলো এ মতবাদকে প্রণোদিত করে। ধীরে ধীরে অভিবাসন অঞ্চল ধরে রাজ্য স¤প্রসারণের চেষ্টা
পেয়ে বসলে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আসন্ন হয়ে পড়ে।
ভার্সাই চুক্তির দুর্বলতা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে ভার্সাই চুক্তির দুর্বলতা ও জার্মানির ওপর চাপিয়ে দেয়া ফ্রান্সের
প্রতিশোধপরায়ন শর্তগুলো। এ চুক্তি এমনভাবে দাঁড় করানো হয় যে যেকোনোভাবে জার্মানি যাতে ঘুড়ে দাঁড়াতে না পারে।
শেষ পর্যন্ত জার্মানি নিজেদের দুরবস্থার কথা বুঝতে পারে এবং সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিশেষ করে উড্রো উইলসনের ১৪
দফাকে সামনে রেখে এমন কিছু শর্ত এখানে চাপিয়ে দেয়া হয় যা ক্রমাগত জার্মানির দারিদ্র্য ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে তোলে।
এদিকে বিশ্বের নানা স্থানে থাকা জার্মান উপনিবেশগুলোও তাদের থেকে কেড়ে নেয়া হয়। এতে আর্থিক দিক থেকে ক্রমশ
নাজুক অবস্থানে চলে যেতে থাকে তারা।
ফ্রান্সের নিরাপত্তানীতি
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ফ্রান্স তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অদ্ভুত কিছু দাবি উত্থাপন করে। আপাত দৃষ্টিতে পুরোপুরি
অবাস্তব মনে হলেও শক্তিবলে মিত্রশক্তি এ দাবিগুলো জার্মানির ওপর চাপিয়ে দেয়। এতে করে ফ্রান্সের নিরাপত্তা যতটুকু
নিশ্চিত হোক আর নাই হোক অন্তত জার্মানি ধীরে ধীরে পঙ্গু হয়ে পড়ে। প্রথম দিকে সামরিক বাহিনী সংকোচনের
পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী বিলুপ্তির দাবি জাতি হিসেবে জার্মানির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে। এর জন্য
তাদের মধ্যে একটি প্রতিশোধস্পৃহা কাজ করেছে শুরু থেকেই। এদিক থেকে ধরলে ফ্রান্সের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের নামে
জার্মানিকে শায়েস্তা করার যে পথ মিত্রবাহিনী অবলম্বন করে তা থেকেও যুদ্ধ অনেকটা আসন্ন হয়ে পড়েছিল।
প্যারিস শান্তি সম্মেলন
১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে এর পরের বছর ১৯১৯ সালে বসানো হয় প্যারিস শান্তি সম্মেলন। নামের দিক
থেকে একে প্যারিস শান্তি সম্মেলন বলা হলেও এতে আদৌ কোনো শান্তি আসেনি। উপরন্তু এতে নতুন অশান্তির বীজ উপ্ত
হয়েছে ইউরোপে। এক্ষেত্রে মিত্রবাহিনীর তরফ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমস্ত দায়ভার চাপিয়ে দেয়া হয় জার্মানির ওপর। আর
তারা এজন্য দোষী সাব্যস্ত করে নানা দিক থেকে শায়েস্তা করার চেষ্টা করে। একটি শান্তি প্রস্তাবনার কথা বলা হলেও সেখানে
পরাজিত শক্তিকে উপস্থিতই থাকতে দেয়া হয়নি। এর থেকে তাদের মধ্যে প্রতিশোধপ্রবণতা তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে
রাইনল্যান্ডের কয়লাখনির ওপর ভাগ বসিয়ে মিত্রবাহিনী জ্বালানি শক্তি এবং অর্থনীতি দুদিক থেকেই জার্মানিকে পঙ্গু করে
তোলার চেষ্টা চালায়। এ ধরনের বিষয়গুলো পরবর্তীকালে তাদের প্রতিশোধস্পৃহা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। আর তা থেকে
আরেকটি যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
জার্মানির প্রতিক্রিয়া
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে অনেকগুলো চুক্তির পাশাপাশি এমন কয়েকটি শর্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় যা
জার্মানির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভাগ্যলিপিতে কালিমা লেপন করে। একের পর এক সরকার পরিবর্তন হলেও জার্মানির মানুষের
ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যাওয়া ছিল অসম্ভব ব্যাপার। এসময় বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে আপসকামী
সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎসি পার্টি। নাৎসি নেতারা জার্মানির মানুষকে বুঝিয়ে
বৈপ্লবিক অবস্থানে নিয়ে যায়। তারা পুরো জার্মানিকে বোঝাতে সক্ষম হয় তাদের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য লেজ গুটিয়ে থেকে
অপমানজনক শান্তির পথ বেছে নেয়ার চেয়ে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। জনগণ তাদের জাতীয়তাবাদী
চেতনাকে শ্রদ্ধা দেখায়। নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসে হিটলার নেতৃত্বাধীন নাৎসি পার্টি। গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায়
এলেও অল্পদিনের মধ্যে পুরোপুরি স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোয় জার্মানির শাসনব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে কালবিলম্ব করেননি
হিটলার। তার ক্ষমতায় আসার মধ্য দিয়ে সব ধরনের অন্যায় চুক্তির প্রতি জার্মানির বিরোধী অবস্থান লক্ষ করা যায়। নানা
ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে হিটলার সরকারের দ্ব›দ্ব যুদ্ধ আসন্ন করে তোলে।
প্রতিযোগিতামূলক বাজার
ইউরোপের দেশগুলো বিশ্বের নানা স্থানে উপনিবেশ স্থাপন করার পাশাপাশি বাণিজ্য বিস্তার শুরু করে। অন্যদিকে প্রথম
বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির বিভিন্ন স্থানের খনিজ সম্পদের উপরেও ভাগ বসায় তারা। এতে করে ইউরোপে এক ধরনের
অর্থনৈতিক অসাম্য তৈরি হয়। জার্মানি নিজেদের দেশে অবস্থিত খনি থেকে উত্তোলন করা জ্বালানি তাদের কাজে ব্যবহার
করতে পারেনি। পক্ষান্তরে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড এ থেকে সুবিধা নিয়ে অর্জিত শক্তি জার্মানির বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে থাকে।
এদিকে সাখালিন দ্বীপের তেলের খনির দখল নিয়ে জাপানের সাথে সাথে দ্ব›দ্ব শুরু হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের। কোরিয়া ও
মাঞ্চুরিয়ায় রাশিয়ান সাম্রাজ্যের স¤প্রসারণকে সে দফায় ঠেকিয়ে দিয়ে পূর্ব এশিয়ায় তাদের অগ্রগতি রোধ করতে সক্ষম হয়
জাপান। এরপর ১৯৩১ সালের পর থেকে জাপান এশিয়ার একাধিপতি হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে তুলতে
প্রয়াসী হয়। ১৯৩৭ সালের দিকে বৃহত্তর এশিয়া বাণিজ্যিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ করে বসে জাপান।
এসময় ঘটে যায় কুখ্যাত ‘নানকিং ম্যাসাকার’ নামে গণহত্যার ঘটনা। এভাবে নানা সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে যুদ্ধকে বৈশ্বিক
পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আভাস লক্ষ করা যায়।

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]