হযরত উমর (রা.) এর প্রশাসনিক সংস্কার

মুখ্য শব্দ জবাবদিহিতামূলক শাসন, বায়তুল মাল, মজলিশ-উশ-শূরা, উমর (রা.) এর
দিওয়ান ও হিজরী সন প্রবর্তন
মুসলিম শাসকদের মাঝে হযরত উমর (রা.) ছিলেন সবচেয়ে যোগ্য ও বিচক্ষণ। তিনিই মূলত মুসলিম
শাসনপ্রণালীর প্রকৃত প্রবর্তক। তিনি শুধু সুবিশাল ভূখÐের শাসক ছিলেন না, তিনি এইসব বিজিত অঞ্চলে সুশাসনও কায়েম করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে
হযরত উমর (রা.) এর শাসন প্রণালী ঃ
ক) গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা
হযরত উমর (রা.) ছিলেন একজন গণতান্ত্রিক শাসক। রাসূল (স.) যে গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোর প্রবর্তন করেছিলেন,
হযরত উমরের সময়ে তা বিকশিত হয় পরিপূর্ণভাবে। তাঁর শাসনাধীন রাষ্ট্রে সকল মুসলিমদের সমান অধিকার ছিল। জিম্মি
ও অমুসলিম প্রজারা জিযিয়া কর প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা ভোগ করতো। প্রত্যেক ব্যক্তির
যোগ্যতা অনুসারে কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল। তাঁর শাসনপ্রণালী ছিল জবাবদিহিতামূলক। প্রত্যেক জণগণের অধিকার ছিল
খলীফার কর্মকাÐের উপর সমালোচনা করা। খলীফা যাতে একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র সৃষ্টি করতে না পারেন সে জন্য
জবাবদিহিতার ব্যবস্থা ছিল।
রাষ্ট্র পরিচালনা হত পরামর্শ সভার সকল সদস্যদের অভিমতের উপর ভিত্তি করে। সাম্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জনগণের
কল্যাণে ব্যয় করা হত। ভ্রাতৃত্বের আদর্শ ছিল রাষ্ট্রের মূল চালিকা শক্তি। বায়তুল মাল ছিল সম্পূর্ণরূপে জনগণের সম্পত্তি।
খলীফা এ থেকে ন্যূনতম ভাতা গ্রহণ করতেন।
খ) মজলিস আল শূরা
পরামর্শ ব্যতিত কোন রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না। এই পরামর্শ সভার অনুমোদন ব্যতীত খলীফা এককভাবে
কোন সিদ্ধান্ত নিতেন না। এটি দুইটি অংশে বিভক্ত ছিল। যথা:
ক্স মজলিস আল-আম বা সাধারণ পরিষদ রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকাÐের সিদ্ধান্ত এই সভায় নেওয়া হত। এখানে
সাধারণ জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হত।
ক্স মজলিস আল-খাস বা বিশেষ পরিষদ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যেমন ঃ কাজী বা বিচারক নিয়োগ, প্রাদেশিক
গভর্ণর, সামরিক বাহিনীর প্রধান ইত্যাদি নিয়োগের সিদ্ধান্ত এই সভায় নেওয়া হত। খলিফা, বিশিষ্ট সাহাবী,
হাদীস বিশারদ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এই পরিষদের সদস্য ছিলেন।
গ) কেন্দ্রীয় শাসন
কেন্দীয় শাসনব্যবস্থার মধ্যমণি ছিলেন স্বয়ং খলীফা হযরত উমর (রা.)। তিনি কেন্দ্রের শাসন পরিচালনা করতেন। অভিজ্ঞ
সাহাবীগণ ছিলেন তাঁর প্রধান পরামর্শদাতা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন- হযরত উসমান (রা.), হযরত আলী (রা.),
