মিশর কে নীল নদের দান বলা হয় কেন? মিশরের পিরামিড

মানুষ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে মাত্র ছয় থেকে সাত হাজার বছর পূর্বে নগর কেন্দ্রিক সভ্যতার সৃষ্টি করেছিল।
কৃষিজীবী ও পশুপালক বা শিকারী এই দুভাগে মানব সমাজ বিভক্ত ছিল কৃষি ভিত্তিক সভ্য সমাজ গড়ে উঠার ফলে। যার
কারণে কৃষক ও পশুপালক সমাজের মানুষেরা বহুবিধ উন্নতি ও কর্ম-কৌশল আবিষ্কার করতে থাকে এবং মানুষ স্থায়ীভাবে
গ্রামে বসবাস শুরু করে। আর মিসরীয় অঞ্চলের এ সকল মানুষই ৬০০০ থেকে ৪০০০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে বিভন্ন
আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। এ সকল আবিস্কারের কারণে মিসরে প্রথম নগর কেন্দ্রিক সভ্যতার উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। আর
তাই আধুনিক মানব সমাজ মিসরের এ সভ্যতার নিকট থেকে উপকৃত হয়েছে। শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা
মিসরীয় সভ্যতার কাল ও ভৌগোলিক অবস্থান
প্রাচীন সভ্যতার লীলাভ‚মির দেশ মিসর। এছাড়া বর্তমান
উত্তর আফ্রিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশ এই
মিসর। আজ থেকে প্রায় ৬ হাজার বছর পূর্বে নীলনদের
অববাহিকায় মিসরীয় সভ্যতার উন্মেষ ঘটে বলে ধারণা
করা হয়ে থাকে। দেশটির উত্তরে ভূমধ্যসাগর এবং
দক্ষিণে সুদান নামক রাষ্ট্রটি অবস্থিত। এর পূর্ব দিকে বয়ে
গেছে লোহিত সাগর এবং পশ্চিম দিকে অবস্থিত লিবিয়া।
আর উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত তিউনিসিয়া। নীল নদের
দান বলে খ্যাত মিসর ভৌগোলিক দিক থেকে দক্ষিণাঞ্চল
এবং উত্তরাঞ্চল এই দু’ভাগে বিভক্ত।
মিসরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত নীলনদ ভ‚মধ্যসাগরে মিলিত
হয়েছে। বর্ষার সময় নীল নদের দু’কূল প্লাবিত হয়ে বন্যার
সৃষ্টি হতো। ফলে মিসরে উভয় অঞ্চলে পলিমাটি জমে উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
মিসর নীলনদের দান
নীলনদের পানি উপচে দু’কূল ছাপিয়ে যাবার ফলে নবোপলীয় যুগের মানুষের কৃষি উৎপাদনসহ অন্যান্য বিষয়াদি ভাসিয়ে
নিঃস্ব করে ফেলত। প্রাচীন মিসরে প্রতি বছরের এ বন্যাকে রোধ করার জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কৃষির উপকরণ,
সেচব্যবস্থা প্রভৃতি বিকাশের সাথে সাথে নগরের বিকাশ ঘটতে থাকে যা মিসরকে সভ্যতার পটভূমিতে পরিণত করে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মিসরীয় সভ্যতার সূচনাকারী জনগণ পানির প্রাপ্যতা, নীলনদকে কেন্দ্র করে কৃষি
উৎপাদন, মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ ও পশুপালনের জন্য
তৃণভূমির সহজলভ্যতা ইত্যাদি বিষয়কে মাথায় রেখে নীলনদের
তীরবর্তী অঞ্চলসমূহে বসতি স্থাপন করেছিল। নীলনদের দু’কুলে
৪ মাস স্থায়ী এ বন্যার সময় গাছ-গাছড়া পচে গিয়ে এবং এর
সাথে জলধারায় পাহাড়ি লাল পাথুরে মাটি মিশে এক উর্বর
পলিমাটির সৃষ্টি হতো। এ কারণে মিসরের এ অঞ্চলসমূহের জমি
খুব উর্বর হতো। বিখ্যাত গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডটাস মিসরের
