জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির পর থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বসভায় তার ভূমিকা

রেখে চলেছে এবং জাতিসংঘের রাজনৈতিক,
অর্থনৈতিক ও সামাজিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মকাÐের সঙ্গে জড়িত হয়েছে। জাতীয় নীতির সাথে সামঞ্জস্য
রেখে বাংলাদেশ পাচঁটি প্রধান ক্ষেত্র যেমন উন্নয়ন, পরিবেশ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তিরক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে
থাকে। জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভের এক বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়
এবং ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দু’বার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
(ইকোসক) এর সদস্য হিসেবে কাজ করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১ তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি
হুমায়ুন রশিদ চৌধূরী ১৯৮৬-৮৭ মেয়াদে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ দু’বার নির্বাচিত হয়, প্রথমবার জাপানকে পরাজিত করে
১৯৭৯-৮০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০০০-২০০১ সালে। বাংলাদেশের প্রথমবারের (১৯৭৯-৮০) নিরাপত্তা পরিষদের
অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সে সময়ে বিশ্বে ঠান্ডাযুদ্ধকালীন অবস্থা বিরাজমান ছিল এবং বিভিন্ন
সংকটকালীন এজেন্ডা, যেমন: আরব-ইসরাইল উত্তেজনা, কম্বোডিয়ায় ভিয়েতনামীদের আগ্রাসন, আফগানিস্তানে সোভিয়েত
অনুপ্রবেশ, ইরানের হোস্টেজ ইস্যু, ইরান-ইরাক যুদ্ধ, আফ্রিকান রাষ্ট্র রোডেশিয়ার স্বাধীনতা অর্জন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার
বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি নিরাপত্তা পরিষদের এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হয়।
বাংলাদেশ জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কম্বোডিয়া এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ভেটো
প্রদানে বিরত রাখতে ব্যর্থ হলেও অবরুদ্ধ আরবভূমিতে ইহুদি বসতিস্থাপনে বাধা দেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদে
বাংলাদেশের উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখে। তেহরানে আমেরিকান কূটনীতিকদের হোস্টেজ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আইনের
মূলনীতির স্বীকৃতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেজ্যুলেশনে সমর্থন জ্ঞাপন করে। একই সময়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের প্রতিনিধি
হয়ে জিম্বাবুয়ে থেকে রোডেশিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নে যে নির্বাচন হয়, তার তদারকি করে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা কমিটি হয় তার সভাপতি নির্বাচিত হয়।
বিশ্বের পরিবর্তিত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদে দ্বিতীয় মেয়াদে সদস্যপদ লাভের সময়েও (২০০০-২০০১)
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এঙ্গোলা, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (ডিআরসি), ইরাক,
কসোভো, সিয়েরা লিয়ন এবং পূর্ব তিমুরের মতো বিষয়গুলো এ সময়ের নিরাপত্তা পরিষদের প্রাধান্য বিস্তারকারী ইস্যু
হিসেবে বিবেচিত। এসময়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ দুটো কমিটি, সিয়েরা লিয়ন বিষয়ক কমিটি এবং অনুমোদনের ভূমিকা
বিষয়ক কার্যকমিটির সভাপতি হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও বাংলাদেশ ২০০০ সালের মার্চ মাসে এবং ২০০১ সালের জুন
মাসে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত নয়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক শক্তিশালী প্রবক্তা হিসেবে
বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। ১৯৭৮ সালের শেষের দিকে জাতিসংঘ অধিবেশনে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক
প্রস্তুতিমুলক কমিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করে এবং ১৯৭৯ সালের আগস্ট মাসে পাশকৃত পারমানবিক
অস্ত্র প্রসার রোধ বিষয়ক চুক্তি(এনপিটি) প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ১৯৮২-৮৩ মেয়াদে ৭৭ জাতি গ্রুপের চেয়ারম্যান
এবং ১৯৮০ থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলির সমন্বয়ক হিসেবে বাংলাদেশ কাজ করেছে। বাংলাদেশ ১৯৮৫ সালে শরণার্থী
বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) এবং ১৯৯৮ সালে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিটিডি কমিটির হাইকমিশনার নিযুক্ত
হয়। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৮৫ সালে দায়িত্ব
পালন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৩-২০০০ মেয়াদে এবং ২০০৬-
২০০৮ মেয়াদে কাজ করে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রধান সম্মেলনগুলোতে বরাবরই অংশগ্রহণ করে। বিশ শতকের নব্বইয়ের দশকে
