মেমরি বা স্মৃতি
Memory
মেমরি হচ্ছে কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মেমরি লক্ষ লক্ষ স্মৃতি কোষ নিয়ে গঠিত, যেখানে একটি বিট ০ বা ১ সংরক্ষণ
করা যায়। কম্পিউটারের অভ্যন্তরে যে অংশে তথ্যসমূহ স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে জমা থাকে তাকে কম্পিউটারের মেমরি বা
মেমরি বলা হয়। প্রক্রিয়াকরণের সুবিধার জন্য মেমরিতে তথ্য জমা রাখা হয় এবং প্রয়োজনে কাজে লাগানো যায়।
মেমরিসংক্রান্তপ্রয়োজনীয় বিষয়াদি
বিট (Bit : বাইনারি সংখ্যা ০ এবং ১ কে বলা হয় বিট। মেমরির ধারণক্ষমতা পরিমাপের ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে বিট।
বাইট (Byte : ৮ বিটের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি বাইট। বিট বা বাইটের সমন্বয়ে তৈরি হয় শব্দ।
কম্পিউটার শব্দ : কতকগুলো বিট নিয়ে কম্পিউটার শব্দ গঠিত হয়। যেমনÑ ৮টি বিটের শব্দ, ৩২
বিটের শব্দ ইত্যাদি।
শব্দ দৈর্ঘ্য : কম্পিউটারের ওপর নির্ভর করে শব্দের সাইজ। তবে কম্পিউটার শব্দ ৮ বিট, ১৬ বিট, ৩২
বিট বা তারও বেশি বিটের হতে পারে। কোনো শব্দে যতগুলো বিট থাকে সেই বিটের সংখ্যাকে বলে শব্দ দৈর্ঘ্য। যেমনÑ কোনো শব্দ ৮ বিটের হলে, তার শব্দ দৈর্ঘ্য হবে ৮।
মেমরি সেল : মেমরির প্রতিটি সুনির্দিষ্ট স্থানকে মেমরি সেল বলে। ইলেকট্রনিকস বর্তনীর দ্বারা মেমরি সেল
তৈরি। প্রতিটি মেমরি সেলে একটি বিট (০ বা ১) জমা রাখা যায়।
মেমরি অ্যাড্রেস : ডেটা রাখার জন্য মেমরিতে অনেকগুলো সুনির্দিষ্ট স্থান বা সেল থাকে এবং সেলগুলো
শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকে। এ ধরনের ব্যবস্থাকে মেমরি অ্যাড্রেস বলে। মেমরি সেলকে শনাক্ত করার জন্য
প্রতিটি মেমরি সেলের একটি নির্দিষ্ট অ্যাড্রেস থাকে। যদি অ্যাড্রেস রেজিস্টারে হটি বিট জমা থাকে তাহলে তার সাহায্যে
টি অ্যাড্রেস রাখা যায়।
পঠনক্রিয়া : মেমরির কোনো নির্দিষ্ট অ্যাড্রেসে অবস্থিত বাইনারি ওয়ার্ডকে খুঁজে নেওয়া হলে তাকে
রিড অপারেশন বলে।
লিখন অপারেশন: মেমরির একটি নির্দিষ্ট সেলে নতুন ওয়ার্ড সংরক্ষণ করাকে লিখন বা বলা হয়। তবে যখন মেমরির কোনো নির্দিষ্ট স্থানে ওয়ার্ড বা তথ্য লেখা হয় তখন ওই স্থানে অবস্থিত আগের
ওয়ার্ডটি মুছে যায়।
অ্যাকসেস টাইম: মেমরি হতে ডেটার রিড বা রাইট অপারেশনে যে সময় লাগে তাকে অ্যাকসেস টাইম
বলে। প্রধান মেমরির টাইম (সময়) বলতে বোজায় মেমরির নির্দিষ্ট অ্যাড্রেসে অ্যাকসেস করা এবং তা থেকে একটি শব্দ পড়া
পাঠ-৬.২
বিবিএ প্রোগ্রাম মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা
ইউনিট ৬ পৃষ্ঠাÑ১২১
বা লেখার মোট সময়। অ্যাকসেস সময় যত কম হয়, কম্পিউটার তত দ্রæতগতিতে কাজ করে। সাধারণত মানুষের চোখের
পলক পড়তে সময় লাগে এক সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ, যা ১০ মিলিয়ন ন্যানোসেকেন্ডের সমান। কম্পিউটার উক্ত
সময়ে তাহলে ১০ মিলিয়ন নির্দেশ নির্বাহ করতে পারে।
র্যান্ডম অ্যাকসেস : যেকোনো মেমরি সেলের বিট বা শব্দকে যদি সরাসরি অ্যাকসেস করা যায় তাহলে