উৎকর্ষতা দেখে বিস্মিত হয়ে তিনি মিসরকে “নীলনদের দান” বা
বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রাচীন মিসরীয় রাজনৈতিক ইতিহাস
ধারণা করা হয়, মিসরীয় সভ্যতার যাত্রা শুরু হয়েছিল ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৩২০০ পর্যন্ত
সময়কালকে মিসরের ইতিহাসে প্রাক-রাজবংশীয় যুগ বলা হয়। রাজা মেনেস নামে এক শক্তিশালী সামন্ত রাজা খ্রিস্টপূর্ব
৩২০০ অব্দে উত্তর ও দক্ষিণ মিসরকে একত্রিত করে একটি বড় রাজ্যে পরিণত করেন। তাঁকে মিশরের প্রথম রাজবংশের
প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। উচ্চ মিসরের রাজধানী ছিল থিব্স (ঞযবনবং)। দক্ষিণ মিসরের মেম্ফিশ শহরে নতুন রাজধানী স্থাপন
করা হয়। রাজা মেনেসের পর থেকে তিন হাজার বছর পর্যন্ত প্রাচীন মিসরে ৩১টি রাজবংশের ইতিহাস পাওয়া যায়।
মিসরের প্রাচীন ইতিহাসকে ঐতিহাসিকগণ কয়েকটি পর্বে বিভক্ত করেন। তা হচ্ছে প্রথমত: প্রাক রাজবংশীয় যুগ (খ্রিস্টপূর্ব
৪০০০-৩২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), প্রাচীন রাজত্বের যুগ (খ্রিস্টপূর্ব ৩২০০-২৩০০), সামন্ত যুগ (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০০-২১০০), মধ্য
রাজত্বের যুগ (খ্রিস্টপূর্ব ২১০০-১৭৮৮), বৈদেশিক হিক্সসদের আক্রমণ (খ্রিস্টপূর্ব ১৭৫০-১৫৮০) এবং নতুন রাজত্বের যুগ
(খ্রিস্টপূর্ব ১৫৮০-১০৯০) পর্যন্ত।
প্রাচীন মিসরীয় শাসন ব্যবস্থা
নীল নদের অববাহিকায় প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার সূচনা হয় প্রাক-রাজবংশীয় যুগে। এ যুগে মিসরীয়রা কৃষি কাজে
সেচব্যবস্থার বিভিন্ন কৌশল আবিষ্কার করে। এ ছাড়া তারা লিখন পদ্ধতি, উন্নতমানের কাপড়, সৌরপঞ্জিকা প্রস্তুত করতে
শিখে। ৩২০০ খ্রি: পূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত এ প্রাচীন রাজত্বকালের লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায়। রাজা মেনেস উত্তর ও দক্ষিণ
মিসরকে এক করে একটি বড় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীন মিসরের সম্রাটদের ‘ফারাও’ বলা হতো। ফারাও শব্দের অর্থ
‘বড়বাড়ি’। বিশাল প্রাসাদে বসবাসকারী ফারাওদের মনে করা হতো ঈশ্বরের সন্তান। তাঁরা একই সঙ্গে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক
ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। ‘ফারাও’রা নিজেদের রক্তের বিশুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য ভাই-বোনের সাথে বিয়ের প্রচলন
করেন। সম্রাটের প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োজিত থাকতেন একজন উজির বা প্রধানমন্ত্রী। মিসরের ‘ফারাও’ বা
সম্রাটের মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন রাজা মেনেস, প্রথম আহমোজ, রাজা তুথমোস, সম্রাট ইখ্নাটন, তৃতীয় আমেনহোটেপ এবং
প্রথম ও দ্বিতীয় র‌্যামেসিস। পরাক্রমশালী তৃতীয় র‌্যামেসিসের মৃত্যুর পর শক্তিশালী শাসক না থাকায় ‘ফারাও’ বা
