কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে পারবে কম্পিউটারের ইতিহাস সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর

কম্পিউটার
কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক বর্তনী ও যান্ত্রিক সরঞ্জামের সমন্বয়ে সংগঠিত প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র,
যা ডেটা গ্রহণ করে, প্রক্রিয়াকরণ করে, ফলাফল সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে ফলাফল প্রদান করে। অর্থাৎ কম্পিউটার
এমন এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা ইনপুট হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটাসমূহ কেন্দ্রিয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের সাহায্যে
প্রক্রিয়াকরণ করে আউটপুট হার্ডওয়্যারসমূহের মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করে থাকে। ল্যাটিন শব্দ কম্পিউটেয়ার (Computare) থেকে ইংরেজিতে কম্পিউটার (Computer) শব্দটির উৎপত্তি। Computer শব্দের অর্থ হলো গণনা করা।
তাই কম্পিউটারের আভিধানিক অর্থ হলো গণনাকারী বা হিসাবকারী যন্ত্র।
বাংলাদেশের কপিরাইট আইনে কম্পিউটারের দেয়া সংজ্ঞা অনুসারে, “কম্পিউটার অর্থ মেকানিক্যাল, ইলেকট্রো-
মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক, ম্যাগনেটিক, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক, ডিজিটাল বা অপটিক্যাল বা অন্য কোনো পদ্ধতির
ইমপালস ব্যবহার করিয়া লজিক্যাল বা গাণিতিক যেকোনো একটি বা সকল কাজকর্ম সম্পাদন করে, এমন তথ্য প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র বা সিস্টেম।”
আবার অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুসারে, ‘কম্পিউটার হলো হিসাব-নিকাশ করা অথবা অন্য কোনো যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করার ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং উৎপাদন করে।’Õ (Electronic device for storing, analysing and producing information for making calculations, or controlling machines.)
আসলে কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিকস যন্ত্র, যা সংরক্ষিত প্রোগ্রামের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলি সম্পাদন
করতে পারে। যেমন কম্পিউটার দিয়ে গাণিতিক হিসাব যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করা যায়; এমনকি যুক্তি এবং সিদ্ধান্তমূলক
কাজও করা যায়। এছাড়া আমরা কম্পিউটারের সাহায্যে গান দেখতে ও শুনতে পারি এবং বিভিন্ন ধরনের গেমসও খেলতে
পারি। গবেষণামূলক কাজ থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, এমনকি ব্যক্তিগত কাজেও কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
কম্পিউটারের আবিষ্কারের ইতিহাস History of Computer Invention
বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির যুগে সবচেয়ে বেশি আলোচিত এবং বহুল প্রচলিত শব্দটি হচ্ছে কম্পিউটার। বর্তমান প্রযুক্তিতে
কম্পিউটারের বিস্ময়কর অবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের নিরলস পরিশ্রম, উদ্ভাবনী শক্তি ও
গবেষণার স্বাক্ষর। প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার জন্য উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৌশল ও প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার উদ্ভাবনের প্রাচীনতম
ইতিহাস বলা যায়। গণনার কাজে সহায়তার জন্য প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন প্রকার যান্ত্রিক কৌশল প্রচলিত থাকলেও
