মুখ্য শব্দ আবু তালিব, আস ইবনে হিশাম, আওয়াদ ও আবুল হাকাম
কুরাইশদের অত্যাচার ও নির্যাতন
মক্কার কুরাইশরা ছিল কাবার তত্ত¡াবধায়ক। কাবাকে কেন্দ্র করে তাদের গড়ে উঠেছিল বিরাট প্রভাব-প্রতিপত্তি।
পৌত্তলিকতার সাথে তাদের সামাজিক, ধর্মীয় ও অর্থ উপার্জনের বিষয়টি জড়িত ছিল। তাই তারা হযরত
মুহাম্মদ (সা.) প্রচারিত একত্ববাদের ধর্ম ইসলামকে মেনে নিতে পারল না। তারা নতুন জীবনব্যবস্থা প্রচারকে একটা মহা
ধৃষ্টতা বলে মনে করতে থাকে। ইসলামের প্রসারকে রুখতে নানা রকমের অত্যাচার শুরু করে।
আবু তালিবের সমর্থন
কুরাইশরা রাসূল (সা.)-এর চরম বিরোধিতায় লিপ্ত হলে চাচা আবু তালেব রাসূল (সা.)-এর প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন ঘোষণ
করেন। আবু তালেব নিজে ইসলাম গ্রহণ না করেও মহানবী (সা.)-কে সর্বতভাবে সমর্থন করেন, এজন্য কুরাইশরা রাসূল
(সা.)-এর চরম বিরোধিতা সত্তে¡ও কিছুই করতে পারেনি।
আবু তালেবের কাছে কুরাইশ প্রতিনিধিদল
মুহাম্মাদ (সা.)-এর অনড় অবস্থান আর কঠিন সিদ্ধান্ত আঁচ করতে পেরে কুরাইশ নেতারা আর ধৈর্য ধরতে পারেনি।
কুরাইশরা যখন দেখল তাদের অসন্তুষ্টিতে মুহাম্মদ(সা.)-এর কোনো প্রতিক্রিয়া হচ্ছে না, অন্যদিকে আবু তালেবও তাঁকে
প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, সর্বশেষ তারা পরামর্শক্রমে একত্র হয়ে আবু তালেবের কাছে একে একে তিনবার প্রতিনিধি
দল পাঠায়।
(১) প্রথম প্রতিনিধি দলে বিখ্যাত কুরাইশ নেতাদের মধ্যে ছিল উত্বা, শাইবা, আবু সুফিয়ান, আবু জাহল, আস ইবনে
হিশাম, আওয়াদ, আবুল হাকাম প্রমুখ। তারা বলে, হে আবু তালেব! তোমার ভ্রাতুষ্পুত্র আমাদের মাবুদদের গালি দিচ্ছে,
দোষারোপ করছে, আমাদের পূর্বপুরুষদের ভ্রষ্ট বলছে। এখন তুমি তাকে এসব থেকে বারণ কর, অথবা তার প্রতি সমর্থন
পরিহার কর। অন্যথায় আমরা এ ব্যাপারে যে কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে একটুও দ্বিধা করব না। আবু তালিব অযথা
বাকবিতÐা না করে বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে কোমল ভাবে বুঝিয়ে তাদের বিদায় করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) যথারীতি
ইসলামের প্রচারের কাজে ব্যাপৃত থাকলেন।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়ে কুরাইশ নেতারা আবু তালিবের নিকট গমণ করে বলল, ‘হে আবু তালিব! বয়সে আপনি আমাদের চেয়ে
বড়, সম্মান-মর্যাদায়ও উচ্চ, আমরা অনুরোধ করেছিলাম আপনি আপনার ভাতিজাকে আমাদের দেবমূর্তিদের বিরুদ্ধে বলা
থেকে বারণ করবেন, কিন্তু আপনি তা করেননি। এখন আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। আপনার মাধ্যমে আমরা
মুহাম্মদ (সা.) কে শেষবারের মতো সুযোগ দিয়ে আমরা আপনাকে সাবধান করছি। এতে যদি কাজ না হয়, তাহলে আমরা
তার বিরুদ্ধে আমৃত্যু যুদ্ধ চালিয়ে যাব। এতদূর গড়াতে দেখে আবু তালিবও আর বিষয়টা সহজভাবে মেনে নিতে