স¤্রাটদের শাসন দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা পরিবর্তনের পর ৫২৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পার্সীয়ানদের হাতে এ সভ্যতার পতন ঘটে।
প্রাচীন মিসরীয়দের জীবন যাত্রা ও সংস্কৃতির পরিচয়
ধর্ম বিশ্বাস
প্রাচীন মিসরীয়রা বিশ্বাস করত যে, প্রকৃতিকে দেবদেবীরাই নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে থাকে। তাই প্রাচীন মিসরীয় সমাজে
ধর্মের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। আর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ধর্মের প্রভাব ছিল অত্যন্ত প্রকট। প্রধান ধর্মীয় নেতা ছিল রাজা বা ফারাও।
তাদের প্রধান দেবতার নাম ছিল ‘আমন রে’ (অসসড়হ জব)। নীলনদের দেবতা নামে খ্যাত ছিল ওসিরিস (ঙংরৎরং)।
মিসরীয়রা আত্মার অবিনশ্বরতা ও পূনর্জন্মে বিশ্বাসী ছিল। তাদের ধারণা ছিল দেহ ছাড়া আত্মা ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভে
বঞ্চিত হবে। এজন্যই তারা ফারাও বা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞান-সম্মত পদ্ধতিতে মমি প্রস্তুত
করত। মমিকে যুগ পরস্পরায় অক্ষত রাখার জন্য নির্মাণ করা হয় সমাধি স্তম্ভ পিরামিড। তবে ধর্ম বিশ্বাসে ন্যায় অন্যায়ের
বা পাপ-পূণ্যের বিশ্বাসও জড়িত ছিল। মিসরীয় সমাজে পুরোহিতদের দৌরাত্ম ছিল ব্যাপক। খ্রিস্টপূর্ব ১৩৭৫ অব্দে রাজা
চতুর্থ আমেনহোটেপের নেতৃত্বে একটি ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। তিনি প্রধান পুরোহিতদের মন্দির থেকে বহিস্কার
করে একক দেবতা এটন (অঃড়হ) (বা একেশ্বর) এর পূজা করার নির্দেশ দেন। তাদের ধারণা ছিল, পাপ-পূণ্যের বিচারের
মাধ্যমে পুণ্যবানকে সুখময় স্থানে ও পাপীকে অন্ধকার ঘরে নিক্ষেপ করা হবে।
মিশরের নীলনদ
লিখন ও লিপি পদ্ধতি
সভ্যতার ইতিহাসে মিসরীয়দের অন্যতম প্রধান অবদান লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার। নগরসভ্যতা গড়ে তোলার সাথে
মিসরীয়রা প্রথম লিখন ও লিপি পদ্ধতি আবিষ্কার করে। এই লিখন
পদ্ধতির নাম ছিল হায়ারোগিøফিক (ঐরবৎড়মষুঢ়যরপ) বা চিত্র লিখন
পদ্ধতি। এটি গ্রীকদের দেয়া নাম। যার অর্থ দাঁড়ায় ‘পবিত্র লিপি’। এ
হায়ারোগিøফিক পদ্ধতির রূপ পাওয়া গিয়েছে। এ লিখন পদ্ধতি তার
চারিত্রিক বিন্যাসের দিক থেকে তিনটি রূপ পায়। যেমন- চিত্রভিত্তিক,
অক্ষরভিত্তিক ও বর্ণভিত্তিক। খোদাই কাজ করা বা চিত্রে প্রদর্শন করাএই পদ্ধতির ২৫টি বর্ণ ছিল এবং প্রতিটি বর্ণ একটি বিশেষ চিহ্ন বা
অর্থ প্রকাশ করতো। মিসরেই প্রথম মানব জাতি ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে
লিখন পদ্ধতির উদ্ভাবনে সক্ষম হয়। প্যাপিরাস নামক নলখাগড়া দিয়ে
বিশেষ পদ্ধতিতে উন্নতমানের কাগজের আবিষ্কার মিসরীয়দেরই অবদান।
দর্শন ও বিজ্ঞান
আধুনিক সভ্যতা অনেকটা প্রাচীন মিসরীয় দর্শন ও বিজ্ঞানের নিকট দায়বদ্ধ। সে যুগে জ্ঞানচর্চার সূত্রপাত হয়। প্রাচীন
মিসরে কারিগরিবিদ্যার প্রসার লাভ করেছিল। ব্রোঞ্জ ব্যবহারের ফলে নানা প্রকার অস্ত্র ও যন্ত্র আবিষ্কার হয়। মিসরীয়রা
গণিত শাস্ত্র ও জ্যোতির্বিদ্যায় বিশেষ পারদর্শি ছিল বলে জানা যায়। তারা নিকটবর্তী নক্ষত্রদের পর্যবেক্ষণ করার কৌশলও
