বিদায় হজ্জের ভাষণ ও মুহাম্মদ (সা.) এর শেষ জীবন

মুখ্য শব্দ বিদায় হজ্জ, ইহরাম, যুল হুলাইফা, আরাফার ময়দান, ও ইতিকাফ বাকী
বিদায় হজ্জ
মদিনায় দলে দলে বিভিন্ন গোত্রের দূত দল আসতে আরম্ভ করলে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বুঝতে পারেন, তাঁর
জীবনের মহান কর্তব্য শেষ হয়েছে এবং তাঁর জীবন প্রদীপ ফুরিয়ে আসছে। তাই শেষ হজ্জ বা ‘হাজ্জাতুল বিদা’ (বিদায়
হজ্জ) পালনের উদ্দেশ্যে ১৫ যিলকদ, ১০ হিজরী, ১৩ জানুয়ারি ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি এক লক্ষের অধিক সাহাবী সহকারে
মক্কার পথে রওয়ানা হন। ৬৩১ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে সূরা বারায়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি আরবের সকল গোত্রকে
ইসলাম গ্রহণের জন্য চার মাস সময় প্রদান করে বলেন, এ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো
প্রকার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না। এর ফলে পর বছর ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মহানবী (সা.) হজ্জ উপলক্ষে লক্ষাধিক মুসলিমসহ
মক্কায় গমন করতে সক্ষম হন। বিদায় হজ্জ পালনে হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সহধর্মিণীদের সঙ্গে নিয়ে যান। এ সময়
কুরবানির জন্য তাঁর সাথে ১০০ উট ছিল।
যাত্রার ১৫ দিন পর হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কার ৬ মাইল দূরে ‘যুল হুলাইফা’ নামক স্থানে পৌঁছেন এবং সেখান থেকে
হজ্জের পোশাক বা ইহরাম পরিধান করে মক্কায় প্রবেশ করেন। কাবা গৃহের চতুর্দিকে সাত বার প্রদক্ষিণ করে তিনি মাকামে
ইবরাহীম নামক স্থানে সালাত আদায় করেন। সাফা এবং মারওয়া পর্বতের মধ্যবর্তী স্থানে সাত বার দৌড়ান। যিলহজ্জের
অষ্টম দিনে আরাফার ময়দানে পৌঁছেন। হজ্জ সম্পন্ন করে আল্লাহর রাসূল (রা.) আরাফাতের জাবালে রহমত পর্বত শিখরে
দাঁড়িয়ে উপস্থিত মুসলিমদের উদ্দেশ্যে এক অবিস্মরণীয় ভাষণ প্রদান করেন। তাঁর এ শেষ উপদেশমূলক ভাষণ
মুসলিমদের হৃদয়ে চির সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবে। বিদায় হজ্জের ভাষণকে ইতিহাসে প্রধান মানবাধিকার সনদ বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
বিদায় হজ্জের ঐতিহাসিক ভাষণ
ক্স রাসূলুল্লাহ (সা.) ভাষণের শুরুতে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে বিশ্ব-প্রতিপালক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করে সমবেত জনসমুদ্রের উদ্দেশ্যে বলেন-
ক্স হে মুসলিমগণ! মনোযোগ সহকারে আমার কথা শোন। কারণ আবার তোমাদের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ আল্লাহ
আমাকে নাও দিতে পারেন। এ দিন, এ মাস, সকলের জন্য যেরূপ পবিত্র, সেরূপ তোমাদের জীবন ও সম্পদ মহা
প্রভুর সাথে সাক্ষাতের পূর্ব পর্যন্ত পরস্পরের নিকট পবিত্র ও হস্তক্ষেপের অনুপযুক্ত।
ক্স স্মরণ রেখো, দুনিয়ার প্রত্যেক কাজের জন্য একদিন আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়ে তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে।
ক্স হে প্রিয় সাহাবীগণ! তোমাদের সহধর্মিণীদের ওপর তোমাদের যেমন অধিকার আছে, তোমাদের ওপরও তাদের তেমন
অধিকার রয়েছে। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তোমরা তাদের গ্রহণ করেছে এবং তাঁরই আদেশমত তাদের তোমাদের জন্য
বৈধ করে নিয়েছে। সুতরাং তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করবে।
ক্স সর্বদা অন্যের আমানত হিফাযত করবে এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকবে।
ক্স আজ থেকে সুদ গ্রহণ নিষিদ্ধ। ঋণগ্রহীতা থেকে কেবল আসল অর্থ ফেরত নেবে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন আরব জাতির ‘খুনকা
