ডাটাবেজ (Database) কি ডাটাবেজের ব্যবহার ডাটাবেজের বিভিন্ন উপাদানসমূহ ব্যাখ্যা কর

বর্তমান যুগ তথ্য ব্যবস্থাপনার যুগ। জীবনের সকল ক্ষেত্রেই তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজ হয়ে থাকে। গৃহকর্তার বাজার থেকে
শুরু করে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ব্যবসাকেন্দ্র সবখানেই তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজ হয়ে থাকে। আর এই
তথ্যকে সুন্দর ও ঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহৃত হয়। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এক বা একাধিক
ডাটা টেবিল বা ফাইলের সমষ্টি হচ্ছে ডাটাবেজ। ডাটাবেজকে বলা হয় তথ্য ভান্ডার। কোন বিষয়ের উপর পরস্পর
সম্পর্কযুক্ত উপাত্তসমূহ কম্পিউটারে সুগঠিত করে সংরক্ষণ করা হলে তাকে ডাটাবেজ বলে। এই ইউনিটে ডাটাবেজ কি,
কিভাবে ডাটাবেজ তৈরি করতে হয়, কর্পোরেট ডাটাবেজ, রিলেশনাল ডাটাবেজের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ডাটাবেজ
ডাটাবেজ হলো সংগৃহীত ডাটা যা একই সময়ে ডাটা সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেক এ্যাপ্লিকেশন
কিংবা নির্দিষ্ট কোন এ্যাপ্লিকেশনকে সেবা প্রদানের জন্য সংগঠিত হয়।
আমাদের চারপাশে অজ¯্র তথ্য ও উপাত্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে এ সমস্ত তথ্যের সমাবেশকে ডাটাবেজ বলা যাবে
না। কারণ ডাটাবেজ হচ্ছে সেই সকল ডাটা বা তথ্যের সমষ্টি যাদের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। যেমন- ভোটার
তালিকায় সংরক্ষিত ভোটারদের তথ্যসমূহ, কোন কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ফাইলের রেকর্ডসমূহ ইত্যাদি ডাটাবেজ
ফাইলে সংরক্ষণ করা যায়। অর্থাৎ ডাটাবেজ হচ্ছে ডাটাসমৃদ্ধ এক বা একাধিক ফাইলের সমষ্টি।
১০.১.২ ডাটাবেজ এর ব্যবহার
বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যাপক প্রচলনের ফলে ব্যক্তিগত তথ্যাবলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাবলি,
হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি কম্পিউটারে ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং সমস্ত ডাটাবেজ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার
করা যায়। নি¤েœ ডাটাবেজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারসমূহ দেয়া হলোঃ
 অতি দ্রæত ডাটা উপস্থাপন করা যায়।
 অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ডাটা পরিচালনা করা যায়।
 সংরক্ষিত ডাটাকে পরবর্তীতে আপডেট করা যায়।
 ডাটাবেজের তথ্যসমূহকে প্রয়োজনে অ্যাসেন্ডিং (অংপবহফরহম) ও ডিসেন্ডিং (উবংপবহফরহম) অর্ডারে সাজানো
যায়।
 অল্প সময়ে ডাটার বিন্যাস ঘটানো যায়।
 বিভিন্ন শিল্প কারখানায় পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা, পরিমান, মজুদ, লেনদেনের হিসাব ইত্যাদি বিশ্লেষণের জন্য
প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংরক্ষণে ডাটাবেজ ব্যবহার করা হয়।
 বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মের জন্য এবং পরবর্তীতে ফলাফল বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ ও অন্যান্য
