মূখ্য শব্দ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, উপারিক, বিষয় ও পঞ্চায়েত
ভ‚মিকা: প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রাকৃতিক সম্পদ ও ঐশ্বর্যে
ভরপুর ছিল ভারতবর্ষ। মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতবর্ষে প্রধানত: তিনটি ধর্ম প্রচলিত ছিল। এগুলো হল
বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম এবং হিন্দু ধর্ম। প্রাক-মুসলিম যুগে ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থায় রাজাই ছিলেন প্রধান এবং সকল ক্ষেত্রে
তাঁর মতামতই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হত। রাজার হাতে ন্যস্ত ছিল আইন প্রণয়ন, ক্ষমতার বন্টন, শাসন পরিচালনা এবং
সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগের চ‚ড়ান্ত এখতিয়ার। রাজা হর্ষবর্ধন (মৃত্যু ৬৪৫খ্রি.) এর মৃত্যুর পর ভারতবর্ষ রাজনৈতিক
বিশৃংঙ্খলায় পতিত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ বিশৃংঙ্খলা ও নৈরাজ্যময় অবস্থা মুসলিম বিজয়ের পূর্ব
পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। মুসলিম বিজয়ের সময় উত্তর-পশ্চিম ভারত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল। এ সময় ভারতবর্ষের
কেন্দ্রিয় শাসন ও সামাজিক অবস্থা সন্তোষজনক ছিল না। জাতিভেদ প্রথা হিন্দুসমাজের ঐক্য ও সংহতির মূলে প্রবল
আঘাত হানে।
ধর্মীয় ও প্রশাসনিক অবস্থা
মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে হিন্দুধর্ম দেশের প্রধান ধর্ম হিসেবে পরিণত হয়। অধিকাংশ রাজাই ছিলেন হিন্দু এবং তারা
সকলেই হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। সমাজে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের অপ্রতিহত প্রভাব ও প্রতিপত্তি বিদ্যমান ছিল।
ধর্মীয় ব্যাপারে ও শাসনকার্যে তাদের অধিকার ছিল একচেটিয়া। বৈশ্য ও শূদ্রগণ ছিল নির্যাতিত, নিষ্পেষিত এবং নি¤œ
শ্রেণির হিন্দুরা ছিল অস্পৃশ্য। ব্রাহ্মণগণ ধর্মীয় ব্যাপারে সর্বেসর্বা ছিলেন। মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতবর্ষে ধর্মীয়
অসন্তোষ, অরাজকতা ও নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করে। সাম্প্রাদায়িক কলহ ও ধর্মীয় কোন্দল মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার
ক্ষেত্রে সহায়ক ছিল। প্রাক-মুসলিম যুগে বংশানুক্রমিকভাবে ভারতবর্ষের রাজা নিযুক্ত হতেন। রাজকুমারীগণও শাসনকার্যে
অংশগ্রহণ করতেন বলে জানা যায়। রাজার হাতেই ছিল সমস্ত ক্ষমতা। তিনি আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনা
করতেন। ন্যায় বিচারের উৎস এবং প্রধান সেনাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি রাজধর্মের আলোকে
শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। রাজকার্য পরিচালনার ব্যাপারে মন্ত্রীগণ রাজাকে পরামর্শ দিতেন এবং সাহায্য করতেন।
তবে রাজা তাঁদের পরামর্শ গ্রহণে বাধ্য ছিলেন না। এ সময় সাম্রাজ্য বিভিন্ন প্রদেশে বিভক্ত ছিল। প্রাদেশিক প্রধানকে বলা
হত ‘উপারিক’। তাঁর প্রধান কর্তব্য ছিল প্রদেশের শান্তি ও শৃংখলা রক্ষা করা রাজার আদেশকে কার্যকরী করা এবং
প্রয়োজনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা। প্রদেশগুলি জেলায় বিভক্ত ছিল। জেলাকে বলা হত ‘বিষয়’। জেলার
শাসনকর্তা বিষয়পতি নামে অভিহিত হতেন। দেশের শাসন ব্যবস্থার সর্বনি¤œস্তরে ছিল গ্রাম। গ্রামের শাসন ব্যবস্থা মোড়ল
বা পঞ্চায়েত কর্তৃক সম্পাদিত হত।
অর্থনৈতিক অবস্থা
মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ ও ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ
ছিল ভারতবর্ষ। এ দেশের মানুষের প্রধান পেশা ছিল কৃষিকাজ। অভিজাত ও উঁচু শ্রেণির অধিকাংশ লোক বিলাসবহুল
জীবন যাপন করত। প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ কৌটিল্যের বিবরণ অনুযায়ী তিনটি মূখ্য উৎস থেকে রাষ্ট্রের আয় ছিল: ক) ভূমি