পারেননি। এতে তিনি বিব্রত হয়ে পড়েন, তাঁর জন্য সমস্যা ছিল তিনি সরাসরি ইসলামও গ্রহণ করতে চাননি; আর
রাসূললুল্লাহ (সা.) নিহত বা অপদস্থ হোক তাও চাননি। তিনি এমনি চিন্তিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে ডেকে বললেন“ভাতিজা, তোমার স্বজাতি একত্র হয়ে আমার নিকট এসেছিল। তারা আমার সাথে কথাবার্তা বলেছে। তুমি আমার এবং
তোমার নিজের ওপর করুণা কর। আমার ওপর এমন বোঝা অর্পণ করো না, যা বহন করতে আমি অসমর্থ।”
চাচার কথায় মহানবী (সা.) বললেন-“চাচা! আল্লাহর কসম, আমি যা কিছু করছি তা সবই আল্লাহর আদেশমাত্র। যদি
এসব লোক আমার ডান হাতে সূর্য আর বাম হাতে চন্দ্র এনে দেয়, তাহলেও আমি এ মহাসত্যের প্রচার ও নিজের কর্তব্য
থেকে বিরত হতে পারব না। হয় আল্লাহ একে জয়যুক্ত করবেন, না হয় আমি ধ্বংস হয়ে যাব, কিন্তু চাচা! মনে রাখবেন
মুহাম্মদ কখনই নিজের কর্তব্য থেকে বিরত হবে না।” একথা শুনে আবু তালিবের অন্তর বিগলিত হয়ে গেল। তাঁর
মনমানসিকতায় এ দৃঢ় উক্তির বিরাট প্রভাব পড়ে। তিনি বললেন, “ভাতিজা! তোমার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত; তুমি তোমার কাজ
করে যাও। তোমার ব্যাপারে তাদের সাথে আমার কোনো আপস হবে না; হতে পারে না।”
(৩) একপর্যায়ে কাফিররা যখন নিশ্চিত হয়ে গেল, আবু তালেবের কোনো অবস্থায়ই রাসূললুল্লাহ (সা.)-এর পক্ষ ত্যাগ
করবেন না এবং তাঁর জন্য সমগ্র জাতির বিরোধিতা ও শত্রæতার তোয়াক্কা করেন না, তখন তারা আম্মারা ইবনে ওয়ালিদকে
নিয়ে আবু তালিবের নিকট গিয়ে বলল, “আপনি তো আপনার ভাতিজার কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত। এখন আমরা
আপনার নিকট আম্মার ইবনে ওয়ালিদকে নিয়ে এসেছি। সে কুরাইশদের মধ্যে অত্যধিক জ্ঞানী। তাকে আপনি আপনার
ভাতিজার পরিবর্তে নিয়ে নিন, আর মুহাম্মদকে আমাদের হস্তে সমর্পনণ করুন।” এবারও আবু তালেব তাদের প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান করেন
মুসলিমদের উপর নির্যাতন
প্রাথমিক পর্যায়ে সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে লক্ষ্যবস্তু করা সমীচীন হবে না ভেবে কুরাইশরা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন
আরম্ভ করে। হযরত ওসমান (রা:)-কে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়। যুাবাইর ইবনুল আওয়ামকে চাটাইতে
মুড়ে নাকে-মুখে ধোঁয়া প্রদান করা হয়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে কাবা প্রাঙ্গণে অমানুষিক মারপিট করা হয়।
সবচেয়ে অধিক অত্যাচারিত সে সকল ভাগ্যাহত দাস-দাসীরা, যারা মুসলমান হয়েছিল। নিষ্ঠুর উমাইয়া ইবনে খালফ
বিলাল (রা:)-এর গর্দানে রশি লাগিয়ে দুষ্ট বালকদের হাতে সোপর্দ করতো। তারা তাঁকে অলি-গলিতে টেনে ফিরত।
গ্রীষ্মেও প্রচÐ উত্তাপে উমাইয়া তাঁকে মক্কার বাইরে নিয়ে যেত এবং তাঁর শরীর থেকে কাপড় খুলে দুপুরের তপ্ত বালিতে
শুইয়ে দিত। বেলাল (রা:) এ অবস্থায় কেল ‘আহাদ আহাদ’ বা “আল্লাহ এক, আল্লাহ এক” শব্দই উচ্চারণ করতেন।
