মুখ্য শব্দ দাসত্বপ্রথা, নারীর জীবন্ত কবরস্থকরণ, দাসত্বপ্রথা, সুদপ্রথা, ব্যাভিচার ও কুসংস্কার
জাহিলিয়া যুগে আরবের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়। তারা মানবেতর জীবনযাপন করতো।
তারা আইন কানুনের কোনো প্রয়োজন মনে করতো না। তারা বিশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপন করতো। আরবরা
ছিল স্বাধীনচেতা। তাই তারা শাসনের কোনো পরোয়া করতো না। তারা অসংখ্য গোত্রে বিভক্ত ছিল। গোত্রে গোত্রে শত্রæতা
ছিল তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তুচ্ছ কারণে গোত্রে গোত্রে কলহ বেঁধে যেত এবং তা যুগ যুগ ধরে চলতে থাকতো। খুনের
বদলা নেয়ার জন্য তারা যুদ্ধ করতো। ইসলাম-পূর্ব যুগে আরবে প্রায় ১৭০০ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ সময় আরবে
বংশভিত্তিক ও গোত্রভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত ছিল। এ প্রসঙ্গে মওলানা আকরম খাঁ বলেন, “প্রাক-ইসলাম যুগে
সেখানে যে বংশগত ও গোত্রগত কৌলীন্য প্রভাব অপ্রতিহতভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।”
সামাজিক অবস্থা
ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরবের সামাজিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত শোচনীয়। বিভিন্ন পাপাচার, ব্যাভিচার, দুর্নীতি,
কুসংস্কার, অনাচার, অরাজকতা, ঘৃণ্য আচার-অনুষ্ঠান ও নিন্দনীয় কর্মকাÐে সমাজ কলুষিত হয়ে পড়েছিল। গোত্রভিত্তিক
আরব সমাজের দুটো পৃথক শ্রেণি মরুবাসী বেদুইন এবং শহরবাসী আরবদের জীবনযাত্রা প্রণালি ছিল একই সূত্রে গাঁথা।
উভয় শ্রেণির বৈবাহিক সম্পর্ক ও আচার অনুষ্ঠান, ধ্যানধারণা ও রীতিনীতি ছিল প্রায় একই রকম।
মদ ও জুয়া : ঐতিহাসিক খোদা বখ্শ-এর মতে,
অর্থাৎ, মদ, জুয়া ও নারী- এ তিনটি ছিল আরবদের মুখ্য নিত্যব্যবহার্য বস্তু। মদ এবং নর্তকী ছাড়া তাদের জীবন
কল্পনাও করা যেত না। তারা মদ্যপানে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল। মাদকাসক্ত আরবরা যে কোনো গর্হিত কাজ করতে দ্বিধা
করতো না। তৎকালীন আরব দেশে মদ্যপান ও জুয়া খেলা কত লোককে যে সর্বস্বান্ত করেছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
নারীর অবস্থান : ঐতিহাসিকদের প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী সে যুগে আরব, রোমান ও পারস্য সাম্রাজ্যসহ সমগ্র বিশ্বে সমভাবে
নারীর অবস্থা ছিল সীমাহীন অবমাননাকর ও হৃদয়বিদারক। তারা ভোগের সামগ্রী ও অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত
হতো। সমাজে তাদের কোনো রকম মান-মর্যাদা বা অধিকার ছিল না। একজন পুরুষ যত খুশি বিয়ে করতো এবং যত খুশি
তালাক দিতে পারত। তৎকালীন আরবে চার ধরণের বিবাহ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।
প্রথমতঃ এক নারী-পুরুষের বিয়ে,
দ্বিতীয়তঃ এক ব্যক্তি একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করতো ও
তৃতীয়তঃ একজন স্ত্রীলোক একাধিক পুরুষকে বিয়ে করতো।
চতুর্থতঃ পন্থাটি ছিল বর্তমান সময়ের পতিতালয়ের মতো। একজন রমণী তার গৃহের সামনে একটি নির্দিষ্ট পতাকা স্থাপন
করে রাখত। এর মাধ্যমে লোকজন গৃহটি শনাক্ত করতে সক্ষম হতো। মোটকথা, মানবতা-বিবর্জিত জাহিলী যুগে নারীর
কোনো মূল্যই ছিল না। নারীকে আপদ অশুভ বলে মনে করা হতো।
কন্যা সন্তানদের অবস্থা: জাহিলী যুগে কোনো ব্যক্তি তার কন্যা সন্তানের জন্মে খুশি হতো না। কন্যার জন্ম সংবাদ দেয়া
