মুখ্য শব্দ আমিরুল মুমিনীন, মজলিস-উশ-শূরা, সাহিবুল আহ্দাস ও সাহিবুল খারাজ।
মহানবী (সা.) এর ইন্তিকালের পর পর চারজন খলীফা তাঁর প্রতিনিধি হয়ে মুসলিম সা¤্রাজ্যকে শাসন
করেছেন। এই চার খলীফার শাসন ছিল মহানবী (সা.) আদর্শ নীতির প্রতিকৃতি। মহানবী (সা.) আল্লাহর
বাণীকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি মদীনা রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। কিন্তু মদীনা রাষ্ট্রকে একটি
শাসনকাঠামো দিয়েছিলেন খুলাফায়ে রাশিদীনের চার খলীফা তাদের ৩০ বছরের (৬৩২-৬৬১) শাসনে মুসলিম সা¤্রাজ্য
কেবল প্রসারিত হয়নি বরং একটি উৎকৃষ্ট শাসনব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছিল।
খলীফা
খুলাফায়ে রাশিদীনের শাসনব্যবস্থায় খলিফাই ছিলেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ছিলেন রাসূল (সা.) এর প্রতিনিধি।
রাসূল (সা.) এর ন্যায় তিনিও ছিলেন প্রধান ধর্মীয় নেতা, ইমাম, সেনাবাহিনীর প্রধান, আইনদাতা ও রাষ্ট্রের সর্বময়কর্তা।
তাঁর উপাধি ছিল ‘আমিরুল মুমিনীন বা মুমিনদের নেতা’। কিন্তু তিনি স্বেচ্ছাচারী ছিলেন না। কুরআন ও হাদীস অনুসারে
খলিফাকে শাসন করতে হতো। তিনি তাঁর কাজের জন্য জনগণের নিকট দায়ী থাকতেন, জনগণের নিকট জবাবদিহি
করতেন। আল খুযারীর ভাষায়-
শাসননীতি
খুলাফায়ে রাশিদীনের শাসনকাঠামো খলীফা হযরত উমর (রা.) প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী খলিফাগণ তাঁর অনুসৃত নীতিসমূহ
অনুসরণ করে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তিনি শাসনক্ষেত্রে ৩ টি প্রধান নীতি অনুসরণ করেছিলেন যা ছিল তাঁর সমগ্র
শাসনকাঠামোর বৈশিষ্ট্য। যথা-
ক্স তিনি আরব জাতিকে একটি বিশুদ্ধ ও স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের
জন্য তিনি -বৈদেশিক উপাদানগুলো আরবদেশ হতে দূরীভূত করে আরব ভূমিকে কেবলমাত্র আরববাসীদের জন্য
সংরক্ষিত রাখেন।
ক্স আরববাসীদেরকে আরবের বাইরে ভূমি ক্রয় করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
ক্স সাধারণতন্ত্রের অতিবিস্তার তিনি পরিহারের চেষ্টা করেন। যতদিন তাঁর এই নীতি প্রচলিত ছিল, ততোদিন পর্যন্ত
মুসলিম শাসনকাঠামো অটুট ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পরবর্তী খলিফাগণ এই নীতি হতে দূরে সরে পড়েন।
মজলিস-আল-শূরা
মজলিশ-আল-শূরা বা মন্ত্রণা-পরিষদ ছিল খুলাফায়ে রাশিদীনের শাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। একে উপদেষ্টা পরিষদও বলা
হতো। আনসার ও মুহাজিরদের পক্ষ হতে বয়োজ্যেষ্ঠ, জ্ঞানী-ও বিচক্ষণ ব্যক্তিদের দ্বারা শূরা গঠিত হত। মসজিদে নববীতে
এটির অধিবেশন পরিচালনা বসতো। খলিফাগণ এই মন্ত্রণা পরিষদের পরামর্শ অনুসারে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যেমন- প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ, কাজী, সেনাপ্রধান নিয়োগ, রাজস্ব নির্ধারণ, যুদ্ধের সিদ্ধান্ত ও
শাসনকার্যের নানাবিধ কর্মকাÐ মজলিসের পরামর্শ অনুসারে সম্পন্ন করা হতো। খলীফা উমর (রা.) এর শাসনামলে এটি
প্রধান ২ টি অংশে বিভক্ত ছিল।
ক) মজলিস-ই-আম বা সাধারণ সভা।
খ) মজলিস-ই-খাস বা বিশেষ সভা।
শাসনকার্যে জনগণের অংশগ্রহণ