বদলা খুন’ নীতি এখন থেকে নিষিদ্ধ হলো।
ক্স দাস-দাসীদের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করবে। তোমরা যা আহার কর, যে বস্ত্র পরিধান কর, তাদের অনুরূপ খাদ্য-বস্ত্র দান
করবে। তারা যদি ক্ষমার অযোগ্য কোনো আচরণ করে, তা হলেও তাদের মুক্তি দান করবে। স্মরণ রেখো, তারা
আল্লাহর সৃষ্টি এবং তোমাদেরই মতো মানুষ।
ক্স তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করো না, অন্যের দ্রব্য আত্মসাৎ ও অন্যায়ভাবে নরহত্যা করো না এবং
কখনো ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ো না।
ক্স হে মুসলিমগণ! আমার কথা মনোযোগ সহকারে অনুধাবন করতে চেষ্টা কর। স্মরণ রেখো, মুসলিমগণ পরস্পর ভাই
ভাই এবং সমগ্র দুনিয়ার মুসলিম একই ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে, একই অবিচ্ছেদ্য জাতিসত্তায় আবদ্ধ। অনুমতি ব্যতীত কেউ
কারো কোনো জিনিস জোর করে নিতে পারবে না।
ক্স স্মরণ রেখো, অঞ্চল ও বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলিম সমান। আজ থেকে বংশগত কৌলীণ্য প্রথা বিলুপ্ত হলো। সেই
তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে কুলীন, যে স্বীয় কর্মে বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে আগ্রহী।
ক্স পথপ্রদর্শক হিসেবে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কালাম (কুরআন মাজীদ) ও তাঁর প্রেরিত সত্যবাহক রাসূলের
চরিত্রাদর্শ (হাদীস) রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এ দুটির অনুশাসন মেনে চলবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না।
ক্স হে আমার উম্মতগণ, যারা এখানে সমবেত হয়েছ, তারা অনুপস্থিত মুসলিমদের কাছে আমার কথা পৌঁছে দেবে। যারা
অনুপস্থিত তাদের আমার উপদেশের কথা জানাবে। কখনো কখনো উপস্থিত ব্যক্তিদের চেয়ে অনুপস্থিত ব্যক্তিরা অধিক স্মরণ রাখতে সক্ষম হয়।
ক্স নবী করীম (সা.) ভাষণ শেষে উর্ধ্বে হাত তুলে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বললেন, “হে প্রভু! আমি কি আপনার বাণী
সঠিকভাবে জনগণের মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছি?” উপস্থিত উম্মতগণ গগনভেদী আওয়ায করে বলল, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়
পেরেছেন।’ সে সময়, তিনি আল্লাহর কাছ থেকে ওয়াহী লাভ করেন।“(হে মুহাম্মদ), আজ আমি তোমাদের জন্য
তোমাদের জীবনব্যবস্থা পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নেয়ামতও পূর্ণ করলাম, আর ইসলামকে
তোমাদের জন্য জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়িদা) পরিশেষে হযরত (সা.) আবেগজড়িত কণ্ঠে
সমবেত জনগণকে লক্ষ্য করে বললেন, “তোমরা সাক্ষী, আমি আমার কর্তব্য পালন করছি। বিদায়! আল-বিদা।”
ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর জীবনসায়াহ্নে হজ্জ উপলক্ষে আরাফাত ময়দানে যে অভিভাষণ প্রদান করেছিলেন, ইসলাম ও
মানবতার ইতিহাসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ বাণীতেই ইসলামী রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ও মানব অধিকারের
মূলনীতি বিঘোষিত হয়েছে। এতে মানব জীবনের আধ্যাত্মিক ও বাস্তব উভয় শিক্ষাই বর্তমান রয়েছে। এ শিক্ষা মানব
জাতিকে সত্যিকারের মুক্তি ও শান্তির সন্ধান দিয়েছে। মহানবী (সা.)Ñএর ভাষণের সকল দিক বাস্তবায়িত হলে আজকের এ
সংঘাতময় মানব জীবন সর্বাত্মক সার্থক ও সুন্দর হয়ে উঠবে।
মানব জাতির ইতিহাসে বিদায় হজ্জের ভাষণ মানবাধিকারের একটি বিশ্বস্ত দলিল হিসেবে স্বীকৃত। এ ভাষণের তাৎপর্য
ইসলামের ইতিহাসে প্রোজ্বল ভূমিকায় দেদীপ্যমান। ঐতিহাসিক আমীর আলীর ভাষায়, মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজ্জের
