মুখ্য শব্দ আল-মাহ্দীয়া, রুস্তামী, অরুবা বিন ইউসুফ, তাহরাত, ওরান, ইদ্রিসীয় রাজ্য, কাদু,
আবু ইয়াজিদ ও আল-মানসুরিয়া
উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী (৯০৯-৯৩৪):
উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী ৯০৯ সালে উত্তর আফ্রিকায় ফাতিমি বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি নিজেকে
একজন যোগ্য শাসক হিসেবে প্রমাণ করেন এবং সমগ্র ইফ্রিকিয়ার উপর ফাতিমি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
আবু আবদুল্লাহ্ আশ্-শিয়ীকে হত্যা : সিংহাসন লাভ করার দুই বছর পর তিনি আবু আবদুল্লাহ্ আশ্-শিয়ীকে ষড়যন্ত্রের
অভিযোগে হত্যা করেন। উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দীকে কারামুক্ত করার পর আবু আবদুল্লাহ্ আশ্-শিয়ী ভেবেছিলেন যে
উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী শুধু একজন আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং সা¤্রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকাÐ তাঁর
উপর ছেড়ে দেবেন। কিন্তু উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী একইসাথে ধর্মীয় নেতা ও শাসক হবার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি সমস্ত
ক্ষমতা নিজের হাতে গ্রহণ করেন। এতে আবু আবদুল্লাহ্ আশ্-শিয়ী ও তার ভাই আবুল আব্বাস ক্ষুব্ধ হন। ফলে তারা
উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দীকে ক্ষমতাচ্যূত করার জন্য কিছু সংখ্যক বার্বার নেতার সাথে ষড়যন্ত্র করেন। উবায়দুল্লাহ্ আলমাহ্দী এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরে আবু আবদুল্লাহ্ আশ্-শিয়ী ও তাঁর ভাই আবুল আব্বাসকে হত্যা করেন।
আল-মাহ্দীয়া নগরী স্থাপন : উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী তাঁর বংশের নিরাপত্তা ও একটি সুশৃংখল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে
তোলার লক্ষ্যে একটি সুরক্ষিত নতুন রাজধানী স্থাপন করেন এবং এর নাম দেন ‘মাহ্দীয়া’। এটি কায়রোওয়ান নগরী থেকে
১৬ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে তিউনিসের উপকূলে অবস্থিত। এই শহর নির্মাণ করতে মোট সময় লেগেছিল ৫ বছর। ৯১৬ সালে
এই শহরের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ৯২০ সালের দিকে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। শহরটি ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত। এর
চারদিক শক্ত দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত ছিল এবং এই দেয়ালে ছিল লোহার দরজা। শহরের অভ্যন্তরে মার্বেল পাথরে নির্মিত
প্রাসাদ, পানি সরবরাহের জন্য বিরাট ট্যাংক এবং মাটির নীচে শস্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হয়। এ ধরনের একটি
পরিকল্পিত রাজধানী ফাতিমিদের ভবিষ্যত স্থায়িত্বের জন্য সহায়ক হয়।
বিদ্রোহ দমন ও রাজ্য বিস্তার : খলিফা উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী ক্ষমতা গ্রহণ করার পরপরই তাঁর রাজ্যের সীমা বৃদ্ধিতে
তৎপর ছিলেন। ৯০৯ সালে তিনি কাতামা নেতা অরুবা বিন ইউসুফকে পাঠিয়ে রুস্তামীদের রাজধানী তাহরাত এবং ওরান
জয় করে নেন। ৯২২ সালে অরুবা মরক্কোর ইদ্রিসীয়দের রাজ্য আক্রমণ করেন এবং তাদের পরাস্ত করে মরক্কোর একটি
বড় অংশ ফাতিমি রাজ্যভুক্ত করেন। এর ফলে আল-মাহ্দীর রাজ্যসীমা মিসর থেকে মরক্কো পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। তিনি একটি
নৌ-বাহিনী গঠন করেন এবং ইতালীর উপকূলে অভিযান চালান। এছাড়া সার্দিনিয়া, বেলারিক দ্বীপপুঞ্জ, মালটা ও
করসিকাতেও তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। কায়রোওয়ানে কাতামারা বিদ্রোহী হলে আল-মাহ্দী পুত্র আবুল কাসিমকে পাঠিয়ে
তাদের বিদ্রোহ দমন করেন। ত্রিপলিতে আরব এবং র্বাবারদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। জল ও স্থল পথে যৌথ আক্রমণের
পর ত্রিপোলির বিদ্রোহীরা বশ্যতা স্বীকার করে।
সিসিলির কর্তৃত্ব হাতছাড়া : উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী সিসিলি দ্বীপকে তাঁর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি কাতামা গোত্র