তাকে র্যান্ডম অ্যাকসেস বলা হয়। এ ধরনের পদ্ধতিতে অ্যাকসেস সময় খুবই কম হয় এবং সকল মেমরি স্থানের অ্যাকসেস
সময় একই থাকে। যেমনÑ ম্যাগনেটিক কোর মেমরি এবং সেমিকন্ডাক্টর মেমরির অ্যাকসেস র্যান্ডম অ্যাকসেস। অর্ধপরিবাহী
মেমরি জঅগ, জঙগ র্যান্ডম অ্যাকসেস ব্যবস্থার মেমরি।
সিরিয়াল বা সিকুয়েন্সিয়াল অ্যাকসেস ) : মেমরি লোকেশন হতে বিট বা শব্দের একটি নির্দিষ্ট অ্যাড্রেস
খুঁজে বের করতে যখন প্রথম অ্যাড্রেস থেকে শুরু পর পর প্রতিটি অ্যাড্রেস খুঁজে নির্দিষ্ট অ্যাড্রেসে যেতে হয় তখন তাকে
সিকুয়েন্সিয়াল অ্যাকসেস বলে। এ ক্ষেত্রে বিটের অবস্থান যত পরে হবে, অ্যাকসেস সময় তত বেশি হবে। এ ধরনের
অ্যাকসেসে একটির অ্যাকসেসের সময় অন্যটির অ্যাকসেস সময় একই থাকে না। সহায়ক মেমরিতে এ ধরনের পদ্ধতি বেশি
ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ ম্যাগনেটিক টেপ ডিস্ক, ম্যাগনেটিক বাবল মেমরি ইত্যাদিতে এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
সিক টাইম (ঝববশ ঞরসব) ও ল্যাটেন্সি টাইম (খধঃবহপু ঃরসব) : চৌম্বক ডিস্কের ক্ষেত্রে রিড-রাইট হেডকে সঠিক ট্র্যাকে নিয়ে
যেতে যে সময় লাগে তাকে সিক টাইম বলে। আর রিড-রাইট হেড থেকে ট্র্যাকে নিয়ে যাওয়া পরে সঠিক শব্দে পৌঁছতে যে সময়
লাগে তাকে ল্যাটেন্সি টাইম বলে। সিক ও ল্যাটেন্সি সময় যোগ করলে অ্যাকসেস সময় পাওয়া যায়।
ভোলাটাইল বা উদ্বায়ী মেমরি : বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে যে মেমরির তথ্য মুছে যায় তাকে
উদ্বায়ী স্মৃতি বা ভোলাটাইল মেমরি বলে। যেমনথ
নন-ভোলাটাইল মেমরি বা অনুদ্বায়ী : বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে যে মেমরির তথ্য মুছে
যায় না তাকে অনুদ্বায়ী স্মৃতি বা নন-ভোলাটাইল মেমরি বলে। যেমনÑ জঙগ।
ধ্বংসাত্মক মেমরি : যদি কোনো মেমরি পঠনের পর সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায় তাহলে তাকে ধ্বংসাত্মক মেমরি
বলা হয়। যেমনÑ চৌম্বক কোর মেমরি।
অধ্বংসাত্মক (ঘড়হ-উবংঃৎঁপঃরাব) মেমরি : যদি পঠনের পর সংরক্ষিত তথ্য মুছে না যায় তাহলে তাকে অধ্বংসাত্মক মেমরি
বলে। যেমনÑ চৌম্বক টেপ।
মেমরির ধারণক্ষমতা বা ক্যাপাসিটি
কম্পিউটারের মেমরির ধারণক্ষমতা বলতে কম্পিউটার তার স্মৃতি স্থানে কতকগুলো বিট বা বাইট সংরক্ষণ করতে পারে তা
বোঝায়। মেমরির ধারণক্ষমতা পরিমাপের ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে বিট। ই বিটবিশিষ্ট ডটি শব্দ ধারণে সক্ষম কোনো মেমরির
ধারণক্ষমতা ড ঢ ই বিট। যেমনÑ ৮ বিটের ১০২৪টি শব্দ ধারণে সক্ষম মেমরির ধারণক্ষমতা হলো (১০২৪ ঢ ৮)টি বিট =
৮১৯২ বিট। মেমরির ধারণ ক্ষমতা প্রকাশ করা হয় বিট, বাইট, কিলোবাইট, মেগাবাইট, গিগাবাইট, টেরাবাইট, পেটাবাইট
ইত্যাদি দ্বারা। মেমরি পরিমাপের এককগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নি¤œরূপÑ
৮ বিট = ১ বাইট = ১ অক্ষর
২
১০ বাইট বা ১০২৪ বাইট = ১ কিলোবাইট (১ কই)
২
২০ বাইট বা ১০২৪ কিলোবাইট = ১ মেগাবাইট (১ গই)
২
৩০ বাইট বা ১০২৪ মেগাবাইট = ১ গিগাবাইট (১ এই)
২
৪০ বাইট বা ১০২৪ গিগাবাইট = ১ টেরাবাইট (১ ঞই)
২
৫০
বাইট বা ১০২৪ টেরাবাইট = ১ পেটাবাইট (১ চই)