ভাষণ সর্বদিক দিয়েই তাৎপর্যবহ। এ ভাষণ ছিল বাগ্নিতাপূর্ণ ও উৎসাহ উদ্দীপক। সত্য-সুন্দর, কল্যাণ, আনন্দ, সাম্য, ন্যায়
ও মানবতার মঙ্গল সাধন এবং অন্যায় দুষ্কৃতি থেকে বেঁচে থেকে সতর্ক সাবধান জীবনাচরণের জন্য মহানবী (সা.)-এর
বিদায় হজ্জের ভাষণ এক গুরুত্বপূর্ণ দলীল। এ ভাষণে বিশ্বপ্রভু মহান আল্লাহর একত্ব ও সার্বভৌমত্ব ঘোষিত হয়েছে এবং
সাথে সাথে ঘোষিত হয়েছে, মহানবী (সা.)-ই সর্বশেষ নবী, তাঁর পরে আর কোনো নবীর আবির্ভাব ঘটবে না। নারী
সমাজের প্রতি সহৃদয ব্যবহার ও সম্মানজনক আচরণ, সর্বোপরি নারী পুরুষের সমানাধিকার প্রশ্নে সচেতন হওয়ার জন্য
সবাইকে মহানবী (সা.) এ ভাষণে উপদেশ দিয়েছেন। এ ভাষণে রাসূলুল্লাহ (সা.) দাস-দাসীর প্রতি সদয় মানবোচিত
সদ্ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। অধীনস্থদের অপমান নির্যাতন থেকে মুক্তি দিয়ে শান্তিতে রাখার কথা অত্যন্ত সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বিদায় হজ্জের ভাষণে। অন্তিম যাত্রার আয়োজন
হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর মুহাম্মদ (সা.) উহুদ প্রান্তরে শহীদদের সমাধি প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে তাঁদের জন্য প্রাণভরে
দোয়া করেন। মদিনায় আগমন করে তিনি ‘মাকবারায়ে বাকী’ বা বাকী কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে দোয়া করেন। সেখান
থেকে প্রত্যাবর্তনের পর সফর মাসের শেষার্ধের প্রথম ভাগে তাঁর শিরপীড়ার সূত্রপাত হয়। ইন্তেকালের পাঁচ দিন পূর্বে তাঁর
পীড়া বৃদ্ধি পায়। ঐ দিন রোগযন্ত্রণায় অস্থির অবস্থায় তিনি সমবেত নর-নারীকে সন্বোধন করে বলেন, “তোমাদের পূর্ববর্তী
জাতিসমূহ তাদের পরলোকগত নবী ও আলেমদের কবরগুলোকে উপাসনা মন্দিরে পরিণত করেছে। সাবধান! তোমরা যেন
এ মহাপাপে লিপ্ত না হও। খ্রিস্টান ও ইহুদিরা এ পাপে অভিশপ্ত হয়েছে। সাবধান, আমার কবরকে তোমরা সিজ্দারস্থল
বানিও না।” পীড়ার একাদশ দিবসে তিনি আবু বকর (রা)-কে ইশারায় সালাতের ইমামতি করার আদেশ দেন। এমন সময়
একটু আরামবোধ করলে ফযল ও আলী (রা)-এর স্কন্ধে ভর করে তিনি মসজিদে প্রবেশ করেন এবং আবু বাকরের পাশে
বসে সালাত আদায় করেন।
সালাতের পর উপস্থিত মুসল্লিদের সম্বোধন করে বললেন, “মুসলিমগণ! আমি তোমাদের আল্লাহর হাতে সমর্পণ করে
যাচ্ছি। তাঁর আশ্রয়, তাঁর দান এবং তাঁর সাহায্যে তোমাদের সোপর্দ করে দিচ্ছি। আমার পরেও আল্লাহই তোমাদের রক্ষা
করবেন। তোমরা নিষ্ঠা, ভক্তি ও সততার সাথে তাঁর আদেশ পালন করতে থেকো, তাহলে তিনি তোমাদের রক্ষা করবেন,
এ আমার শেষ কথা, ভ্রাতৃবর্গ, এই শেষ।”
ইহলোকের শেষ দিন
সাহাবীগণ প্রত্যুষে উঠে ফজরের জামায়াতে সমবেত হয়েছেন। সালাত আরম্ভ হলো। এমন সময় মহানবী (সা.)-এর মন
ব্যাকুল হয়ে ওঠে। আল্লাহর প্রিয়তম বান্দারা কীভাবে ইবাদতে মগ্ন আছে তা দেখার জন্য তিনি জানালার কাছে গেলেন।
সাহাবাদের সালাত আদায়ের স্বর্গীয় দৃশ্য দর্শন করে তিনি অতিশয় আনন্দিত হন। তাঁর মুখে হাসির রেখা ফুটে ওঠে। এ
সময় তিনি ব্যাথায় অস্থির হয়ে পড়েন।
আয়েশা (রা) বলেন, “(সে দিন) আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা) আসেন, তাঁর হাতে মিসওয়াক ছিল। সে সময়
মহানবী (সা.) হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। আমি দেখলাম তিনি বারবার আবদুর রহমান বিন আবু বকরের হাতে থাকা
মিসওয়াকের দিকে লক্ষ্য করছেন। তাঁর ইচ্ছা বুঝতে পেরে আমি মিসওয়াক চিবিয়ে দিলে তিনি তা ধীরে ধীরে কয়েকবার
দাঁতে বুলান। এরপর পানি দ্বারা মুখ পরিষ্কার করেন।” এরপর অন্তিম অবস্থা উপনীত হন। তিনি বারবার অচেতন হয়ে
পড়েন, প্রত্যেক বার চৈতন্য লাভের সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠছেন, “হে আল্লাহ! হে আমার পরম বন্ধু! হে আমার পরম সুহৃদ!