হযরত তালহা(রা.), হযরত যুবায়ের (রা.), সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। তিনি প্রাদেশিক গভর্ণরদের যোগ্যতা ও বিচক্ষণতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতেন।
ঘ) প্রাদেশিক শাসন
খলীফার শাসনকার্যের সুবিধার জন্য সমগ্র রাষ্ট্রকে ১৪টি প্রদেশে ভাগ করে। প্রদেশগুলো হচ্ছে ঃ
১. মক্কা ২. মদীনা ৩. সিরিয়া ৪. বসরা ৫. কুফা ৬. ফারস ৭. কিরমান ৮. খুরসান ৯. মিসর ১০. ফিলিস্তিন ১১. মাকরান
১২. সিজিস্তান ১৩. আজারবাইজান ১৪. আল-জাজিরা।
ঙ) আল-ওয়ালী ও আল-আমিল
১. প্রত্যেক প্রদেশের জন্য একজন প্রদেশপাল নিয়োগ করেন। প্রদেশপালকে বলা হত আল-ওয়ালী।
২. প্রত্যেক প্রদেশকে খলীফা অসংখ্য জেলায় বিভক্ত করেন। জেলার প্রধান ব্যক্তিকে আমিল বলা হতো। যথাক্রমে ওয়ালী
এবং আমিল তাদের নিজ নিজ কাজের জন্য খলীফার নিকট দায়ী থাকতেন। প্রত্যেক হজ্ব মৌসুমে খলীফা তাঁদের সাথে
সাক্ষাৎ করতেন এবং তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে অবগত হতেন। ওয়ালী ও আমিলগণ তাদের অঞ্চলে আরো
গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন। তারা ছিলেন সামরিক প্রধান ও রাজস্ব সংগ্রাহক, প্রদেশ ও জেলার প্রধান বিচারক।
চ) কৃষি ও বাণিজ্য সংস্কার
খলীফা হযরত উমর (রা.) কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেন। তিনি জায়গীর প্রথা বিলোপ করেন, কৃষিতে কৃষকের ন্যায্য
অধিকার নিশ্চিত করেন। সেচের ব্যবস্থা করেন জমির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতার উপর কর ধার্য করেন। বাঁধ সংস্কার ও
খাল নির্মাণ করেন। তার নির্দেশে আমর ইবন আল আস (রা.) মিসরে সুয়েজখাল খনন করেন যা ৮০ বছর কার্যকরী ছিল।
তিনি বণিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ সুগম করেন।
ছ) আদমশুমারী
হযরত উমর (রা.) সর্বপ্রথম পরিকল্পিত ভাবে আদমশুমারী করার ব্যবস্থা করেন। রাজস্ব বন্টন ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে
ভাতা প্রদানের জন্য এটি ছিল একটি বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ।
জ) রাজস্ব প্রশাসন
হযরত উমরের রাজস্ব ব্যবস্থা ছিল যুগান্তকারী একটি সংস্কার। সুষ্ঠু রাজস্বব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে মুসলিম রাষ্ট্রের আয়ের
উৎস বৃদ্ধি পায়, সম্পদের সমবন্টন সম্ভব হয়। রাজস্বের বিভিন্ন উৎসগুলো ছিল যথাক্রমেযাকাত ঃ সকল সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর যাকাত প্রদান ফরজ ছিল। কোন মুসলিম ব্যক্তির যদি গচ্ছিত সম্পদের
পরিমান ৭.৫ তোলা স্বর্ণ বা ৫২.৫ তোলা রৌপ্য মূল্যের সমান হয় এবং তা যদি এক বছর গচ্ছিত থাকে তবে তার জন্য
যাকাত প্রদান করা ফরজ।
জিযিয়া ঃ এটি ছিল নিরাপত্তামূলক কর। মুসলিম রাষ্ট্রের বসবাসকারী অমুসলিম প্রজারা জিযিয়া প্রদানের মাধ্যমে বিশেষ
সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা ভোগ করত।
গনিমাহ ঃ এটি ছিল যুদ্ধলব্ধ দ্রব্য-সামগ্রী যার ১/১০ অংশ বায়তুল মালে রাখা হত এবং অবশিষ্ট ৯ ভাগ যুদ্ধে
অংশগ্রহণকারী সৈন্যের মধ্যে বন্টন করা হতো।