হলে তাদের চেহারা লজ্জায় কালো হয়ে যেত। এটা তাদের নিকট ছিল এক চরম লজ্জার ব্যাপার। অনেক পিতা এ চরম
লজ্জার হাত থেকে বাঁচার জন্য, আবার অনেকে দারিদ্র্যের ভয়ে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দিতেও কুণ্ঠাবাধ করতো না।
দাসপ্রথা: প্রাচীনকাল থেকেই আরব সমাজে দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল। শুধু আরব নয়, সমকালীন সমগ্র বিশ্বেই দাসপ্রথা
প্রচলিত ছিল। মানুষ মানুষের প্রভু, মানুষ মানুষের দাস। বাজারে পণ্যদ্রব্যের মতো শৃঙ্খলবদ্ধ করে তাদের বিক্রি করা
হতো। বিভিন্ন যুদ্ধে বন্দি হয়ে আসা কিংবা জোরপূর্বক ধরে আনা মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলা পরিয়ে দেয়া হতো। কখনো বা
পরিশোধে অক্ষম ঋণ গ্রহীতা ঋণদাতার ক্রীতদাসে পরিণত হতো। আবার অনেক সময় জুয়া খেলায় অনবরত হারতে
হারতে ব্যক্তিটি বিজয়ী লোকের ক্রীতদাস হয়ে যেত। এভাবে ক্রীতদাস প্রথার সৃষ্টি হয়েছিল। দাস-দাসীদের সামাজিক ও
ব্যক্তি অধিকার বলতে কিছুই ছিল না। মনিবের ইচ্ছাই ছিল সবকিছু। এমনকি বিয়ের অধিকারও তাদের ছিল না। কেউ
যদিও বা বিয়ের অনুমতি পেত, তবে তার সন্তানের মালিক হতো মনিব। সামান্যতম অপরাধেও দাসদের নিষ্ঠুর নির্যাতন
করা হতো। তাদের দুরবস্থা সম্পর্কে সৈয়দ আমীর আলী বলেন- “ভৃত্যই হোক আর ভূমিদাস হোক, তাদের ভাগ্যে ক্ষীণ
আশা তথা এক কণা সূর্যরশ্মিও কবরের এদিকে অর্থাৎ ইহজীবনে জুটত না।”
সুদপ্রথা: জাহিলী যুগের সমাজব্যবস্থায় সুদ ছিল শোষণের হাতিয়ার। সুদের পরিমাণ ছিল কখনো কখনো একশ ভাগ;
আবার বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে স্থানভেদ দুশ ভাগ পর্যন্ত। প্রাক্ ইসলাম যুগে আরবে ইহুদিরা সুদের ব্যবসায় করতো। তারা
দরিদ্র আরবদের থেকে এত উচ্চহারে সুদ আদায় করতো, অনেক সময় ঋণগ্রহীতা উচ্চহারে সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হতো।
সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে ঋণগ্রহীতার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সাথে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকেও ঋণদাতা জোর করে
নিয়ে যেত।
ব্যাভিচার : ব্যভিচার বেহায়াপনা আরব সমাজে একটি গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ব্যভিচারের মাত্রা এত অধিক
ছিল, স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে অন্য লোকের সন্তান স্বগর্ভে ধারণের অনুমতি দিত। পিতার মৃত্যুর পর সন্তানরা বিমাতাকে স্ত্রীরূপে
গ্রহণ করতো। একই সময়ে একজন স্ত্রীলোকের একাধিক স্বামী থাকত। অনেক সময় ভ্রাতা ভগ্নি এবং সৎমা ও পুত্রের মাঝে
বিয়ে সংঘটিত হতো। সামাজিক অনাচার ব্যভিচার, নৈতিক অধঃপতন, লাম্পট্য, চরিত্রহীনতা, মদ্যপান, জুয়া, লুটতরাজ,
নারীহরণ, কুসীদ প্রথা প্রভৃতি নানা অব্যবস্থায় আরব সমাজ কলুষিত ছিল।
কুসংস্কার : কোনো কাজ আরম্ভ করার পূর্বে কুসংস্কারের বশবর্তী আরবরা তীরের সাহায্যে দেব মূর্তির সাথে পরামর্শ করে
নিত। কোনো লোক মারা গেলে তার উট কিংবা ঘোড়া তার কবরের পার্শে এ বিশ্বাসে বেঁধে রাখা হতো, মৃতব্যক্তি কোনো
এক সময় কবর থেকে উঠে কবরের পাশে বেঁধে রাখা সওয়ারীর পিঠে আরোহণ করে অজ্ঞাত গন্তব্যে যাত্রা করবে।
নিষ্ঠুরতা : জাহিলী যুগের আরব সমাজ ছিল নিষ্ঠুরতায় ভরপুর। অভিজাত আরবরা নিছক খেলাচ্ছলে নারীদের ঘোড়ার
লেজের সাথে বেঁধে ঘোড়া ছুটিয়ে দিত। এতে হতভাগা নারীর মৃত্যু হলে তা প্রত্যক্ষ করে তারা আনন্দ উল্লাস করতো।
কন্যা সন্তানদের তারা জীবন্ত কবর দিত এবং হাসতে হাসতে তারা একে অপরকে খুন করতেও দ্বিধা করতো না।
