হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মদিনা জীবন

হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় আগমনের পর তাঁর মাদানী জীবন শুরু হয়। তাঁর জীবনের এ
অধ্যায় খুবই ঘটনাবহুল। মক্কায় থাকাকালীন সময়ে তিনি শুধু ধর্মপ্রচারকের ভূমিকায় ছিলেন। আর মদিনায় এসে তিনি
রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদা লাভ করেন। ফলে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান। ইসলামের সামাজিক ন্যায়-নীতি
প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময়ে তিনি একাধারে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সামাজিক সংস্কার, অর্থনৈতিক নীতি-নির্ধারণ, শিক্ষা-সংস্কৃতি
ও নতুন সভ্যতার গোড়াপত্তন করেন। সাথে সাথে ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হন।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর জীবনের মাত্র দশ বছর মদিনায় অবস্থান করেছিলেন। এ সময়েই ইসলামের অধিকাংশ বিধান
অবতীর্ণ হয়। ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথে তাঁকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে
হয়েছে। ইসলাম বিরোধী শক্তির সাথে অনেকগুলো সশস্ত্র যুদ্ধ করতে হয়েছে। তিনি ইসলামী আদর্শকে আরবের সমিান
অতিক্রম করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতির কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। খুব কম সময়ের মধ্যে তিন বিশ্ব মানবতার কাছে
একটি চিরন্তন কালজয়ী জীবনব্যবস্থা ও আদর্শ সমাজ কাঠামো উপহার দেন, যা ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তাঁর জীবনের বিস্ময়কর সফলতা এখানেই। মুখ্য শব্দ ইয়াসরিব, ইহুদী, মুনাফিক, পৌত্তলিক ও ‘আসহাবুস-সুফফা’
মদিনা জীবনের প্রাথমিক কার্যাবলী
৬২২ সালের পূর্বে ইয়াসরেব নামক জনৈক আমালেকা নরপতি এ নগরী প্রতিষ্ঠা করে একে রাজধানী মনোনীত
করেন। তাঁর নামানুসারে এ শহর ইয়াসরেব নামে অভিহিত হতে থাকে। মক্কা থেকে প্রায় আড়াইশ মাইল উত্তরে এ নগরী
অবস্থিত। হিজরতের পর মহানবী (সা.)-এর সম্মানে ইয়াসরিববাসী এর নাম পরিবর্তন করে ‘মদিনাতুন্-নবী’ বা নবীর
শহর’ সংক্ষেপে মদিনা রাখেন।
মুহাজির ও আনসার ঃ মদিনায় হিজরতের পর মহানবী (সা.)-এর সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় মুহাজিরদের
পুনর্বাসন নিয়ে। যেসব সাহাবী জন্মভূমি মক্কা ত্যাগ করে হযরতের সঙ্গে মদিনায় চলে এসেছিলেন তাঁদেরকে ‘মুহাজিরীন’
বলা হয়। মহানবী (সা.)-এর প্রতি তাঁদের অপরিসীম ভক্তি, শ্রদ্ধা ছিল। তাঁরা ইসলামের জন্য নিজেদের ঘর-বাড়ি,
আত্মীয়-স্বজন, বিষয়-সম্পদ সব কিছু ছেড়ে এসে নিঃস্ব অবস্থায় মদিনায় আশ্রয় নেন। প্রিয় নবী (সা.) তাঁদের পুনর্বাসনের
ব্যবস্থা করেন। প্রথমত: মদিনাবাসী আনসারদের সাথে মক্কার মুহাজিরদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করেন। দ্বিতীয়ত:
আনসারগণ মুহাজিরদেরকে ভাই বলে গ্রহণ করেন এবং নিজেদের ধন-সম্পদে মুহাজির ভাইকে অংশ দেন।
মদিনাবাসী মুসলিমগণ মক্কা থেকে আগত উদ্বাস্তু মুহাজিরীন ভাইদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন, দুঃখ দুর্দশায় সাহায্য
করেছিলেন এবং মহানবী (সা.)-কে সকল অবস্থায় সাহায্য করেছিলেন। এজন্য তাঁদেরকে ‘আনসার’ (যবষঢ়বৎং) বা
‘সাহায্যকারী’ বলা হয়। এ আনসারদের সহায়তা না পেলে ইসলাম মদিনায় এবং সারা বিশ্বে হয়ত প্রতিষ্ঠা লাভ করতে
পারত না। ধর্মভাইদের প্রতি এরূপ আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও দেখা যায় না।
মসজিদ নির্মাণ ঃ মহানবী (সা.) বনু নাজ্জার গোত্রের সাহল ও সুহাইল দু’জন ইয়াতিম বালকের এক খÐ জমি ক্রয় করে
মসজিদ নির্মাণ করেন। হযরত নিজেও নির্মাণ কার্যে অন্যান্যদের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। মসজিদের দেয়াল তৈরি