মেমরি ধারণক্ষমতা প্রকাশের সময় ১০২৪ = ২১০ কে ‘১শ’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। তাই একটি মেমরি যদি ৮ বিটের ৪০৯৬টি
ওয়ার্ড ধারণে সক্ষম হয় তাহলে ৪০৯৬ ঢ ৮ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মেমরিকে ৪শ ঢ ৮ হিসেবেও প্রকাশ করা যায়।
মেমরির শ্রেণিবিভাগ
কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত মেমরিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাÑ
১। প্রধান মেমরি বা মুখ্য মেমরি (Main Memory or Primary Memory)
২। সহায়ক মেমরি বা গৌণ মেমরি (Secondary Memory or Mass Memory) ও
৩। ইন্টারনাল মেমরি (Internal Memory)
প্রধান মেমরি
কম্পিউটারের কর্ম এরিয়া হিসেবে প্রধান মেমরি পরিচিত। কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের (ঈচট) সঙ্গে প্রধান
মেমরির সরাসরি সংযোগ থাকে। এ ধরনের মেমরিতে তথ্য ও নির্দেশাবলি অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে। প্রধান মেমরিকে
মেইন বা প্রাথমিক মেমরিও বলা হয়। এটি অত্যন্ত দ্রæতগতির হয়ে থাকে। মূলত প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়ে কম্পিউটারের
প্রোগ্রামের বিভিন্ন তথ্য ও ফলাফলকে অস্থায়ীভাবে প্রধান মেমরি সংগ্রহ করে রাখে। প্রধান মেমরিতে সর্বদা প্রয়োজন হয়
এমন তথ্য ও নির্দেশ জমা থাকে। কাজ শেষে তাদের আবার সহায়ক মেমরিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণত প্রধান মেমরি
ধারণক্ষমতা বেশি হলে কম্পিউটারের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়।
চিত্র ৬.২.১ : প্রধান মেমরি চিত্র ৬.২.২ : মাদারবোর্ডে প্রধান মেমরির সংস্থাপন
প্রধান মেমরির অ্যাকসেস সময় ন্যানোসেকেন্ড বা তার কম সময় হয়ে থাকে। র্যাম ও রম হলো এ
ধরনের মেমরি উদাহরণ। এ ধরনের মেমরি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলোÑ
১. কম্পিউটার চালু করার পর অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ সহায়ক মেমরি হতে প্রধান মেমরিতে সংরক্ষিত হয়ে
কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
২. কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকে।
৩. এটি চলমান প্রোগ্রাম, ডেটা, হিসাব-নিকাশের ফলাফল ইত্যাদি সংরক্ষণ করে।
৪. কম্পিউটার বন্ধ করলে বা বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে প্রধান মেমরিতে সংরক্ষিত তথ্যসমূহ সাধারণত মুছে যায়।
৫. এটি অত্যন্ত দ্রæতগতির হয়ে থাকে।
৬. এটি এক ধরনের পঠন ও লিখন স্মৃতি।
৭. প্রধান মেমরি অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেমরি সেল নিয়ে গঠিত।
সহায়ক মেমরি
কম্পিউটারের যে মেমরিতে বিভিন্ন তথ্য, নির্দেশাবলি, অডিও, ভিডিও, ইমেজ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তাকে সহায়ক
মেমরি বলা হয়। এ ধরনের মেমরির কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের (ঈচট) সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকে না বিধায় ধীরগতি
সম্পন্ন হয়। এতে বিপুল পরিমাণ তথ্য বা প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করা যায়। বিদ্যুৎ চলে গেলে বা কম্পিউটার বন্ধ করলেও তথ্য বা