হতে একজনকে নতুন গভর্নর হিসেবে সিসিলিতে পাঠান। কিন্তু পরে সেখানেও বিদ্রোহ দেখা দেয়। সেখানে যিয়াদাতুল্লাহ্র
পুত্র আহম্মদকে সিসিলিবাসী ক্ষমতা গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। প্রথমে তিনি এই আহবান প্রত্যাখান করেন। কিন্তু
পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি সিসিলির আমীর হতে রাযী হন। এখানকার আমীর নিযুক্ত হয়ে তিনি এক চিঠি
মারফত আব্বাসীয় খলিফার আনুগত্য স্বীকার করেন এবং তাঁকে সিসিলির আমীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য অনুরোধ
জানান। ফলে সিসিলিতে ফাতিমিদের আধিপত্য হাতছাড়া হয়ে যায় এবং তা পুনরায় আব্বাসীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
মিসর অভিযান : উত্তর অফ্রিরায় বার্বারদের ক্রমাগত বিদ্রোহ এবং সেখানে উমাইয়াদের তৎপরতার কারণে উবায়দুল্লাহ্
আল-মাহ্দী পূর্বদিকে রাজ্য সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি দুবার মিসর অভিযান চালান।
সেনাপতি আবুল কাসিম স্থল পথে মিসরের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। আর একজন সেনাপতি খুবাসা নৌপথে বার্কা
জয় করে আলেকজান্দ্রিয়া আক্রমণ ও লুন্ঠন করেন। পরে বাগদাদ থেকে প্রেরিত বাহিনী ও মিসরীয় বাহিনীর মোকাবিলায়
উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দীর বাহিনী পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। প্রথম অভিযান সফল না হওয়ায় তিনি আবার মিসরে অভিযান
প্রেরণ করেন। ৮৫টি যুদ্ধ জাহাজসহ তাঁর সেনা ও নৌ-বাহিনী মাহ্দীয়া থেকে মিসর যাত্রা করে। তাঁর বাহিনী
আলেকজান্দ্রিয়া পৌঁছলে বাগদাদের খলিফা মাত্র ২৫টি জাহাজ ও কিছু সংখ্যক সৈন্য পাঠিয়ে এই বাহিনীর মোকাবিলা
করেন। এই যুদ্ধজাহাজগুলো গ্রিক নৌ-সেনা দ্বারা সুসজ্জিত ছিল যারা নৌ-যুদ্ধে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিল। ফলে দ্বিতীয়
অভিযানেও উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দীর পরাজয় ঘটে।
স্পেনের উমাইয়াদের সাথে সম্পর্ক : উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী স্পেনে ফাতিমি মতবাদ প্রচারের লক্ষ্যে একদল দক্ষ
গুপ্তচর ও প্রচারক প্রেরণ করেন। তারা অতি গোপনে ফাতিমি মতবাদ প্রচার করতে থাকে। এছাড়া তিনি স্পেনে তাঁর
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উমাইয়াদের অভ্যন্তরীণ শত্রæ উমর বিন হাফ্সুনের সাথেও মিত্রতা স্থাপন
করেন। এ অবস্থা অবগত হয়ে স্পেনের উমাইয়া খলিফা তৃতীয় আব্দুর রহমান উত্তর আফ্রিকার নেতৃস্থানীয় বার্বার জানাতা
গোত্র, শিয়া ইদ্রিসীয় এবং ইবাদিয়া খারিজি নেতাদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করে ফাতিমিদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।
প্রত্যুত্তরে উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দীও স্পেন অভিযানের একটি পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের
পূর্বেই ৯৩৪ সালে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
খলিফা উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী ২৬ বছর শাসন করেন। অনেক বাধা মোকাবিলা করে তিনি ইসলামী বিশ্বে প্রথম
ঈসমাইলীয় বা ফাতিমি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এটা ছিল ইসলামী বিশ্বের একমাত্র শিয়া খিলাফত। তিনি মরক্কো হতে মিসর
পর্যন্ত যে সা¤্রাজ্য স্থাপন করেন এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে তা আরও পূর্বদিকে সম্প্রসারিত হয় এবং ১১৭১ সাল
পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম হয়।
আল-কায়িম (৯৩৪-৪৬)
উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দীর মৃত্যুর পর তাঁর মনোনয়নক্রমে বড় পুত্র আবুল কাসিম ‘আল-কায়িম’ উপাধি নিয়ে ৯৩৪ সালে
শাসনভার লাভ করেন। তিনি তাঁর পিতার শাসনামলে সমরবিদ হিসেবে যথেষ্ট যোগ্যতার পরিচয় দেন। পিতার শাসনামলে
তাঁর সেনাপতিত্বে মিসরে দুবার অভিযান প্রেরিত হয়। এছাড়া উত্তর আফ্রিকার অসংখ্য বিদ্রোহ দমন করে তিনি সামরিক
