ইন্টারনেট
Internet
ইন্টারনেট কথার অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কম্পিউটারগুলোর নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। অর্থাৎ ইন্টারনেট হচ্ছে
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত কম্পিউটারগুলোর নেটওয়ার্ক। বিশ্বের বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করলে যে নেটওয়ার্ক গড়ে
ওঠে তাকে ইন্টারনেট বলে। এটি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
প্রথম দিকে ইন্টারনেটের নাম ছিল ARPANET। ১৯৬৮ সালের ARPANET ছিল ইন্টারনেটের প্রাথমিক পর্যায়। এ
প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধিত হয় আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। তবে চারটি কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত
হয় ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ARPANET-এর মাধ্যমে। প্রথম যে চারটি কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয় সে
কম্পিউটারগুলো লস এঞ্জেলেস, মেনলোপার্ক, সান্তা বারবার (U.C. Santa Barbara) এবং ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয় (The
University of Utah)--তে অবস্থিত ছিল। ১৯৮২ সালে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগের জন্য ঞঈচ/ওচ উদ্ভাবনের
মাধ্যমে ইন্টারনেটের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। ১৯৯২ সালে ইন্টারনেট সোসাইটি (ওঝঙঈ) প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারকারীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। ব্যবহারকারীকে
কোনো সার্ভারের সাথে কম্পিউটার সংযোগ গ্রহণ করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। এজন্য অত্যাবশ্যকীয় কতকগুলো
হার্ডওয়্যার প্রয়োজন। হার্ডওয়্যারগুলো হলোÑ কম্পিউটার, মডেম, টেলিফোন লাইন ইত্যাদি । অনেক সময় প্রিন্টার এবং
স্ক্যানারের প্রয়োজন হতে পারে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য হার্ডওয়্যারসামগ্রীর পাশাপাশি সফটওয়্যারের গুরুত্ব অপরিসীম।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য সিস্টেম
সফটওয়্যার হিসেবে Microsoft Windows NT, XP ইত্যাদি। কেবলমাত্র ই-মেইল প্রেরণ বা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত
সফটওয়্যার হচ্ছে মসধরষ, আউটলুক এক্সপ্রেস, ইউডোরা প্রো ইত্যাদি। ডবন ঢ়ধমবং ব্রাউজ করার সফটওয়্যার হচ্ছে
Internet Explorer, Netscape, Google Chrome, Firefox ইত্যাদি। এছাড়া v FTP, Gopher, Telnet ইত্যাদি
সফটওয়্যারও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে?
১. ইন্টারনেটের সকল কম্পিউটার কমান্ড এবং ডাটা আদান-প্রদানের ঞঈচ/ওচ প্রোটোকল ব্যবহার করে।
২. ইন্টারনেটে যেকোনো কম্পিউটার আরেকটি কম্পিউটারে সাথে সহজেই সংযোজিত হতে পারে।
৩. একটি কম্পিউটার প্রথমে লোকাল বা স্থানীয় নেটওয়ার্কের সাথে সংযোজিত হয়, অতঃপর ইন্টারনেট ব্যাকবোনের
মাধ্যমে সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
৪. একটি কম্পিউটার সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে সংযোজিত হতে পারে, অথবা আরেকটি কম্পিউটারের রিমোট
টার্মিনালের সাথে অথবা নেটওয়ার্কের গেটওয়ের মাধ্যমে, যা কোনো ঞঈচ/ওচ ব্যবহার করে।
৫. ইন্টারনেটের সকল কম্পিউটারেরই একটি ওচ অ্যাড্রেস থাকে এবং প্রায় সকলের একটি ঠিকানা থাকে, যা
ডোমেইন নেম সিস্টেম ব্যবহার করে।
৬. বেশির ভাগ ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামই ক্লায়েন্ট-সার্ভার মডেম ব্যবহার করে; ব্যবহারকারী ক্লায়েন্ট প্রোগ্রাম
রান করে, যা সার্ভারের কাছ থেকে ডাটা এবং সেবা গ্রহণ করে।