খুলাফায়ে রাশিদীনের শাসনকার্যে জনগণ প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতেন। অনেক ক্ষেত্রে খলীফা জনগণের ইচ্ছানুযায়ী
রাজকর্মচারী ও শাসনকর্তা নিয্ক্তু করতেন। খলীফা তাঁর কাজের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহিতা করতেন। জনগণের
মতামত ও অভিযোগ খলিফাগণ গুরুত্বসহকারে শ্রবণ করতেন।
প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা
শাসনকার্যের সুবিধার জন্য খলিফাগণ সমগ্র সা¤্রাজ্যকে ১৪টি প্রদেশে বিভক্ত করেন। যথা- মক্কা, মদীনা, সিরিয়া,
জাবিয়রাহ, বসরা, কুফা, মিসর, ফিলিস্তিন, র্ফাস, র্কিমান, খোরসান, মাক্রান, সিজিস্তান, ও আজারবাইজান ।
ওয়ালী
প্রদেশের শাসনকার্য ও প্রাদেশিক গভর্ণর বা ওয়ালীর উপর ন্যস্ত ছিল। তিনি শূরার সম্মতিক্রমে স্বয়ং খলীফা দ্বারা নিয্ক্তু
হতেন। তিনি ছিলেন প্রদেশের ইমাম, সেনা প্রধান, রাজস্ব আদায়কারী ও শুক্রবারে তিনি জুমুআর খুৎবা পাঠ করতেন।
তিনি তাঁর কাজের জন্য খলীফার নিকট দায়ী থাকতেন। তাঁর কাজের জন্য ব্যক্তিগত সেক্রেটারিয়েট (সচিবালয়) ছিল।
আমিল
প্রত্যেকটি প্রদেশকে একাধিক জেলায় বিভক্ত করা হতো। জেলার শাসনভার আমিল নামক কর্মকর্তার হাতে ন্যস্ত ছিল।
তিনি ওয়ালীর অধীনে কাজ করতেন। ওয়ালী ও আমিলকে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হতে হত। নিয়োগের পূর্বেই তাদের
ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসাব রাখা হতো। তাই কর্মরত অবস্থায় তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পেলে রাষ্ট্র তা বাজেয়াপ্ত করে নিতো।
অন্যান্য কর্মচারী
খলিফাগণ প্রত্যেক প্রদেশে কাজী নিয়োগ করতেন। কাজীকে উচ্চ শিক্ষিত ও সৎ হতে হতো।
সাহিবুল খারায ছিলেন প্রাদেশিক রাজস্ব কর্মকর্তা।
সাহিবুল আহ্দাস ছিলেন প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা।
সাহিবুল বায়তুল মাল ছিলেন বায়তুল মালের প্রধান।
রাজস্ব প্রশাসন
খুলাফায়ে রাশিদীনের আমলে নি¤œ লিখিত উৎস হতে রাজস্ব আদয় করা হত।
১. যাকাত ২. জিযিয়া ৩. খুম্স ৪. ওশর ৫. খারায ৬. আল ফাই ৭. উশর।
যাকাত বা দরিদ্র কর
প্রত্যেক সামর্থ্যবান ও বিত্তশালী মুসলিম হতে যাকাত আদায় করা হতো। শরীয়ত মোতাবেক এটির বিধি বিধান স্বয়ং
মহানবী (সা.) প্রবর্তন করে গিয়েছেন। সম্পদের উপর যাকাত ধার্য করার পর পরবর্তীতে খলীফা উমরের সময়ে অশ্বের
উপরও যাকাত ধার্য করা হয়।
জিযিয়া বা নিরাপত্তা কর
মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিমগণ রাষ্ট্রের তরফ হতে নিরাপত্তার জন্য জিযিয়া কর প্রদান করতো। তাদের কোন
প্রতিরক্ষায় বা সামরিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে হতো না। তাই এই কর্তব্য হতে অব্যাহতি ও নিরাপত্তা পাবার জন্য তাদের
উপর জিযিয়া ধার্য করা হয়। নারী, শিশু, বৃদ্ধ, উন্মাদ, ধর্মপরয়াণগণ এই কর হতে মুক্ত ছিলেন। উচ্চবিত্তের জন্য
বাৎসরিক ৪ দিনার মধ্যবিত্তের জন্য ২ দিনার ও নি¤œবিত্তদের জন্য ১ দিনার ধার্য করা হয়েছিল।
গানিমাহ
এটি ছিল যুদ্ধ লব্ধ সম্পত্তি। যার ১/৫ (এক পঞ্চমাংশ) ভাগ রাজকোষে জমা হতো। একে বল হত খুম্স। বাকি ৪/৫ (চার
পঞ্চমাংশ) অংশ সৈন্যদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হতো।
ওশর
