খন্দক যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল ইহুদীদের বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

> মুখ্য শব্দ খন্দক বা পরিখা, সালমান ফারসী ও আহযাব
আহযাব বা খন্দকের যুদ্ধ
বনু নযির গোত্র মদিনা থেকে নির্বাসিত হলে তাদের একাংশ হুয়াই বিন আখতাবের নেতৃত্বে খায়বারে গিয়ে
বসতি স্থাপন করে। তারা আশেপাশের আরব গোত্রগুলোকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তোলে।
হুয়াই মক্কায় গিয়ে কুরাইশদের সঙ্গে ষড়যন্তে লিপ্ত হয়। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, একযোগে মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করা
হবে, যাতে তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সর্বত্র যুদ্ধের একটা সাজ সাজ রব পড়ে যায়। আরবের বিভিন্ন গোত্রের প্রায় ১০,০০০
সৈন্য মদিনা আক্রমণের জন্য একত্র হয়। কুরাইশ ব্যতীত তাদের মধ্যে বনু নযির, বনু ওয়ায়ল অন্তর্ভূক্ত ছিল। আবু
সুফিয়ানের নেতৃত্বে দশ হাযার সৈন্যের সম্মিলিত বাহিনী মদিনা অভিমুখে রওয়ানা হয়। পঞ্চম হিজরীতে আরবের বিভিন্ন
গোত্রের গঠিত এ বাহিনী একযোগে মদিনা আক্রমণ করার কারণে এ যুদ্ধকে আহযাব বা দলসমূহের যুদ্ধ বলা হয়।
খন্দক যুদ্ধের নামকরণ
খন্দক বা পরিখার যুদ্ধ ঃ ফার্সি ‘খান’ থেকে খন্দক শব্দের উৎপত্তি। এর অর্থ পরিখা। মদিনার তিন দিকে ঘরবাড়ি ও
খেজুর বাগান থাকায় তা প্রাচীর বেষ্টনীর ন্যায় নিরাপদ ছিল, কিন্তু উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিক ছিল উন্মুক্ত। প্রখ্যাত সাহাবী
হযরত সালমান ফারসি (রা)-এর
পরামর্শ ও মজলিসে শূরার
সিদ্ধান্তে মহানবী (সা.) মদিনার
উন্মুক্ত দিকে পাঁচ হাত গভীর এক
পরিখা খনন করেন বিধায় একে
পরিখা বা খন্দকের যুদ্ধ বলা হয়।
ঐতিহাসিক আমীর আলী এ
যুদ্ধকে
(সম্মিলিত শক্তিসমূহের যুদ্ধ) বলে
অভিহিত করেছেন। আল
কুরআনের সূরা আহযাবের ২০ নং
আয়াতে ‘আহযাব’ নামকরণ স্বীকৃত হয়েছে।
খন্দক যুদ্ধের কারণসমূহ
ইহুদিদের বিশ্বাসঘাতকতা ঃ বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইহুদি বনু কায়নুকা ও বনু নযির গোত্রদ্বয়কে মদিনা
থেকে নির্বাসিত করা হয়। তারা স্বভাবত কুরাইশদের সাথে হাত মিলায়। ইহুদি নেতা হুয়াই ইবনে আখতাব মক্কায় গিয়ে
কুরাইশদের সাথে পরামর্শ করতে থাকে। কেনানা ইবনে রবী গাতফান গোত্র গমণ করে তাদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে
পাঠ-৪.৫
এইচএসসি প্রোগ্রাম
ইউনিট চার পৃষ্ঠা-৯২
উত্তেজিত করে তোলে। খায়বারে উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক তাদের দেয়া হবে- এটাও স্থিরীকৃত হয়। গাতফান গোত্রের সাথে
বনী আসাদ বংশের সন্ধি ও মিত্রতা ছিল, তারাও প্রস্তুত হয়। বনী সলিম এবং নবী আসাদ গোত্রও সম্মিলিত কাফির
বাহিনীর সঙ্গে যোগদান করে। কাব বনু কোরায়যার সকলকে একত্র করে তাদের সম্মুখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর সাথে সম্পর্কিত সন্ধিপত্রখানা টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলে।
কুরাইশদের আশাভঙ্গ ঃ উহুদ যুদ্ধে কুরাইশরা আপাত জয়ী হলেও মদিনা দখলসহ পূর্ণাঙ্গ বিজয়লাভে ব্যর্থ হয়। তাছাড়াও
তাদের সিরিয়ার বাণিজ্যপথ হুমকিপূর্ণ থেকেই যায়। এসব কারণে আশাহত কুরাইশরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে আরেকটি চূড়ান্ত
আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
মদিনা রাষ্ট্রের শক্তি বৃদ্ধি ঃ ঐতিহাসিক মাসুদী বলেন, উহুদের বিপর্যয় পরবর্তীকালে মুসলিমদের নতুনভাবে ঐক্য সংহতির
মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে। মদিনা রাষ্ট্রের জাতি গঠন বা ঘধঃরড়হ নঁরষফরহম এবং ঝঃধঃব নঁরষফরহম প্রক্রিয়া মুসলিমদের শক্তিশালী
করে তোলে। কাফির, মুশরিক ও ইহুদি ষড়যন্ত্রকারীদের তা সহ্য হয়নি, তাই তারা আরেকটি যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি ঃ ঐতিহাসিক আমীর আলী বলেন, বদর এবং উহুদে যুদ্ধ করেও মুসলিমগণ ক্লান্ত হয়ে পড়েনি; বরং
ইসলাম প্রচারে তাদের প্রেরণা ছিল প্রত্যয়দৃপ্ত। কাফিররা তা মোটেই সহ্য করতে পারছিল না। তাই তারা সম্মিলিতভাবে
মুসলিম উম্মাহকে সমূলে ধংস করতে সংকল্পবদ্ধ হয়।
কুরাইশদের যুদ্ধ প্রস্তুতি ঃ উহুদ যুদ্ধ শেষে আবু সুফিয়ান প্রতিজ্ঞা করেছিল, পরের বছর তারা আবার মুসলিমদের সাথে
শক্তি পরীক্ষা করবে, কিন্তু আবু সুয়িান ও তার অনুসারীদের এ আস্ফালন সত্যে পরিণত হয়নি। কাজেই এখন যুদ্ধ করতে
অপেক্ষাকৃত ব্যাপক ও শক্তিশালী আয়োজন দরকার। এ কথা ভেবে আবু সুফিয়ান সারা আরবময় ইসলাম, মুসলিম,
ইসলামের নবী এবং মদিনায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচÐ বিদ্রোহ সৃষ্টির প্রয়াস চালায়।
খন্দক যুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনা
রাসূলের পরামর্শ সভা ও যুদ্ধকৌশল নির্ধারণ ঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) কুরাইশদের নেতৃত্বে সম্মিলিত আরব বাহিনীর অভিযানের
সংবাদ পেয়ে সাহাবীদের ডেকে পরামর্শ করলেন। সালমান ফারসি (রা) ইরানি হওয়ার কারণে যুদ্ধে খন্দক বা পরিখা
সম্পর্কে তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি মত প্রকাশ করলেন, খোলা ময়দানে নেমে যুদ্ধ করা সমীচীন হবে না; বরং
একটি নিরাপদ স্থানে সৈন্য মোতায়েন করে চতুষ্পার্শে পরিখা খনন করতঃ আগে থেকেই সে জায়গাটা সুরক্ষিত করে রাখাই
হবে বিচক্ষণতার কাজ। সকলেই তাঁর এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। কাফির বাহিনী পরিখা দেখে বিস্মিত হয়। কারণ আরবরা
এটা কখনো দেখেনি। বিশ দিন পর্যন্ত কোনো পক্ষই যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়নি।
যুদ্ধের ঘটনাবলী ঃ শেষ পর্যন্ত কাফির বাহিনী ব্যাপক আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনাক্রমে খন্দকের এক স্থানে প্রস্থ
একটু কম ছিল। এ স্থান দিয়েই আরবের বিখ্যাত বীররা ঘোড়া হাঁকিয়ে অপর পারে গিয়ে ওঠে। আমর ইবনে আবদুদ ছিল
তাদের মধ্যে শক্তিশালী। সে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী যুদ্ধের আহবান জানায়। এ আহবানে মুসলিমদের পক্ষ থেকে এগিয়ে
যান শেরে খোদা হযরত আলী (রা)। প্রথমে ইবনে আবদুদ আক্রমণ করলে আলী (রা) ঢাল দ্বারা এ আক্রমণ প্রতিহত
করেন। যদিও তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছিল। আলীর অপর এক আঘাতে আবদুদের বাজু কেটে গেল। সঙ্গে সঙ্গে আলী
(রা) ‘আল্লাহু আকবার’ ধনি দিয়ে বিজয় ঘোষণা করেন। এরপর যেরার ও যোবায়র ময়দানে আসে। যুলফিকারের অজেয়
বাহু উঠাতেই তারা পেছনে হটতে আরম্ভ করে। হযরত উমর (রা)-সহ অন্যান্য সাহাবীগণ সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করেন।
অনেক কুখ্যাত কাফির নিহত হলো। এ সময় কাফিররা সব দিক থেকে তীর নিক্ষেপ করছিল। দিন যতই বাড়তে লাগল
অবরোধকারীদের মনোবল ততই হ্রাস পেতে লাগল। দশ হাযার সৈন্যের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা সহজ ব্যাপার ছিল না।
আবার তখন ছিল শীতকাল। তার মধ্যে এক সময় এমন প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে লাগল, যাতে তাদের তাঁবুর
