মক্কা বিজয়ের ঘটনা মক্কা বিজয়ের কারণ ও এর সুদূর প্রসারী ফলাফল বিজয়ের গুরুত্ব বর্ণনা করতে পারবে

মুখ্য শব্দ মক্কা বিজয়, বনী বকর গোত্র, বনী খুযায়া গোত্র ও রক্তপণ
মক্কা বিজয়ের পটভূমি
হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত ছিল আরবের অন্যান্য জাতি স¤প্রদায় তাদের ইচ্ছামতো মুসলিম অথবা কুরাইশ যে
কোনো পক্ষের সাথে মিত্রতা স্থাপন করতে পারবে। হুদায়বিয়ার সন্ধির পর দু’বছর কেটে অষ্টম হিজরীর রমযান আসল।
সন্ধি মোতাবেক আরব গোত্রসমূহের মধ্য থেকে বনী খুযায়া গোত্র রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে এবং তাদের শত্রæপক্ষ বনী
বকর কুরাইশদের সাথে মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ দু’গোত্রের মধ্যে বহুদিন যাবৎ যুদ্ধবিগ্রহ চলে আসছিল। ইসলাম
বিকাশের ফলে আরবরা মুসলিমদের দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে। কাজেই এ সময় তাদের পারস্পরিক লড়াই-সংঘাত বন্ধ
থাকে। হুদায়বিয়ার সন্ধির পর তারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। বনী বকর গোত্র তখন মনে করল, এখন প্রতিশোধ নেয়ার সময়
এসেছে। তারা আকস্মাৎ বনী খুযায়ার ওপর আক্রমণ করে বসে। এতে কুরাইশ নেতৃবৃন্দ যুদ্ধসম্ভার দিয়ে তাদের সাহায্য
করে। ইকরামা ইবনে আবু জাহল, সাফওয়ান বিন উমাইয়া, সোহায়ল ইবনে আমর প্রমুখ রাত্রির অন্ধকারে মুখোশ পরে
বনী বকরের সাথে যোগদান করেছিল। বনী খুযায়া অনন্যোপায় হয়ে হারাম শরীফে আশ্রয় গ্রহণ করে। হারাম শরীফের
মর্যাদা রক্ষা জরুরি মনে করে বনী বকর বিরত হয়, কিন্তু নওফেল বলল, “এরূপ সুবর্ণ সুযোগ আর মিলবে না।” শেষ
পর্যন্ত হারামের অভ্যন্তরেই বনী খুযায়ার লোকদের হত্যা করা হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ ঘটনা জানতে পেরে অত্যন্ত মর্মহত
হন। তিনি কুরাইশদের দূত মারফত জানিয়ে দিলেন, নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের কোনটি তোমরা মেনে নেবে জানতে চাই?
শর্ত তিনটি হলো১. যুদ্ধে নিহতদের রক্তপণ (দিয়াত) দেয়া হোক।
২. কুরাইশ বনী বকরকে সাহায্যদান থেকে বিরত হোক।
৩. অথবা হুদায়বিয়ার সন্ধি বাতিল ঘোষণা করা হোক।
তখন কুরাইশ পক্ষ থেকে কুরতা বিন উমর ঘোষণা করল, আমরা তৃতীয় শর্ত মেনে নিলাম, কিন্তু দূত চলে যাওয়ার পর
কুরাইশদের বোধোদয় হয়। তারা আবু সুফিয়ানকে হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি নতুন করে স্বাক্ষর করার জন্য দূত হিসেবে
পাঠায়। কিন্তু মুসলিমগণ তা মেনে নেয়নি।
মক্কা অভিযানের প্রস্তুতি
রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কা অভিযানের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। অষ্টম হিজরী সনের ১৮ রমযান রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রায় দশ হাজার
অনুরক্ত ভক্ত সাথে নিয়ে মক্কা অভিমুখে যাত্রা করেন। মুসলিম বাহিনী যথাসময়ে মক্কার নিকটবর্তী মাররুয যাহরান
উপত্যকায় উপস্থিত হয়ে শিবির স্থাপন করে। আরবদের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সা.) সেনাবাহিনীকে ভিন্ন ভিন্ন
স্থানে আগুন জ্বালাবার নির্দেশ দেন, তাতে সমগ্র মরুভূমি ঝলমল করে ওঠে। কুরাইশ প্রধানগণ এ দৃশ্য দেখে প্রকৃত তথ্য
সংগ্রহের জন্য হাকিম বিন হিযাম, আবু সুফিয়ান ও বুদায়লকে পাঠায়। তাঁবু প্রহরারত মুসলিম সৈন্যরা আবু সুফিয়ানকে
ধরে ফেললেন। তাকে বন্দি করা হয়। পরে আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপর মহানবী (সা.) আবু সুফিয়ানকে