হয়েছিল ইট ও মাটি দিয়ে এবং ছাউনি দেয়া হয়েছিল খেজুর পাতার। এটাই ‘মসজিদুন্নবী’ বা নবীর মসজিদ। এখানে
বসেই মহানবী (সা.) ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রয়ী সকল কাজ করতেন। কালক্রমে এটাই ইসলামের প্রধান মিলনকেন্দ্র হিসেবে
পরিণত হয়। এ মসজিদের সাথেই তাঁর পরিবারবর্গের বাসস্থান নির্মাণ করা হয়। সাহাবীদের মধ্যে এদেরকে ‘আসহাবুসসুফফা’ বা ‘চত্তরবাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। যাদের ঘরবাড়ি ছিল না তাদের বসবাসের জন্য মসজিদের একাংশ
আলাদা করা হয়েছিল। আর এ মসজিদই পরবর্তীকালের মুসলিমদের জন্য মসজিদস্থাপনা তৈরীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
মদিনায় বিভিন্ন দল ও গোত্রের অবস্থা ঃ মুহাজির ও আনসার ছাড়াও মদিনায় বিভিন্ন শ্রেণির লোক বাস করতো। মদিনায়
আদি অধিবাসী আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয় পরস্পর ঝগড়া-ফাসাদে লিপ্ত ছিল। এদের দ্ব›েদ্বর সুযোগ নিয়ে মদিনার ইহুদিরা
নিজেদের স্বার্থের জন্য তাদেরকে শোষণ করতো। ইহুদিদের তিনটি শাখা ছিল। যথা- বনু কুরাইযা, বনু নাযির ও বনু
কাইনুকা। বনু করাইযা ও বনু নাযীর আউস গোত্রের পক্ষে এবং বনু কাইনুকা ছিল খাযরাজ গোত্রের পক্ষে। ইহুদিদের
কূটনৈতিক শত্রæতার ফলে ‘বুয়াসের’ ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধের ফলে উভয় গোত্রের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে।
তারা একজন ভালো নেতার সন্ধানে ব্যাস্ত ছিল। তারা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে একজন উত্তম নেতা হিসেবে পেয়ে সাদরে
গ্রহণ করেন।
আদি পৌত্তলিক ঃ মদিনার আদি অধিবাসীদের মধ্যে একদল মূর্তি উপাসক পৌত্তলিকও ছিল। মহানবী (সা.)-এর আগমনে
তারাও প্রথমে খুশি হয়েছিল এবং তাঁকে রক্ষা করার জন্য সংঘবদ্ধ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে
ইসলামের শক্তির একক উত্থান ও বিকাশে পৌত্তলিকরা ঈর্ষাকাতর হয়ে উঠেছিল। তবে এরা সময়ের ব্যবধানে ইসলামের
সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পরে ইসলামের পতাকা তলে সমবেত হয়েছিল।
ইহুদি ঃ মদিনার ইহুদিরা ছিল শক্তিশালী এবং স্বার্থান্ধ। তারা প্রথমে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনা আগমনকে স্বাগত
জানানোর জন্য মদিনাবাসীদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। রাসূল (সা.) প্রথমে আসমানী ধর্ম হিসেবে তাদের ধর্মের প্রতি
গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাদের সাথে বন্ধুত্ব ও স¤প্রীতি স্থাপন করার জন্য তাদের কিছু রীতিনীতি গ্রহণ করেছিলেন। ইহুদিরা
প্রথমে মনে করেছিল, তারা হযরতকে দলভুক্ত করতে পারবে। কিন্তু ইহুদিরা ছিল অভিশপ্ত জাতি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিক দিয়ে
সীমাহীন দুর্বৃত্ত। হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে সর্বশেষ বিশ্বনবী তা তারা ভালো করে জানত। তবুও চরম স্বার্থান্ধতার পরিচয়
দিয়ে তারা রাসূল (সা.) ও ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ করতে লাগল। ইহুদিদের মধ্যে তিনটি শাখা ছিল। যথা- বনু কুরাইযা,
বনু নাযীর ও বনু কাইনুকা। এরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের ব্যবসায় চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল।
খ্রিস্টান ঃ খ্রিস্টানরা বসবাস করতো নাজরান অঞ্চলে। এদের ধর্মও বিকৃত ছিল। তবুও এরা ইহুদিদের মতো ততটা নিকৃষ্ট
মানসিকতার ছিল না। মদিনার খ্রিস্টানগণও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনায় আগমনকে অন্যান্যদের সাথে স্বাগত
জানায়। কিন্তু তারাও পরবর্তী সময়ে রাসূলের বিরোধিতা করে।
মুনাফিক গোষ্ঠী ঃ রাসূলের মদিনায় আগমনের পর আরো একটি নতুন উপদল সৃষ্টি হলো। এরা সুযোগ-সুবিধা লাভের