আয়ত্ব করেছিল। মিশরীয়রা নীলনদের জোয়ার-ভাটা নির্ণয় এবং এ সম্বন্ধীয় সম্যক জ্ঞান আয়ত্ত¡ করেছিল। মিসরীয়
বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম জ্যামিতি ও গণিত শাস্ত্রের উদ্ভাবন করেন। তারা যোগ-বিয়োগের ব্যবহার জানলেও গুণ ও ভাগ করতে
জানতো না। মধ্য রাজবংশের যুগ থেকে মিসরীয়গণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করেন। মিসরীয়রা চক্ষু, দন্ত ও পেটের
পীড়া রোগের চিকিৎসা আবিষ্কারে সক্ষম হয়। তারা বিভিন্ন রোগ ও ঔষধের নাম লিপিবদ্ধ করেন এবং ‘মেটেরিয়া মেডিকা’
) বা ঔষধের তালিকা প্রণয়ন করেন। মৃতদেহকে অক্ষত রাখার জন্য মিসরীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানী এক
ধরনের ঔষুধ আবিষ্কার করেছিল। ধারণা করা হয় সে যুগে দাঁত, চোখ ও পাকস্থলি প্রভৃতির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিল।
পিরামিড
মিসরীয়দের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্মাতা বলা হয়। প্রাচীন মিসরীয় শিল্পকলা ও স্থাপত্যের আশ্চর্য নিদর্শন ‘পিরামিড’। পাথর
দিয়ে নিখুঁতভাবে তৈরী ত্রিকোনাকার পিরামিড আজও মিসরের কায়রো শহরের অদূরে সভ্যতার ইতিহাস বহন করছে। এ
সকল পিরামিডের অভ্যন্তরে মিসরের রাজা এবং সম্ভ্রান্ত লোকদের মৃতদেহ (মমি) করে রাখা হয়েছে। লক্ষাধিক পাথর
টুকরো করে নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে এই পিরামিড তৈরী করা হতো এবং এক একটা পিরামিড চার থেকে পাঁচশ ফুট উচু
ছিল। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় মিসরীয়দের বিজ্ঞান ও কারিগরি কৌশল কি পরিমান উন্নত ছিল। মিসরে অনেক
পিরামিড আছে, এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ফারাও খুফুর পিরামিড।
মিসরীয় সভ্যতার পতন
প্রাচীন মিসরের বিশতম রাজবংশের শেষ সম্রাট ছিলেন একাদশ রামসেস। এ সময় মিসরে গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। ১০৮০
খ্রিঃপূর্বাব্দে থিবস শহরের প্রধান পুরোহিত বা ধর্মযাজক সিংহাসন দখল করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৫২৫ অব্দে পারস্য রাজশক্তি
মিসর অধিকার করলে মিসরীয় সভ্যতার অবসান ঘটে। অতঃপর ৩৩২ খ্রিঃপূর্বাব্দে গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার মিসর
অধিকার করেন। তারপর থেকে মিসরে “টলেমী রাজবংশ” প্রতিষ্ঠিত হয়। টলেমী রাজবংশ দীর্ঘদিন মিসর শাসন করে।
এই বংশেরই রাণী ছিলেন বহু আলোচিত ও জগত খ্যাত রানী ক্লিওপেট্রা। ক্লিওপেট্রার সময় মিসর বারবার রোমানদের দ্বারা
আক্রান্ত হয়। কালক্রমে রোমানরা মিসরে রোমান শাসন বিস্তার করে। মিসর থেকে রোমানদের দূরে রাখতে রোমান
সম্রাটদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন চতুর ক্লিওপেট্রা। মিসরীয় রীতি অনুযায়ী তাঁর বিয়ে হয়েছিল নিজের ভাই টলেমির
সঙ্গে। এর কয়েক বছর পর জুলিয়াস সিজার পম্পেই বিজয়ের মাধ্যমে মিসরে আসেন। তিনি প্রেমে পড়েন ক্লিওপেট্রার।
জুলিয়াস সিজারের শক্তিশালী সৈন্যবাহিনীর সমর্থনে টলেমি রাজ্যচ্যুত হন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। হায়ারোগি−ফিক
