স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর সময় নিয়ে মতভেদ থাকলেও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন তা হচ্ছে এটি হঠাৎ করে শুরু
হয়নি কিংবা শেষ হয়ে যায়নি। মনে করা হয়, ১৯১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লবের পর থেকে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হয়। তবে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এর বাস্তব রূপ সবার কাছে ধরা পড়ে। তবে অনেকের ধারণা ১৯৪৬ সালে ফুলটন বক্তৃতায়
চার্চিলের মন্তব্য থেকে ¯œায়ুযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তবে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের মাধ্যমে ¯œায়ুযুদ্ধের সূত্রপাতকে চিহ্নিত
করা যায় না। তার হিসাবে ট্রুম্যান নীতি ও মার্শাল পরিকল্পনার সময় থেকেই মার্কিন-রাশিয়া বিরোধ ধীরে ধীরে সে যুদ্ধে
রূপ নেয়। এই যুদ্ধ ঘটেছিল একটা মহড়ার মধ্য দিয়ে। সরাসরি যুদ্ধ শুরু না হলেও সর্বত্র তখন এক রকম যুদ্ধাবস্থা বিরাজ
করে।
যুদ্ধকালীন বিশ্ব পরিস্থিতি বোঝার জন্য এর দুটি পর্যায় সম্পর্কে আলোচনা জরুরি। বিশেষ করে ১৯৪৫ সালের দিকে ছায়া
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একে দুটি পর্বে ভাগ করা যায়। স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি প্রায় দুই দশক বজায় ছিল।
এক্ষেত্রে একটি দশকে অপেক্ষাকৃত বেশি উত্তেজনা কাজ করেছে। অন্য একটি পর্বে এসে উত্তেজনা অনেকাংশে কমে যায়।
সেখানে সামরিক জোট গঠন, পাল্টা সামরিক জোট সৃষ্টি, দুই বৃহৎ শক্তির প্রভাব বলয় সৃষ্টির প্রবনতার পাশাপাশি নানা দিক
থেকে উত্তেজনা প্রকাশ পায়। বইয়ের ভাষায় একে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের’ যুগ বলা হলেও প্রকৃত অর্থে কতটুকু শান্তি
বিরাজ করছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা কঠিন। সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে হঠাৎ শক্তিশালী হয়ে ওঠায়
সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এক অর্থে অশান্ত হয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্ব।
প্রথম পর্যায়ে ইউরোপে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতাদর্শিক সমাজতান্ত্রিক শিবিরের উদ্ভব, ট্রুম্যান নীতি, মার্শাল পরিকল্পনা,
বার্লিন সংকট, ওয়ারশ চুক্তি, ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি, কিউবা সংকট প্রভৃতি বিষয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ পর্বের
প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ট্রুম্যান তত্তে¡র পরিচয় পাই। পূর্ব ইউরোপের দেশ গুলোতে সাম্যবাদের প্রসার ঘটতে শুরু করলে
গণতন্ত্রের পরিত্রাণকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান নিশ্চিত করে। তাদের রাজনীতির প্রচারে এটাই প্রাধান্য পেতে
শুরু করে যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন পুরো বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তারা আরো প্রচার করে যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের
করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব না হলে বিশ্ব মানবতার মুক্তি সম্ভব নয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের স¤প্রসারণবাদে ভয়
পেয়ে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ১৯৪৭ সালে যে তথ্য প্রকাশ করেন, সেটা ইতিহাসে বিখ্যাত হয়েছে ‘ট্রুম্যান তত্ত’¡
নামে। এই তত্তে¡র অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ছিল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় ঐক্য রক্ষার নামে অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ
রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অজুহাত প্রতিহত করা। পাশাপাশি ট্রুম্যান তত্তে¡র আলোকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিতে
সোভিয়েত ইউনিয়ন যেভাবে হস্তক্ষেপ করছিল তার প্রতিরোধেও একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চালানো হয়।
১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেন গ্রিস থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রিস-তুরস্ক সংকটে
হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়। গ্রিসে তখন সম্মিলিত তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রিসের জাতীয় ঐক্য রক্ষার নামে
সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করে যে সাফল্য পেয়েছিল তা ¯œায়ু যুদ্ধকে তীব্র করে তোলে। ১৯৪৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র সচিব জর্জ মার্শাল ঘোষণা করেন বাইরের সাহায্য না পেলে ইউরোপের ভেঙে পড়া অবস্থা থেকে উত্তরণ এবং
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। তখন ইউরোপীয়রা ধীরে ধীরে তাদের করণীয় ঠিক করতে থাকে। সোভিয়েত
ইউনিয়নের স¤প্রসারণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দেশগুলো নানাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করে। যুক্তরাষ্ট্র
নানাভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স¤প্রসারণের ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের যাত্রা
কঠিন করে দেয়।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তীব্্রতর হয়। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে কোনো
ধরনের সহায়তা পেতে থাকে। তাদের যেকোনো রকম সংকটে এবং বিশেষ করে সোভিয়েত বিরোধী সংগ্রামে যুক্তরাষ্ট্রের
পক্ষ থেকে সহায়তা করার যে প্রবণতা সেটাই মার্শাল পরিকল্পনা নামে ইতিহাস বিখ্যাত হয়েছে।
ইউরোপের নানা ব্যাপারে বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন তার উষ্ণ প্রতিক্রিয়া জানায়। ইউরোপের
রাজনীতিক ব্যাপারে আমেরিকার সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও তাদের অভিমত
জানিয়ে দেয়া হয়। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যে, ইউরোপের অর্থনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে
তার ফলাফল ভালো হবে না। এর পরেও রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করে ইউরোপের ১৬ টি কমিউনিস্ট বিরোধী দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তারা নিজেদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্য
নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এই দেশগুলোর মধ্যে অনেক দেশ আমেরিকার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তাদের আর্থিক
পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটায় বলে তাদের দেখে আরো অনেক দেশ অনুপ্রাণিত হয়। এ সময় রুশবিরোধী দেশগুলোতে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনকে ত্বরান্বিত করলেও স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনাকে নানা দিক থেকে উষ্কে
দিয়েছিল বলে অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মনে করেন।
১৯৪৮ সালের দিকে এসে ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি চেকো¯েøাভাকিয়া কমিউনিস্টদের দখলে
চলে যায়। রাশিয়ার এ সাফল্যের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র যার পর নাই চিন্তিত হয়ে পড়ে। ঠিক এ বছরে সোভিয়েত রাশিয়া
বার্লিন অবরোধ করে বসলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের অবরোধ থেকে
বার্লিনবাসীকে বাঁচানোর জন্য আকাশ থেকে খাদ্য ফেলে সাহায্য করে আমেরিকা। এই অবরোধের মধ্য দিয়ে জার্মানির
সঙ্গে রাশিয়ার বিরোধ সরাসরি যুদ্ধে রূপ নিতে থাকে। পক্ষান্তরে এমনি পরিস্থিতিতে ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল ‘ন্যাটো’
নামক একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটায় আমেরিকা। তবে মূলত আমেরিকার সোভিয়েত ভীতি থেকেই এই
ন্যাটোর সৃষ্টি বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
অন্যদিকে ন্যাটোর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়াও এ সময় ওয়ারশ চুক্তি করেছিল। তখন এ চুক্তির মধ্য দিয়ে
রাশিয়ার উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার হস্তক্ষেপ থেকে তার অধীনে থাকা কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোকে রক্ষা করা। বিশ্বের নানা
প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সোভিয়েত ইউনিয়নের আদর্শে অনুপ্রাণিত রাষ্ট্রগুলোর উপর আমেরিকার হস্তক্ষেপ যাতে না হয় সেজন্য
ওয়ারশ চুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিশ্বাস করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই সংস্থা দুটি কার্যক্ষেত্রে কতটুকু
ভূমিকা রাখতে পেরেছিল সে ব্যাপারে বলা কঠিন। তবে এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বৈরথ একটা
নতুন মাত্রা লাভ করে।
১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের উদ্ভবের মধ্য দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ আরেক দিকে মোড় নেয়। তখন কমিউনিস্টদের প্রতি তীব্র
ভয় এবং ক্ষোভ থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের নতুন সরকারকে স্বাগত জানানোর মত সৌজন্য দেখাতে পারেনি। বরং তারা তাদের
স্বাগত জানানো থেকে বিরত থাকে। ঠিক এ সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চীনের নতুন সরকারকে স্বাগত
জানানো হলে তাদের মিত্রতা স্নায়ুযুদ্ধকালীন উত্তেজনা আরেক ধাপ বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে
কোরিয়ার গুরুত্ব বাড়তে থাকলে এশিয়ায় এসে স্নায়ুযুদ্ধ নতুন রূপ নেয়। ১৯০২ সালের দিকে একটি সম্মেলনে স্থির করা
হয়েছিল কোরিয়া বিদেশী নিয়ন্ত্রণমুক্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাবে। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন জাপানের কাছ থেকে
কোরিয়া কেড়ে নেয়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কোরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলে
পরিস্থিতি নতুন দিকে ধাবিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এই চার পরাশক্তি মিলে একটা পর্যায়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে কোরিয়ার
উপর তারা চারজনই পৃথকভাবে কর্তৃত্ব করতে পারবে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখা অনুযায়ী কোরিয়াকে
দু-ভাগে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে দক্ষিণ অংশের উপর আমেরিকার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এই অংশের নাম দেওয়া হয়
দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি উত্তর অংশের উপর কর্তৃত্ব স্থাপিত হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের যা ইতিহাসে পরিচিতি পায় উত্তর
কোরিয়া নামে। দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি চীনের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার পক্ষে অনুকূল ছিল না। বিশেষ
করে তাদের নতুন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি না দেয়ায় তারা শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের শত্রু ভাবতে শুরু করে।
পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে মিত্রতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতার আগুনে ঘি ঢালে। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি এমন
দাঁড়ায় যে সোভিয়েত ইউনিয়নের শত্রু যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে চীনের শত্রুতে পরিণত হয়। তাই এক পর্যায়ে এসে চীন
কোরিয়ার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে তিন বৃহৎ শক্তির ছায়াযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয় এশিয়ার মানুষের। এক পর্যায়ে
সে স্নায়ুযুদ্ধ সরাসরি যুদ্ধে রূপ পেলে আমেরিকা কোরিয়ায় এসে পরাজিত হয়। ১৯৫৩ সালে কোরিয়ায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির
দ্বারা প্রত্যক্ষ যুদ্ধের অবসান হলেও সেখানকার ছায়া যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।
১৯৫৩ সালের দিকে রাশিয়ায় স্ট্যালিনের মৃত্যু হলে স্নায়ুযুদ্ধ কিছুটা স্তিমিত হতে শুরু করে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট
হিসেবে তখন ক্ষমতায় আসেন আইজেনহাওয়ার। তখন থেকে দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। ১৯৫৪
সালে বার্লিন ও জেনেভা সম্মেলন নামের দুটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেনেভা সম্মেলনে আলোচনার মুখ্য বিষয়
ছিল মারণাস্ত্রের নির্বিচার উৎপাদন ও ব্যবহারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এর বাইরে উভয় দেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে
প্রচেষ্টা চালানোর ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। ১৯৫৪ সালের দিকে পরিস্থিতির বদল স্পষ্ট হয়ে ওঠে যেখানে আমেরিকার
নেতৃত্বে গঠিত হয় আরেকটি সংগঠন। তখন মধ্যপ্রাচ্য প্রতিরক্ষার সংগঠনগুলো এর সঙ্গে যুক্ত হয়। এ সময়ে ¯œায়ু যুদ্ধের
তীব্রতা হ্রাসের বদলে বৃদ্ধি পায় এবং প্রমাণ তত্তে¡র মত আইজেন হাওয়ার মধ্যপ্রাচ্যের গণতন্ত্র স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য
সব রকম সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ সময় এসে ¯œায়ুযুদ্ধ তীব্র করতে শুধু আমেরিকা এককভাবে দায়ী নয়; ১৯৪৯
সালে জার্মানির দু'ভাগ হয়ে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একভাগ জার্মান যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র যা পশ্চিম জার্মানি নামে
পরিচিতি পায়। অন্যদিকে জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র পূর্ব জার্মানি নামে পরিচিতি পায়। স্নায়ু যুদ্ধের ফলে অতীতের
ক্ষতবিক্ষত জার্মানি আবার বিভক্ত হয়ে যায়।
দুই বৃহৎ শক্তি শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টাতে থাকে ১৯৬৪ সালের দিকে এসে। তখন
প্রত্যেকের মনে ধারণা জন্মায় যে, পারমানবিক বোমা কারো জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তখন উভয়পক্ষ ধীরে
ধীরে বিবাদ অবসানের দিকে নজর দেয়। তাদের প্রত্যেকে অনুভব করতে থাকে যে ভাবে হোক বিবাদ মিটিয়ে ফেলা গেলে
প্রত্যেকের মঙ্গল। এক্ষেত্রে যুদ্ধের মহড়া বাদ দিয়ে প্রত্যেকে চেষ্টা করে এক ধরনের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি
করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া স্ব স্ব অবস্থানে উপযুক্ত নীতি অনুসরণের দিকে অগ্রসর হলে বিশ্ব রাজনীতিতে
ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসে। তবে ছায়া যুদ্ধ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। এর দ্বারা আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার
সমাধান হয়েছে এমন নয়। অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের আধিপত্যবাদী প্রচেষ্টার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার
চেষ্টা পুরো সময় অতিষ্ঠ করে রাখে বিশ্বকে।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র