মুখ্য শব্দ ইলেকট্রনিক যোগাযোগ, ই-লার্নিং, উরংঃধহপব খবধৎহরহম, টেলিমেডিসিন, ডিজিটাল হোম।
বিশ্বগ্রাম ধারণার সাথে অনেক উপাদান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রধান প্রধান উপাদানগুলো সম্পর্কে নিচে
আলোচনা করা হলো। বিশ্বগ্রামের ধারণার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক উপাদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
যোগাযোগ
কর্মসংস্থান
শিক্ষা
চিকিৎসা
গবেষণা
অফিসÑব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে
ব্যবসা বাণিজ্য
সামাজিক যোগাযোগ ইত্যাদি।
২.২.১ যোগাযোগ
বর্তমান যুগের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দ্রæততম যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো ইলেকট্রনিক যোগাযোগ মাধ্যম। সারা বিশ্বে
প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষ মূহুর্তের মধ্যেই টেলিফোন, মোবাইল বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন জায়গায় যোগাযোগ
করতে পারে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার যাতায়াত ব্যবস্থাকে দিন দিন সহজতর ও উন্নততর করেই চলছে। সড়ক, রেল, নৌ ও
বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ইঞ্জিনের
গতি নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানির হিসাব, যান্ত্রিক ত্রæটি নিয়ন্ত্রণ, টিকেট বুকিং, ট্রাফিক সিগনাল নিয়ন্ত্রণ, প্রতিকূল পরিবেশে পূর্বাভাস
প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার বাড়ছে।
২.২.২ কর্মসংস্থান
বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের বাজার উন্মুক্ত করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। কর্মসংস্থানের জন্য কম্পিউটার অত্যাবশ্যকীয়
যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। পণ্য ডিজাইন থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণ কার্যাদি সম্পাদনের জন্য কল-কারখানায় দক্ষতা ও
সফলতার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। আজকের পৃথিবীতে শিল্পোৎপাদনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অনেক উৎপাদন প্রক্রিয়া আছে যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়া চিন্তাই করা যায় না।
লাভজনক কারখানার পূর্বশর্ত উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয়যোগ্যতা। বিক্রয়যোগ্যতার শর্ত ভাল ডিজাইন। বর্তমানকালে ব্যবহার করে অল্প সময়ে পণ্যের চমৎকার সব ডিজাইন তৈরি করা যায়। আধুনিক উৎপাদন
ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এবং বাজার ঠিক রাখা ও বাজার বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থাপনা উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছে। ঞছগ প্রয়োগের বড় সহায়ক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। যন্ত্রপাতির
সঠিক কার্যক্রম ও প্রয়োগেই কেবল মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম।
কারখানায় কিছু কাজ থাকে যেগুলো খুবই সূ², আবার কিছু কাজ আছে যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ও শ্রমসাধ্য। যেমন-কম্পিউটার
কিংবা ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ তৈরি, খনিতে উত্তোলনের কাজ অথবা ভারী শিল্পের বড় বড় স্থানান্তর করার কাজ রোবটের
মাধ্যমে করানো হয়। তাছাড়া প্রতিকূল পরিবেশ যেখানে মানুষের পক্ষে কাজ করা দুষ্কর সেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
নিয়ন্ত্রিত রোবট দিয়ে কাজ করাতে দেখা যায়।
উপরোক্ত ক্ষেত্র ছাড়াও শ্রমিক-কর্মচারীদের মাসিক বেতনের হিসাব, বার্ষিক রিপোর্ট ও বার্ষিক বাজেট তৈরির কাজ তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে।
২.২.৩ শিক্ষা
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার শিক্ষাকে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এখন ইচ্ছা করলে যে
কেউ বাংলাদেশে বসে আমেরিকার কোন লাইব্রেরি থেকে বই পড়তে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা, পরীক্ষা দেওয়া কিংবা শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে শিক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষা কার্যক্রম
পরিচালনা করাকে ই-এডুকেশন বা ই-লার্নিং বলে। আজকাল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লাইব্রেরি
কিংবা গবেষণা কর্ম সাথে সাথে ইন্টারনেটের তথ্য ভান্ডারে প্রকাশ করা হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের মানুষ
তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সেখান থেকে সংগ্রহ করতে পারছে। তাছাড়া টেলিভিশন, টেলিফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেট
সর্বোপরি কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার যাবতীয় তথ্য স¤প্রচারিত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে শিক্ষার সর্বক্ষেত্রেই তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুিক্তর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।
পাঠ্যক্রমের বিষয়বস্তুর উপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির
সাথে সংশিষ্ট বিভিন্ন বিষয় কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ই-মেইল, ডকুমেন্ট প্রসেসিং, ¯েপ্রডশীট বিশ্লেষণ ইত্যাদি ব্যবহার
করতে শিখছে এবং সেই সাথে নতুন পাঠ্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট এ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ
করছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে শিক্ষাদান অনেক সহজ হয়েছে। কম্পিউটারে বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহারে
একাধিক নিখুঁত বোধগম্য ছবি ব্যবহার করে শিক্ষাদান সম্ভব। আবার তুলতে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা সব বুঝে উঠতে
পারে না। বর্তমানে সহজেই তারা এর কপি পেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষকরা ক্লাসের শুরুতে
এর কপি এ ছাত্রদের সরাসরি দিয়ে দেয়, যার ফলে তারা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়া বুঝতে পারে।
বর্তমানে এর সাহায্যে ঘরে বসে পড়া এমনকি ডিগ্রি নেয়া সম্ভব। শিক্ষার এ ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ
প্রযুক্তি বিপ্লব এনেছে। বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া সিডি ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোন বিষয় সম্বন্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা
জানতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরা ছাত্রদের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের নাম ও ঠিকানা দিয়ে দেয় যাতে তাদের বিশ্লেষণ
দক্ষতা ও সমস্যা সমাধানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের অভ্যাস বৃদ্ধি পায় যা বর্তমান বিশ্বে জ্ঞানের প্রধান ভান্ডার
হিসেবে বিবেচিত।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী গ্রেড নির্ণয়, প্রাপ্ত নম্বর বা নাম অনুযায়ী সাজানো, নম্বরের
ভিত্তিতে মন্তব্য (একক ও সাধারণ) বা রিপোর্ট তৈরি প্রভৃতি কাজ অতি সহজে ও অতি দ্রæত করা সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা
অনলাইনে এমনকি মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারছে।
শিক্ষকদের পেশাদারীত্ব বৃদ্ধিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাঠ্যক্রম তৈরি, শিক্ষাদানের তথ্য সংগ্রহ,
মান নির্ণয় ও ফলাফল প্রকাশ, শিক্ষাদানের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষাদানে বিভিন্ন মাধ্যমের ব্যবহার, বিভিন্ন এলাকার শিক্ষক ও
শিক্ষাবিদদের সাথে যোগাযোগ ও তাদের মতামত জানা, অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষকদের
পেশাদারীত্ব অনেক বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে।
২.২.৪ চিকিৎসা
বর্তমানে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কাজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম্পিউটার দ্বারা রোগ নির্ণয় ও
ঔষধের মান-নিয়ন্ত্রণের কাজ করলে ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন
মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যায়। অনলাইনের মাধ্যমে সাক্ষাৎÑসূচি বা স্বাস্থ্য
সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় যা মূলত টেলিমেডিসিন নামে পরিচিত। অর্থাৎ টেলিমেডিসিন হল এমন একটি চিকিৎসা
সেবা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে বর্তমান স্থানে অবস্থান করে অন্য স্থানের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা যায়।
বর্তমানে চিকিৎসা সুবিধা ছাড়াও হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কর্মকান্ডে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
ব্যবহৃত হচ্ছে। হাসপাতলের সমস্ত হিসাবপত্র, বেডে রোগীর সংখ্যা, রোগীকে ঔষধ প্রদানের সময়সূচি, ডাক্তারের রোগী
দেখার সময়সূচি, রোগীর যাবতীয় তথ্য এবং কর্মচারীদের তথ্য সংরক্ষণ করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অগ্রণী ভূমিকা
পালন করছে।
২.২.৫ গবেষণা
গবেষণার ক্ষেত্র সনাক্তকরণ, ডিজাইন ও বিশ্লেষণসহ প্রতিটি ধাপে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগের ফলে
আধুনিককালে গবেষণার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কম্পিউটার একটি
অপরিহার্য উপকরণ। কম্পিউটার সামাজিক গবেষণার তথ্যাদি বিশ্লেষণ উপযোগী সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে গবেষককে
সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সহায়তা করে। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত, জীববিদ্যা এবং পরিসংখ্যান বিষয়ে গবেষণায় তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান অতুলনীয়। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই টেলিফোন, মোবাইল
ফোন, টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িছে পড়ছে। বর্তমানে সর্বশেষ গবেষণা কর্মটি
যেখানে শেষ সেখান থেকে অন্য গবেষক গবেষণা শুরু করতে পারছেন। ফলে বিজ্ঞান নিত্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের
দ্বারে হাজির হচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া মহাকাশ গবেষণার কথা ভাবাই যায় না। নভোযান তৈরির ডিজাইন থেকে শুরু