উম্মে নুমার নাম্নী এক মহিলার ক্রীতদাস ছিলেন হযরত খাব্বাব (রা:)। জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর শুইয়ে দেয়ার ফলে তাঁর
চামড়া গলে চর্বি বের হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এমন অমানবিক ও পাশবিক অত্যাচারেও তাঁরা
ইসলাম ত্যাগ করতেন না; বরং মুখে ‘আহাদ’ নাম জপ করেই যেতেন। এতে তাঁদের ঈমান আরো মজবুত হতো।
আম্মার ইবনে ইয়াসারকেও মরুর তপ্ত বালুর উপর শুইয়ে রাখা হত। কুরাইশরা তাকে মারতে মারতে বেহুঁশ করে ফেলত।
তাকে পানিতে চুবানো হতো এবং জ্বলন্ত অংগারের উপর শোয়ানো হতো। আম্মারের মা হযরত সুমাইয়া (রা:)-কে ইসলাম
গ্রহনের অপরাধে পাপিষ্ঠ আবু জাহল বর্শার আঘাতে পাশবিক পন্থায় হত্যা করে। ইসলাম গ্রহণের কারণে কাফিরদের হাতে
মুসলমানদের এটিই শাহাদাতের প্রথম ঘটনা। আম্মারের বাবা ইয়াসার (রা:)ও কাফিরদের নির্যাতনে শাহাদাত বরণ
করেন। এছাড়াও আবুযর গিফারী, উম্মে শুরাইক, উসমান ইবনে মাযউন,আবু যর, সাঈদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, যুবাইর
ইবনুল আওয়াম, লুবাইনা, যুনাইরা, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:)-প্রমূখ সাহাবীদের উপর নানা রকমের নির্যাতন করা
হয়।
অন্যদিকে অত্যাচারের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে মুসলমানদের সংখ্যাও বাড়তে লাগল। নারকীয় এসব অত্যাচার নির্যাতনের
ঘটনা প্রত্যক্ষ করে রাসূল (সা.)-এর মন অস্থির ও চঞ্চল হয়ে ওঠে। তিনিও কাফিরদের থেকে রেহাই পাননি। তাঁকে
অহরহ যাদুকর, পাগল, কবি ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করতো, নানারূপ ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ করতো। তাঁর যাতায়াত পথে কাঁটা
বিছিয়ে রাখত, কাবা শরীফে সিজদারত অবস্থায় একদা আবু জাহল উটের নাড়িভূড়ি তাঁর ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে দেয়। তাঁকে
অশালীন ভাষায় গালমন্দও করতো।
প্রস্তাব-প্রলোভন
শত অত্যাচার নির্যাতন সত্তে¡ও মুহাম্মদ (সা.) ইসলামের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দেখে কুরাইশ কাফিররা সমাজের সর্বোৎকৃষ্ট
চতুর ব্যক্তি উত্বা ইবনে রাবিয়াকে এক প্রলোভনের প্রস্তাব দিয়ে মহানবী (সা.)-এর কাছে প্রেরণ করে। সে এসে বলল,
“হে মুহাম্মদ! তুমি কি মক্কার রাজত্ব চাও? না কোনো বড় বংশে বিয়ে? নাকি বিপুল সম্পদরাজি? তার সবকিছুই আমরা
তোমার জন্য ব্যবস্থা করতে পারি। তোমার কাছে আমাদের একটিমাত্র আবদার, তুমি বর্তমানে যা করছ, তা থেকে বিরত
থাকবে।” প্রত্যুত্তরে মহানবী (সা.) সূরা ‘হা-মীম-সাজদা’-এর কতিপয় আয়াত তিলাওয়াত করেন। ওতবা অত্যন্ত
মনোযোগ সহকারে সেগুলো শুনতে থাকে। তাতে তার চোখে-মুখে প্রতিক্রিয়ার ছাপ ফুটে ওঠে। সে গিয়ে কুরাইশদের
বলে, “মুহাম্মদ যা বলে তা যাদুও নয়, কাব্যও নয়, তা অন্য কিছু। এ চেয়ে উত্তম কথা আমার কান আর কখনো শুনেনি।