রশিগুলো ছিঁড়ে গেল, খুঁটিগুলো উপড়ে পড়ল, অশ্বগুলো সৈন্যদের মাঝে ছুটাছুটি করতে লাগল, ডেগ-ডেগচি উল্টে গেল।
মুসলিমদের জন্য এ ঝঞ্ঝা-প্রবাহ সৈন্য অপেক্ষা অধিক সমর শক্তির কাজ করে। প্রচÐ বায়ুর চাপে কুরাইশরা ভীত হয়ে
প্রত্যাবর্তন করতে মনস্থ করল। আবু সুফিয়ান সৈন্যদের বলল, এ মাঠে পড়ে সংকীর্ণতার সম্মুখীন হতে চলেছি, এখানে
থাকা উচিত নয়- এ বলে সে সৈন্যদের প্রত্যাবর্তনের আদেশ করে। এভাবে পরাজয় মেনে নিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।
মুসলিমদের নিষ্কণ্টক বিজয় ঃ একটি মাত্র রাতের ব্যবধানে আল্লাহ কত পরিবর্তন এনে দিলেন। গতকাল যেখানে
জাহান্নামের আগুন জ্বলছিল, আজ সেখানে জান্নাতের স্নিগ্ধ বারিধারা প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল যেখানে মিথ্যার ভয়ঙ্কর
অভিনয় চলছিল, আজ সেখানে সত্য ও সুন্দরের মাহফিল বসেছে। কৃতজ্ঞতায় তখন মুসলিমদের অন্তর ভরে যায়।
আল্লাহকে ধন্যবাদ জানায় তারা সদলবলে।
যুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ঃ
এ যুদ্ধে কুরাইশগণ প্রমাণ পেল, ইসলাম দুর্নিবার। তিন তিনবার তারা শক্তি পরীক্ষা করে দেখেছে, তিন তিনবারই তারা
বিফল হয়েছে। এ যুদ্ধকে ইসলামের চূড়ান্ত যুদ্ধ বলা যেতে পারে। তারা বদরে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে, উহুদেও
মুসলিমদের পরাজিত করতে পারেনি, খন্দকে তারা আরবের সমস্ত শক্তি নিয়েও পরাজিত হয়েছে। তাই খন্দক যুদ্ধের পর
তাদের নৈতিক বল শক্তি ভেঙে পড়ে। একটা হীনতা ও পরাজয়ের মনোভাব তাদের সকলকে পেয়ে বসে। পক্ষান্তরে
মুসলিমদের বুকে প্রবল নবপ্রেরণা সঞ্চারিত হয়। নির্ভীক উন্নতশিরে বিশ্বের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তারা প্রস্তুত হয়।
কোনো বাধাই তাদের আটকে রাখতে পারবে না, সকল শত্রæই যে তাদের পদানত হবে, ইসলাম যে সর্বত্র জয়যুক্ত হবে- এ
কথা এ যুদ্ধের পর থেকে তারা সত্যিকারভাবে উপলব্ধি করেন। এ যুদ্ধে জয় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মহিমাও মর্যাদা
শতগুণে বর্ধিত হয়।
আল্লাহ তায়ালার সাহায্য লাভ ঃ খন্দকের যুদ্ধে মুসলিমগণ মহান আল্লাহ তায়ালার সাহায্য সহযোগিতা লাভ করেন। এ
সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যখন শত্রæবাহিনী তোমাদের নিকটবর্তী
হয়েছিল। অতঃপর আমি তাদের বিরুদ্ধে ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এমন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেছিলাম যাদের তোমরা দেখতে না,
তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন।”
ইসলামের অগ্রাভিযানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন ঃ খন্দক যুদ্ধ সম্মিলিত বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ও মুসলিমদের
জয়লাভের ফলে ইসলামের অগ্রাভিযানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। খন্দক যুদ্ধের পরের বছর হুদায়বিয়ার সন্ধি, পরবর্তী
বছর উমরা, তার পরের বছর মক্কা বিজয় সাধিত হয়।
সম্মিলিত বাহিনীর পরাজয় ঃ খন্দক যুদ্ধে কুরাইশ, ইহুদি, বেদুইন, মদিনার মুনাফেক ও পৌত্তলিকরা সম্মিলিতভাবে
সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে, কিন্তু সর্বশেষ এ বাহিনীর শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়। মদিনায়
ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তি সুদৃঢ় হয়। ঐতিহাসিক ইমামুদ্দিন বলেন, সম্মিলিত বাহিনীতে ভাঙনের ফলে মক্কাবাসীদের পরাজয়
প্রতিভাত হয়ে ওঠে এবং মদিনায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল সুদৃঢ় হয়।
