প্রোগ্রামের সংগঠন
একটি প্রোগ্রাম তৈরীর রীতি ও গঠনকে প্রোগ্রামের সংগঠন বলে। যেকোন প্রোগ্রাম তৈরী করতে হলে বুঝতে
হবে প্রোগ্রামে কি কি ইনপুট নিতে হবে, কিভাবে ইনপুট প্রসেস হবে এবং ফলাফল কি কি আসতে পারে। প্রত্যেক
প্রোগ্রামের তিনটি অংশ থাকে, যাদের পারস্পরিক সম্পর্কের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রোগ্রামে রূপ লাভ করে। অংশ তিনটি হলোÑ
১। ইনপুট (Input)
২। প্রক্রিয়া (Processing) ও
৩। আউটপুট (Output)
ইনপুট (Input) : যে সকল ডাটা বা নির্দেশ কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয়।
প্রক্রিয়া (Processing): ইনপুট অনুযায়ী প্রক্রিয়াকরণ করা।
আউটপুট ((Output) : প্রক্রিয়াকরণের পর যে ফলাফল পাওয়া যায়।
নিচের প্রোগ্রামটিতে দুইটি সংখ্যার গড় বের করা হয়েছে। প্রোগ্রামের সংগঠনের তিনটি অংশকে দেখানো হয়েছে
Input Number 1, Number 2
Total = Number 1 + Number 2
Average = Total/2
Print Average
End
৮.৫.২ প্রোগ্রাম তৈরির ধাপসমূহ
সুষ্ঠুভাবে প্রোগ্রাম তৈরি করতে না পারলে প্রোগ্রামের ফলাফল পাওয়া যায় না। এজন্য প্রোগ্রাম তৈরির সময় পরিকল্পিত কিছু
ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এই ধাপসমূহ হলো১। সমস্যা নির্দিষ্টকরণ
২। সমস্যা বিশ্লেষণ
৩। প্রোগ্রাম ডিজাইন
৪। প্রোগ্রাম উন্নয়ন
৫। প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন
৬। প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশন ও
৭। প্রোগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ
সমস্যা নির্দিষ্টকরণ
এটি প্রোগ্রাম রচনার প্রথম ধাপ। কোন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রোগ্রামটি রচনা করা হবে তা পরিষ্কারভাবে বর্ণনা ও
চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এজন্য সব রকম তথ্যানুসন্ধান করতে হয়। তথ্যানুসন্ধানের জন্য সমস্যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে
আলোচনা করে সমস্যার বর্ণনা প্রস্তুত করা হলে প্রোগ্রামের আশানুরূপ ফলাফল আসতে পারে।
সমস্যা বিশ্লেষণ
সমস্যা নির্দিষ্ট করার পর সমস্যা সংশ্লিষ্ট সকল ডাটা বিশ্লেষণ করতে হবে। ডাটা বিশ্লেষণ করার জন্য চার্ট, গ্রাফ, তালিকা
ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে সমস্যাকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে নিতে হয়। এছাড়া সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটার
প্রয়োজন কিনা তা নির্ণয়, সমস্যার কাঠামোগত বর্ণনা প্রস্তুত এবং সম্ভব হলে সমস্যার গাণিতিক মডেল প্রস্তুত করতে হয়।
প্রোগ্রাম ডিজাইন
প্রোগ্রাম ডিজাইন হলো সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমান সিস্টেমের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নতুন সিস্টেমের মূল
রূপরেখা প্রণয়ন। সমস্যার মডেল অথবা গঠনগত বর্ণনা হতে সুবিধাজনক অ্যালগরিদম বা সিদ্ধান্তক্রম নির্ধারণ এবং প্রবাহ
চিত্রের সহায়তায় প্রোগ্রামের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করতে হয়। বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক সমন্বয় এবং নতুন সিস্টেমে যে
আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে তাও বিবেচনা করতে হয়। প্রোগ্রাম ডিজাইনের সাথে নি¤œলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্তÑ
Ñ ইনপুট ডিজাইন
Ñ আউটপুট ডিজাইন এবং
Ñ ইনপটু ও আউটপুটের মধ্যে সম্পর্ক ডিজাইন।
প্রোগ্রাম উন্নয়ন
