তথ্য আদান প্রদানের প্রক্রিয়াকে কমিউনিকেশন বলে। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ একজন আরেকজনের সাথে ভাবনা,
ধারণা, প্রয়োজন ইত্যাদি আদান-প্রদানের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আসছে। দূরবর্তী অবস্থানের সাথে কিভাবে
তথ্য আদান-প্রদান করা যায়, কিভাবে দ্রæত ও নির্ভুলভাবে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়, এ সকল বিষয় গবেষণার ফলে
উদ্ভাবন হয়েছে কমিউনিকেশন সিস্টেম। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে কমিউনিকেশন সিস্টেমের পরিবর্তন হয়েছে।
মূহুর্তের মধ্যে আমরা অনেক কিছু যেমন-ছবি, কথা, মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারি।
ইলেক্ট্রনিক কমিউনিকেশনের উদ্ভাবন মানুষের কমিউনিকেশনকে করেছে অনেক উন্নত। রেডিও, টেলিভিশন, ফ্যাক্স,
স্যাটেলাইটের ব্যবহার কমিউনিকেশন সিস্টেমের উৎকর্ষতা বাড়িয়েছে বহুগুণ। তারযুক্ত ও তারহীন মাধ্যমে অতিদ্রæত ডাটা
আদান-প্রদান করা যায়। এ ইউনিটে আপনারা কমিউনিকেশন সিস্টেম সম্পর্কে জানতে পারবেন। ডাটা ট্রান্সমিশনের বিভিন্ন
পদ্ধতি, মেথড কি ও কিভাবে কাজ করে সেগুলোর বর্ণনা জানতে পারবেন। আধুনিক কমিউনিকেশন সিস্টেমের বিভিন্ন
মাধ্যম, ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তি যেমন- বøু-টুথ, ওয়াইফাই, ওয়াই ম্যাক্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কমিউনিকেশন সিস্টেম
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে কমিউনিকেশন সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমিউনিকেশন সিস্টেমের ফলে গোটা বিশ্ব
আজ মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে গেছে। মানুষ আজ নিজের অবস্থান থেকে কমিউনিকেশন সিস্টেমের ফলে প্রতি মুহূর্তে
পৃথিবীর সকল স্থানে তথ্য আদান প্রদান করতে পারছে। বর্তমান কমিউনিকেশন সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে
ইন্টারনেট। ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে একাধারে যেমন ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে তেমনি কার্য সম্পাদনের গতিও
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।
৩.১.১ কমিউনিকেশন সিস্টেমের ধারণা
প্রাচীন কাল থেকে মানুষ একজন আরেকজনের সাথে ভাবনা, ধারণা, প্রয়োজন ইত্যাদি আদান-প্রদানের জন্য বিভিন্ন
কৌশল ব্যবহার করে আসছে। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত উন্নত কমিউনিকেশন সিস্টেম সহজ করেছে দূরবর্তী অবস্থানের
সাথে দ্রæত ও নির্ভুল তথ্যের আদান-প্রদান।
ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সরকার, উপাসনালয় ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে যোগাযোগ অতি গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ ব্যতিরেকে
কোনভাবেই কেউ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে না। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যোগাযোগ সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ
হলো দুই বা বহু পক্ষের মধ্যে তথ্য বা ভাবের আদান-প্রদান যা পক্ষসমূহের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বোধগম্যতার সৃষ্টি
করে। যোগাযোগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের প্রয়োজনীয় তথ্য ও মনের ভাব একজন থেকে অন্য জনে; এক প্রতিষ্ঠান
থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে; প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিতে; ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানে; সরকার থেকে ব্যক্তিতে এবং প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি-
প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের নিকট প্রেরিত হয়। আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাই অতীতকে বর্তমানের কাছাকাছি নিয়ে
এসেছে। বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদেরকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি আমাদের গতিকে করেছে সমৃদ্ধ।
দুইটি পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যে মাধ্যম ব্যবহার করা হয় তাকে কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে।
কমিউনিকেশন সিস্টেমে তথ্য আদান প্রদানের জন্য নিচের কাজ গুলো করতে হয়১. তথ্য আদান প্রদান ব্যবস্থাপনা করা।
২. তথ্যের উৎস , গন্তব্য নির্ধারণ করা।
৩. ডাটার নিরাপত্তা প্রদান।
৪. হারানো তথ্য পুনরুদ্ধার।
৫. সম্পূর্ন সিস্টেমের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাপনা করা।
৩.১.২ বিভিন্ন ধরনের কমিউনিকেশন সিস্টেম
পৃথিবীতে অনেক ধরনের কমিউনিকেশন সিস্টেম রয়েছে। যেমন-
বায়োলজিক্যাল কমিউনিকেশন সিস্টেম ঃ শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বায়োলজিক্যাল
কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে। যেমন- মস্তিষ্ক, স্বরযন্ত্র, কান, হাত ইত্যাদি অঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ করা হয়।
গ্রাফিক কমিউনিকেশন সিস্টেমঃ গ্রাফিক কমিউনিকেশন সিস্টেমে সকল ধরনের যোগাযোগ ছবি ও চিহ্নের মাধ্যমে
ভিজুয়ালী প্রেরণ ও গ্রহণ করা হয়।
টেলিকমিউনিকেশনঃ দূরবর্তী স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দূরবর্তী যোগাযোগের জন্য টেলিফোন ব্যবহার করার
মাধ্যমে যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে টেলিকমিউনিকেশন বলে। যেমন- মোবাইল ফোনে দুই জনের
মধ্যে কথোপকথোন।
ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনঃ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা হয় বা যে
যোগাযোগ গড়ে উঠে তাকে ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন বলে। ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের জন্য অনেক
মিডিয়া ব্যবহার করা হয়। যেমন- রেডিও, টেলিভিশন, ফাইবার অপটিকস, ফ্যাক্স, স্যাটেলাইট ইত্যাদি।
কমিউনিকেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তার ওপর আপনার মতামত তুলে ধরুন।
সারসংক্ষেপ
দুইটি পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যে মাধ্যম ব্যবহার করে তাকে কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে। বর্তমান
তথ্য প্রযুক্তির যুগে কমিউনিকেশন সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ একজন আরেকজনের সাথে
ভাবনা, ধারনা, প্রয়োজন ইত্যাদি আদান-প্রদানের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আসছে। দূরবর্তী অবস্থানের সাথে
কিভাবে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়, কিভাবে দ্রæত ও নির্ভুলভাবে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়, এ সকল বিষয়
গবেষণার ফলে উদ্ভাবন হয়েছে কমিউনিকেশন সিস্টেম।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৩.১
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন
১। গ্রাফিক কমিউনিকেশন সিস্টেমে সকল ধরনের কমিউনিকেশন কিসের মাধ্যমে হয়ে থাকে?
ক) ছবি খ) রেডিও
গ) মস্তিষ্ক ঘ) কোনটিই নয়
২। ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের মিডিয়া কোনটি?
ক) রেডিও খ) টেলিভিশন
গ) ফাইবার অপটিকস ঘ) সবগুলোই
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র