ইন্টারনেটের সার্ভিসসমূহ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার একটি বড় নিয়ামক হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট আসলে বিশ্বের
কম্পিউটারসমূহের মধ্যস্থিত একটি নেটওয়ার্ক মাত্র। ইন্টারনেটের বদৌলতে আজকে সমগ্র বিশ্বের সকল কম্পিউটার
ব্যবহারকারী একই বলয়ে আবদ্ধ হতে পারছেন। ফলে তথ্য ও যোগাযোগব্যবস্থার আশাতীত উন্নয়ন ঘটছে। ইন্টারনেটের
বিভিন্ন সার্ভিস বা সেবার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানের তথ্য গ্রহণ ও প্রদান করতে পারছি।
ইন্টারনেটের প্রধান প্রধান সার্ভিস হলোÑ
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web)
টেলনেট (Telnet)
র্সাচ ইঞ্জিন (Search Engines)
ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল ((File Transfer Protocol -FTP)
ইলেকট্রনিকস মেইল (Electronic Mail :E-mail)
ই-কমার্স (E-Commerce)
ইন্টারনেট রিলে চ্যার্ট (Internet Relay Chat)
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব
(World Wide Web)
(World Wide Web) বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সংক্ষিপ্ত রূপ ডডড। একে ওয়েবও বলে। ওয়েব এমন একটি বৃহৎ
সিস্টেম, যা অনেকগুলো ওয়েব সার্ভারের মধ্যকার সংযুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয়। এই ওয়েব সার্ভারগুলোতে সারা বিশ্বের
ওয়েব পেইজগুলো সংরক্ষিত থাকে। মূলত সারা বিশ্বের ওয়েব পেইজগুলোর সংগ্রহই হলো ওয়েব। সার্ভারগুলো ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীকে তথ্য (টেক্সট, ছবি, শব্দ ইত্যাদি) সরবরাহ করতে পারে। এসব তথ্য পাবার জন্য ব্যবহারকারীকে বিশেষ
ধরনের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে হয় যাকে বলে ওয়েব ব্রাউজার। বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত ওয়েব ব্রাউজার হলো
ইন্টারনেট এক্সপ্লোয়ার, মজিলা ফায়ারফক্স, নেটস্কেপ নেভিগেটর ইত্যাদি।
ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবের সূচনা হয়েছে ১৯৮৯ সালেj ECRN (The European Center for Nuclear Research)-এ।
১৯৯৩ সালের ফেব্রæয়ারিতে গঙঝঅওঈ নামক গ্রাফিক্যাল ওয়েব ব্রাউজার আবিষ্কারের এক বছর পর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবের
বহুল প্রচলন শুরু হয়।
টেলনেট
টেলনেট হচ্ছে এমন একটি ইন্টারনেট টুলস, যার সাহায্যে একটি কম্পিউটারের মধ্যে অন্য একটি কম্পিউটার ব্যবহার করা
যায় বা প্রবেশ করা যায়। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম, যা একটি নির্দিষ্ট কম্পিউটার ও দূরবর্তী কম্পিউটারের মধ্যে একটি
জানালা হিসেবে কাজ করে। ফলে ব্যবহারকারীর কাছে মনে সে দূরবর্তী কম্পিউটারটির কাছে বসে কাজ করছে।
টেলনেট সংযোগ অনেক কাজের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। যেমনÑ একটি লাইব্রেরির ক্যাটালগের সাথে টেলনেট সংযোগ স্থাপন
করে ঘরে বসেই এই লাইব্রেরি থেকে যেকোনো বই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। আবার টেলনেট সংযোগ স্থাপন করে
অনলাইন কনফারেন্সও করা যায়।
সার্চ ইঞ্জিন
র্সাচ ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের ওয়েবসাইট বা টুলস, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার থেকে যেকোনো তথ্য অথবা
অন্যান্য ওয়েবসাইট খুঁজে পেতে সাহায্য করে। র্সাচ ইঞ্জিনের ঠিকানা ব্রাউজার সফটওয়্যারের অ্যাড্রেস বারে লিখে এন্টার
চাপ দিলে বা মড় তে ক্লিক করলে এই র্সাচ ইঞ্জিনের ওয়েব পেজটি ওপেন হবে। র্সাচ ইঞ্জিনের ফাইন্ড বক্সে কাক্সিক্ষত তথ্য বা
ওয়েবসাইটের নাম লিখে এন্টার দিলে সে সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েব পেজের লিংকের তালিকা প্রদর্শিত হবে। এর মধ্য থেকে