আমাকে তোমার সাথে মিলিত কর।” যখন মৃত্যুর সব লক্ষণই দেখা দিয়েছে এমন সময় তিনি শেষবার চোখ মেলে
উচ্চকণ্ঠে বলে উঠলেন- ‘সালাত, সালাত, সাবধান! দাস-দাসীদের প্রতি সাবধান। অতঃপর তাঁর আত্মা পরম সুহৃদের
সন্নিধানে মহাপ্রস্থান করে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।) (বুখারী, মুসলিম)
স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা কী রকম হবে বলে ঘোষণা করা হয়?
দাস-দাসীদের খাওয়া পরার বিষয়টি কী রকম?
মানুষের কর্মের হিসাব কার কাছে দিতে হবে?
মানুষের জীবন ও সম্পদ কোন বিষয়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে?
সারসংক্ষেপ :
মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজ্জের ভাষণ মুসলিম উম্মাহর সর্বযুগের জন্য পথ-প্রদর্শক। এ ভাষণ জাহিলী চিন্তা চেতনা ও
কুসংস্কার থেকে আরববাসীসহ অনাগতকালের সকল মানুষের জন্য মানবাধিকারের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এ ভাষণের
মাধ্যমে মহানবী (সা.) ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সমাজনীতি, পরিবারিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠার এক
অনবদ্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। বিদায় হজ্জের ভাষনের মতাদর্শ বাস্তবায়ন করা হলে সংঘাতময় বিশ্বের অবশ্যই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. আরাফাতের কোন পাহাড়ের চূড়ায় মহানবী (সা.) ভাষন দিয়েছিলেন?
(ক) জাবালে রাহমাত (খ) জাবালে আরাফাহ
(গ) জাবালে নুর (ঘ) জাবালে হেরা
২. মহানবী (সা.) অসুস্থ থাকাবস্থায় কাকে সালাতের ইমামতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন ?
(ক) আলী (রা:) (খ) উমর (রা:)
(গ) উসমান (রা:) (ঘ) আবুবকর (রা:)
৩. বিদায় হজ্জের অমূল্য ভাষণে হযরত মুহাম্মদ (সা.) আহবান জানান-
র. ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার
রর. বংশগত কৌলীণ্য প্রথা বিলুপ্ত করার
ররর. শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র ও ররর (খ) রর ও ররর
(গ) র ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন
মিজান মোল্লা একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি একজন সুশিক্ষিত ও ধার্মিক ব্যক্তি। মানবাধিকার সংক্রান্ত গবেষণা করতে
গিয়ে পৃথিবীর সকল ধর্মের মানবাধিকার সম্পর্কে তার অনেক ভাল জ্ঞান রয়েছে। “যুগে যুগে মানবাধিকার ও তার
বাস্তবায়ন” শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা কালে মিজান মোল্লা বলেন, বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইসলাম
ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ট।” তিনি মানবাধিকার রক্ষায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর গৃহিত সকল
পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। তিনি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকলকে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিদায় হজ্জ্বের ভাষণকে
অনুধাবন ও অনুসরণ করার আহŸান জানান।
(ক) বিদায় হজ্জ কত সালে হয়? ১
(খ) বিদায় হজ্জকে বিদায় হজ্জ বলা হয় কেন? ২
(গ) উদ্দীপকের আলোকে বিদায় হজ্জের ভাষণে প্রদত্ত ইয়াতীম ও দাস-দাসীর অধিকারসমূহ তুলে ধর। ৩
(ঘ) “মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ।”- ব্যাখ্যা কর। ৪
উত্তরমালা
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.১ : ১. (ঘ) ২. (গ) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.২ : ১. (গ) ২. (ঘ) ৩. (ক)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৩ : ১. (খ) ২. (খ) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৪ : ১. (খ) ২. (গ) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৫ : ১. (ঘ) ২. (ক) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৬ : ১. (ঘ) ২. (ঘ) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৭ : ১. (ঘ) ২. (খ) ৩. (খ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৮ : ১. (ঘ) ২. (ঘ) ৩. (ক)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৯ : ১. (ক) ২. (ক) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.১০ : ১. (গ) ২. (ক) ৩. (খ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.১১ : ১. (ঘ) ২. (ক) ৩. (ঘ)

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]