অ্যালগরিদম এবং ফ্লোচার্টের সহায়তায় কম্পিউটারের ভাষায় নির্দেশসমূহ সাজিয়ে প্রোগ্রাম রচনা করতে হয়। একে বলা
হয় কোডিং। কোডিং করার পূর্বে যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন তা হলো সমস্যাটির প্রকৃতি
নির্ধারণ। কারণ সমস্যাটির প্রকৃতি অনুযায়ী ভাষা নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। যেমনÑ বৈজ্ঞানিক কোনো সমস্যা সমাধানের
প্রয়োজন হলে সাধারণত ঋঙজঞজঅঘ ভাষাটি নির্বাচন করা হয়। অনুরূপভাবে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজের জন্য ঈঙইঙখ,
নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য ঔঅঠঅ ইত্যাদি।
প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন
প্রোগ্রাম রচনার পর প্রথমে প্রোগ্রামের প্রতিটি অংশ এবং পরে সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম পরীক্ষা করে দেখতে হয়। এ সময়
প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে প্রোগ্রামকে প্রক্রিয়াকরণের জন্য উপযুক্ত করে সম্পূর্ণভাবে তৈরি করে নেয়া হয়। যদি
ফলাফল না মিলে তাহলে বুঝতে হবে প্রোগ্রামে ভুল আছে। এক্ষেত্রে ভুল সংশোধন করতে হবে।
প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশন
ভুল সংশোধনের পর প্রোগ্রাম সঠিকভাবে কাজ করলে তাকে বলা হয় এবং এ প্রোগ্রামকে ভবিষ্যতে
সংরক্ষণের জন্য লিপিবদ্ধ করতে হয়। এ লিপিবদ্ধ প্রোগ্রামকে ডকুমেন্টেশন বলে। আধুনিকীকরণ করার জন্য প্রোগ্রামের
সঠিক ডকুমেন্টেশন তৈরি করতে হয় অর্থাৎ প্রোগ্রামের বিবরণী স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রোগ্রামকে
সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারলে এর আধুনিকীকরণ কঠিন হয়ে পড়ে। পেপার, ম্যাগনেটিক ডিস্ক ইত্যাদির মাধ্যমে
প্রোগ্রামকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
প্রোগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ
বিভিন্ন প্রয়োজনে ও প্রোগ্রামের উন্নতিকল্পে প্রোগ্রামের আধুনিকীকরণ, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, প্রোগ্রামের ভুল সংশোধন
ইত্যাদি প্রোগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অন্তর্ভুক্ত। ব্যবহারিক সুবিধা এবং আর্থিক বিষয় বিবেচনা করে অনেক সময় নতুন
প্রোগ্রাম তৈরি না করে বিদ্যমান প্রোগ্রামকে আধুনিকীকরণ করা অধিক সুবিধাজনক।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম তৈরির ধাপসমূহের গুরুত্বের ওপর
আপনার মতামত তুলে ধরুন।
সারসংক্ষেপ
একটি প্রোগ্রাম তৈরির রীতি ও গঠনকে প্রোগ্রামের সংগঠন বলে। এর ওপর ভিত্তি করেই যে কোনো ধরনের
প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করা যায়। আবার সঠিকভাবে প্রোগ্রাম তৈরির জন্য সুপরিকল্পিত কিছু ধাপের প্রয়োজন হয়। এই
ধাপসমূহকেই বলা হয় প্রোগ্রাম তৈরির ধাপ। আর বিভিন্ন প্রয়োজনে ও প্রোগ্রামের উন্নতিকল্পে প্রোগ্রামের আধুনিকীকরণ,
পরিবর্তন, পরিবর্ধন, প্রোগ্রামের ভুল সংশোধন ইত্যাদি প্রোগ্রাম রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অন্তর্ভুক্ত।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৮.৫
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন
১। প্রত্যেক প্রোগ্রামের কতটি অংশ থাকে?
ক) ২ খ) ৫
গ) ৩ ঘ) সবগুলো
২। প্রোগ্রাম রচনার প্রথম ধাপ কোনটি ?
ক) সমস্যা বিশ্লেষণ খ) সমস্যা নির্দিষ্টকরণ
গ) প্রোগ্রাম উন্নয়ন ঘ) সবগুলো
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র