বললেন- আবু সুফিয়ান, তুমি গিয়ে মক্কাবাসীদের অভয় দাও- আজ তাদের প্রতি কোনোই কঠোরতা করা হবে না। তুমি
আমার পক্ষে নগরময় ঘোষণা করে দাও১. যারা আত্মসমর্পণ করবে,
২. যারা কাবায় প্রবেশ করবে,
৩. যারা নিজেদের গৃহদ্বার বন্ধ করে রাখবে, অথবা
৪. যারা আবু সুফিয়ানের গৃহে প্রবেশ করবে, তাদের অভয় দেয়া হলো।
মক্কায় পৌঁছে রাসূলুল্লাহ (সা.) হনুজ নামক স্থানে ঝাÐা উড্ডীন করতে এবং সৈন্যদের নিয়ে হযরত খালিদ (রা)-কে
উচ্চভূমির দিকে অগ্রসর হওয়ার আদেশ করেন। মহানবী (সা.) মুসলিম বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, যতক্ষণ কেউ তোমাদের
সাথে লড়াই না করবে, তোমরাও লড়াই করবে না। কুরাইশদের থেকে ইকরামা ও সাফওয়ান তীর নিক্ষেপ আরম্ভ করে।
এতে কুরয ইবনে জাবির ফিহরী ও কুনায়স ইবলে খালিদ ইবনে রবিয়া শহীদ হন। হযরত খালিদ প্রতিশোধ গ্রহণ আরম্ভ
করলে যুদ্ধ বেঁধে যায়। এতে ৭০ জন কাফিরকে হত্যা করে ফেলেন।
বায়তুল্লায় প্রবেশ ও সালাত আদায় ঃ রাসুলুল্লাহ (সা.) আনসার ও মুহাজিরদের নিয়ে মসজিদে হারাম বায়তুল্লায় প্রবেশ
করলেন। ভক্তিভরে তার চারপার্শে¦ তাওয়াফ করলেন ও হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করলেন। হযরত উমর ও আলী (রা:) কে
বায়তুল্লাহ হতে ৩৬০ টি মূর্তি অপসারণ করে কাবাঘর পবিত্র করতে আদেশ দিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) কাবাঘরে প্রবেশ
করে দু’রাকাত সালাত আদায় করলেন ও তাকবিরের ধনিতে বায়তুল্লাহ মুখরিত হল। অতঃপর তিনি কাবাঘরের দরজা খুললেন।
মক্কা বিজয়ের গুরুত্ব
ইসলামের বিজয় ঃ সুদীর্ঘ একুশ বছর ধরে মুসলিমরা কুরাইশদের যে অত্যাচার, অবিচার, উৎপীড়ন ও লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ভোগ
করে আসছিলেন, এদিন তার পরিসমাপ্তি ঘটে। রক্ত দ্বারা নয়, মহানবী (সা.) প্রেম দ্বারা মক্কা বিজয় সম্পন্ন করেন। এরূপ
রক্তপাতহীন বিজয় দুনিয়ার ইতিহসে নজিরবিহীন। মক্কা বিজয়ের অর্থই হচ্ছে পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের জয়।
কেননা মক্কাই তখন ছিল পৌত্তলিকতার কেন্দ্রস্থল। অন্যদিকে এ বিজয় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এমন এক উচ্চাসন প্রদান
করে, যার স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে তিনি আরব উপদ্বীপের একচ্ছত্র অধিপতি হলেন। মক্কা বিজয়ের স্বাভাবিক পরিণতিই
হলো সমগ্র আরবে ইসলামের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা। মক্কা বিজয়ের অন্যান্য সুফল নিম্নরূপ১. আরব উপদ্বীপে মিল্লাতে ইবরাহীম প্রতিষ্ঠা হয়।
২. গোটা আরব দেশ মদিনার ইসলামী সরকারের অধীনে আসে।
৩. আরবের যে সকল গোত্র এত দিন পর্যন্ত ইসলাম বোঝেনি তারাও ইসলাম গ্রহণ করে। ফলে পৌত্তলিকতার পক্ষে কথা বলার কেউ থাকল না।
৪. আরব উপদ্বীপে ইসলাম ছাড়া অপর কোনো ধর্মের অস্তিত্ব থাকেনি। অবশ্য এ অবস্থা হযরত উমর (রা)-এর
খিলাফতকালে আরো ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়।
৫. কাবা শরীফ তথা মসজিদুল হারাম এলাকা চিরকালের জন্য অমুসলিমদের আওতার বাইরে চলে যায়।
৬. মক্কা বিজয়ের ফলে মুসলিমদের চিরকালের জন্য হজ্জ, উমরা ও তাওয়াফের সুযোগ সৃষ্টি হয়। মক্কা বিজয়ের পর আজ
পর্যন্ত এ তিনটি কাজ কোনো সময়েই ব্যাহত হয়নি।
ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, “এ বিজয়ের ফলে মুসলিম হৃদয় বিশ্ব জয়ের ধারণা ও শক্তি সঞ্চয় করে এবং মহানবী (সা.)
পরবর্তীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে দূত প্রেরণ করতে সক্ষম হন।”
মক্কা বিজয় কী আক্রমণাত্মক?