আমার মতে, তোমরা তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দাও। যদি সে বিজয়ী হয়, তাহলে তোমাদেরই নাম; আর যদি আরবরা
জয় লাভ করে তাতেও তোমাদের গৌরব” কুরাইশরা উতবার কাছ থেকে এ ধরনের পরামর্শ শোনার জন্য প্রস্তুত ছিল না;
এতে তারা উতবার ওপর সন্দেহসূচক দৃষ্টি নিবদ্ধ কর তাকে যাদুর প্রভাবে ঘায়েল করা হয়েছে বলে অপবাদ প্রদান করে।
বয়কট
কুরাইশ কাফিররা নির্যাতনের সকল পন্থা চালিয়েও যখন ইসলামের প্রসারকে নিবৃত্ত রাখতে পারলনা, তখন তারা এক
ভয়ানক ষড়যন্ত্রের আঁটে। নবুয়াতের সপ্তম বর্ষের মুহাররাম মাসে মক্কার সব গোত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহানবীর বংশীয় গোত্র বনু
হাশিম-কে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যে, বনু হাশিম যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মদ(সা.)-কে তাদের
হাতে সমর্পণ না করবে এবং তাকে হত্যার অধিকার না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত অন্য গোত্রগুলো তাদের সাথে কোন আতœীয়তার
সম্পর্ক রাখবেনা, বিয়ে-শাদীর সম্পর্ক রাখবেনা, লেন-দেন ও মেলা-মেশা করবেনা, কোন খাদ্য এবং পানীয়ও তাদের
কোছে পৌঁছাতে দেবে না। শিয়াবে আবু তালেবে এ চুক্তির কারণে বনু হাশিম গোত্র দীর্ঘ তিন বছর পর্যন্ত প্রায় বন্দী
অবস্থায় দিনাতিপাত করেছিল। ক্ষুধা ও পিপাসায় বনু হাশিম ও মুসলমানরা অমানবিক কষ্ট ভোগ করেছিল। অবশ্য
পরবর্তীতে হিশাম বিন আমর, যুহাইর ইবনে উমাইয়া, মুতয়াম ইবনে আদি, আবুল বুখতারী ও যাময়া বিন আসওয়াদ প্রমুখ
ব্যাক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় এ চুক্তি বাতিল করা হয়।
আবিসিনয়িায় হিজরত
অমানবিক নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মহানবী (সা.) মুসলমানদের আবিসিনয়িায় হিজরতের অনুমতি দেন।
নবুয়াতের পঞ্চম বর্ষে ১১ জন পুরুষ ও চার জন নারী উসমান ইবনে আফ্ফানের নেতৃত্বে প্রথম হিজরত করে। উসমান
(রা:) এর সাথে তদীয় স্ত্রী রাসূল তনয়া রুকাইয়াও গমন করেন। এর কিছূদিন পর ৮৫ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারীর
আরেকটি দল আবিসিনয়িায় হিজরত করে। পৌত্তলিক কুরাইশ কাফিররা আব্দুল্লাই ইবনে রাবীয়া ও আমর ইবনুল আসকে
আবিসিনিয়ার রাজা নাজ্জাসীর দরবারে দূত হিসেবে পাঠায়, যাতে তারা মুসলমানদের সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে
পারে।
ইসলামের প্রচার-প্রসারে কর্তব্যনিষ্ঠা এবং ত্যাগ ছিল মহানবী (সা.)-এর একমাত্র সম্বল। সত্যের মহাসেবক, কর্তব্যের
মহাসাধক মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন আত্মবিশ্বাস, কর্তব্যনিষ্ঠা ও ত্যাগের পূর্ণতর আদর্শ। মানুষের উপেক্ষা ও হয়রানিতে
তিনি কখনো হতোদ্যম হননি, আর না তাদের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়েছেন; বরং এতে তাঁর কাজের প্রতি আগ্রহ আরো বহু গুণ
বেড়ে গেছে।
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম
শহীদ কে ?
