ডাটা ট্রান্সমিশন মেথড
প্রেরক কম্পিউটার থেকে গ্রাহক কম্পিউটারে লাইন ইন্টারফেসের উপর ভিত্তি করে সিরিয়াল ও প্যারালাল এই
দুই পদ্ধতিতে ডাটা ট্রান্সমিশন হয়ে থাকে। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডাটা ট্রান্সমিশন হওয়ার সময় অবশ্যই
দুই কম্পিউটারের মধ্যে এমন একটি সমঝোতা থাকা দরকার যাতে সিগন্যাল বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে পারে। বিটের
শুরু ও শেষ বুঝতে না পারলে গ্রহণকারী কম্পিউটার সেই সিগন্যাল থেকে ডাটা পুনরুদ্ধার করতে পারে না। এই সিগন্যাল
পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় বিট সিনক্রোনাইজেশন।
সিনক্রোনাইজেশনের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন১। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission) ও
২। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Synchronous Transmission)
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন
এ পদ্ধতিতে প্রেরক হতে গ্রাহকে একটি একটি করে ক্যারেক্টার পাঠানো হয়। এ ধরনের ট্রান্সমিশনে যে কোন সময় ডাটা
প্রেরণ ও গ্রহণ সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রতিটি ক্যারেক্টারের সাথে একটি স্টার্ট বিট ও একটি স্টপ বিট পাঠানো হয়। প্রতিটি
ক্যারেক্টার পাঠানোর মাঝখানে সময়ের ব্যবধান সমান হয় না।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন
এ পদ্ধতিতে প্রথমে ডাটাকে একটি প্রাইমারী স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষণ করে অনেকগুলো বøক বা গ্রæপ করে পাঠানো
হয়। প্রেরক হতে গ্রাহকে অনেকগুলো বর্ণ দ্বারা গঠিত বøক আকারে ডাটা পাঠানো হয়। সাধারণত একটি বøকে ৮০ হতে
১৩২ টি বর্ণ থাকে। দু’টি বøকের মাঝখানে সময় বিরতি সমান হয়ে থাকে এবং প্রতিটি বøক ডাটার শুরুতে একটি হেডার
ইনফরমেশন এবং শেষে একটি টেইলার ইনফরমেশন পাঠানো হয়।
অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন
১। যে ট্রান্সমিশন সিস্টেম ক্যারেক্টার বাই-ক্যারেক্টার-ডাটা
ট্রান্সমিট করে তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেম
বলে।
১। যে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডাটা প্যাকেট বা বøক
আকারে ট্রান্সমিট করে তাকে সিনক্রোনাস
ট্রান্সমিশন সিস্টেম বলে।
২। প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজের প্রয়োজন হয় না। ২। প্রেরক স্টেশনে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ
ডিভাইসের প্রয়োজন হয়।
৩। এখানে ক্যারেক্টারের মাঝে টাইম ইন্টারভেল বা বিরতি
সমান হয় না।
৩। এখানে ক্যারেক্টারের মাঝে টাইম ইন্টারভেল বা
বিরতি সমান হয়ে থাকে। তুলনামূলক কম। ৪। ট্রান্সমিশনের দক্ষতা তুলনামূলক বেশি।
৫। ট্রান্সমিশনের গতি কম। ৫। ট্রান্সমিশনের গতি অনেক বেশি।
৬। এই ট্রান্সমিশনে স্টার্ট বিট বা স্টপ বিট এর প্রয়োজন হয়। ৬। স্টার্ট বিট এবং স্টপ বিট এর প্রয়োজন হয় না।
৩.৩.২ ডাটা ট্রান্সমিশন মোড
ডাটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা পাঠানো হয়। উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডাটা
প্রবাহের দিককে বিবেচনা করে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডাটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি
করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো১। সিমপ্লেক্স (Simplex)
২। হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)ও
৩। ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)
সিমপ্লেক্স: শুধুমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণের মোড বা পদ্ধতিকে বলা হয় সিমপ্লেক্স। এক্ষেত্রে গ্রাহক যন্ত্রটি কখনোই প্রেরক
যন্ত্রটিতে ডাটা পাঠাতে পারে না। যেমন- চিত্রে কেবলমাত্র অ হতে ই এর দিকে ডাটা প্রেরণ করা যাবে। কিন্তু ই হতে অ
এর দিক ডাটা প্রেরণ সম্ভব নয়। উদাহরণ- রেডিও, টিভি।
মাধ্যম
হাফ-ডুপ্লেক্স: হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে যে কোন প্রান্ত ডাটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই
সাথে করতে পারে না। নিম্নের চিত্রে হাফ-ডুপ্লেক্স ব্যবস্থায় অ যখন ডাটা প্রেরণ করবে ই তখন ডাটা গ্রহণ করতে পারবে,
প্রেরণ করতে পারবে না। অ এর প্রেরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ই ডাটা প্রেরণ করতে পারবে। অনুরূপভাবে ই এর প্রেরণ
প্রক্রিয়া চলাকালীন অ শুরু ডাটা গ্রহণ করতে পারবে। উদাহরণ-ওয়াকিটকি।
ফুল-ডুপ্লেক্স: এক্ষেত্রে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডাটা প্ররণের ব্যবস্থা থাকে। যে কোন প্রান্ত প্রয়োজনে ডাটা প্রেরণ
করার সময় ডাটা গ্রহণ অথবা ডাটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে। চিত্রে ফুল-ডুপ্লেক্সের ক্ষেত্রে, অ যখন ই এর
দিকে ডাটা প্রেরণ করবে ই ও তখন অ এর দিকে ডাটা প্রেরণ কতে পারবে। উদাহরণ- টেলিফোন, মোবাইল।
মাধ্যম
ডাটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় প্রেরক থেকে প্রাপকের কাছে ডাটা পাঠানো হয়। প্রাপকের সংখ্যা ও ডাটা গ্রহণের অধিকারের
উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো১। ইউনিকাস্ট (Unicast)
২। ব্রডকাস্ট (Broadcast) ও
৩। মাল্টিকাস্ট (Multicast)
ইউনিকাস্ট: এ পদ্ধতিতে একটি প্রেরক থেকে শুধুমাত্র একটি প্রাপকই ডাটা গ্রহণ করতে পারে। অনেক প্রাপক একসাথে
ডাটা গ্রহণ করতে পারে না। এজন্য সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স ও ফুল-ডুপ্লেক্স মোডকে ইউনিকাস্ট মোডও বলা হয়।
ব্রডকাস্ট: ব্রডকাস্ট মোডে কোন একটি যন্ত্র (কম্পিউটার, বা অন্য কোন যন্ত্রপাতি)
থেকে ডাটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল যন্ত্র গ্রহণ করতে পারে।
যেমন টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে কোন মুভি সম্প্রচার করলে তা সকলেই গ্রহণ
করে উপভোগ কতে পারে। পাশের চিত্রে অ নোড থেকে কোন ডাটা প্রেরণ করলে
তা নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোডই (ই, ঈ, উ ও ঊ কম্পিউটার) গ্রহণ করবে।
মাল্টিকাস্ট (গঁষঃরপধংঃ) : মাল্টিকাস্ট মোড ব্রডকাস্ট মোডের মতই তবে পার্থক্য
হলো মাল্টিকাস্ট মোডে নেটওয়ার্কের একটি নোড থেকে ডাটা প্রেরণ করলে তা
নেওয়ার্কের অধীনস্ত সকল নোডই গ্রহণ করতে পারে না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি
গ্রæপের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে। যেমন ভিডিও কনফারেসিংয়ের ক্ষেত্রে
শুধুমাত্র যাদের অনুমতি থাকবে তারাই অংশগ্রহণ করতে পারবে।
পাশের চিত্রে অ প্রেরক নোড থেকে কোন ডাটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের
অধীনস্থ ই, উ ও ঊ নোড গ্রহণ করবে। ঈ নোড ডাটা গ্রহণ করতে পারবে না কারণ
ঈ নোড আলোচ্য ভিডিও কনফারেন্সি গ্রæপের সদস্য নয়।
শিক্ষার্থীর কাজ অহনার অফিসের অভ্যন্তরে কোন রকম স্টোরেজ ব্যবহার না করেই ডাটা ট্রান্সমিট করে।
অহনার ব্যবহৃত ট্রান্সমিশন সিস্টেম কোন ধরনের হতে পারে? আপনার মতামত লিখুন।
সারসংক্ষেপ
যে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ক্যারেক্টার-বাই-ক্যারেক্টার ডাটা ট্রান্সমিট করে তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেম বলে।
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ইনস্টলেশন খরচ অত্যন্ত কম। আর যে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডাটা প্যাকেট বা বøক আকারে
ট্রান্সমিট করে তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেম বলে। এক স্থান থেকে দূরবর্তী কোনো স্থানে ডেটা স্থানান্তরে
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অবশ্য উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহের
দিককে বিবেচনা করে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স ও ফুল-ডুপ্লেক্স
এই তিনটি ভাগই হলো ডাটা ট্রান্সমিশন মোড।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৩.৩
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন
১। সিনক্রোনাইজেশনের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি কয় ধরনের?
ক) ২ খ) ৩
গ) ৪ ঘ) ৫
২। একই সময়ে উভয় দিক হতে ডাটা প্ররণের ব্যবস্থা থাকে কোন পদ্ধতিতে?
ক) সিমপ্লেক্স খ) হাফ-ডুপ্লেক্স
গ) ফুল-ডুপ্লেক্স ঘ) সবগুলোই
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র