প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। খলিফা হিসেবে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করার পর ৯৩৪ সালে ফ্রান্স ও ইতালীর দক্ষিণ উপকূলে
একটি নৌ-অভিযান প্রেরণ করেন। এ অভিযানে জেনোয়া এবং লোম্বার্ডির অংশবিশেষ ফাতিমিদের অধিকারে আসে।
ক্ষমতা গ্রহণ করে তিনি তৃতীয়বারের মত মিসর অভিযান চালান। এবারও এই অভিযান ব্যর্থ হয় এবং ফাতিমি
অভিযানকারীরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ মিসর হতে প্রত্যাবর্তন করে। তাঁর সময় জানাতা গোত্রের ইবাদিয়া খারিজি নেতা আবু
ইয়াজিদ দক্ষিণ তিউনিসিয়ায় বিদ্রোহ করে। তিনি আবু হিমার (গাধার বাপ/ ঞযব সধহ রিঃয ধহ ধংং) নামে পরিচিত
ছিলেন। কায়রোওয়ানের সুন্নী নেতারা এবং স্পেনের উমাইয়া খলিফা তৃতীয় আব্দুর রহমান তাঁকে সমর্থন করেন। আলকায়িম তাঁকে দমনের চেষ্টা করেন। কিন্তু পুরোপুরি সফল হবার পূর্বেই ৯৪৬ সালে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
আল-মনসুর (৯৪৬-৫৩)
আল-কায়িমের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র আবু তাহির ঈসমাইল ‘আল-মনসুর’ উপাধি ধারণ করে তৃতীয় ফাতিমি খলিফা হিসেবে
দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর শাসনকালের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় আবু ইয়াজিদের বিদ্রোহ ও অন্যান্য বিদ্রোহ দমন করে
রাজ্য সুদৃঢ়করণে। ৯৪৭ সালে খারিজি নেতা আবু ইয়াজিদ তাঁর কাছে পরাজিত হন এবং তাঁকে প্রাণ দিতে হয়। এর ফলে
ইফ্রিকিয়ায় ফাতিমি আধিপত্য পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়। ৯৪৮ সালে কায়রোওয়ানের নিকটবর্তী স্থানে তিনি একটি শহর নির্মাণ
করেন যা প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষিত ছিল। নিজের নাম অনুসারে এর নাম দেওয়া হয় ‘আল-মানসুরিয়া’।
সারসংক্ষেপ:
৯০৯ সালে উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে উত্তর আফ্রিকায় ফাতিমি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আবু
আবদুল্লাহ্ আশ্-শিয়ী ও তাঁর ভাই আবুল আব্বাসকে হত্যা করেন। তিনি ‘আল-মাহ্দীয়া’ নামে কায়রোওয়ানের নিকট
একটি সুরক্ষিত নতুন রাজধানী স্থাপন করেন। তিনি তাহরাত, ওরান ও মরক্কোর একটি বড় অংশ জয় করেন। আলমাহ্দী কয়েকটি বিদ্রোহ দমন করেন এবং স্পেনে উমাইয়াদের শত্রæ উমর বিন হাফ্সুনের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন।
৯৩৪ সালে তাঁর মৃত্যুর পর আল-কায়িম ও আল-মনসুর পর্যায়ক্রমে খলিফা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-১০.২
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দীর প্রতিষ্ঠিত নতুন রাজধানীর নাম-
(ক) হাশিমিয়া (খ) মাহ্দীয়া
(গ) মানসুরিয়া (ঘ) কাহিরা
২. ‘আবু হিমার’ কে?
(ক) আবু ইয়াজিদ (খ) আল-কাইম
(গ) আল-মনসুর (ঘ) উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী
৩. কায়রোওয়ানের নিকট ফাতিমি খলিফা আল-মনসুর প্রতিষ্ঠিত নতুন শহরের নাম-
(ক) হাশিমিয়া (খ) মাহ্দীয়া
(গ) মানসুরিয়া (ঘ) কাহিরা
চূড়ান্ত মূল্যায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন:
মীর আলী উত্তরপুরে মীর বংশ প্রতিষ্ঠা করার পর এই বংশের শত্রæদের দমন করেন এবং সেখানে এই বংশের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা
করেন। তিনি কণকপুরে একটি সুরক্ষিত নতুন রাজধানী স্থাপন করেন এবং সা¤্রাজ্যের সম্প্রসারণের চেষ্টা করেন। নিজ
বংশের শাসনধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এই বংশ প্রতিষ্ঠার প্রধান নায়ক বিজু-কে হত্যা করেন। মীর আলীর মৃত্যুর
পরও এ বংশের বিরুদ্ধে অনেক বিদ্রোহ দেখা দেয়।
ক. ফাতিমি খিলাফতের প্রতিষ্ঠাতা কে? ১
খ. আল-মাহদিয়া নগরীর বর্ণনা দিন। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত বিজু পাঠ্যপুস্তকে কোন ব্যক্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং তাঁকে কেন হত্যা করা হয়? ৩
ঘ. উত্তর আফ্রিকায় ফাতিমি কর্তৃত্ব সুদৃঢ়করণে উবায়দুল্লাহ্ আল-মাহ্দী কৃতিত্ব আলোচনা করুন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র