করে সফল মিশন শেষে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসা পর্যন্ত সব কাজই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। মহাকাশ গবেষণায় যে সকল সূ²
গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় তা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া সম্ভব নয়।
২.২.৬ অফিস ব্যবস্থাপনা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলেই অফিস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আধুনিক ধারার প্রবর্তন হয়েছে। অফিস
ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিল ও রুটিন কাজ সম্পাদন করতে হয়। কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে
বিভিন্ন অফিস ডকুমেন্ট তৈরি, সংরক্ষণ, সিদ্ধান্তসমূহ বিভিন্ন বিভাগে প্রেরণ ও পুনরায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিভাগসমূহের
মতামত বিশ্লেষণ করতে হয়। এসব ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
২.২.৭ বাসস্থান
বর্তমান বিশ্বগ্রামের যুগে মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অত্যাধুনিক বাসস্থান তৈরি করছে। বাসস্থানের
নকশা তৈরির ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনে
সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে বহুতলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবনের নকশা তৈরি করা হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে শহরকেন্দ্রিক বাসস্থান
হিসেবে গেøাবাল অ্যাপার্টমেন্ট বা বৈশ্বিক বাসস্থান তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের বাসস্থান হলো ওয়ান-স্টপ সার্ভিস পয়েন্টের
মতো, যেখানে বসবাসের জন্য সকল উপযোজন পাওয়া যায় যা ডিজিটাল হোম নামে পরিচিত।
২.২.৮ বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ
বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিনোদনের এমন
কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় না। ইন্টারনেটের ব্যবহার বিনোদন ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা
যোগ করেছে। বিখ্যাত সব কবি সাহিত্যিকদের লেখা গল্প, কবিতা বা উপন্যাসের বই এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। যে
কেউ ইচ্ছা করলেই অনলাইনে বইগুলো পড়তে পারে। নতুন নতুন শিল্পকর্ম এবং সাহিত্যের খবর এখন ইন্টারনেটেই
পাওয়া যায়। স্যাটেলাইটের পাশাপাশি এখন অনলাইনেও বিভিন্ন টিভি প্রোগ্রাম দেখা যায়। বিভিন্ন খেলাধুলার তাৎক্ষণিক
আপডেট পাওয়া যায় এমনকি সরাসরি খেলাও দেখা যায়। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা বা ম্যাগাজিনের ডিজিটাল ভার্সন এখন
অনলাইনেই পড়া যাচ্ছে। মোট কথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের বিনোদনের সকল চাহিদাকে পূরণ করে যাচ্ছে।
ইন্টারনেট এখন সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ইন্টারনেটের কল্যাণে মানুষ ফেসবুক বা টুইটারের সাহায্যে
বিশাল সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর সাহায্যে মানুষ নতুন নতুন বন্ধু তৈরির
পাশাপাশি খুঁজে পাচ্ছে পুরাতন বন্ধুদেরও। এর সাহায্যে সহজেই একে অন্যের খোঁজÑখবর নিতে পারছে, তথ্যের
আদানÑপ্রদান করতে পারছে। এই সকল মাধ্যমগুলোতে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে। ইন্টারনেটের
সাহায্যে মানুষ আজ এই আধুনিক সমাজ ব্যবস্থাকে গড়ে তুলেছে যার মাধ্যমে সামাজিক চাহিদাও পূরণ হচ্ছে।
আপনার বাসার কাছের কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল পরিদর্শন করে সেখানে তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তার একটি তালিকা তৈরি করুন।
সারসংক্ষেপ
প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন তথ্যকে কাজে লাগিয়েই মানুষ সৃষ্টি করছে সহজ, সুন্দর এ বিশ্ব জগৎ। কম্পিউটার নির্ভর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বর্তমানে সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তির ব্যবহারে সমগ্র দেশ ও জাতি একটি পরিবারে একই সূত্রে গ্রথিত হচ্ছে। বিশ্ব পরিণত হয়েছে একটি বিশ্বগ্রামে।
বিশ্বগ্রাম ধারণার সাথে অনেক উপাদান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশ্বগ্রামের ধারণার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক
উপাদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, অফিসÑব্যবস্থাপনা,
বাসস্থান, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ ইত্যাদি।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.২
ঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন
১। সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট হলো
র. বিং
রর. টুইটার
ররর. ফেসবুক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র খ) র ও রর
গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
২। সকল বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ড কিসের উপর নির্ভরশীল ?
ক) কম্পিউটার খ) আবহাওয়া
গ) যোগাযোগ ঘ) তথ্য
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র