আভিজাত্য ও অহংকার : সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সব মানুষের মর্যাদাই আল্লাহর কাছে সমান। অথচ জাহিলী যুগে
আরবের নেতৃস্থানীয় লোকেরা মানুষকে বহু দলে বিভক্ত করে রেখেছিল। গরিব, অসহায় লোকদের প্রতি ছিল তাদের চরম
ঘৃণা। অহংকার, আত্মম্ভরিতা, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা প্রভৃতি কারণে তাদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ প্রকট আকার ধারণ
করেছিল।
অর্থনৈতিক অবস্থা
আরবের ভৌগোলিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত প্রতিকূল। আরব উপদ্বীপের জমি মরুময় ও অনুর্বর হওয়ায় তা কৃষিকাজের সম্পূর্ণ
অনুপযোগী ছিল। সামান্য যে খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন হতো প্রয়োজন তুলনায় তা খুবই নগণ্য ছিল। তাই আরববাসীদের সর্বদা
জীবন সংগ্রামে নিয়োজিত থাকতে হতো। মরুবাসী বেদুইনরা ব্যবসায-বাণিজ্য, শিল্প কারুকার্য বিংবা ভূমিকর্ষণ তাদের
মর্যাদা হানিকর বলে মনে করতো। এজন্য তারা পশুপালন, শিকার ও দস্যুবৃত্তিকে জীবিকা নির্বাহের পন্থা হিসেবে বেছে
নেয়। আরবের কয়েকটি অর্থনৈতিক শ্রেণী হলো:
গরিব যাযাবর: গরিব যাযাবর আরববাসীর আর্থিক অবস্থা ছিল সবচেয়ে বেশি শোচনীয়। পশুচারণ ও লুণ্ঠন করে তারা
জীবিকা নির্বাহ করতো। যাযাবররা এতই হত দরিদ্র ছিল যে, দিন এনে দিন খেত। ১০০০-এর বেশি সংখ্যাজ্ঞান তাদের
ছিল না।
কুসীদজীবী ইহুদি: তৎকালে আরবে ধনী বণিকশ্রেণি ইহুদিরা সুদের ব্যবসা করতো। তারা কখনো কখনো শতকরা একশ,
দেড়শ বা দ’ুশ গুণ পর্যন্ত সুদ নিত। সুদী কারাবারের নিয়মাবলি এতই জঘন্যতম ছিল যে, ঋণগ্রহীতা অনেক সময় সর্বস্বান্ত
হয়ে যেত। চক্রবৃদ্ধি হাতের সুদের প্রচলন থাকায় গ্রহীতার পক্ষে কোনো দিনই ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হতো না। মহাজন
সুদের টাকার বিনিময় স্বরূপ ঋণগ্রহীতার ঘরবাড়ি, স্ত্রী, সন্তান এমনকি স্বয়ং খাতককেই তার দাস হিসেবে করায়ত্ত করতো।
কারিগর শ্রেণি: পৌত্তলিক আরবে কারিগর হিসেবে পরিচিত একশ্রেণির পেশাজীবী মানুষ ছিল। তারা হচ্ছে মূর্তি নির্মাতা
শ্রেণি। আরবদের পূজ্য সকল মূর্তি এরাই নির্মাণ করতো। সমাজে এদের বেশ সম্মান ছিল। পৌত্তলিকদের ছাড়া ইহুদি,
খ্রিষ্টানরাও মূর্তি তৈরি করতো। কাজেই তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং সামাজিক মর্যাদার অধিকারী ছিল।
শহরকেন্দ্রিক ব্যবসায়ী : শহরবাসী আরবগণ ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। প্রাক ইসলামী যুগে
মক্কা বহির্বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র ছিল। এ কেন্দ্র উত্তর ও দক্ষিণ আরবের পথে বিদেশের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেনে বিপুল
অর্থ উপার্জন করতো। মক্কা ও মদিনার সম্পদ সমৃদ্ধিতে বৈদেশিক বাণিজ্যের অবদানই সর্বাধিক। রাসূলে করীম (সা.)-এর
প্রথমা স্ত্রী বিবি খাদিজাতুল কুবরা (রা) এ সময়কার মর্যাদাসম্পন্ন ব্যবসায়ী ছিলেন।
মক্কাকেন্দ্রিক ব্যবসা: প্রাকইসলাম যুগে হিজাযের প্রধান তিনটি নগরী- মক্কা, মদিনা ও তায়িফ খুবই সমৃদ্ধিশালী ছিল।
দক্ষিণ হিজাযের নিম্নভূমিতে লোহিত সাগর থেকে প্রায় ৪৮ মাইল দূরে অবস্থিত মক্কা নগরী ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বেই
অন্যতম প্রধান ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। কাবা শরীফের ধর্মীয় গুরুত্ব, উকায মেলা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য মক্কা