রাজস্ব, খ) সামন্ত প্রভু ও জনগণের কাছ থেকে প্রাপ্ত কর, এবং গ) আবগারী ও বাণিজ্য শুল্ক। পরবর্তীতে এদেশে শিল্পের
ব্যাপক প্রসার ঘটে। গুজরাট ও বাংলা কার্পাস বস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য বিখ্যাত ছিল। ব্যবসায়-বাণিজ্যেও উৎকর্ষ
সাধিত হয়। বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হতে থাকে। ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো ছিল বলে এদেশে
সংস্কৃতি ও সভ্যতার চরম বিকাশ ঘটেছিল। চীনা পর্যটক ফা-হিয়েনের বর্ণনা থেকে পঞ্চম শতাব্দির শুরুতে ভারতবর্ষের
উন্নত অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মগধের লোকেরা ধনী ও সমৃদ্ধশালী ছিল।
পর্যটক হিউয়েন সাঙ-এর বর্ণনায় জানা যায় যে, সপ্তম শতাব্দিতেও ভারতবর্ষের অধিবাসীগণ সুখে-শান্তিতে বসবাস করত
ও নির্বিঘেœ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করত। এদেশের অতুল ঐশ্বর্যে আকৃষ্ট হয়ে বিদেশী বণিকগণ যেমন এদেশে
বারবার এসেছেন আবার বিদেশী আক্রমণকারীগণও এ দেশ বার বার লুণ্ঠন করে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়াস
চালিয়েছেন।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা
তৎকালীন হিন্দু সমাজ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র-এই চারটি বর্ণ স্তরে বিভক্ত ছিল। সমাজে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের
অপরিসীম প্রভাব বিস্তৃত ছিল। আর বৈশ্য ও শুদ্রদের অবস্থান ছিল সমাজের নি¤œস্তরে। শুদ্রদের সমাজে অস্পৃশ্য বলে গণ্য
করা হত। জাতিভেদ প্রথা খুব কঠোর ছিল। জনসাধারণ স্ব স্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহ করতে পছন্দ করত। ব্রাহ্মণরা
শিক্ষা, ধর্মকর্ম, আচার অনুষ্ঠান ছাড়াও কখনো কখনো যুদ্ধ বিগ্রহে নিয়োজিত থাকতো। ক্ষত্রিয়গণ যুদ্ধ বিগ্রহ, বৈশ্যরা
ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং শূদ্রগণ কৃষিকাজ ও সাধারণ কাজ কর্ম করত। বর্ণপ্রথার কারণে সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব
ছিল। সমাজে বহু বিবাহ, সতীদাহ ও সহমরণ প্রথা প্রচলিত ছিল। কিন্তু বিধবা বিবাহের প্রচলন ছিল না। নারীরা অন্ত:পুরে
জীবন যাপন করতেন। তাদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ছিল না। দাসপ্রথা একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়। এতদ্বসত্তে¡ও
অভিজাত শ্রেণির মেয়েরা উদার শিক্ষা লাভ করত। তারা শাসন ক্ষেত্রে ও সামাজিক কর্মকাÐে অংশ গ্রহণ করত। মুসলিম
বিজয়ের পূর্বে ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক কর্মকাÐে প্রভ‚ত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষা-দীক্ষা, সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও
শিল্পকলা চর্চায় ভারতীয়গণ কৃতিত্ব অর্জন করেন। সে যুগে ভারতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। ভারতের স্বনামধন্য
বল্লভী এবং বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও উদন্তপুর, বিক্রমশীলা, বারানসী প্রভৃতি স্থানে উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান
ছিল। মালব ও আজমীরে সংস্কৃত কলেজ স্থাপিত হয়েছিল। জ্যোর্তিবিদ্যা, গণিত, চিকিৎসাশাস্ত্র, দর্শন ও সাহিত্য প্রভৃতি
জ্ঞানের চর্চা করা হত। সে যুগে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পে প্রভ‚ত উন্নতি সাধিত হয়েছিল।
মুসলিম বিজয়ের পূর্বে তৎকালীন ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা:
আফগানিস্তান, কাশ্মীর ও কনৌজ
মৌর্য বংশের শাসনামল থেকেই আফগানিস্তান ছিল ভারতের একটি অংশ। মুসলিম ঐতিহাসিকগণ এটিকে হিন্দুশাহী রাজ্য
বলে অভিহিত করেন। সপ্তম শতাব্দিতে কর্কট রাজবংশীয় দুর্লভ বর্ধনের অধীনে কাশ্মীর ছিল উত্তর ভারতের অপর একটি