শিক্ষার্থীর কাজ পৃথিবীর মানচিত্রে মিসরের অবস্থান নির্ণয় করুন।
বিশ্ব মানচিত্রে মিসরের আশপাশে কোন
কোন রাষ্ট্র অবস্থিত? মিসরের মধ্যদিয়ে নীলনদের গতিপথ
দেখান।
নীলনদের পতিত স্থান
ভূমধ্যসাগরের চিত্র আঁকুন।
সারসংক্ষেপ :
মিসরীয় সভ্যতা ছিল প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম। এ সভ্যতায় নগর সভ্যতা সৃষ্টিতে অনুক‚ল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময়
নানা আবিষ্কার বিশেষ করে পিরামিড ও লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার নগর সভ্যতার উদ্ভবে সহায়তা করে। মিসরীয় সভ্যতা
আধুনিক সভ্যতার পথ প্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত হয়। সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞান সম্মত
পদ্ধতিতে মমি প্রস্তুত করত। তাদের প্রধান অবদান লিখন, লিপি এবং হায়ারোগিøফিক (ঐরবৎড়মষুঢ়যরপ) বা চিত্র লিখন
পদ্ধতির আবিষ্কার। প্রাচীন মিসরীয় শিল্পকলা ও স্থাপত্যের আশ্চর্য নিদর্শন ছিল ‘পিরামিড’।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. মিসরীয় সম্রাট বা রাজাদের উপাধী ছিলÑ
ক. ফারাও খ. ইখনাটন গ. সম্রাট ঘ. বাদশাহ
২. প্রাচীন মিসরের টলেমী রাজবংশের বিখ্যাত রানী-
ক. রানী ফারাহ খ. রানী ক্লিওপেট্রা গ. রানী ইমেলদা ঘ. রানী নূর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
আপনি বন্ধুদের নিয়ে মিসরে বেড়াতে গেলেন। সেখানে গিয়ে দেখলেন অনেক উঁচু-নিচু পাহাড়। আসলে সেগুলো ছিল
মিসরীয় পিরামিড। পিরামিডের সৌন্দর্য অবলোকন করলেন এবং সেখানকার মানুষ সম্পর্কেও ধারণা হল।
৩। মিশরের পিরামিড তৈরীর কারণর. মিসরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য রর. মৃতদেহকে দীর্ঘ কাল অক্ষত রাখার জন্য
ররর. মিসরীয় রাজাদের উপাসনার জন্য।
কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) রর (গ) ররর (ঘ) র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন:
যমুনা নদীর সাথে আজীবন সংগ্রাম করে আসছে সুমন। সে সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা। এখানে তার বাপ-দাদার বসতভিটে
রয়েছে। যশোরে সুমনের মামাতো ভাই মিজানুর বাস করে। মিজানুর সিরাজগঞ্জ এলাকায় বেড়াতে গিয়ে জানতে পারল,
প্রতিবছর জুলাই হতে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে যমুনা নদীর উভয় তীর প্লাবিত হয়। কিন্তু শহরবাসী বসে না থেকে সরকারের
সাহয্য নিয়ে নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করে। তবে প্লাবনের ফলে পলিমাটির গুণে প্রচুর শস্য জন্মে।
ক. মিসরীয় সমাধিকে কী বলা হতো? ১
খ. মিসরীয়দের লিখন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করুন। ২
গ. উদ্দীপকের শহরের সাথে মিসরীয় সভ্যতার ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করুন। ৩
ঘ. সিহাবের শহরের সাথে কোন সভ্যতার মিল খুঁজে পাওয়া যায় বর্ণনা করুন। ৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]