অ্যাবাকাস (অনধপঁং) নামক একটি প্রাচীন গণনার যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ বলা যায় অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের শুভযাত্রা। অ্যাবাকাস Abacus
অ্যাবাকাস প্রাচীনতম গণনা যন্ত্র, যা একটি ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গণনা করার কাজ পরিচালিত করে।
খ্রীস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে অ্যাবাকাসের প্রথম ব্যবহার শুরু হয়েছিল চীনে বলে জানা যায়। দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপ ও
এশিয়ায় অ্যাবাকাস ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে অ্যাবাকাস জাপানে প্রবর্তিত হয়। চীনে অ্যাবাবাসকে
বলা হয় সুয়ানপান (Suanpan), জাপানে সরোবান (Soroban) এবং রাশিয়াতে বলা হয় স্কেটিয়া (Sketia)।
অ্যাবাকাস শব্দটির অর্থ হলো গণনাকারী বোর্ড। এটি কাঠের তৈরি আয়তাকার কাঠামো যাতে ফ্রেমের ভেতরে সুতা বা তার
বেঁধে বিভিন্ন রঙের গুটি বা বল সাজানো থাকে। সাধারণত প্রত্যেক তারের ওপরের দিকে দুটি এবং নিচের দিকে পাঁচটি বল
বা গুটি লাগনো থাকে। সবার ওপরের তারকে ধরা হতো এককের ঘর, দ্বিতীয় তারটি ছিল দশকের এবং তৃতীয় তারটি ছিল
শতকের। এভাবে প্রত্যেক তারে একটি করে মান থাকত। ফ্রেমের মাঝখান বাম, ডান কিংবা ওপর-নিচ বিভক্ত থাকত।
তবে উলম্ব দন্ডগুলো একক, দশক, শতক ইত্যাদি বোঝানো হত। গুটিগুলো সঞ্চালন করে অ্যাবাকাসের সাহায্যে যোগ,
বিয়োগ, গুণ, ভাগ প্রভৃতি কাজ করা যেত। নেপিয়ারের অস্থি বা হাড় Napier’s bone
১৬১৪ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার (John Napier) লগারিদমের সারণি আবিষ্কার করেন যার ফলে অনেক
জটিল গাণিতিক হিসাব সহজ হয়। এর তিন বছর পর তিনিই ১৬১৭ সালে দাগকাটা এবং সংখ্যা বসানো দÐ ব্যবহার করে
সংখ্যাভিত্তিক গণনাযন্ত্র আবিষ্কার করেন। এসব দÐ নেপিয়ারের অস্থি নামে পরিচিত। নেপিয়ারের যন্ত্রে দশটি দÐ এবং প্রত্যেক
দÐে দশটি করে সংখ্যা ছিল। ফলে গুণ ও ভাগের কাজ করা সহজ হয়ে যায় এবং যন্ত্রটি ব্যবহার করে, এমনকি বর্গমূল নির্ণয় করা সম্ভব ছিল।
চিত্র ১.১.৪ : নেপিয়ারের অস্থি
¯øাইড রুল
১৬৩২ সালে উইলিয়াম অডরেট ( নামের একজন ইংরেজ গণিতবিদ নেপিয়ারের লগারিদম ব্যবহার
করে ¯øাইড রুল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে আইজ্যাক নিউটন ও অ্যামিদি মেন হেইম এর উন্নতি সাধন করেন।
যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর
১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়সে ফরাসি গণিতবিদ বেøইজ প্যাসকেল ( গিয়ার ও চাকতি ব্যবহার করে সর্বপ্রথম
যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর বা যান্ত্রিক গণনা যন্ত্রআবিষ্কার করেন যার নাম প্যাসকেলেন প্যাসকেলের যন্ত্রের সাহায্যে
যোগ ও বিয়োগ করা যেত। তিনি পুনঃপুনঃ যোগ ও বিয়োগের মাধ্যমে যথাক্রমে গুণ এবং ভাগ করার পদ্ধতিও আবিষ্কার করেন।
রিকোনির যন্ত্র
১৬৭১ সালে জার্মান দার্শনিক ও গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে
চাকা ও দÐ ব্যবহার করে আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন। তিনি যন্ত্রটির নাম দেন রিকোনির যন্ত্র
(জবপযড়হরহম গধপযরহব)। এটির সাহায্যে গুণ, ভাগসহ হিসাবের অন্যান্য বিষয় আরো সহজ হয়ে যায়। মূলত রিকোনির
যন্ত্রটিই ছিল বাণিজ্যিক ক্যালকুলেটর। যন্ত্রটির যান্ত্রিক অসুবিধার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। তবে পরে ১৮২০ সালে