জাতিসংঘের আহবানে যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হয়েছে বাংলাদেশ সবক’টিতেই অংশগ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন ঘোষণা,
প্যান অব অ্যাকশন প্রণয়নে অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের উদ্যোগে গৃহীত অনেকগুলি আন্তর্জাতিক চুক্তি ও
মানবাধিকার সনদের স্বাক্ষরদাতা ও অনুসমর্থনকারী দেশ। এসবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশন, চুক্তি এবং প্রটোকল যা
বাংলাদেশ কর্তৃক স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন হয়েছে সেগুলো হলো: সকল প্রকার বর্ণগত বৈষম্য বিলোপে আন্তর্জাতিক
কনভেনশন, নারীদের বিরুদ্ধে সবধরনের বৈষম্য বিলোপে কনভেনশন (সিডো), শিশু অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন এবং
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক কভেন্যান্ট, এন্টি পারসোন্যাল মাইন ব্যবহার প্রতিরোধ
বিষয়ক চুক্তি, মরুভুমিকরণ প্রতিরোধে জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিসিডি), রিও জীববৈচিত্র্য কনভেনশন, ভিয়েনা
কনভেনশন, মন্ট্রিল প্রটোকল, লন্ডন এমেন্ডমেন্ট, কোপেনহেগেন এমেন্ডমেন্ট, মন্ট্রিল এমেন্ডমেন্ট, বেইজিং এমেন্ডমেন্ট।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ
সাধারণ পরিষদের ৫৪ তম অধিবেশনে অ্যাকশন ফর এ কালচার অব পিস কর্মসূচী ঘোষণার সমন্বয়ক হিসেবে কাজ
করে। এছাড়া বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং কমিশনেরও প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। বর্তমানে জাতিসংঘের এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে
বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতময় এলাকায় চলমান শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, যার সঙ্গে বাংলাদেশ গভীরভাবে জড়িত। জাতিসংঘের
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী শীর্ষস্থানে থাকা দেশসমূহের অন্যতম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ ভূমিকার সূত্রপাত
ঘটে ১৯৮৮সালে ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভেশন গ্রুপ (ইউএনআইআইএমওজি) এবং নামিবিয়াতে কার্যত
ইউনাইটেড নেশনস ট্রাঞ্জিশন অ্যাসিসট্যান্স গ্রুপে (ইউএনটিএজি) যোগদানের মাধ্যমে।
২০১০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১০,৫৭৪ জন (সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ) শান্তিরক্ষী সদস্যকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা
কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান
করে এবং ১২ টি মিশনে ১১ টি রাষ্ট্রে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা কর্মরত রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা দেশের
জন্য অন্যতম শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শক্তি। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা তাঁদের দায়িত্ববোধ, কর্মনিষ্ঠা এবং
দক্ষতা দ্বারা উচু মর্যাদায় আসীন হয়েছে এবং তা বিশ্ববাসীর কাছে স্বীকৃত ও প্রসংশিত হয়েছে। সংকটকালীন সময়ে
বিশ্বশান্তি রক্ষায় ঝুকিপূর্ণ দায়িত্ব পালনকালে ৮৮ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষা কর্মী এ পর্যন্ত তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ বর্তমানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম ব্যাপক আকারে দেখা যায়। বাংলাদেশের
জনগণের উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে ১০ টির বেশি জাতিসংঘ সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকার এবং জনগণের
সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সংস্থাসমূহের কাজের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে অর্থনীতি, বিদ্যুৎ শক্তি, পরিবেশ,
জরুরী সহায়তা, শিক্ষা, দুর্যোগ, খাদ্য, জেন্ডার ইস্যু, সুশাসন, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, অভিগমন, পুষ্টি,
অংশীদারিত্ব, জনসংখ্যা, দারিদ্র, শরণার্থী, শহরায়ন, কর্মসংস্থান এবং জীবনধারণ। জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ দেশের
সুশাসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন অ্যাক্ট ও অর্ডিন্যান্স তৈরিতে, এবং মানবাধিকার ইস্যু সমূহে ঝুকিপূর্ণ কর্মপরিকল্পনার উন্নয়নে এবং
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নীতিগত সমর্থন দিয়ে
থাকে।
জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তাকারী কাঠামোর (আনডাফ) মাধ্যমে জাতিসংঘের সকল
সংস্থা একত্রিত হয়ে যৌথভাবে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বে উন্নয়ন ধারণার মধ্যে সংযোগ
স্থাপনকারী বাংলাদেশে অবস্থিত জাতিসংঘের অন্যতম প্রধান শাখা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) জাতিসংঘ
টিমের সাথে একত্রিত হয়ে আনডাফ-এর বাস্তবায়ন এবং উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে। এই লক্ষ্যে ইউএনডিপি সরকারি