নগরী যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিল। মক্কার প্রায় ২০০ মাইল উত্তরে মদিনা শহর অবস্থিত। মদিনার সাথে ইয়েমেন ও
সিরিয়ার বাণিজ্যপথ সংযুক্ত ছিল।
তায়িফকেন্দ্রিক অর্থব্যবস্থা: সে সময় তায়িফ ব্যবসায় বাণিজ্যে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেন। অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের
কারণে তায়িফে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য বিশ্বের বাজারে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হতো। মক্কার প্রায় ২০০ মাইল উত্তরে
অবস্থিত মদিনা ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত প্রসারিত বাণিজ্যপথের সাথে সংযুক্ত ছিল। ভূমির উর্বরতার জন্য মদিনায়
প্রচুর ফসল উৎপন্ন হতো। সে সময় এখানকার খেজুর একটি উল্লেখযোগ্য অর্থকরী ফসল হিসেবে সুপরিচিত ছিল।
বেদুইন কারা? আরবের প্রধান কৃষি পণ্যের
> নাম লিখ।
মক্কার অর্থনৈতিক
নিদর্শন কী কী ?
কোন কোন দেশের সাথে আরবের
ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় ছিল?
সারসংক্ষেপ :
মহানবী (সা.) এর আগমনের পূর্বে আরবের সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ছিল বিপর্যস্ত। পুরুষরা যেমন একাধিক স্ত্রী,
উপপতœী, দাসদাসী রাখতে পারত, তেমনি নারীরাও একাধিক পতি রাখতে অথবা তালাক দিতে পারত। শুধু তাই নয়;
ভাই বোনো বিয়ে এবং বিমাতাকে বিয়ে করার কুপ্রথাও তাদের মাঝে চালু ছিল। দাস-দাসীর উপর অত্যাচার, শ্রমিকের
প্রতি অবিচার, ব্যভিচার, অনাচার এত স¤প্রসারিত হয়েছিল যে, সামাজিক শৃঙ্খলাবোধ ও পারিবারিক কাঠামো
সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছিল। উচ্ছহারে সুদ গ্রহণ আরবদের নিকট কোনো দূষণীয় ব্যাপারে ছিল না। চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের
টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে মহাজন ঋণগ্রহীতার স্ত্রী ও সন্তানদের হস্তগত করে দাসদাসীরূপে বিক্রয় করতো।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. মহানবীর আগমনের পূবের্ আরবে প্রায় কতটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়
ক. ১৭০০ খ. ২৭০০০
গ. ৭০০০ গ. অগণিত
২. জাহিলী যুগে কন্যা সন্তানকে হত্যা করা হত-
ক. লজ্জার কারণে খ. খাদ্যের অভাবে
গ. সামাজিক বিড়ম্বনায় গ. ক, খ ও গ
৩. আরবে ব্যাপকহারে সূদ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল কোন স¤প্রদায়?
ক. কূরাইশ খ. খ্রিষ্টান
গ. ইহুদী গ. ক, খ ও গ
চূড়ান্ত মূল্যায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন:
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বক্তৃতায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জামিলা বলেন, “নারীর উন্নয়ন ব্যতিরেকে দেশের সামগ্রিক
উন্নতি সম্ভব নয়। আজো মেয়ের জন্মে অনেক বাবা- মা মন খারাপ করে থাকেন। এসব হীনমন্যতা ও অশিক্ষার কুফল
মাত্র। আসুন দেশ ও সমাজের উন্নয়নের প্রতিবন্ধক সুদ, ঘূষ ও মাদক দ্রব্যের বিলোপ সাধনের পাশাপাশি নারীর প্রতি
বৈষম্য দূরীকরণে সোচ্ছার হই।
(ক) স্থলদস্যু কারা? ১
(খ) আরবের লোকেরা কন্যা সন্তানকে কেন জীবন্ত কবর দিত? ২
(গ) উদ্দীপকের আলোকে আরবের সমাজিক চিত্র তুলে ধরুন। ৩
(ঘ) চক্রবৃদ্ধি হারে সূদ আরবদের জীবনকে বিষময় করে তুলেছিল- উক্তিটি বিশ্লেষণ করুন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র