টমাস ডি কোমার (ঞযড়সধং উব ঈড়ষসধৎ) রিকোনিং যন্ত্রের যান্ত্রিক অসুবিধা দূর করে লিবনিজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।
ডিফারেন্স ইঞ্জিন
১৭৮৬ সালে জার্মানির মুলার ‘ডিফারেন্স ইঞ্জিন’ নামে পরিচিত একটি ক্যালকুলেটর বা গণনা যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন।
এর প্রায় দুই যুগ পর ১৮১২ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ (ঈযধৎষং
ইধননধমব) আরো উন্নত ডিফারেন্স ইঞ্জিন ( বা বিয়োগ ফলভিত্তিক গণনার যন্ত্র উদ্ভাবনের পরিকল্পনা
করেন। চার্লস ব্যাবেজ ছিলেন একাধারে গণিতবিদ, দার্শনিক, আবিষ্কারক এবং যন্ত্র প্রকৌশলী। তাঁকে কম্পিউটারের জনক
বলা হয়। ১৮১৩ সালে তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিনকে উন্নত করার জন্য রয়েল সোসাইটি থেকে অনুদান পান। কিন্তু সেই সময়ে
প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে মেশিনটি তৈরিতে বিঘœ ঘটে এবং রয়েল সোসাইটি অনুদান বন্ধ করে দেন।
১৮৩৩ সালে ব্যাবেজ ‘অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন’ নামে অপর একটি যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেন এবং নকশা তৈরি
করেন। ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের মতোই তাঁর মেশিনে নিয়ন্ত্রণ অংশ, গাণিতিক অংশ, স্মৃতি অংশ, গ্রহণ মুখ, নির্গমন
মুখ চিহ্নিত করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মেশিনটিতে পঞ্চাশ অঙ্ক দৈর্ঘ্যরে এক হাজার সংখ্যা সংরক্ষণ ছাড়াও পঞ্চাশ অংক
দৈর্ঘ্যরে দুটি সংখ্যার যোগ বা বিয়োগের জন্য এক সেকেন্ড এবং গুণের জন্য এক মিনিট সময় লাগার কথা ছিল। এমনকি
কার্ডের মাধ্যমে তথ্য ধরে রাখার কথাও চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু সে সময়ে কারিগরি অনগ্রসরতার কারণে এ যন্ত্রের বাস্তব রূপ
দিয়ে যেতে পারেনি। তবুও তাঁর চিন্তা-ভাবনাই পরবর্তীতে কম্পিউটার উন্নয়নে সাহায্যে করে। তাই চালর্স ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিনের পরিকল্পনা ও উন্নয়নে ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা অগাস্টা এডা বায়রনের (অঁমঁংঃধ অফধ
ইুৎড়হ) অবদান অনস্বীকার্য। এ যন্ত্রে সাধারণ অ্যাসেম্বলি ভাষার মতোই প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হতো। এডা লাভল্যাচ
অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য প্রোগ্রাম রচনা করেন। প্রকৃতপক্ষে এডা লাভল্যাচই (অফধ খধাবষধপব) পৃথিবীর সর্বপ্রথম
কম্পিউটার প্রোগ্রামার। আধুনিক প্রোগ্রামিং ভাষা এডা তাঁর নামানুসারেই রাখা হয়।
পাঞ্চ কার্ড
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে ও ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বস্ত্র বুনন ছিল ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। সে সময়
ফরাসি দেশীয় জেমস মেরি জেকার্ড (১৭৫২-১৮৩৪ খ্রি.) কাপড় বুননের জন্য ছিদ্রযুক্ত কার্ড বা পাঞ্চ কার্ড ব্যবহার করেন।
তিনি সুচতুর উপায়ে কার্ডের ছিদ্র দিয়ে সুতা নিয়ন্ত্রণ করে কাপড়ে অনেক নকশা তৈরি করতে সক্ষম হন। এর পর যুক্তরাষ্ট্রের
ড. হলিরিথ মেশিনের সাথে সংযোগের জন্য সফলভাবে কার্ড ব্যবহার করতে সক্ষম হন। পরবর্তীকালে পাঞ্চ কার্ড
কম্পিউটারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংগ হয়ে ওঠে। এ শতাব্দীর সত্তর পর্যন্ত উপাত্ত সংরক্ষণ ও কম্পিউটারের সাথে সংযোগের
জন্য পাঞ্চ কার্ডেরও বহুল প্রচলন ছিল।