উপযুক্ত সাইটটির ওপর ক্লিক করে ওয়েবসাইটটি ওপেন হবে। সারা বিশ্ব অসংখ্য সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। তার মধ্যে জনপ্রিয়
কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম ও তাদের প্রত্যেকের বিশেষত্ব নিচে দেওয়া হলোসার্চ ইঞ্জিনের নাম বিশেষত্ব বা কাজ
গুগল ) সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো গুগল সার্চ ইঞ্জিন, যার সাহায্যে সহজেই যেকোনো
ওয়েবসাইট বা তথ্য সার্চ করা যায়।
ইয়াহু (ুধযড়ড়) ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যেও সহজেই যে কোনো ওয়েব সাইট সার্চ করা যায়।
বিং (নরহম) এটি মাইক্রোসফট কোম্পানির একটি সার্চ ইঞ্জিন, যার সাহায্যে খুব সহজেই ভিডিওসহ
অন্যান্য সাইট সার্চ করা যায়।
পিপীলিকা (pipilika) বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন হলো পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিন, যার সাহায্যে বাংলা লিখে সার্চ
করা যায়।
ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল
File Transfer Protocol
FTP এর পুরো নামFile Transfer Protocol ঋঞচ এমন একটি সার্ভিস, যা ব্যবহার করে এক কম্পিউটার থেকে অন্য
কম্পিউটারে ফাইল কপি করা যায়। এটি টিসিপি/আইপি প্রোটোকল সুট ফ্যামিলির অন্যতম সদস্য। ফাইল কপি করার জন্য
এফটিপি ব্যবহার করা হবে যখন দুটো কম্পিউটারেই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকবে। লোকাল কম্পিউটার থেকে কোনো ডেটা
বা ফাইল রিমোট কম্পিউটারে কপি করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় আপলোডিং এবং রিমোট কম্পিউটার থেকে কোনো ফাইল বা
ডেটা লোকাল কম্পিউটারে কপি করাকে বলা হয় ডাউন লোডিং।ম
ই-মেইল
E-Mail
E-Mailএর পুরো নাম হলো Electronic mail। ই-মেইল হচ্ছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের
একটি বিশেষ পদ্ধতি। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক উপায়ে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডিজিটাল মেসেজ বা বার্তা আদান-প্রদান
করাকে ই-মেইল বলা হয়। ই-মেইল প্রেরণের জন্য সাধারণত একটি কম্পিউটার, মডেম, টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেট
সংযোগ এবং কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসনকে ই-মেইলের জনক বলা হয়
ই-মেইল করার পর বা প্রেরণের পর প্রাপক যোগাযোগে উপস্থিত না থাকলে মেইলটি প্রাপকের চৌম্বক ডিস্কে জমা থাকে।
প্রতিটি ই-মেইল ব্যবহারকারীর একটি ই-মেইল ঠিকানা বা অ্যাড্রেস থাকে। একটি ই-মেইল অ্যাড্রেসে দুটি অংশ থাকে।
প্রথম অংশটি হলো user identity আর দ্বিতীয় অংশটি হলো domain name. যেমন- [email protected] এখানে
Sohelrana31b হলো user identity আর gmail.com n হলো domain name
ই-মেইল সুবিধা-প্রাপ্তির জন্য অথবা ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য যে সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছেÑ Ñ Microsoft explorer, Netscape, Eudoro, Mozilla Firefox, Google Chrome, Outlook Express ইত্যাদি।
অবশ্য ফ্রি ই-মেইল অ্যাড্রেস তৈরি করার জন্য্য gmail.com, yahoo.com, hotmail.com প্রভৃতি ডোমেইন ব্যবহার করা
যায়।
ই-মেইল পাঠানোর নিয়ম
সাধারণত তিনটি ধাপের মাধ্যমে একটি ই-মেইল পাঠানো যায়। ধাপগুলো হলোÑ
১. ই-মেইলটি কম্পোজ করা
২. ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন
৩. ই-মেইল সেন্ড করা
ই-মেইলটি কম্পোজ করা
কোনো ই-মেইল কম্পোজ করতে হলে প্রথমে ই-মেইলের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যারটি ওপেন করতে হবে। এরপর New Message
মেন্যু থেকে ঘবি গবংংধমব বা ঘবি গবংংধমব ঞড় বা অন্য কোনো সফটওয়্যারের জন্য ঞড় সধরষ আইকনে ক্লিক করতে
