বারজোয়ার ও ইবনে আম্মারের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্ধ ও আল-হাকীমের ক্ষমতা হস্তগতকরণের বর্ণনা দিতে পারবে

মুখ্য শব্দ বারজোয়ান, ইবনে আম্মার, মনজুতাকিম, হুসাইন ইবনে জাওহার, আবু রাকওয়া,
আরসেনিয়াস, কিব্তি, দারাজী, দারুল্ হিক্মাহ্ ও আল-মুকাত্তাম
৯৯৬ সালে আল-আযিযের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র আল-মনসুর আবু আলী ‘আল-হাকিম বি আম্রিল্লাহ্’ উপাধি
নিয়ে সিংহাসন লাভ করেন। ফাতিমি ইতিহাসে তিনি একজন বিতর্কিত শাসক ছিলেন। তাঁর নীতিসমূহের
মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তাঁকে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিতে পরিণত করেছে।
বারজোয়ান ও ইবনে আম্মারের মধ্যে ক্ষমতার দ্ব›দ্ব : ক্ষমতা গ্রহণের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। অপ্রাপ্ত
বয়সের কারণে গৃহশিক্ষক বারজোয়ানকে তাঁর তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়। কাজী মুহম্মদ নুমান ও সেনাপতি হাসান বিন
আম্মারকে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। কিন্তু পরে তাঁর অভিভাকত্ব নিয়ে বারজোয়ান ও ইবনে আম্মারের মধ্যে ক্ষমতার দ্ব›দ্ব
শুরু হয়। ক্ষমতালোভী ইবনে আম্মার প্রথমে ঈসা বিন নেসতুরিয়াসকে অপসারণ করে উযির পদটি দখল করে নেন।
বারজোয়ান সিরিয়ার গভর্নর মনজুতাকিম ও তুর্কী সেনাদের সাহায্যে ইবনে আম্মার ও তার সমর্থক বার্বারদের দমনের চেষ্টা
করেন। বার্বার ও তুর্কীদের মধ্যে সংঘর্ষে ইবনে আম্মার শেষ পর্যন্ত আত্মগোপন করতে বাধ্য হন। পরে তাঁকে গৃহবন্দী করা
হয়। এরপর তাঁকে মুক্ত করে দেয়া হয়। পরে তাঁকে বিচারের জন্য আদালতে হাযির করা হলে তুর্কীরা তাঁকে আক্রমণ করে
হত্যা করে। ফলে ইবনে আম্মারের ১১ মাসের প্রবল উচ্চাভিলাষী ক্ষমতা নিঃশেষ হয় এবং বারজোয়ান খলিফার প্রকৃত
অভিভাবক, প্রধান উযির ও সচিব পদে ফিরে এসে ফাতিমি শক্তি পুন:প্রতিষ্ঠিত করেন।
বারজোয়ানকে হত্যা ও হুসাইন ইবনে জাওহারকে উযির নিয়োগ : বারজোয়ান ইবনে আম্মারের হত্যার পর খলিফার
অভিভাকত্বের অযুহাতে প্রকৃত শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। বারজোয়ানের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে অত্যন্ত গোপনে
খলিফা তাঁকে হত্যা করেন। এরপর হুসাইন ইবনে জাওহারকে উযির হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
আবু রাকওয়াকে পরাজিত ও হত্যা : স্পেনের একজন উমাইয়া রাজপুত্র আবু রাকওয়া উত্তর আফ্রিকায় পালিয়ে আসেন
এবং সেখানকার আরব ও বার্বারদের সাহায্যে বার্কা দখল করে কায়রোর দিকে অগ্রসর হন। গিজার যুদ্ধে তাকে পরাজিত ও
হত্যা করা হয়। তার ৩০ হাজার অনুসারীকে বন্দী হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। উযির হুসাইন ও কাজী আব্দুল আযিয
বিন মুহম্মদ বিন নুমানকে আবু রাকওয়ার সাথে গোপন ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে হত্যা করা হয়।
আল-হাকিমের নীতিসমূহ : খলিফা আল-হাকিম কতগুলো নতুন নিয়ম চালু করেন। যেমন, খলিফাকে ‘আমাদের মালিক’
বা ‘আমাদের প্রভূ’ বলে সম্বোধন নিষিদ্ধ হয় এবং এর পরিবর্তে শুধু আমীরুল মুমেনিন সম্বোধন করার আদেশ জারী করা
হয়। এ আদেশ লঙ্গনকারীদের মৃত্যদÐে দÐিত করার আদেশ জারী করা হয়। দিনের পরিবর্তে রাতের গুরুত্ব প্রদান করা
হয়। মন্ত্রী বা উপদেষ্টা পরিষদের সভা রাতে আহবান করা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য রাতে পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়।
সরকারী অফিসসমূহ রাতে খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। সমগ্র রাতব্যাপী দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
মহিলাদের ঘরের বাইরে গমন নিষিদ্ধ হয়। মুচিদের মহিলাদের বাইরে গমনের জুতা তৈরী না করতে আদেশ দেয়া হয়। মদ
নিষিদ্ধ হয়, মদের পাত্রগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়। দাবা, জুয়া নিষিদ্ধ করা হয়। শুকর, কুকুর হত্যা করা হয় এবং গবাদি পশু