মুসলিমগণ তাদের জমি চাষবাস করলে রাষ্ট্রকে ওশর প্রদান করতে হতো। রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত উৎপন্ন শস্যের ১/১০ (এক
দশমাংশ) কে আল-ওশর বলা হত। এটি পানি বা সেচ সুবিধাহীন বৃহৎ ভূ-সম্পত্তি হতে আদায় করা হতো।
খারাজ
খারাজ ছিল অমুসলিম কৃষকদের উপর আরোপিত ভূমিসর। দিওয়ানুল খারাজ নামক বিভাগ রাষ্ট্রের খারাজ আদায় করতো।
রাষ্ট্র কর্তৃক এর নির্ধারিত পরিমাণ ছিল উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক অথবা ৫০% নগদ অর্থ বা উৎপন্ন শস্যের মাধ্যমে তা আদায়
কার হত।
আল ফাই
খলিফাদের শাসনামলে দাবিদারহীন খাস জমি, অনাবাদী ও অরণ্যভূমি এবং বিদ্রোহীদের বাজেয়াপ্ত জমি আল ফাই নামে
পরিচিত। এই সব জমি হতে প্রাপ্ত আয়কে বলা হয় আল ফাই রাজস্ব।
উশুর বা বাণিজ্য কর
বিদেশি বণিকগণ মুসলিম রাষ্ট্রে ব্যবসা-বাণিজ্য করলে তাদেরকে ১০% হারে উশুর বা বাণিজ্যকর দিতে হত। মুসলিম
বণিকগণ ২.৫ এবং দেশীয় অমুসলিম বণিকগণ ৫% হরে উশুর দিতো।
বায়তুল মাল ও দিওয়ান
খলীফা উমর (রা.) শাসনামলে আরো দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন ছিল বায়তুল মাল ও দিওয়ান। কেন্দ্র ও প্রদেশগুলোতে
খলীফা বায়তুল মাল প্রতিষ্ঠা করেন। সকল রাষ্ট্রীয় আয় বায়তুল মাল-এ সংগৃহীত হত এবং তা জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা
হতো। এটি ছিল রাষ্ট্রীয় কোষাগার। খলীফা বায়তুল মাল হতে মাসিক বৃত্তি পেতেন। এর অর্থের উপর তার কোন অধিকার
ছিল না।
অপরদিকে রাষ্ট্রের রাজস্বের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত কার্যাদি নিয়ন্ত্রণের জন্য খলীফা দিওয়ান প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রীয় আয় ব্যয়ের
সঠিক হিসাব নিকাশ করাই ছিল এর প্রধান দায়িত্ব। এছাড়া ব্যয়ের উদ্বৃত্ত অর্থ পেনশন বা ভাতা হিসেবে জনগণের মাঝে
বন্টন করা হতো। মহানবী (সা.) এর নিকট আত্মীয়, ইসলামের খিদমত ও সমতার ভিত্তিতে ভাতার পরিমাণ নির্ধারিত
হতো।
সামরিক শাসনব্যবস্থা
হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সময়ে কোন সুনির্দিষ্ট সামরিক বাহিনী ছিল না। যুদ্ধের সময় মহানবীর (সা.) এর আহবানে
সকলে অংশগ্রহণ করতো। কিন্তু খুলাফায়েরাশেদীনের সময়ে একটি স্থায়ী সামরিক বাহিনী তৈরি করা হয়। খলীফা উমর
(রা.) এর প্রবর্তন করেন। বর্শা, ঢাল, তলোয়ার ইত্যাদি ছিল সামরিক বাহিনীর অস্ত্র। সামরিক অফিসারগণ যোগ্য
পারিশ্রমিস পেতেন, তাদেরকে রাষ্ট্র হতে ভাতাও প্রদান করা হতো।
সামরিক সদস্যগণ মূলত ৫ ভাগে বিভক্ত হয়ে ( যথা: অগ্র, পশ্চাৎ, মধ্যভাগ, ডান বাহু ও বাম বাহু যুদ্ধ) পরিচালনা
করতেন। খিলাফত ৯ টি জুনদ বা সামরিক বিভাগে বিভক্ত ছিল। সাধারণত দশমিক পদ্ধতিতে- আরিফ, কায়েদ ও আমীর
ইত্যাদি ভাগে দিওয়ান-আল-জুন্দ বা সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করা হতো।
বিচার বিভাগ
খলিফাই ছিলেন সা¤্রাজ্যের সর্বোচ্চ বিচারক। এছাড়াও কেন্দ্রে ছিলেন একজন প্রধান বিচারপতি বা কাজী-উল-কুজ্জাত।
তিনি নিরপেক্ষ ও আদর্শ বিচারক হতেন। প্রাদেশিক কাজীদের তিনিই নিয়োগ করতেন। কাজী কুরআন হাদীস অনুসারে
বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
নৌ-বিভাগ
আরব উপদ্বীপের ৩ দিকেই ছিল সমুদ্র। প্রথম দুই খলীফার সময় পর্যন্ত আরব- নৌবাহিনী গুরুত্ব অনুধাবন করা হয়নি।