হবে। তাহলে মেইল কম্পোজ করার জন্য একটি উইন্ডো ওপেন হবে, যেখানে নি¤œলিখিত অংশগুলো থাকবে।
To :
From :
CC :
BCC :
Subject :
Attatch :
এর নিচে একটি খালি অংশ থাকবে, যেখানে মূল মেসেজ টাইপ করতে হবে। মেসেজটি কম্পোজ শেষ হলে সেভ করে বা
কিউ করে আউট বক্সে নিয়ে রাখতে হবে। এভাবে একসাথে অনেকগুলো ই-মেইল কম্পোজ করে রাখা যায়।
চিত্র ৯.১.৪: ই-মেইল কম্পোজ উইন্ডো
ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন : মেইল কম্পোজ করা শেষ হলে যদি ইন্টারনেট সংযোগ অবস্থা না থাকে তাহলে ইন্টারনেট
সংযোগ নিতে হবে। এজন্য ডায়াল আপ নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো সংযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করা যেতে পারে।
ই-মেইল সেন্ড করা : কম্পোজ উইন্ডোর ঝবহফ অপশনে বা বাটনে ক্লিক করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মেসেজটি সেন্ড হবে এবং
লেখাটি দেখাবে।
ই-মেইল কম্পোজ উইন্ডোর বিভিন্ন অংশ
: এখানে যার কাছে ই-মেইল পাঠানো হবে তার ই-মেইল ঠিকানা লিখতে হয়। তবে একই মেইল একাধিক ঠিকানা
পাঠাতে হলে প্রতিটি ঠিকানা কমা (,) দিয়ে আলাদা করে লিখতে হবে।
ঋৎড়স : এখানে প্রেরকের ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসবে। তবে কনফিগারেশনের সময় যে ঠিকানাটি দেওয়া হবে সেটিই
আসবে।
ঈঈ : কার্বন কপি। একই মেসেজ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে পাঠাতে চাইলে এখানে তাদের ঠিকানা কমা দিয়ে আলাদা আলাদা
করে টাইপ করতে হবে। তাহলে গ্রাহক তার মেইলটি গ্রহণ করার পর এখানে প্রদর্শিত ঠিকানাসমূহ দেখে জানতে পারবে
একই মেইল আর কার কার কাছে পাঠানো হয়েছে।
বøাইন্ড কার্বন কপি। একই মেসেজ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে পাঠাতে চাইলে এখানে তাদের ঠিকানা কমা দিয়ে আলাদা
আলাদা করে টাইপ করতে হবে। এর মতো প্রাপকের নিকট এখানে ঠিকানাসমূহ প্রদর্শিত হবে না ফলে প্রাপক জানতে
পারবে না একই মেইল আর কার কার কাছে পাঠানো হয়েছে।
ঝঁনলবপঃ : ই-মেইলের বিষয়। গ্রাহক যাতে সহজেই বুঝতে পারে সেজন্য ই-মেইলের সাথে সম্পর্কিত কোনো বিষয় এখানে
লেখা হয়।
: সাধারণভাবে ই-মেইল করে নরমাল টেক্সট পাঠানো যায়। কিন্তু ই-মেইলের এটাচ কমান্ড ব্যবহার করে অন্য
কোনো প্রোগ্রামে করা ফাইলকে ই-মেইলের সাথে অ্যাটাচ করে পাঠানো যায়।
ই-কমার্স
ই-কমার্সএকটি আধুনিক ব্যবসায় পদ্ধতি। ঊ-ঈড়সসবৎপব-এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে
ঊষবপঃৎড়হরপ ঈড়সসবৎপব। বর্তমানে ব্যবসায়িক জগতে ইলেকট্রনিক কমার্স বা
ই-কমার্স ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বর্তমান যুগের ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য, সেবা ও
তথ্য ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর বা বিনিময় কার্যকেই ই-কমার্স বলে। অর্থাৎ ডিজিটাল
পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিজেদের সাথে বা একে অপরের সাথে
ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করাকে
ই-কমার্স বলা হয়। ইন্টারনেট ব্রাউজ করে ক্রেতাগণ ঘরে বসেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মান, মূল্য
ইত্যাদি জানতে পারছে। আবার বিক্রেতাগণও তাদের পণ্যের বিপিণন সারা বিশ্ব জুড়ে করতে পারছে। এতে ক্রেতা ও
বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হচ্ছে।
ই-কমার্সের বৈশিষ্ট্য
বর্তমানে বিশ্বকে অনলাইন বাজারে পরিণত করার প্রক্রিয়া অনেক আগেই চালু হয়েছে, যার দরুন ভৌগোলিক গÐি পেরিয়ে
খুব সহজে আন্তর্জাতিক বাজারে এখন অনলাইন বাজারের রূপ নিয়ে ব্যবসায় কার্যক্রম আরো সহজ ও দ্রæত করে চলেছে।