প্রোগ্রাম হারিয়ে বা মুছে যায় না। হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, পেনড্রাইভ, জিপ ড্রাইভ, ম্যাগনেটিক টেপ ইত্যাদি এ ধরনের
সহায়ক মেমরির উদাহরণ। এ ধরনের মেমরিকে নন-ভোলাটাইল মেমরিও বলা হয়। এ ধরনের
মেমরির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলোÑ
১. কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের (ঈচট) সঙ্গে সরাসরি
সংযোগ থাকে না।
২. যেকোনো তথ্য বা প্রোগ্রাম স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
৩. ধারণক্ষমতা অত্যধিক।
৪. সহজে পরিবহন করা যায়।
৫. পুরাতন তথ্য মুছা যায় এবং নতুন তথ্য সংরক্ষণ করা
যায়।
৬. কম্পিউটার বন্ধ করলে বা বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে সংরক্ষিত
তথ্যসমূহ সাধারণত মুছে যায় না।
ইন্টারনাল মেমরি
কম্পিউটারের ইন্টারনাল মেমরি বলতে রেজিস্টার ও ক্যাশ মেমরিকে বোঝানো হয়।
রেজিস্টার : মূলত মাইক্রোপ্রসেসরের অস্থায়ী মেমরি রেজিস্টার হিসেবে কাজ করে। রেজিস্টার তৈরি হয় ফ্লিপফ্লপের সাহায্যে। এগুলোর কাজ করার ক্ষমতা অত্যন্ত দ্রæত। মাইক্রোপ্রসেসরের কার্যাবলি সম্পাদানের জন্য এর অভ্যন্তরে
বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টার ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ অ্যাকুমুলেটর, ইনস্ট্রাকশন রেজিস্টার, প্রোগ্রাম কাউন্টার ইত্যাদি।
মাইক্রোপ্রসেসর যখন হিসাব-নিকাশের কার্যাবলি সম্পাদন করে তখন ডেটাকে সাময়িকভাবে জমা রাখার জন্য রেজিস্টারসমূহ
ব্যবহৃত হয়।
ক্যাশ মেমরি (Cache Memory) : এটি এক ধরনের বিশেষ উচ্চগতির মেমরিব্যবস্থা। মাইক্রোপ্রসেসর ও প্রধান স্মৃতির মাঝে
অতি উচ্চগতির এবং কম ধারণক্ষমতাসম্পন্ন যে মেমরি ব্যবহার করা হয় তাকে ক্যাশ মেমরি বলা হয়। কম্পিউটারের ডেটা
স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি তথা মাইক্রোপ্রসেসরের প্রক্রিয়াকরণের গতি বৃদ্ধির জন্য ক্যাশ মেমরি ব্যবহৃত হয়। এটি এক ধরনের
স্ট্যাটিক স্মৃতি, যা উচ্চগতি সম্পূর্ণ ও তুলনামূলক দামি মেমরি। যেসব নির্দেশ ও ডেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদেরকে
ক্যাশ মেমরিতে রাখা হয়। এর ধারণক্ষমতা ২৫৬ কিলোবাইট হতে কয়েক মেগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ ধরনের
পদ্ধতিতে সিপিইউয়ের কোনো নির্দেশ প্রয়োজন হলে প্রথমে ক্যাশ মেমরি পরীক্ষা করে, সেখানে না পেলে পরে প্রধান
মেমরিতে খোঁজ করে। সেখানেও না পেলে সহায়ক মেমরিতে খোঁজ করে।
কার্যকারিতার ওপর ভিত্তি করে ক্যাশ মেমরিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাÑ
১। অভ্যন্তরীণ ক্যাশ বা লেভেল-১ ক্যাশ ও
২। বহিঃস্থ ক্যাশ বা লেভেল-২ ক্যাশ
মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরে যে ক্যাশ স্মৃতি কাজ করে সেটিকে অভ্যন্তরীণ ক্যাশ স্মৃতি বলা হয়। অপরদিকে যে স্মৃতি
কম্পিউটারের প্রধান বোর্ড বা মাদারবোর্ডের ওপর অবস্থান করে তাকে বহিঃস্থ ক্যাশ স্মৃতি বলে। প্রসেসর যখন ক্যাশ স্মৃতিতে