৩য় খলীফা হযরত উসমান সর্বপ্রথম নৌ-বাহিনী গঠন করেন। আব্দুল্লাহ বিন কায়েস ছিলেন প্রধম আরব নৌ-অধ্যক্ষ। তিনি
রোমানদের বিরুদ্ধে ৫০ টি নৌ-অভিযান পরিচালনা করেন। এই সময় হতে লোহিত সাগর, ভূ-মধ্যসাগর ও পারস্য
উপসাগরে আরব নৌবাহিনীর প্রাধান্য সৃষ্টি হতে থাকে।
পুলিশ বাহিনী
খলীফা হযরত উমর (রা.) পুলিশ বিভাগ বা শুরতা প্রবর্তন করেন। সাহিব আল শুরতা ছিলেন এই বিভাগের প্রধান। পুলিশ
বাহিনী রাত্রিকালে পাহারা দিতেন ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেন।
জনহিতকর কার্যাবলি
খলিফাগণ প্রজাদের জনকল্যাণের জন্য কৃষির উন্নতি সাধন করেন। এই উদ্দেশ্যে বহু খাল খনন করেন, জমি জরিপের
ব্যবস্থা করেন। আমর ইবন আল-আস মিসরে সুয়েজ খাল খনন করেন। অনাবাদী জমিকে চাষের উপযোগী করে তোলেন।
এছাড়াও খলীফাগণ রাষ্ট্রীয় ভবন, মসজিদ, দফতরখানা, কারাগার, সরাইখানা, পরিবহন, সড়ক ইত্যাদি নির্মাণ করেন।
ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা
খলিফাগণ ছিলেন প্রধান ধর্মীয় নেতা। তাঁরা কুরআন ও হাদীস শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। শুদ্ধভাবে কুরআন শিক্ষা দেবার জন্য
শিক্ষক নিয়োগ ও বিভিন্ন স্থানে তাদের প্রেরণ করতেন।
শিক্ষা ব্যবস্থা
সাধারণত মসজিদই ছিল প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র। খলীফাদের শাসনামলে কুরআন, হাদীস, ফিকাহ ইত্যাদি শিক্ষা দেওয়া হতো।
এই সময়ে বস্রা ও কুফা মুসলিমদের প্রধান শিক্ষা কেন্দ্রে পরিণত হয়।
জিম্মী
মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিম প্রজাদের নিরাপত্তা দেওয়া হতো। তারা নিজ নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন ছিল। তারা সকল প্রকার
মৌলিক অধিকার ভোগ করতো। রাষ্ট্র কেবল সামর্থ্যবান যিম্মীদের কাছ হতে জিযিয়া কর গ্রহণ করতো। খুলাফায়ে
রাশিদীনের যুগে যিম্মীগণ সুখে শান্তিতে বসবাস করতো।
সামাজিক জীবন
খুলাফায়েরাশেদীনের যুগে সামাজিক জীবন ছিল অত্যন্ত শৃংখল। খলিফাগণ সরল ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন।
সমাজে কোন সামাজিক স্তর বা শ্রেণি ভেদাভেদ ছিল না।সমাজে নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নারীরা সমাজের
পুরুষের সম-মর্যাদার অধিকারী হন। তারা স্বামী ও পিতার সম্পত্তির অধিকারী হয়। সমাজে দাসদের প্রতি সুবচিার করা
হতো ও তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা হতো। দাসদের অনেকেই উচ্চ পদে আসীন হতে পারতো।
সারসংক্ষেপ:
প্রায় দুই যুগের অধিক (৬৩২-৬৬১) খ্রিঃ সময় ধরে খুলাফায়ে রাশিদীনের শাসন বজায় ছিল। মূলত ২য় খলীফা হযরত
উমর (রা.) ছিলেন এই ইসলামী শাসনব্যবস্থার প্রকৃত সংগঠক। তার শাসনকাঠামোই পরবর্তী খলিফাগণ অনুসরণ করে
গেছেন। এই শাসনব্যবস্থা ছিল স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক জনগণের ইচ্ছা ও মতামত এই শাসন ব্যবস্থায় প্রতিফলিত হতো।
কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক, সামরিক, বিচার, শিক্ষা, অর্থ-রাজস্ব, সকল দিক থেকে এই শাসন ব্যবস্থা ছিল একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ
শাসনব্যবস্থা। যা ছিল পরবর্তী উমাইয়া ও আব্বাসীয় এবং সমগ্র বিশ্বের শাসকদের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়
দৃষ্টান্ত।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৬.১৮
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. খুলাফায়ে রাশিদীনের চার খলীফার শাসনকাল কত বছর ছিল ?
ক) ৪০ বছর খ) ৩০ বছর গ) ২০ বছর ঘ) ৬০ বছর
২. খলিফাগণ সা¤্রাজ্যকে বিভিন্ন প্রদেশে বিভক্ত করেন কেন ?
ক) অতিরিক্ত কর আদায়ের জন্য খ) জনসংখ্যার হিসাবের জন্য
গ) শাসনকার্যের সুবিধার জন্য ঘ) কোনটিই নয়
৩. খুলাফায়ে রাশিদীনের আমলে নি¤œলিখিত উৎস হতে রাজস্ব আদায় করা হতর) যাকাত রর) জিযিয়া ররর) আল ফাই
নিচের কোন্টি সঠিক
ক) র, রর খ) রর, ররর গ) র, ররর ঘ) র, ররর, ররর
চূড়ান্ত মূল্যায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন
মানব সভ্যতার ইতিহাসে ‘ক’ এর শাসনামল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। এই শাসনব্যবস্থা ছিল স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক। কেন্দ্রীয়,
প্রাদেশিক, সামরিক, বিচার, শিক্ষা, অর্থ-রাজস্ব সকল দিক থেকে এই শাসন ব্যবস্থা ছিল একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শাসনব্যবস্থা যা
পরবর্তী সকল শাসকের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
ক) খুলাফায়ে রাশিদীনের সদস্য কারা? ১
খ) মজলিশ-আল-শূরা বলতে কী বুঝ? ২
গ) উদ্দীপকে উল্লেখিত শাসন ব্যবস্থার প্রাদেশিক শাসন পদ্ধতি আলোচনা করুন। ৩
ঘ) খুলাফায়ে রাশিদীনের আমলে রাজস্ব আদায়ের উৎসগুলো আলোচনা করুন। ৪
উত্তরমালা
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১ : ১. (গ) ২. (গ) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.২ : ১. (ঘ) ২. (গ) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.৩ : ১. (ঘ) ২. (গ) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.৪ : ১. (গ) ২. (ক) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.৫ : ১. (গ) ২. (ক) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.৬ : ১. (ঘ) ২. (খ) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.৭ : ১. (ঘ) ২. (ক) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.৮ : ১. (গ) ২. (ক) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.৯ : ১. (খ) ২. (খ) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১০ : ১. (গ) ২. (ক) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১১ : ১. (ক) ২. (খ) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১২ : ১. (ক) ২. (গ) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১৩ : ১. (খ) ২. (ঘ) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১৪ : ১. (খ) ২. (গ) ৩. (ঘ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১৫ : ১. (খ) ২. (ক) ৩. (ক)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১৬ : ১. (খ) ২. (গ) ৩. (খ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১৭ : ১. (ক) ২. (গ) ৩. (গ)
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৬.১৮ : ১. (খ) ২. (গ) ৩. (ঘ)
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র