ই-কমার্সের প্রভাবে বর্তমান বিশ্ব এখন আর একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক গÐির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের
মানুষের কার্যক্রমকে আরো স¤প্রসারিত করে বহুগুণ। তবে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণেই দিন দিন ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধরনের বৈশিষ্ট্যগুলো নি¤œরূপÑ
১। ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায়িক ফলাফল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই ভোগ করতে পারে।
২। ই-কমার্স পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্র সর্বজনীন।
৩। ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায় শুরু করার জন্য কোনো আইনগত জটিলতা নেই।
৪। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, সঠিক মূল্য এবং সময়ের সাথে মানানসই।
৫। মূলত ই-কমার্স ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৬। ই-কমার্সে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তার খরচ অনেক কম। ফলে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের
সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে।
৭। ই-কমার্স বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কর্মকাÐ পরিচালনাতেও জটিলতা অনেকাংশে কমায়। যেমনÑ দ্রব্য ও সেবা
বিক্রয়, ভাড়া ও সরবরাহসংক্রান্ত ব্যবসায় ই-কমার্স বিশেষ সুবিধা ও সুযোগ সৃষ্টি করছে।
৮। ই-কমার্সের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ব্যবসায় পরিচালনা করা সম্ভব।
বিবিএ প্রোগ্রাম মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা
ইউনিট ৯ পৃষ্ঠা-১৭১
ই-কমার্সের সুবিধা
১. ব্যবসার মান বিশেষভাবে উন্নয়ন করা যায়।
২. ই-কমার্সের সাহায্যে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়কে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে করানো যায়।
৩. তথ্যের বিনিময় ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম দ্রæত সম্পন্ন করা যায়।
৪. ব্যবসায়িক কার্যক্রমের খরচ ব্যাপকভাবে কমায়।
৫. ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সহজে সুসম্পর্ক তৈরি করে।
৬. তথ্যের নির্ভুলতা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
৭. দ্রæত পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছায়।
৮. পণ্য ও সেবার মান উন্নয়ন করা যায় ইত্যাদি।
ই-কমার্সের অসুবিধা
১। যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে পুরো প্রক্রিয়ার ওপর ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
২। বিক্রয় প্রতিষ্ঠান অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ ওয়েব সার্ভার ব্যবহার করে থাকে, যা সব সময় পাওয়া যায় না।
৩। আর্থিক লেনেদেনে নিরাপত্তার অভাব পরিলক্ষিত হয়।
৪। ই-কমার্স পরিচালনায় দক্ষ লোকের অভাব দেখা যায়।
৫। ক্রেতা বা বিক্রেতা অনেক সময় ই-কমার্সের কার্যক্রমের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে না।
৬। পণ্যের মানের ক্ষেত্রে গ্যারান্টি প্রদান করা হয় না ইত্যাদি।
ই-কমার্সের প্রকারভেদ
বস্তুত ই-কমার্স হচ্ছে ডিজিটাল উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ এবং সঞ্চারণের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়সংক্রান্ত
আদান-প্রদান। সাধারণত এ কাজটি সম্পাদন করা হয় উন্মুক্ত একশটি নেটওয়ার্কব্যবস্থা তথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে। অর্থাৎ
ই-কমার্সের মাধ্যমে ইন্টারনেট, এক্সট্রানেট এবং ইন্ট্রানেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসায়, ভোক্তা এবং অন্যান্য সহযোগী