টেবুলেটিং মেশিন
১৮৮০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড. হারম্যান হলিরিথ নামের একজন পরিসংখ্যানবিদ সেন্সাস মেশিন বা টেবুলেটিং মেশিন নামে একটি গণনা যন্ত্র আবিষ্কার করেন। তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রে তিনি পাঞ্চ কার্ড ব্যবহার করে
১৮৯০ সালের শুমারি মাত্র তিন বছরে শেষ করেন। অথচ এ ধরনের মেশিন ছাড়া ১৮৮০ সালের শুমারি করতে সময়
লেগেছিল দশ বছর। সেন্সাস মেশিন ব্যবহার করে অনেক দিন পর্যন্ত ডেটা সংরক্ষণ করা যেত।
ড. হলিরিথ ১৮৯৬ সালে ‘টেবুলেটিং মেশিন কোম্পানি’ নাম দিয়ে একটি ব্যবসায়ীপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে তাঁর
কোম্পানি আরো কয়েকটা কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয়ে কোম্পানি গঠিত
হয়। টেবুলেটিং মেশিন উদ্ভাবিত হওয়ার পর হতেই ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল টেকনিক ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরির যুগ শুরু হয়।
যান্ত্রিক ও ইলেকট্রনিক উভয় পদ্ধতির সমন্বয়ে গঠিত কম্পিউটারকে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার বলা হয়। ১৯৩৭
সালে আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ড. হাওয়ার্ড এইচ আইকেন
ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল টেকনিক ব্যবহার করে চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালাইটিক ইঞ্জিনের মতো একটি যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। ১৯৪৪ সালে হাওয়ার্ড মার্ক-১ (গধৎশ-ও) নামের পৃথিবীর প্রথম
ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার তৈরি করেন। মার্ক-১ ছিল হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় ও আইবিএম কোম্পানির যৌথ
উদ্যোগের একটি ফসল।
মার্ক-১ (গধৎশ-১)-এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ নি¤œরূপÑ
১. মার্ক-১ দৈর্ঘ্য ছিল ৫১ ফুট এবং প্রস্থ ছিল ৮ ফুট।
২. ওজন ছিল প্রায় ৫ টন।
৩. সাত লক্ষেরও অধিক যন্ত্র সংযোগের জন্য প্রায় ৫০০ মাইল লম্বা তার ব্যবহার করা হয়েছিল।
৪. গিয়ার ও চাকার পরিবর্তে চৌম্বক রিলে ব্যবহৃত হয়।
৫. মার্ক-১-এর সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এবং ত্রিকোণমিতিক ফাংশন ছাড়াও অনেক জটিল গাণিতিক কাজ করা যেত।
৬. মার্ক-১ দ্বারা দু’টি সংখ্যার যোগ ও গুণ করতে যথাক্রমে ০.৩ ও ৪.৫ সেকেন্ড সময় প্রয়োজন হতো।
মার্ক-১ কম্পিউটারটি ১৫ বছর চালু ছিল। প্রদর্শনের জন্য এটি বর্তমানে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।
ইলেকট্রনিকস কম্পিউটার
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জন ভিনসেন্ট অ্যাটানসাফ () এবং তাঁর ছাত্র ক্লিফ ১৯৩৯ সালে যৌথভাবে ভ্যাকুম টিউব ব্যবহার একটি ইলেকট্রনিক
গণনাকারী যন্ত্র আবিষ্কার করেন। তাঁদের নামানুসারে যন্ত্রটির নামকরণ করা হয় এবিসি এটিই ছিল প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার। এটির গাণিতিক/যুক্তিমূলক কাজের জন্য ৪৫টি ভ্যাকুয়াম টিউব
এবং তথ্য সংরক্ষণের জন্য মেমরি হিসেবে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জন মউসলি (উৎ. ঔড়যহ গধহপযষু) এবিসি কম্পিউটার দেখে
অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হন। ১৯৪৬ সালে ড. জন মউসলি এবং তাঁর ছাত্র প্রেসপার একার্ট যৌথভাবে
নামক কম্পিউটারটি তৈরি করেছিলেন। এটিই হলো
প্রথম প্রজন্মের ডিজিটাল কম্পিউটার।
ঊঘওঅঈ-এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ নি¤œরূপÑ