ক. সন্ধিমূলক বিজয় ঃ ঐতিহাসিক ও ইসলামী চিন্তাবিদদের একাংশ মনে করনে, মক্কা বিজয় সন্ধির মাধ্যমে হয়েছিল;
যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। তাঁরা যুক্তি দেখিয়েছেন১. মক্কা বিজয়ে দিন মহানবী (সা.) মক্কার লোকদের বিভিন্নভাবে নিরাপত্তা দান করেন। আবু সুফিয়ানের সাথে পূর্বেই
আলোচনার মাধ্যমে মহানবী (সা.) ঘোষণা করেছিলেন২. তদুপরি কোনো এলাকা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজিত হলে সে এলাকার ভূমি মুসলিম মুজাহিদের মাঝে বণ্টন দেয়া হয়। অথচ
মক্কা বিজয়ের পর তা করা হয়নি। এতে প্রমাণিত হয়, যুদ্ধ নয়; বরং সন্ধির মাধ্যমেই মক্কা বিজিত হয়েছিল।
খ. আক্রমণাত্মক বিজয় ঃ ঐতিহাসিক এবং ইসলামী পÐিতদের অধিক সংখ্যক মনে করেন, মক্কা আক্রমণাত্মক যুদ্ধের
মাধ্যমে বিজিত হয়েছিল। তারা যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, এ বিজয় অর্জন করতে খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা)-এর নেতৃত্বাধীন
বাহিনী যুদ্ধ করে প্রায় ৭০ জন কাফিরকে হত্যা করেছিলেন। যুদ্ধ না হলে এমনটা হতো না। তবে এ অভিমত দুর্বল; বরং
পূর্বোক্ত মতই অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়।
পরিশেষে বলা যায়, মক্কা বিজয় শুধু ইসলামের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনাই করেনি; বরং এ বিজয় একটি সুবিশাল
ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রযাত্রা। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে মক্কা তাওহীদের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তাই ঐতিহাসিক আমীর আলী বলেন-
হিজরীর কত সালে মক্কা বিজয় সংঘঠিত হয়?
কোন ঘটনা মক্কা বিজয়ের প্রত্যক্ষ কারণ?
কুরাইশরা কাবাঘরে কতটি মূর্তি স্থাপন করেছিল?
মক্কা বিজয়ের পূর্বে কোন ঘোরতর শত্রæ ইসলাম গ্রহণ করে?
সারসংক্ষেপ :
এ সে মহান বিজয় যে বিজয়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তাঁর দ্বীন, রাসুলুল্লাহ, মুজাহিদ বাহিনী ও দ্বীনের আমীনদের
মর্যাদা বৃদ্ধি করেছিলেন। ইহা ছাড়া মক্কা শহর ও কাবা ঘরকে দুনিয়ার মানুষের জন্য হিদায়াতের বস্তুতে পরিণত
করেছিলেন। কাফির ও মুশরিকদের হাত হতে এ ঘরকে মুক্ত করেছিলেন। এ মহান বিজয়ের ফলে আসমানের
বাসিন্দাদের মধ্যে সুসংবাদ ও আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এ বিজয়ে আল্লাহর মনোনীত দ্বীনে ইসলামে লোকেরা দলে
দলে প্রবেশ করতে লাগল। মহানবী (সা.) কোনরকম প্রতিশোধ গ্রহনের ইচ্ছার পরিবর্তে মক্কার শত্রæদের সাধারণ ক্ষমা
ঘোষণা করেন। তাই মক্কা বিজয় একটি রক্তপাতহীন বিজয়।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. মহানবী (সা.) কোন বিজয়ের পর সকলকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেন?
(ক) বদর যুদ্ধের (খ) খন্দক যুদ্ধের
(গ) হুদায়াবিয়ার সন্ধির (ঘ) মক্কা বিজয়ের
২. কোন ঘটনার পর কাবা ঘর থেকে ৩৬০ টি মূর্তি অপসারণ করা হয়
(ক) হিজরতের পর (খ) মক্কা বিজয়ের পর
(গ) বদর যুদ্ধের পর (ঘ) কোনটিই নয়
৩. বিশ্ব ইতিহাসে রক্তপাতহীন বিজয় কোনটি
(ক) হিজরত (খ) মক্কা বিজয়
(গ) বদর যুদ্ধ (ঘ) কোনটিই নয়
সৃজনশীল প্রশ্ন
প্রাচীন কালে ‘ক’ রাজ্যে একজন সত্যবাদী ও জন নন্দিত নেতার আবির্ভাব হয়েছিল। তিনি মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে
আহবান জানান। এতে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠি তাকে ও তার অনুসারীদের সে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করে। তাদের অনেককে
হত্যা করে। ফলে তারা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। অনেক বছর পর আশ্রিত রাজ্যের আরো অনেক লোকসহ তারা স্বদেশে
ফিরে আসে। ‘ক’ রাজ্যের জনগণ এতে খুবই আতংকিত হয়। কিন্তু সে মহান নেতা সকলকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে
ভালোবাসায় বুকে জড়িয়ে নেন।
(ক) কত সালে মক্কা বিজয় হয়? ১
(খ) হাজরে আসওয়াদ কী? ২
(গ) উদ্দীপকের ঘটনাটি হযরত মোহাম্মদ (স:) এর কোন ঘটনাটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
(ঘ) ‘মক্কা বিজয় ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র রক্তপাতহীন বিজয়’- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]