আশায় ইসলাম গ্রহণ করেছিল। এদের নেতা ছিল আবদুল্লাহ ইবনে উবাই। হযরতের আগমনের পূর্বে সে মদিনার রাজক্ষমতা লাভের জন্য লালায়িত ছিল। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনায় আসার কারণে তার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
এ মর্মজ্বালায় সে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও ইসলামের সাথে গোপন শত্রæতা শুরু করে। তার সাথে আরো অনেকে মিলিত হয়।
এরা স্বার্থ হাসিল ও জনপ্রিয়তা লাভের আশায় ইসলাম গ্রহণ করেছিল। কিন্তু গোপনে এরা ইসলামের ভীষণ শত্রæ ছিল।
ইসলামের ধংসের জন্য এরা নানা ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করতে থাকে। এদেরকে ‘মুনাফিক’ বলা হয়। এ শ্রেণির লোকগুলো
প্রকাশ্য শত্রæর চেয়ে অধিকতর ভয়ানক ছিল। এরা কাফিরদের চেয়েও নিকৃষ্টতর।
বিভিন্ন বিধান প্রবর্তন ঃ দ্বিতীয় হিজরিতে রমযানের সাওম ফরয করা হয়। ঐ বছর ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের
মহোৎসবও প্রবর্তিত হয়। দরিদ্র মুসলিমদের সাহায্য দানের জন্য এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য
যাকাত ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। যাকাত প্রদান করা সাহেবে নেসাব ধনী মুসলিমদের জন্য ফরয বলে ঘোষিত হয়। এভাবে
সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারাদি প্রবর্তনে যাকাত ব্যবস্থা চালু করা হয়। আদি পৌত্তলিকরা কার ইবাদাত করত?
মদীনার ইহুদিদের প্রধান তিনটি শাখার নাম কী কী?
আনসার কারা? মুনাফিকরা কাদের চেয়েও নিকৃষ্ট?
সারসংক্ষেপ :
মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের পর স্থানীয় জনগণ তাকে সাদর আমন্ত্রণ জানায়। মুহাজির ও আনসারগণ
তাকে অনুসরণ করে। ইহুদিরা প্রথমদিকে মেনে নিলেও পরে ষড়যন্ত্র শুরু করে। মহানবী (সা.) মদীনার সকল
জনগোষ্ঠির মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। তিনি মদিনা মসজিদ নির্মাণ ও মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা
এবং অ মুসলিমদের জন্য সনদ প্রণয়নের মাধ্য আন্ত:ধর্মীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। মহানবী (সা.) কত খ্রিস্টাব্দে মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করেন?
(ক) ৬১৯ (খ) ৬২০
(গ) ৬২১ (ঘ) ৬২২
২। মহানবী (সা.)-এর মদিনা জীবনের ব্যাপ্তি ছিলর. ৬২২-৬৩০ রর. ৬২-৬৩১ ররর. ৬২২-৬৩২
নিচের কোন্টি সঠিক?
(ক) র (খ) রর (গ) ররর (ঘ) র, ও রর
৩। কত হিজরীতে রমজানের রোজা ফরজ হয়-
(ক) তৃতীয় (খ) দ্বিতীয়
(গ) প্রথম (ঘ) পঞ্চম
চূড়ান্ত মূল্যায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন
আফ্রিকায় এক জালিম রাজা ছিল। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। এক সময় সেখানে এক মহৎপ্রাণ
ব্যাক্তির আবির্ভাব ঘটে। তিনি জনগনকে সাথে নিয়ে উক্ত জালিম রাজার সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শুরু করেন।
এতে রাজা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের হত্যার আদেশ দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি পাশ^বর্তী রাজ্যে গমন করেন। সে রাজ্যের জনগন
তাকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করে। তিনি তার সকল বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সে রাজ্যকে একটি সমৃদ্ধশালী ও প্রজাহিতৈষী
রাজ্যে পরিণত করেন।
(ক) মদীনার পূর্ব নাম কী? ১
(খ) মুনাফিকদের পরিচয় দিন। ২
(গ) উদ্দীপকের আলোকে মদীনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পটভূমি আলোচনা করুন। ৩
(ঘ) ‘ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধের প্রকৃষ্ট উদাহরণই হচ্ছে আনসার ও মুহাজিরদের সম্পর্ক’ - উক্তিটি বিশ্লেষণ করুন। ৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]