আরো অনেক কাজে ডাটাবেজ ব্যবহৃত হয়।
১০.১.২ ডাটাবেজ এর বিভিন্ন উপাদান
ডাটাবেজের বিভিন্ন উপাদানসমূহ হলো
১. ডাটা (Data)
২. রেকর্ড (Record)
৩. ফিল্ড (field) ও
৪. ডাটা টেবিল (Data table)
ডাটা ঃ Data শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Datum এর বহুবচন । Datum অর্থ হচ্ছে তথ্যের উপাদান । তথ্যের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্রতর
অংশসমূহ হচ্ছে ডাটা বা উপাত্ত। ডাটা টেবিলের বিভিন্ন ফিল্ডে আমরা যা কিছু ইনপুট করি তাই ডাটা। উদাহরণস্বরূপ
নিচের টেবিলের ঞধৎবয় একটি ডাটা যা ঘধসব ফিল্ডের অধীনে আছে। উযধশধ অন্য একটি ডাটা যা অফফৎবংং ফিল্ডের
অধীনে আছে এবং ঙভভরপবৎ আরেকটি ডাটা যা ঔড়ন ঞরঃষব ফিল্ডের অধীনে আছে। ডাটা টেবিলের বিভিন্ন ফিল্ডের অধীনে
এন্ট্রিকৃত সব তথ্যই হলো ডাটা।
ডেটা
রেকর্ড
ফিল্ড
ঈবষষ
রেকর্ড ঃ অনেকগুলো ফিল্ডের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি রেকর্ড। সাধারণভাবে পুরো একটি সারিকেই আমরা রেকর্ড
হিসেবে বিবেচনা করি। যদি কোন টেবিলে গ্রাহকের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ থাকে তবে সে গ্রাহকের নাম ও ঠিকানা মিলে
হবে একটি রেকর্ড। এরকম যতজন গ্রাহকের নাম-ঠিকানা একটি টেবিলে লিপিবদ্ধ থাকবে সে টেবিলে ততগুলো রেকর্ড
আছে বলে ধরা হবে।
ফিল্ড ঃ রেকর্ডের ক্ষুদ্রতম অংশ হলো ফিল্ড। রেকর্ডের প্রতিটি উপাদান যেমন- নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর ইত্যাদিকে
এক একটি ফিল্ড হিসেবে ধরা হয়। প্রতিটি ফিল্ড সাধারণত কলাম হেডিং হিসেবে থাকে। কলামের একটি সেলের (ঈবষষ)
ডাটাকে আমরা একটি ফিল্ড হিসেবে ধরি এবং পুরো কলামটিতে থাকে একই ধরনের ডাটা।
ডাটা টেবিল ঃ সমজাতীয় সকল ডাটাকে এক একটি টেবিলে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ধরা যাক, একটি অফিসের তিনটি
শাখা আছে, যথা- প্রশাসন শাখা, হিসাব শাখা ও বিক্রয় শাখা। প্রশাসনিক কর্মকাÐের জন্য একটি টেবিল নির্দিষ্ট করা আছে
যেখানে ঐ শাখার সকল উপাত্ত সংরক্ষিত আছে। হিসাব শাখার জন্য আবার আলাদা একটি টেবিলে অফিসের আয়-ব্যয় বা
কর্মচারীদের বেতন-ভাতার হিসাব সংরক্ষিত আছে এবং বিক্রয় শাখার জন্য আর একটি টেবিলে দৈনন্দিন বিক্রয় সংক্রান্ত
নথিপত্র লিপিবদ্ধ আছে। তিনটি টেবিলই থাকবে একটি মূল ফাইল বা ডাটাবেজের অধীনে।
নিয়ে একটি ডাটা টেবিল তৈরি করে ডাটাবেজের বিভিন্ন উপাদানসমূহ সনাক্ত করুন।
সারসংক্ষেপ
ডাটাবেজ হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ব্যাপক তথ্য বা উপাত্তের সমারোহ। আরও সহজভাবে, ডাটাবেজ বলতে
বিপুল পরিমান তথ্য মজুদ রাখার ব্যবস্থাকেই বুঝায়। যেমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত রেকর্ডসমূহ। ডাটা, ফিল্ড, রেকর্ড, ডাটা টেবিল ইত্যাদি হলো ডাটাবেজের উপাদান।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-১০.১
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন
১। ডাটা (উধঃধ) শব্দের অর্থ হলোক) উপাত্ত খ) তথ্য
গ) ফিল্ড ঘ) রেকর্ড
২। ডাটাবেজের উপাদান হতে পারের. ফিল্ড
রর. রেকর্ড
ররর. ডাটা টেবিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]