জবাই নিষিদ্ধ করা হয়। খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কালো পোশাক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। খ্রিস্টানদের ক্রুশ ও ইহুদিদের
কাঠের বাছুরের প্রতিকৃতি অথবা ঘন্টা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। আযানে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ রহিত করা হয়। লুপিন,
ওয়াটার ক্রেস, মুলুখিয়া ও অন্যান্য আগাছা জাতীয় গাছ উৎপাদন নিষিদ্ধ হয়। আইশ ছাড়া মাছ শিকার ও আহার নিষিদ্ধ
করা হয়। তবে সম-সাময়িক আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করলে কিছু নীতির যৌক্তিকতা
খুঁজে পাওয়া যাবে।
খ্রিস্টানদের প্রতি নীতি : রাজত্বের প্রথম দিকে খ্রিস্টানদের প্রতি নীতির ক্ষেত্রেই তিনি পিতার নীতি অনুসরণ করেন।
১০০০ সালে মামা আরসেনিয়াসকে আলেকজান্দ্রিয়ার প্রধান বিশপের পদে অধিষ্টিত করেন। অন্য একজন খ্রিস্টান মামা
ওরেসটিসকে জেরুজালেমের বিশপ নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীকালে খ্রিস্টানদের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়।
১০০৯ সালে তিনি জেরুজালেমের প্রধান গির্জা ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। এটা পরে ধর্মযুদ্ধ বা ক্রুসেডের কারণ হয়ে
দাঁড়ায়। ১০১০ সালে আরসেনিয়াসকে হত্যা করা হয়। মালেকী খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার করা হয় এবং তাদের গির্জার
দেবোত্তর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক কিব্তি (ঈড়ঢ়ঃরপ) খ্রিস্টানদের খুশি করা ও
তাদের সহানুভূতি ও সমর্থন লাভ করা। তাদের উপর থেকে কর প্রত্যাহার করা হয়। এতে কিব্তিরা সন্তুষ্ট হয়েছিল। তবে
মালেকী খ্রিস্টানদের প্রতি তাঁর এই বৈরী আচরণের কারণে বাইজানটাইনদের সাথে ফাতিমিদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
দারাজী মতবাদ : তাঁর সময়ে পারস্য থেকে দারাজীরা মিসরে এসে আল-হাকীমকে আল্লাহর গুণে গুণান্বিত বলে প্রচার
করতে থাকে। তাদের নেতা হামযা বিন আলীর প্রভাবে খলিফা নিজেকে ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন ভাবতে থাকেন। তিনি
সালাত, সাওম ও হজ্জ পালন নিষেধ করেন। ১০১৭ সালে তারা খলিফাকে ‘আল্লাহর অবতার’ বলে ঘোষণা করলে তিনি
তাতে সম্মতি দেন। রাস্তায় বের হলে দারাজীরা তাঁকে সেজদা করে। ১০২১ সালে দারাজীদের প্রচার কেন্দ্র মুকাত্তাম পর্বতে
আল-হাকিম রাতের বেলায় গমন করলে সেখানেই তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। দারাজীরা বিশ্বাস করে যে তিনি অদৃশ্য হয়ে
গেছেন এবং আবার ফিরে আসবেন।
আল-হাকিমের নীতির পরিবর্তন : ১০১১ সালের পর মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি-সকল শ্রেণীর প্রতি জারীকৃত অনেক
কড়াকড়ি আদেশ শিথিল করা হয়। তাঁর সময় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিয়াগণ কায়রোতে এসে বসবাস করতে শুরু করে।
১০১১ সালে তিনি কায়রোর সুন্নী মুসলিমদেরকে খুশী করার জন্য হযরত আবু বকর ও উমরের (রা.) লাশদ্বয় মদীনা থেকে
এনে কায়রোতে সমাধিস্থ করার এক জঘন্য পরিকল্পনা করেন। এজন্য একজন গুপ্তচর ও খলিফাদ্বয়ের কবরের কাছে
বসবাসকারী এক শিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই বাড়ি হতে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে লাশ অপহরণের চেষ্টা চালানো হয়। খননকার্য চলা
অবস্থায় হঠাৎ এক ভয়ংকর ঝড় শুরু হলে তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মদিনার গভর্নরের কাছে কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে।
গভর্নর তাদের শাস্তি প্রদান করেন। আল-হাকিম আবার আদেশ জারি করেন যে আযানে ‘আস-সালাতু খাইরুম মিনান
নাউম’-বলা যাবেনা; সালাতুজ্-যোহা ও রমযানে তারাবীর সালাত আদায় করা যাবেনা। ফুস্তাত জামে মসজিদের ইমাম
এই আদেশ না মানলে তাঁকে হত্যা করা হয়।
দারুল্ হিক্মাহ্ প্রতিষ্ঠা : ১০০৫ সালে আল-হাকিম ‘দারুল্ হিক্মাহ্’ বা ‘দারুল্ ইলম্’