কোনো ডেটা খুঁজে পায় তাকে ক্যাশ হিট বলে। আর প্রসেসর যখন ক্যাশ স্মৃতিতে কোনো ডেটা খুঁজে পায় না তাকে ক্যাশ
মিস বলে।
অর্ধপরিবাহী মেমরি
আধুনিক কম্পিউটারগুলোর প্রধান মেমরি বলতে অর্ধপরিবাহী মেমরিকেই বুঝায়। যে পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ বা চার্জ
আংশিকভাবে চলাচল করতে পারে তাকে অর্ধপরিবাহী বা সেমিকন্ডাক্টর বলে। আর অর্ধপরিবাহী বস্তু বা সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে
তৈরি মেমরিই হলো অর্ধপরিবাহী মেমরি বা সেমিকন্ডাক্টর মেমরি। এ ধরনের মেমরির মূলে রয়েছে ফ্লিপ-ফ্লপ নামক যুক্তি
বর্তনী, যা ০ বা ১ সংরক্ষণ করতে পারে। চৌম্বক কোরের তুলনায় অর্ধপরিবাহী মেমরি অনেক ছোট ও দামে সস্তা।
অর্ধপরিবাহী মেমরি বা তথ্য সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য কম্পিউটারে ব্যবহৃত প্রধান মেমরিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথাÑ
১. র্যাম (RAM ও
২. রম (ROM
অর্ধপরিবাহী বা সেমিকন্ডাক্টর মেমরি প্রধানত দুটি উপায়ে তৈরি করা হয়। যথাÑ
১। বাইপোলার মেমরি ও
২। ইউনিপোলার মেমরি
ট্রানজিস্টর ট্রানজিস্টর লজিক দিয়ে বাইপোলার মেমরি তৈরি করা হয়। ঝজঅগ,
চজঙগ ইত্যাদি এ জাতীয় মেমরির উদাহরণ। অন্যদিকে ইউনিপোলার মেমরি মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড ইফেক্ট
ট্রানজিস্টর ( বা কমপ্লিমেন্টারি মেটাল অক্সাইড
সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে তৈরি করা হয়। ইত্যাদি এ জাতীয় মেমরির উদাহরণ।
র্যাম
RAM
RAM-এর পুরো অর্থ হচ্ছে Random access Memory. র্যামে অত্যন্ত সহজে তথ্য সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনে
তথ্য মুছে ফেলা যায়। তথ্য পড়া ও লেখা উভয় প্রকার কাজই র্যামে সম্পাদন করা যায় বলে র্যামকে লিখন/পঠন
স্মৃতিও বলা হয়। কম্পিউটার চালু করার সাথে সাথেই কম্পিউটার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়
প্রোগ্রাম ও ডেটা র্যাম স্মৃতিতে চলে আসে। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলে র্যামে সংরক্ষিত সকল তথ্য মুছে যায়। তাই
একে ভোলাটাইল স্মৃতি বা অস্থায়ী স্মৃতিও বলা হয়। এ ধরনের মেমরির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো১. র্যাম এক ধরনের ভোলাটাইল মেমরি
২. তথ্য পড়া ও লেখা উভয় প্রকার কাজই র্যামে সম্পাদন করা যায়।
৩. র্যামের তথ্য বা প্রোগ্রামকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করে পুনরায় সংরক্ষণ করা যায়।
৪. কম্পিউটার চালু করার সাথে সাথেই কম্পিউটার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ও ডেটা র্যাম স্মৃতিতে চলে
আসে।
৫. বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলে র্যামে সংরক্ষিত সকল তথ্য মুছে যায়।
৬. র্যামের প্রতিটি মেমরি সেলের জন্য অ্যাকসেস সময় সমান।
সাধারণত জঅগ দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথাÑ
১। স্ট্যাটিক র্যাম ) ও
২। ডাইনামিক র্যাম
স্ট্যাটিক র্যাম : এর পুরো অর্থ হচ্ছে . এ ধরনের মেমরি ফ্লিপ-ফ্লপ