মুসলমানরা প্রথম কোন
দেশে হিজরত করেছিল?
কোথায় বনু হাশিমকে
বন্দী করে রাখা হয় ?
প্রথম হিজরতকারী দম্পতি
কোন্টি?
সারসংক্ষেপ :
মহানবী (সা.) নবুয়াত লাভের পর মক্কায় প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। এতে অনেকেই উসলাম গ্রহণ
করে। কাফিররা তাদের বিদ্যমান কতৃত্ব ও নেতৃত্ত¡ বিলুপ্তির আশংকায় মহানবী (সা.)-এর বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। স্বয়ং
মহানবী (সা.)-সহ সাধারণ মুসলিমদের উপর নানারকম নির্যাতন শুরু হয়। সবচেয়ে লোমহর্ষক নির্যাতনের শিকার হন
সমাজের দুর্বল শ্রেনীর পেশাজীবিরা। হযরত বিলাল. খাব্বাব, আম্মার, সুমাইয়াসহ প্রথমদিককার মুসলিমরা কাফিরদের
নির্যাতনে নিস্পেষিত হন। তথাপি একজন মুসলিমও ইসলাম ত্যাগ করেননি। দৃঢ় মনোবল, মজবুত ঈমান ও অক্লান্ত
ত্যাগের বিনিময়ে মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবীরা ইসলামের প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। কুরাইশদরে অত্যাচার থেকে শিষ্যদের বাঁচানোর জন্য রাসূল (সা.) প্রথম রাজনৈতিক আশ্রয়ের হিজরত করতে বলেন-
(ক) আবিসিনিয়ায় (খ) সিরিয়ায়
(গ) জেরুজালেম (ঘ) মদিনায়
২। নাজাশী কোন্ দেশের বাদশাহ ছিলেন?
(ক) সিরিয়া (খ) মিসর
(গ) ইয়েমেন (ঘ) আবিসিনিয়া
৩। “আমুল হুযন” অর্থ কী?
(ক) দুঃখের বছর (খ) অশান্তি
(গ) দুঃসময় (ঘ) অসুস্থতাকাল
৪। কুরাইশরা মহানবি (সা.) ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে তিন বছর পর্যন্ত কোথায় বন্দি অবস্থায় রেখেছিল।
(ক) শিয়াবে আব্দুল মুত্তালিব (খ) শিয়া উপত্যকা
(গ) শিয়াবে আবু তালিব (ঘ) তায়েফ
সৃজনশীল প্রশ্ন
কাজী এম ফজলুল কারীম সমাজের লোকদের দ্বীনের পথে চলার পরামর্শ দেন। প্রভাবশালীদের মহল তার এ দাওয়াতকে
ভালো চোখে দেখেনি। তারা তার শত্রæ হলো। এক পর্যায়ে সমাজপতিরা কাজীর পরিবারের সকল লোককে একঘরে করে
রাখলেন। তারা হাট-বাজার থেকে কোনো খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারতো না। ফলে সেখানে তারা অতি কষ্টে দিনাতিপাত
করতে লাগলো।
(ক) মহানবী (সা.) কত বছর গোপনে ইসলাম প্রচার করেছিলেন? ১
(খ) তায়েফবাসীদের বিরোধিতার অন্যতম একটি কারণ- ব্যাখ্যা কর। ২
(গ) ফজলুল কারীম সাহেবের ঘটনা তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর। ৩
(ঘ) ফজলুল কারীম সাহেবের পরিণতি তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র