মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর বিভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল ফোন সম্পর্কে জান

বিভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল ফোন
মোবাইল ফোন প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতি ও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের শুরু
থেকে বর্তমান সময় পর্যন্তকে চারটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়েছে। যথাÑ
১। প্রথম প্রজন্ম (First Generation –1G.)
২। দ্বিতীয় প্রজন্ম (Second Generation –2G.)
৩। তৃতীয় প্রজন্ম (Third Generation –3G.) এবং
৪। চতুর্থ প্রজন্ম (Fourth Generation –4G.)
প্রথম প্রজন্ম (১৯৫০ -১৯৮৯)
প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোন ১৯৭৩ সালে অ্যানালগ সিস্টেম ও পোর্টেবল ডিভাইসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল।
এ ফোন তৈরির পর থেকে মোবাইল কমিউনিকেশনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়। ১৯৭৯ সালে এশিয়ার সর্ববৃহৎ
টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী জাপানের NTTC (Nippon Telegraph and Telephone Corporation) সেলুলার
টেলিফোন উৎপাদন শুরু করে। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকোতে সেলুলার টেলিফোনের কিছু
কিছু ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৮১ সালে j NMT (Nordic Mobile Telephone) কর্তৃক ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও
সুইডেনে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধাসহ ১ম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কের দ্বিতীয় যাত্রা শুরু করে।
প্রথম প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলোÑ
১। নেটওয়ার্কে রেডিও সিগন্যাল হিসেবে অ্যানালগ
সিস্টেমের ব্যবহার।
২। সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির ব্যবহার।
৩। অপেক্ষাকৃত কম ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের ব্যবহার।
৪। মাইক্রোপ্রসেসর এর ব্যবহার।
৫। ছোট ও হালকা মোবাইল ফোনের ব্যবহার।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৯০-২০০০)
১৯৯০ সালে ইউরোপে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়। ট্রান্সমিশন কোয়ালিটি, সিস্টেম ক্যাপাসিটি
এবং বিশাল এলাকা জুড়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয়
প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেম চালু করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো
১। দ্বিতীয় প্রজন্মে ডিজিটাল মোবাইল নেটওয়ার্ক সিস্টেম চালু হয়।
২। এঝগ প্রযুক্তিতে ভয়েস ও ডাটা প্রেরণ করা সম্ভব।
৩। সিগনাল উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
৪। পেজিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
৫। SMS (Short Message Service) I MMS (Multimedia Message Service) m) সার্ভিস শুরু হয়।
৬। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস চালু হয়।
তৃতীয় প্রজন্ম (২০০১-২০০৮)
২০০১ সালে জাপানের টোকিওতে ঘঞঞ উড়ঈড়গড় সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন অবাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু হয়। দ্বিতীয় প্রজন্ম থেকে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের প্রধান প্রযুক্তিগত পার্থক্য হচ্ছে
সার্কিট সুইচিং ডাটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে প্যাকেট সুইচিং ডাটা ট্রান্সমিশনের ব্যবহার। ৩এ বা ঞযরৎফ এবহবৎধঃরড়হ হচ্ছে
এমন একটি মোবাইল প্রযুক্তি (আন্তর্জাতিক টেলিফোন সংস্থা : ওঞট এর মতে) যাতে এঝগ ঊউএঊ টঞগঝ এবং
ঈউগঅ ২০০০ প্রযুক্তি অন্তর্ভূক্ত। ৩এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে DECT, WiMAX, Voice Call, Video Call সার্ভিস প্রদান করা সম্ভব।
তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলোÑ
 উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা পারাপার।
 GPRS (General Packet Radio System) স্ট্যান্ডার্ডের
ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়।
 সর্বাধিক ডাটা ট্রান্সফারের মোবাইল টেকনোলজি EDGE (Enhanced Data Rates for Global Evolution) সিস্টেম চালু হয়।
 ডাটা ট্রান্সফার রেট সর্বোচ্চ প্রায় ২গনঢ়ং।
 প্যাকেট স্যুইচিং এবং সার্কিট স্যুইচিং উভয় পদ্ধতি ডাটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহার করা যায়।
 অতি দ্রæত ভয়েজ ও ছবি আদান-প্রদান করা যায়।
চতুর্থ প্রজন্ম (২০০৯-বর্তমান সময় পর্যন্ত)
২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয়। চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইলের প্রধান
বৈশিষ্ট্য হলো প্যাকেট স্যুইচিং বা সার্কিট স্যুইচিং ডাটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল (ওচ) ভিত্তিক
নেটওর্য়াকের ব্যবহার। ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহারের ফলে খঅঘ, ডঅঘ, ঠঙওচ, ওহঃবৎহবঃ ইত্যাদি সিস্টেমে প্যাকেট
সুইচিং পরিবর্তে প্রটোকল ভিত্তিক ভয়েস ডাটা ট্যান্সফার করা সম্ভব হচ্ছে। এটি ২এ ও ৩এ এর চেয়ে অধিক উন্নত প্রযুক্তি।
চতুর্থ প্রজন্মের (৪এ) উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মধ্যে ¨ WiMax, Flash-OFDM (Orthogonal frequency Division Multiple Access), 3GPP LTE (3rd Generation Partnership Project Long Term Evolution) ব্যবহৃত হচ্ছে।
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো
 ডাটা ট্রান্সফার রেট হবে সর্বোচ্চ প্রায় ২০গনঢ়ং।
 উচ্চ গতির ফ্রিকোয়েন্সি।
 ত্রি-মাত্রিক ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা।
 টঝই পোর্টের মাধ্যমে সরাসরি কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়।
 ইন্টারনেট মডেম ও সিম কার্ড ব্যবহার করে সরাসরি কম্পিউটারে
ইন্টারনেট অ্যাকসেস করার সুযোগ তৈরি হয়।
 ওয়ারলেস ইন্টারনেট সুবিধা।
অহনার বাবার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চলন্ত অবস্থায় কথা বললে কিছুক্ষণ পর পর সংযোগ
বিছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু অহনার মোবাইল ফোনটিতে এমন ঘটনা ঘটে না; বরং কথা বলার সাথে
সাথে ছবিও দেখা যায়। অহনা ও তার বাবার মোবাইল ফোন প্রযুক্তিগত দিক থেকে ভিন্নবিশ্লেষণপূবর্ক আপনার মতামত লিখুন।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন
১। GSM প্রযুক্তিতে ভয়েস ও ডাটা প্রেরণ করা সম্ভবক) প্রথম প্রজন্মের মোবাইল খ) তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল
গ) দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ঘ) কোনটিই নয়
ক)EDGE এর পূর্ণরূপ কি? K) Embalanced Data Rates for Global Evolution L) Enhanced Data Rates for Global Evolution M) Early Data Rates for Global Evolution
ঘ) সবগুলোই

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]