) প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত শিয়া মতবাদ প্রচার ও শিক্ষার জন্য এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি জ্ঞানের
প্রসারে বিশেষ অবদান রাখে। এই প্রতিষ্ঠানটি রাজপ্রাসাদের সাথে যুক্ত ছিল। এখানে একটি বিশাল পাঠাগার ছিল
জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, ব্যাকরণ, আইন, ভাষা ইত্যাদি বিষয়ে এখানে চর্চা করা হত। পÐিত ও গবেষকদের সমাবেশ
ঘটে এখানে। প্রখ্যাত দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক ইবনে হায়সামকে এর কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়।
১১১৯ সালে প্রচলিত ধর্মবিরোধিতার অভিযোগে উযির মালিক আল-আফজাল এটিকে বন্ধ করে দেন। পরে আবার চালু হয়
এবং আইয়্যূবীদের উত্থান পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব ছিল।
মানমন্দির নির্মাণ : আল-হাকিম জোতিষশাস্ত্রে আগ্রহী ছিলেন। তিনি জোতির্বিজ্ঞান চর্চার জন্য আল-মুকাত্তাম নামক পর্বতে
একটি মানমন্দির স্থাপন করেছিলেন। তাঁর সময়ে আলী বিন ইউসুফ মিসরের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদ ছিলেন।
জনহিতকর কার্যাবলি : তিনি রাজপথ সংস্কার করেন। রাস্তার পাশে কুপ খনন ও ঝর্ণার ব্যবস্থা করেন। একদিনের
যাত্রাপথের দূরত্বে পথিকদের জন্য সরাইখানা নির্মাণ করেন। গরীব ছাত্রদের জন্য ছাত্রাবাস, রুগ্নদের জন্য হাসপাতাল,
যুবকদের জন্য বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। তিনি তাঁর পিতার আমলে শুরু হওয়া আযিযিয়া মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন
করেন এবং নাম দেন আল-হাকিম মসজিদ। এছাড়া রাশিদিয়া মসজিদ নির্মিত হয়। মাক্স-এ তিনি আর একটি মসজিদ
নির্মাণ করেন। প্রাদেশিক শহরগুলোতে হাম্মামখানা, ঝর্ণা, বাজার, কুপ ইত্যাদি নির্মাণ করেন। তিনি প্রকৃতি-প্রেমী ছিলেন।
জনসাধারণকে তাদের গৃহাঙ্গণে ও গৃহের আশেপাশে বাগান তৈরিতে অনুরোধ করেন। তাঁকেও প্রায়ই রাজকীয় বাগানের পরিচর্যা করতে দেখা গেছে।
সারসংক্ষেপ:
খলিফা আল-হাকিম ফাতিমি ইতিহাসে একজন বিতর্কিত শাসক ছিলেন। তাঁর নীতিসমূহের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তাঁকে
একজন বিতর্কিত ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। তিনি কতগুলো নতুন ও উদ্ভট নিয়ম চালু করেন। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের
প্রতিও তিনি ভারসাম্যহীন নীতি আরোপ করেন। তিনি দারাজী মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হন। তিনি শিয়া মতবাদ প্রচার
ও শিক্ষার জন্য দারুল্ হিক্মাহ্ এবং জোতির্বিজ্ঞান চর্চার জন্য মানমন্দির স্থাপন করেছিলেন।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-১০.৫
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. আল-হাকিম মিসরের কোন্ খ্রিস্টানদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন?
(ক) মালিকি (খ) ক্যাথলিক
(গ) কিব্তি (ঘ) প্রোটেসট্যান্ট
২. আল-হাকিম কোন্ মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেকে ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন ভাবতে থাকেন?
(ক) সুন্নি (খ) কারাআতিয়
(গ) মালিকি (ঘ) দারাজী
৩. দারুল্ হিকমাহ প্রতিষ্ঠা করেন কোন্ খলিফা?
(ক) আল-মাহ্দী (খ) আল-আযিয
(গ) আল-মুইয (ঘ) আল-হাকিম
সৃজনশীল প্রশ্ন:
জামিল একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর নীতিসমূহের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্বে
পরিণত হয়েছেন। এসব নীতির মাধ্যমে তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীনতার পরিচয় পাওয়া যায়। এতদ্বসত্তে¡ও তিনি জ্ঞানবিজ্ঞান ও স্থাপত্যে অবদান রাখেন।
ক. ফতিমিদের মধ্যে বিতর্কিত খলিফা কে? ১
খ. দারুল্ হিক্মাহ্-এর পরিচয় দিন। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত জামিল সদৃশ পাঠ্যপুস্তকে আলোচিত ফাতিমি খলিফার বিভিন্ন ধর্মীয় নীতি উল্লেখ করুন। ৩
ঘ. আল-হাকিমের প্রশাসনিক নীতিসমূহের বর্ণনা লিখুন। ৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]