১. এটি ৩০ টন এবং ১৯ হাজার ইলেকট্রনিক টিউব দিয়ে নির্মিত।
২. এটি চালানোর জন্য ১৩০ হতে ১৪০ কিলোওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হতো।
৩. প্রতি সেকেন্ডে ৫ হাজারটি যোগ এবং ৫ শতটি গুণ করতে পারত।
৪. দশ অংকের দুটি সংখ্যা গুণ করতে তিন মিলি সেকেন্ড সময় লাগত।
৫. প্রোগ্রামের জন্য এ কম্পিউটারের তারযুক্ত প্লাগবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছিল।
১৯৪৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাঙ্গেরীয় গণিতবিদ জন ভন নিউম্যান (ঔড়যহ ঠধহ ঘবঁসধহ) কম্পিউটার যন্ত্রের জন্য
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার এবং যন্ত্রের অভ্যন্তরেই উপাত্ত ও নির্বাহ সংকেত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে
অভিমত প্রকাশ করেন। তাঁর এ ধারণা সংরক্ষিত প্রোগ্রাম নামে খ্যাত। ১৮৪৮ সালে আইবিএম নামক একটি কম্পিউটার তৈরি করেন, যার মেমরিতে প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করা যেত।
আর এটিই ছিল প্রথম কম্পিউটার, যার মধ্যে স্মৃতিতে প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করা যেত।
ভন নিউম্যানের তত্ত¡কে ব্যবহার করে ১৯৪৬ সালের মধ্যে ড. জন মউসলি এবং তাঁর ছাত্র প্রেসপার একার্ট ) নামে অপর একটি কম্পিউটার তৈরি করেন। এটির সাহায্যে
একটি যোগ করতে ১.৫ মিলি সেকেন্ড এবং একটি গুণ করতে ৪ মিলি সেকেন্ড সময় লাগত। আবার এটিতে সংরক্ষিত
প্রোগ্রাম নির্বাহের কিছু সুবিধা ছিল।
এনিয়াক (ঊঘওঅঈ) কম্পিউটারের প্রোগ্রামের জন্য তারযুক্ত প্লাগবোর্ড ব্যবহার করা হতো। প্রোগ্রামিংয়ের জন্য তারের
সংযোগ বদলানোর প্রয়োজন হতো এবং শত শত সংযোগ বদলানোর জন্য কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেত। এ ধরনের
অসুবিধার দূর করার লক্ষ্যে আমেরিকায় এডভ্যাক ( তৈরির সময়েই কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক
মার্কস উইলকিসের নেতৃত্বাধীন একদল বিজ্ঞানী নামক
কম্পিউটারটি তৈরি করেন। প্রকৃতপক্ষে এডস্যাক ( কম্পিউটারই প্রথম সংরক্ষিত প্রোগ্রামবিশিষ্ট ইলেকট্রনিক
কম্পিউটার। আবার অনেকেই এডস্যাক (ঊউঝঅঈ) কম্পিউটারকে প্রথম স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল কম্পিউটার মনে করেন।
১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে কম্পিউটার ইতিহাসে এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত
হয়। ট্রানজিস্টর আকারে অনেক ছোট এবং এতে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় বিধায় ট্রানজিস্টর দিয়ে কম্পিউটারগুলো আকারে
অনেক ছোট, গরম কম হয়, কর্মদক্ষতা অনেক বেশি, অধিক নির্ভরযোগ্য ও দ্রæতগতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে হোয়ার্লউইন্ড-১ কম্পিউটার নির্মাণের কাজ শেষ হয়। একই বছরে ঊঘওঅঈএর নির্মাতারা কম্পিউটারের নির্মাণকাজ শেষ করেন। ইউনিভ্যাকই ছিল
সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার এবং এ যন্ত্রেই সর্বপ্রথম চুম্বক-ফিতা ব্যবহার করা হয়েছিল।
টঘওঠঅঈ কম্পিউটারে একই সঙ্গে পড়া, গণনা ও তথ্য লেখার কাজ করা যেত।
ইউনিভ্যাকের সময় হতেই বিভিন্ন কোম্পানি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কম্পিউটার তৈরি শুরু করে। এদের মধ্যে ওইগ ছিল
অগ্রগামী। ১৯৫২ সালে টমাস ওয়াটসন -৭০১ এবং ১৯৫৩ সালে ওইগ-৬৫০ কম্পিউটার
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি করেন।