সংস্থাসমূহকে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দেশের দারিদ্র বিমোচন কৌশলপত্র
(পিআরএসপি) তৈরিতে সহায়তা করে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) উদ্যোগে সুন্দরবন এবং আরো কিছু ঐতিহাসিক স্থান বিশ্ব
ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পনেরো শতকে নির্মিত পাহাড়পুর বিহার এবং বাগেরহাটের বিভিন্ন মসজিদের
সংরক্ষণের লক্ষ্যে ইউনেস্কো ১৯৮৫ সালে এক আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির ক্ষেত্রেও ইউনেস্কো প্রধান ভূমিকা পালন করে এবং প্রতি বছর বিশ্বের সর্বত্র ইউনেস্কোর
তত্ত¡াবধানে এই দিন মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-এর তত্ত¡াবধানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের সর্বত্র
গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। বিশ শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকে রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ,
প্রজননকালীন স্বাস্থ্যসেবা, এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তার ক্ষেত্রে ইউনিসেফ বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশ্বখাদ্য ও কৃষি
সংস্থা দেশের বৃহত্তর কৃষি সেক্টরের সাথে জড়িত এবং বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের যে লক্ষ্য তা পূরণে পর্যাপ্ত
ধান, গম এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে থাকে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)
বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কৌশলগত পরামর্শমূলক সেবা এবং কমোডিটি সাপোর্ট দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে
ইউএনএফপিএ এ পর্যন্ত ছয়টি কান্ট্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছে এবং বর্তমানে সপ্তম কান্ট্রি প্রোগাম (২০০৬-২০১০)
বাস্তবায়নের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে স্থিতিশীলতা আনয়নের ক্ষেত্রেও
ইউএনএফপিএ যুক্ত আছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের জনশক্তির শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে এবং
বাংলাদেশের শ্রম আইন আইএলও’র নীতিমালার সাথে ভারসাম্য রেখে প্রণীত হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (ডবিøউএফপি)
বাংলাদেশের কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কার্যক্রমে বিরাট ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশ সরকারের সাথে মায়ানমার থেকে আগত ২৮,২০০
শরণার্থীর কল্যাণে এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ ১৯৭২ সাল
থেকে যৌথভাবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র দূরীকরণের মাধ্যমে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে
এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগী হয়ে কাজ করে থাকে।
বিশ্বব্যাংক অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বেসরকারী সংস্থা, সুশীল সমাজ, প্রাতিষ্ঠানিক লোকজন এবং স্থানীয় স্টক
হোল্ডারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রজেক্টে ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা (আইএমএফ)-এর সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। আইএমএফ’র ঋণ দেশের আর্থিক
ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়তা করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (ডবিøউটিও) বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের
বাণিজ্য সুবিধা উন্মুক্ত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøওএইচও) ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের জনগনের স্বাস্থ্য উন্ন্যয়ন
এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে। ডবিøউএইচও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য এবং ঔষুধ
নীতি পর্যবেক্ষন করছে।
বাংলাদেশে অবস্থিত জাতিসংঘের অনেক সংস্থা আর্থ-সামজিক প্রজেক্ট তৈরিতে সহায়তার লক্ষ্যে দেশের জনগোষ্ঠীকে
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী, ফেলোশীপ অথবা গবেষণার জন্য ফান্ড প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কৌশল
জাতিসংঘের সংস্থা সমূহের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং জাতিসংঘের এই সংস্থাসমূহের একটি করে অফিসও
বাংলাদেশে রয়েছে। বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের বিগত বছরের যে সম্পর্ক তা দ্বারা বাংলাদেশ সংবিধানের কার্যকারিতা
সুস্পষ্ট। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্বে আরো সমুন্নত হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে দ্বিধা বিভক্ত এবং
অর্থনৈতিক ভাবে প্রতিদ্ধন্ধিতা পূর্ণ দ্বিমেরু কেন্দ্রীক বিশ্বে জাতিসংঘ একমাত্র সংস্থা যা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পারে।
বাংলাদেশ নীতিগতভাবে তাই জাতিসংঘের মূলনীতিসমূহ মেনে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]