ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (উইগঝ) হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য এবং সে তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য
প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের সমষ্টি। ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম থাকে। ডিবিএমএস ডাটাবেজ
তৈরি, এ্যাকসেস করা এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। ডিবিএমএস ব্যবহারকারী এবং
ডাটাবেজের মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরুনের ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কম্পিউটারে
ব্যবহার করা হয়। যেমন- ওরাকল (Oracol), মাইএসকিউএল (Mysql), মাইক্রোসফ্ট এ্যাকসেস(microsoft Access)
ইত্যাদি।
১০.৩.২ ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর প্রাথমিক কাজসমূহ
ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রাথমিক কাজগুলো হলো
প্রয়োজন অনুযায়ী ডাটাবেজ তৈরি করা
নতুন ডাটা/ রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা
ডাটার বানান ও সংখ্যার ভুল অনুসন্ধান ও সংশোধন করা
নির্দিষ্ট রেকর্ড অনুসন্ধান ও সংশোধন করা এবং অপ্রয়োজনীয় ডাটা/ রেকর্ড বাদ দেয়া
ডাটা কুয়েরি করা
রিপোর্ট তৈরি ও প্রিন্ট করা
প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পূর্ণ ডাটাবেজকে যে কোন ফিল্ডের ভিত্তিতে সাজানো (ংড়ৎঃরহম)
প্রয়োজনে সম্পূর্ণ ডাটাবেজ বা ডাটাবেজের অংশবিশেষ প্রিন্ট করা
ডাটাবেজ হালনাগাদ (ঁঢ়ফধঃব) করা ও যথাসম্ভব ডাটা ডুপ্লিকেশন কমানো ।
ডাটা সংরক্ষণ করা; ইত্যাদি।
১০.৩.৩ রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
একটি ডাটাবেজে একাধিক টেবিল থাকতে পারে। কোন একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে দুই বা ততোধিক টেবিলের
মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করাকে রিলেশনশীপ বলা হয়। রিলেশন তৈরি করা টেবিল থেকে প্রয়োজনীয় ডাটা নিয়ে আলাদা ডাটা
টেবিল তৈরি করা যায়। রিলেশন করা ডাটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত ডাটাবেজকে রিলেশনাল ডাটাবেজ বলা হয়। আধুনিক
ডাটাবেজ সফ্টওয়্যার বলতে সাধারণত রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বুঝায়।
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্ভারে ডাটাবেজ ইঞ্জিন ব্যবহার করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের
সফট্ওয়্যার রয়েছে। যথাÑ মাইক্রোসফ্ট এক্সিস, ওরাকল, মাইএসকিউএল, এসকিউএল সার্ভার, ইনফরমিক্স ইত্যাদি।
১০.৩.৪ রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলো নি¤œরূপ
সহজে টেবিল তৈরি করে ডাটা এন্ট্রি করা যায়।
ডাটা টেবিলের সাথে অন্য এক বা একাধিক ডাটা টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা যায়।
অসংখ্য ডাটার মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় ডাটাকে খুঁজে বের করা যায়।
সহজে এক ডাটাবেজ থেকে অন্য ডাটাবেজের সাথে তথ্য আদান প্রদান করা যায়।
সংখ্যাবাচক ডাটাসমূহে সূ² গাণিতিক কাজ করা যায়।
সহজে নানা ফরমেটের রিপোর্ট তৈরি করা যায় ও তা মুদ্রণ করা যায়।
প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে লেবেল তৈরি করা যায় এবং ছাপানো যায়।
এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
বিভিন্ন ধরনের চার্ট তৈরি করা যায়।
আকর্ষণীয় ডাটা এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
অন্যান্য ডাটাবেজ প্রোগ্রাম (যেমন- ফক্সপ্রো, এক্সেল ইত্যাদি) থেকে তথ্য বা ডাটা এনে ব্যবহার করা যায়।
সহজে এ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার / প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।
বর্তমান সময়ে কোন ধরনের ডাটাবেজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? আপনার মতামত দিন।
সারসংক্ষেপ
ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য এবং সে তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয়
প্রোগ্রামের সমষ্টি। একটি ডাটাবেজে একাধিক টেবিল থাকতে পারে। ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সহজে এক
ডাটাবেজ থেকে অন্য ডাটাবেজের সাথে তথ্য আদান প্রদান করা যায়। আর রিলেশন করা ডাটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত
ডাটাবেজকে রিলেশনাল ডাটাবেজ বলা হয়। আধুনিক ডাটাবেজ সফ্টওয়্যার বলতে সাধারণত রিলেশনাল ডাটাবেজ
ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বুঝায়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-১০.৩
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন
১। রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার কোনটি?
ক) গরপৎড়ংড়ভঃ অপপবংং খ) গুঝছখ
গ) ঙৎধপষব ঘ) সবগুলোই
২। একটি ডাটাবেজে কতটি টেবিল থাকতে পারে?
ক) ২ খ) ৩
গ) ৪ ঘ)সবগুলোই
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র