ইলেকট্রনিকসের দ্রæত উন্নতির সাথে সাথে কম্পিউটারের অগ্রগতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কম্পিউটার তৈরিতে বড় ধরনের
বিপ্লব পরিলক্ষিত হয় ১৯৭১ সালে ) বর্তনীর সাহায্যে
নির্মিত মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায় কম্পিউটারের বহুমূখী ব্যবহার এবং তৈরি হতে শুরু হয়
পার্সোনাল কম্পিউটার। মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের আকার আরো ছোট হয়ে যায়, দাম কমে যায় এবং
বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়। ফলে কাজ করার ক্ষমতা, কাজের গতি ও নির্ভরশীলতা বহুগুণে বেড়ে যায়। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল
কোম্পানি ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কার করে।
এভাবে সময়ের বিবর্তনে প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে সব ডিজিটাল কম্পিউটার আবিভর্‚ত হচ্ছে এবং ভ‚মিকা ও উল্লেখযোগ্য
অবদান রেখে চলছে। মূলত পরবর্তীকালে কম্পিউটারের ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস মাইক্রোপ্রসেসরের ইতিহাসকে অনুসরণ করে।
কম্পিউটার সিস্টেম
কম্পিউটার কতগুলো উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি। এ ধরনের উপাদানগুলো একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। এই
উপাদানসমূহের একত্রে গঠিত সিস্টেমই হলো কম্পিউটার সিস্টেম। কম্পিউটার সিস্টেমের প্রধান উপাদানগুলো নি¤œরূপÑ
(১) হার্ডওয়্যার Hardware)
(২) সফটওয়্যার (SoftWare)
(৩) ফার্মওয়্যার (FirmWare
(৪) ডেটা (Data)
(৫) হিউম্যানওয়্যার (Humanware)/ব্যবহারকারি(User)
হার্ডওয়্যার : কম্পিউটার সিস্টেম পরস্পর সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের উপাদান নিয়ে গঠিত, যা ব্যবহারকারী
প্রদত্ত কোনো প্রোগ্রামের নির্দেশাবলি পালন করে এবং ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটারব্যবস্থায় হার্ডওয়্যার অন্যতম
উপাদান। কম্পিউটার তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস বা যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশসমূহকে বলা হয় কম্পিউটার হার্ডওয়্যার।
সাধারণত কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে আমরা দেখতে পারি এবং স্পর্শ করতে পারি। ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, মাইক্রোপ্রসেসর,
মাদারবোর্ড প্রভৃতি যন্ত্রপাতি নিয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও সহায়তা করার জন্য রয়েছে অন্য ডিভাইসসমূহ যেমনÑডিস্ক, ডিস্ক
ড্রাইভ, কি-বোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি। উল্লিখিত সকল যন্ত্রপাতিই কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার।
সফটওয়্যার (ঝড়ভঃধিৎব) : কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা মূলত ডেটা গ্রহণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং
ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটারের নিজস্ব কোনো বুদ্ধি নেই বা নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো কাজ করতে পারে না।
কম্পিউটার কাজ করে ব্যবহারকারী প্রদত্ত নির্দেশ বা নির্দেশাবলি অনুযায়ী। এ ধরনের নির্দেশাবলির সমষ্টিই হলো
সফটওয়্যার, যা সম্পন্ন কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। অর্থাৎ সফটওয়্যার হলো কতকগুলো প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের
সমষ্টি, যা হার্ডওয়্যারকে কর্মক্ষম করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাক্সিক্ষত ফলাফল প্রদান করে। হার্ডওয়্যার