দ্বারা গঠিত, যা বাইনারি বিট (০ বা ১) ধারণ করে এবং ধারণকৃত ডেটা ততক্ষণ পর্যন্ত মেমরিতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ
সরবরাহ থাকে। ঝজঅগ অত্যন্ত দ্রæতগতিসম্পন্ন হওয়ায় ভিডিও র্যাম, ক্যাশ মেমরি ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
ঝজঅগ-এর অ্যাকসেস সময় সাধারণত ৪ থেকে ১০ ন্যানোসেকেন্ড হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। ।
ডাইনামিক র্যাম : -এর পুরো অর্থ হচ্ছে এটি সাধারণত
মসফেট ট্রানজিস্টর ও ক্যাপাসিটরের সাহায্যে
তৈরি। সাধারণ ঝজঅগ-এর তুলনায় এ ধরনের মেমরির স্মৃতি কোষ আকারে ছোট এবং দামেও সস্তা। উজঅগ-এর আরো
সুবিধা হলো প্রতি আইসিতে বিটের সংখ্যা বেশি, বিট প্রতি খরচও কম এবং বিদ্যুৎ শক্তি কম লাগে। এসব কারণে উজঅগএর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। মেইনফ্রেম, মিনিফ্রেম এবং মাইক্রোকম্পিউটারের প্রধান মেমরি হিসেবে সাধারণত
উজঅগ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উজঅগ-এর ক্যাপাসিটরের চার্জ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে হয়ে যায় বলে প্রায় ৭২হং পর পর
প্রত্যেক স্মৃতি কোষে লেখা তথ্য নতুন করে লিখতে হয়। একে বলে। উজঅগ দুই ধরনের হয়। যথাÑ
(১) ঝউজঅগ (ঝুহপযৎড়হড়ঁং উজঅগ) ও
(২) অঝউজঅগ (অংুহপযৎড়হড়ঁং উজঅগ)
রম
ROM
ROM এর পূর্ণ অর্থ হলো RAndom access Memory এটি মূলত এক ধরনের নন-ভোলাইটল মেমরি । অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলেও রমে সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায় না। কম্পিউটারের মাইক্রোপ্রসেসর ও
হার্ডওয়্যারের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলি সম্পাদনের প্রোগ্রাম রমে স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে। সাধারণত রমে নতুন কিছু সংযোজন,
সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায় না। তবে বর্তমানে কিছুরমে বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষিত তথ্য মুছে নতুন করে তথ্য সংরক্ষণ
করা যায়। কম্পিউটার যখন অন করা হয় তখন রমের সংরক্ষিত প্রোগ্রামের সহায়তায় কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হার্ডওয়্যার
বা ডিভাইসসমূহ পরীক্ষা করে দেখে এবং সেগুলোকে কার্যাপোযোগী করে। এ ধরনের মেমরির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ
নি¤œরূপÑ
১. রম এক ধরনের নন-ভোলাইটল মেমরি।
২. সরাসরি সিপিইউয়ের সাথে সংযোগ থাকে।
৩. রমে ম্যানুফেকচাররার কর্তৃক প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করা থাকে।
৪. সাধারণত নতুন কিছু সংযোজন, সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায় না।
৫. সাধারণত সংরক্ষিত তথ্য শুধু পড়া যায়, লেখা যায় না।
৬. বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে রমে সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায় না।
বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে রম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যথাÑ
১। এম রম
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র