সংস্থার মধ্যে সংযোগ সাধন করা হয়। সেবা ও পণ্য লেনদেনের ভিত্তিতে ই-কমার্সকে সাধারণত চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত
করা যায়। যথা -
১। ব্যবসা থেকে ব্যবসা (Business to Business : B2B)
২। ব্যবসা থেকে ভোক্তা (Business to Consumer : B2C)
৩। ভোক্তা থেকে ব্যবসা (Consumer to Business : C2B) ও
৪। ভোক্তা থেকে ভোক্তা (Consumer to Consumer : C2C)
উপরের শ্রেণিবিভাগ ছাড়াও নন-বিজনেস নামে একটি ই-কমার্স দেখা যায়।
ব্যবসা থেকে ব্যবসা : ব্যবসা থেকে ব্যবসাসংক্রান্ত ই-কমার্স একাধিক ব্যবসায়িক
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংঘটিত হতে পারে। গতানুগতিক পদ্ধতিতে দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাইকারি কেনাবেচাকে বিজনেস
টু বিজনেস (ই২ই) বলা হয়। এ ধরনের ই-কমার্স সিস্টেমে পক্ষগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সরবরাহকারী কিংবা পণ্য
উৎপাদনকারী হতে পারে। ই২ই ই-কমার্সে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহজে এবং
দ্রæতগতিতে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি করে থাকে। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়তই
ই২ই এর পরিরিধি বাড়ছে। তাই বর্তমানে অধিকাংশ ই-কমার্স আইওএস
) এবং ইলেকট্রনিক মার্কেটের লেনদেনসমূহ বিজনেস টু বিজনেস (ই২ই)-এর আওতার মধ্যে পড়ে। উদাহরণ :
ব্যবসা থেকে ভোক্তা: এক বা একাধিক ক্রেতা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্য খুচরা বা
পাইকারি লেনদেনসমূহ বিজনেস টু কনজিউমার (ই২ঈ)-এর অন্তর্গত। ইন্টারনেটে ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজ শুরু হওয়ার পর
থেকেই বিজনেস টু কনজিউমার (ই২ঈ) সংক্রান্ত ব্যবসা দ্রæতগতিতে বাড়ছে। ব্যবসা থেকে ভোক্তা ই-কমার্স সিস্টেমে কোনো
ভোক্তা সরাসরি কোনো ব্যবসায়ী বা উৎপাদনকারী থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ ভোক্তাগণ ই-কমার্স সিস্টেমে কোনো
পণ্য ক্রয় করলে তা এ জাতীয় লেনদেনের আওতায় পড়ে। তবে এ ধরনের ই-কমার্সের মাধ্যমে ভোক্তার নিকট পণ্য
বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়কে অবশ্যই ইলেকট্রনিকস বাজারব্যবস্থা উন্নয়ন করতে হবে। উদাহরণ : ধসধুড়হ.পড়স।
ভোক্তা থেকে ব্যবসা : কিছু কিছু ব্যবসা আছে যা সরাসরি ভোক্তা শ্রেণির কাছ থেকে
ব্যবসায়ীরা গ্রহণ করে। এ জাতীয় লেনদেন ভোক্তা থেকে ব্যবসায় ই-কমার্সের আওতাভুক্ত। অর্থাৎ যখন কোনো ভোক্তা
এককভাবে অন্য কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি লেনদেন করে তখন তাকে ভোক্তা থেকে ব্যবসা বা
কনজিউমার টু বিজনেস বলা হয়। উদাহরণ :
ভোক্তা থেকে ভোক্তা এ জাতীয় ব্যবসায়ে কোনো ব্যবহারকারী থেকে অন্য কোনো
ব্যবহারকারীর মধ্যে লেনদেন সম্পাদিত হয়। অর্থাৎ অন্য কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ছাড়াই ভোক্তা থেকে
ভোক্তার লেনদেনকে ভোক্তা থেকে ভোক্তা বা কনজিউমার টু কনজিউমার (ঈ২ঈ) বলা হয়। এ জাতীয় ব্যবসায়ে কোনো
বিজনেস মিডলম্যান থাকে না। যেমনÑ এক শ্রেণির গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আছে যারা পুরাতন গাড়ি কেনাবেচা করে।
অর্থাৎ যদি প্রতিষ্ঠানটি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পুরাতন গাড়ি ক্রয় করা একটি
ব্যবস্থা রাখে এবং ক্রয় করে পুনরায় বিক্রয় করেন তাহলে এ ধরনের ই-কমার্সকে কনজিউমার টু কনজিউমার বলা হয়।
উদাহরণ : বনধু.পড়স।
নন-বিজনেস ই-কমার্স বর্তমানে অনেক অব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যেমনÑশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সরকারি এজেন্সিসমূহ ব্যয় কমানোর জন্য এবং সেবার মান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন
ধরনের ই-কমার্স ব্যবহার করছে। এ সকল লেনদেনের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য না থাকায় নন-বিজনেস ই-কমার্স বলা হয়।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় ই-কর্মাস সাইটসমূহ হলোÑ
র. নতুন-পুরাতন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় :www.bikroy.com/ www.cellbazar.com
রর. অনলাইনে বই ক্রয়ের জন্য :www.boimela.com/ www.rokomary.com
ররর. পণ্যের মূল্য ছাড় পাওয়ার জন্য : www.akhoni.com/ www. ajkerdeal.com
রা. প্রিয়জনকে বই উপহার পাঠানোর জন্য : www. gifthaat.com/ www.dishigociting.com
Qualitycando soft website
ইন্টারনেট রিলে চ্যার্ট হচ্ছে রিয়েল টাইমে, অর্থাৎ প্রকৃত সময়ে
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে যোগাযোগের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম
বা পদ্ধতি। রিয়েল টাইম যোগাযোগ বলতে বোঝায় ঘটমান বর্তমানে
অন্য ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ। ই-মেইলের মতো চ্যাটে
অপেক্ষা করতে হয় না। ই-মেইলের ক্ষেত্রে ম্যসেজ পাঠানো এবং সেই
ম্যসেজটি অন্য কেউ পাওয়া এবং তার উত্তর দেওয়ার মধ্যে বেশ কিছু
সময় অপেক্ষা করতে হয়। ওজঈ কে প্রায়ই ইন্টারনেটের ‘ঈই রেডিও’
হিসেবে অ্যাখায়িত করা হয়। কারণ এটা কয়েকজন বা অনেককে
কোনো আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।
ওজঈ একটি মাল্টি-ইউজার সিস্টেম, যেখানে চ্যানেলে অংশগ্রহণ করে প্রকাশ্য বা গোপনে কথা বলতে পারে, চ্যানেল হচ্ছে
একটি আলোচনার গ্রæপ, যেখানে চ্যাট ব্যবহারকারীরা কোনো বিষয়ে আলোচনা বা অংশগ্রহণ আহŸান করতে পারে। এ
ধরনের সিস্টেমে একজন ব্যবহারকারী ম্যসেজ টাইপ করে ওজঈ চ্যানেলে পাঠিয়ে দেয়, ফলে চ্যানেলে অংশগ্রহণকারীরা ঐ
ম্যসেজটি পড়তে বা উত্তর দিতে বা এগিয়ে যেতে পারে অথবা তাদের নিজেদের ম্যসেজ লিখতে পারে। অন্যদিকে চ্যাটরুম
ওয়েবসাইটের আরেকটি জনপ্রিয় সংযোজন। ব্যবহারকারীরা বিশেষ কোনো চ্যাট সফটওয়্যার ইনস্টল না করে বা না চালিয়ে
ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে সরাসরি কোনো চ্যাট সেশনে অংশগ্রহন করতে পারে।
সারসংক্ষেপ :
কম্পিউটার জগতে ইন্টারনেট হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিপ্লব। ইন্টারনেট হলো অসংখ্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত
একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক। অর্থাৎ ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত কম্পিউটারগুলোর নেটওয়ার্ক। বিশ্বের
বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করলে যে নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে তাকে ইন্টারনেট বলে। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে
ব্যবহারকারীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। আবার কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কার্যাবলি
সম্পাদনের জন্য হার্ডওয়্যারসামগ্রীর পাশাপাশি সফটওয়্যারের গুরুত্ব অপরিসীম। ইন্টারনেটের প্রধান প্রধান সার্ভিস হলো,
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, টেলনেট, র্সাচ ইঞ্জিন, ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল, ইলেকট্রনিকস মেইল, ই-কমাস, ইন্টারনেট
রিলে চ্যার্টইত্যাদি। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগব্যবস্থার কিছুটা উন্নয়ন ঘটলেও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত মান
এখনো দিতে পারছে না। অর্থাৎ এখনো বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার পর্যাপ্ত হয়নি। যা ই-কমার্সের জন্য বড় ধরনের
অন্তরায়।
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র