খারাজ ঃ এটি ছিল ভূমিসর। মুসলিম রাষ্ট্রের অমুসলিম প্রজারা উৎপন্ন শস্যের ১/২ থেকে ১/৫ অংশ খারাজ প্রদান করত।
ওশর ঃ এটি মুসলিম প্রজারা উৎপন্ন শস্যের ১/১০ অংশ রাষ্ট্রের কোষাগারে প্রদান করতেন।
আল ফাই ঃ এটি ছিল রাষ্ট্রের খাসজমির (ঈৎড়হি ষধহফ) আয়। এটি জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হতো।
উশুর ঃ এটি ছিল বাণিজ্য কর । বাণিজ্যিক শুল্ক হিসেবে এটি মুসলিম বণিকদের কাছ হতে ২.৫ % ও অমুসলিম বণিকদের
কাছ থেকে ৫% এবং বিদেশী বণিকদের কাছ হতে ১০% আদায় করা হতো।
ঝ) দিউয়ানুল খারায
রাষ্ট্রে বিভিন্ন উৎস থেকে রজস্ব সংগ্রহ এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্ধারণের জন্য খলীফা দিউয়ানুল খারায বা রাজস্ব বিভাগ
নামে একটি প্রশাসনিক বিভাগ চালু করেন। এটি রাজস্ব সংগ্রহ ও রাষ্ট্রীয় কাজে এর ব্যয় এবং সুষম বন্টন নিশ্চিত করতো।
ঞ) বায়তুল মাল পুনর্গঠন
খলীফা হযরত উমর (রা.) বায়তুল মাল সংস্কার করেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ ভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান। সমস্ত রাজস্ব ও রাষ্ট্রীয়
আয় এই কোষাগারে জমা হতো। এটি হতে পরবর্তীতে খলীফা ভাতা প্রদান করতেন।
ট) ভাতা প্রদান
সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীর বেতন পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ খলীফা তালিকা অনুসারে ভাতা (চবহংরড়হ) হিসেবে
বন্টন করতেন। এটিতে অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হতো। যথা-
ক্স প্রথম স্তর: মহানবী (সা.) এর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যগণ;
ক্স দ্বিতীয় স্তর: বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীগণ;
ক্স তৃতীয় স্তর: আবিসিনিয়ার হিজরতের পূর্বে ইসলাম কবুলকারীগণ;
ক্স চতুর্থ স্তর: মক্কা বিজয়ের পূর্বে ইসলাম গ্রহণকারীগণ;
ক্স পঞ্চম স্তর: সেনাবাহিনী পরিষদের সদস্যবৃন্দগণ;
ক্স ষষ্ঠ স্তর: সাধারণ দুস্থ নারী-পুরুষ ও শিশু;
ক্স সপ্তম স্তর: মক্কা বিজেয়ের পর ইসলাম গ্রহণকারীগণ
মূলত এটি ‘উমরের দিওয়ান’ নামেই সমধিক পরিচিত। ঠ) বিচার ব্যবস্থা
হযরত উমর (রা.) এর বিচার ব্যবস্থা ছিল স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন। সুশাসন ও ন্যায় বিচার রক্ষা ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।
ইসলামী আইন কানুন ও শরিয়ত মোতাবেক বিচার কার্য পরিচালিত হত। আইনের চোখে সকলেই ছিল সমান, এমন কি
খলীফার এর উর্ধ্বে ছিলেন না। কাজী-উল-কুযাত ছিলেন প্রধান বিচারপ্রতি।
পুলিশ বিভাগ
অপরাধ দমন ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য খলীফা পুলিশ বিভাগ সৃষ্টি করেন। তিনি জেলখানাও প্রতিষ্ঠা করেন।
গোয়েন্দা বিভাগ
খলীফার শাসনামলে তদন্ত ও গোয়েন্দা বিভাগও প্রবর্তিত হয়। এ বিভাগ খলীফার চোখ ও কান হিসেবে বিবেচিত হত।
ড) সামরিক বিভাগ
সামরিক বিভাগ ছিল রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ। তিনি সমগ্র রাষ্ট্রে ৯ টি সামরিক জেলায় বিভক্ত করেন। ১)