সত্যিকার অর্থে কম্পিউটিং কাজ করে এবং সফটওয়্যার কম্পিউটার পরিচালনা করে। সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার অর্থহীন।
সফটওয়্যার ব্যবহারকারী এবং হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। সফটওয়্যারকে স্পর্শ করা যায় না তবে মানুষের ব্রেইনের সাথে তুলনা করা যায়।
ইত্যাদি সফটওয়্যারের উদাহরণ।
ফার্মওয়্যার (ঋধৎসধিৎব) : সাধারণত কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি করার সময় কম্পিউটারের মেমরিতে যে সকল প্রোগ্রাম
স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে দেয়া হয় তাকে ফার্মওয়্যার বলে। এ সকল প্রোগ্রাম কম্পিউটার ব্যবহারকারী পরিবর্তন করতে পারে না। এর মধ্যে যে ডেটা এবং নির্দেশগুলো থাকে তা হলো ফার্মওয়্যার।
হিউম্যানওয়্যার (ঐঁসধহধিৎব) : কম্পিউটারকে সঠিকভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি।
ডেটা সংগ্রহ, প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ, কম্পিউটার চালনা, প্রোগ্রাম লেখা, সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড
লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সমস্ত মানুষকে
একসাথে হিউম্যানওয়্যার বলে। একজন কম্পিউটারের ব্যবহারকারী (হিউম্যানওয়্যার) প্রথমত ডেটা সংগ্রহ করেন।
কম্পিউটার প্রসেস করার জন্য কম্পিউটারের সিস্টেম ডিজাইন করেন এবং কম্পিউটারের প্রোগ্রাম লেখেন। এরপর
কম্পিউটার ব্যবহারকারী কম্পিউটার চালনার মাধ্যমে প্রোগ্রামটিকে চালিয়ে দেখেন এবং ডেটাগুলোকে পরীক্ষা করেন। এ সব
কাজই হিউম্যানওয়্যারের অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া প্রস্তুতকৃত কম্পিউটার যন্ত্রপাতি ব্যবহারকারীর নিকট আনা ও সেট আপ করে
দেয়ার জন্য যে সব কাজে মানুষ যুক্ত তারাও হিউম্যানওয়্যারের অন্তর্ভুক্ত।
ডেটা : সাধারণত প্রাথমিকভাবে সংগৃহীত অসংঘবদ্ধ তথ্যকে বলা হয় ডেটা। কম্পিউটারনির্ভর তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত বর্ণ, সংখ্যা, চিহ্ন, কোনো বিষয়ে ধারণা বা অবস্থার বর্ণনা বা চিত্র ইত্যাদিকে ডেটা বলে। ডেটার বিভিন্ন
ধরন হচ্ছে : টেক্সট, গ্রাফিক্স , চিত্র, অডিও, ভয়েস ইত্যাদি। ডেটা সাধারণত এলোমেলো অবস্থায় থাকে। যেমনÑ একজন
ছাত্রের নাম, রোল, ঠিকানা, প্রাপ্ত নম্বর ইত্যাদি হচ্ছে একেকটি ডেটা।
সারসংক্ষেপ :
কম্পিউটার আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি ও গবেষণার ফলাফল, রয়েছে
অনেক বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং নির্মাতাদের অবদান। বিবর্তনের অনেকগুলো পর্যায় অতিক্রম করে কম্পিউটার
বর্তমান অবস্থায় এসেছে। কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যার নিজস্ব কোনো উদ্ভাবনী শক্তি বা চিন্তা নেই। অন্যান্য
ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সঙ্গে কম্পিউটারের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হচ্ছে বহুমুখিতা।
সাধারণত একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে এক ধরনের কাজেই করা যায়। যেমনÑ টেলিভিশনের সাহায্যে শুধু গানবাজনা শোনা এবং ছবি দেখা যায়। কিন্তু একটি কম্পিউটারের সাহায্যে টাইপরাইটারের কাজ করা যায়, ছবি আঁকা
যায়, হিসাব-নিকাশ করা যায়, গান শোনা যায়, টেলিভিশন দেখা যায় এবং আরো বহু কাজ করা যায়। এজন্য কম্পিউটারকে বহুমুখি যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]