মহানবীর মর্যাদা বৃদ্ধি ঃ পরিখার যুদ্ধে জয়লাভের ফলে মদিনাসহ সমগ্র আরব বিশ্বে মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
পাশবর্তী বহু জাতি গোষ্ঠি স্বেচ্ছায় মহানবী (সা.)-এর আধিপত্য ও নেতৃত্ব মেনে নেয় এবং তাদের অনেকেই ইসলাম কবুল করে।
ইহুদিদের বহিষ্কার ঃ খন্দক যুদ্ধের পর বিশ্বাসঘাতক ইহুদি গোত্র বনু কুরায়যার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ গোত্রের অপরাধী যোদ্ধাদের হত্যা করা হয় এবং বাকি লোকদের বন্দি ও নির্বাসিত করা হয়।
ইসলামের প্রসার ঃ আহযাব বা খন্দক যুদ্ধের পর আরব উপদ্বীপ ইসলাম দ্রæত প্রসার লাভ করে এবং আরবের অনেক
গোত্র মদিনা রাষ্ট্রের সাথে স্বেচ্ছায় মিত্রতা সূত্রে আবদ্ধ হয়। এ প্রসঙ্গে ড. ইমামুদ্দিন বলেন, “এ যুদ্ধের পর অল্প সময়ে
মধ্যে ইসলাম সমগ্র আরব এবং নিকর্টবর্তী দেশগুলোতে পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে।”ন।
পরীখা কী? কার পরামর্শে খন্দক খনন করা হয়?
খন্দকের যুদ্ধের মুসলিমবিরোধী দলের নাম লিখুন?
খন্দকের যুদ্ধ প্রান্তরের চিত্র অংকন করুন।
সারসংক্ষেপ ঃ
এ যুদ্ধে কুরাইশদের সামরিক শক্তির দুর্বলতা প্রকাশ পায়। পরিখার যুদ্ধ ইতিহাসের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়। তাদের
খাদ্যসামগ্রী নিঃশেষ হয়, সম্মান বিনষ্ট হয় এবং মিত্রশক্তি ঘৃণায় তাদের দল ত্যাগ করে চলে যায়। পরিখার যুদ্ধ হযরত
মুহাম্মদ (সা.) তথা মুসলিমদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দেয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) শত্রæদের হাত থেকে মদিনাকে রক্ষা
করায় মদিনাবাসী তাঁকে একচ্ছত্র অধিপতি বলে সম্মান করতে লাগল। প্রতিপক্ষের বিরাট সেনাবাহিনীর ওপর
মুসলিমদের এ বিজয় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তারা স্বেচ্ছায় মুসলিমদের মিত্র হয়। এরই মধ্যে ইসলাম দ্রæত
প্রসার লাভ করতে লাগল
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. খন্দক যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয়ের অন্যতম কারণ কোনটি?
(ক) পরীখা খনন (খ) প্রাকৃতিক দূর্যোগ (গ) মুসলিম সামরিক কৌশল (ঘ) সব কয়টি
২. খন্দকের য্ুেদ্ধর আরেক নাম কী?
(ক) আহযাব (খ) আহগায (গ) আবরার (ঘ) আহযার
৩. উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ কোনটি?
(ক) যুদ্ধোপকরণের অভাব (খ) গনীমতের মাল সংগ্রহ
(গ) সিপাহসালারের নির্দেশ অমান্য (ঘ) কাফিরদের সৈন্যসংখ্যাধিক
সৃজনশীল প্রশ্ন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শত্রæপক্ষকে মোকাবিলা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন করেন। শত্রপক্ষ
যেন এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রধান প্রধান ব্রীজ ভেঙ্গে দেয়া হয়। শত্রæর বোমা থেকে মানুষকে রক্ষার লক্ষে
মাটি কেটে বাঙ্কার তৈরি করা হয়। ফলে শত্রæবাহিনী ভারী অস্ত্র ও ট্যাংক নিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। এসব
যুদ্ধ কৌশল মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় অর্জনে সহায়তা করে।
(ক) আহযাব অর্থ কী? ১
(খ) সালমান ফারসির পরিচয় দিন। ২
(গ) বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের এ যুদ্ধকৌশল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কোন যুদ্ধকে স্মরণ করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করুন। ৩
(ঘ) “উক্ত যুদ্ধকৌশল মুসলিম রাষ্ট্রকে সুদৃঢ় করেছে।” উক্তিটি বিশ্লেষণ করুন। ৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]