মদিনা ২) কুফা ৩) বসরা ৪) মিসর ৫) ফুস্তাত ৬) দামেস্ক ৭) হিম্স ৮) ফিলিস্তিন ৯) মসুল। সামরিক বিভাগকে বলা
হত দিউয়ান আল জুন্দ। সামরিক অফিসার ও সৈন্য গণ পারিশ্রমিস পেতেন। সেনা বাহিনী অগ্র, পশ্চাৎ, মধ্যভাগ, ডান ও
বাম হস্তে বিভক্ত ছিল। আমিরুল আশরাফ, কায়িদ ও আমির ছিল সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের অফিসার।
হিজরি সনের প্রবর্তক
খলীফা হযরত উমর (রা.) সর্বপ্রথম হিজরী সনের প্রবর্তন করেন।
জনকল্যানমূলক কাজ
তিনি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সংস্কার সাধন করেন। সেচ ব্যবস্থা, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, চিকিৎসাকেন্দ্র, সরাইখানা, মসজিদ,
ইত্যাদি নির্মাণ করেন।
সারসংক্ষেপ:
খলীফা উমর (রা.) ইসলামের ইতিহাসে æটসধৎ ঃযব এৎবধঃ” বা মহান উমর নামে পরিচিত। তিনি তাঁর শাসনামলে
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার আদর্শ নমুনা স্থাপন করে গেছেন। তাঁর রাষ্ট্রকাঠামো ছিল আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও সুষম।
মহানবী (সা.) এর পর তিনি ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র নায়ক। তাঁর দেখানো রাষ্ট্রব্যবস্থা ও প্রশাসন
পরবর্তীতে উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফাগণ আংশিক অনুসরণ করে গেছেন।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. হযরত উমর (রা.) এর শাসন ব্যবস্থা ছিল-
ক) একনায়কতান্ত্রিক খ) স্বৈরতান্ত্রিক
গ) গণতান্ত্রিক গ) রাজতান্ত্রিক
২. খলীফা উমর রাষ্ট্রকে প্রদেশে ভাগ করেন-
ক) শাসনকার্যের সুবিধার জন্য খ) বেশি রাজস্ব আদায়ের জন্য
গ) নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে ঘ) জনগণের ইচ্ছা পূরণের জন্য
৩. হযরত উমর (রা.) শাসন প্রণালীর কোন কোন ক্ষেত্র সংস্কার করেন।
র) প্রশাসন ব্যবস্থা রর) রাজস্ব ব্যবস্থা
ররর)সামরিক ব্যবস্থা
নিচের কোন্টি সঠিক
ক) র, রর খ) র, রর
গ) রর, ররর ঘ) র, রর, ররর
সৃজনশীল প্রশ্নঃ
মেয়র ‘ক’ এর শাসননীতিতে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়। তিনি গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম করার উদ্দেশ্যে প্রশাসন
ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খলভাবে সাজান। তাছাড়া রাজস্ব ব্যবস্থা, সামরিক ব্যবস্থা প্রভৃতির সংস্কার করেন। শাসনকার্যে নিয়োজিত
সকল স্তরের লোকদের তাদের দায়িত্ব পালনের উপর জোর দেন। এভাবে তাঁর এলাকায় তিনি একটি সুশৃঙ্খল শাসনব্যবস্থা প্রণয়ন করেন।
ক) হযরত উমর (রা.) তাঁর বিশাল সা¤্রাজ্যকে কতটি প্রদেশে ভাগ করেন ? ১
খ) হযরত উমর (রা.) আদমশুমারির প্রবর্তন করেন কেন ? ২
গ) মেয়র ‘ক’ প্রশাসন ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল করেন। উমর (রা.) এর প্রশাসন ব্যবস্থাও কি সুশৃঙ্খল ছিল? ৩
ঘ) প্রশাসনিক সংস্কারক হিসেবে উমর (রা.) কতটুকু সফল ছিলেন লিখুন। ৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]