স্বাধীন রাজ্য। বিজেতা, বিদ্যোৎসাহী ললিতাদিত্য মুক্তাপীড় ছিলেন কাশ্মীরের রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাধর। তিনি
কনৌজ, কামরূপ, কলিঙ্গ ও গুজরাট জয় করেন বলে জানা যায়। কর্কট বংশের অপর একজন শাসক জয়পীড় গৌড় ও
কনৌজের নৃপতিদের পরাজিত করেন। অষ্টম শতাব্দির প্রথম দিকে কনৌজ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ
রাজ্য হিসেবে পরিগণিত হত। উত্তর-ভারতের অন্যতম পরাক্রমশালী রাজা যশোবর্মণ কনৌজের হৃত গৌরব ও আধিপত্য
পুনরুদ্ধার করেন। তিনি গৌড় জয় করে এর রাজাকে হত্যা করেন এবং কাশ্মীর রাজ ললিতাদিত্যের সহায়তায় তিব্বত
অভিযান করেন। তিনি চীনে দূত প্রেরণ করেন। কাশ্মীরের রাজা ললিতাদিত্য কর্তৃক তিনি পরাজিত ও নিহত হন।
যশোবর্মণ, সিন্ধুরাজ দাহিরের সমসাময়িক ছিলেন। অত:পর অষ্টম শতকের প্রথম দিকে কনৌজে গুরজর-প্রতিহার
রাজবংশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
সিন্ধু ও মালব-দিল্লি ও আজমীর
সপ্তম শতকে সিন্ধু ছিল হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্যভ‚ক্ত। পরবর্তীতে ‘চাচ’ নামক সিন্ধুর জনৈক ব্রাহ্মণ মন্ত্রী সিন্ধুতে স্বাধীন
রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন। চাচের পুত্র রাজা দাহিরকে পরাজিত করে ইমাদউদ্দীন মুহাম্মদ বিন কাশিম ৭১২ সালে
মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এ রাজ্য দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। প্রতিহার রাজপুতদের দ্বারা শাসিত মালব ছিল উত্তরভারতের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। উজ্জয়িনী ছিল এ রাজ্যের রাজধানী। দ্বাদশ শতকে মুসলিম অভিযানের প্রাক্কালে দিল্লি ও
আজমীরে শক্তিশালী চৌহান বংশীয় রাজপুত্রগণ রাজত্ব করত। এ বংশের শাসক বিশালদেব চৌহান প্রতিহর বংশের নিকট
থেকে দিল্লি দখল করেন। রাজ্য বিস্তারের মাধ্যমে তারা একটি বিশাল রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়। এ বংশের নৃপতি
পৃথ্বীরাজের সাথে মুহাম্মদ ঘোরির পর পর
দু’বার সংঘর্ষ হয়। তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে
১১৯২ খ্রি. পৃথ্বীরাজ পরাজিত ও নিহত হলে
চৌহান বংশের অবসান হয়।
গুজরাট, আসাম ও নেপাল
মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে গুজরাট ছিল গুরজর
প্রতীহার বংশের অধীনে। অত:পর তাদের
আধিপত্য ক্ষুন্ন করে চালক্য ও ভাগেলা বংশ
পর্যায়ক্রমে গুজরাট শাসন করে। নবম
শতাব্দিতে চান্দেলা বংশ বুন্দেলখন্ডে এক স্বাধীন
রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। শেষ রাজা গন্ড ১০১৯
খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদের নিকট পরাজিত
হন। ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পূর্ব
প্রান্তসীমায় অবস্থিত একটি রাজ্য হল আসাম।
এটি হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ স্বাধীন হয়।
এ সময় রাজা শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার স্বাধীন
নৃপতি। হর্ষবর্ধনের সমসাময়িক এই শাসকের
মৃত্যুর পর বাংলায় মারাত্মক গোলযোগ ও
বিশৃংঙ্খলা দেখা দেয়। নেপাল সপ্তম শতাব্দিতে
উত্তর ভারতের অপর একটি স্বাধীন রাজ্য।
মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের সাথে
নেপালের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিদ্যমান
ছিল।
সারসংক্ষেপ :
মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে উত্তর-পশ্চিম ভারতের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবন বেশ উন্নত ছিল। তবে রাজনৈতিকসামাজিক অবস্থাও ছিল বেশ গোলযোগপূর্ণ। ভারতে এ সময় বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। কৃষি, শিল্প
ও বাণিজ্যের প্রভ‚ত উন্নতি হয়েছিল। এ দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও উৎকর্ষ ঘটেছিল। প্রাক-মুসলিম যুগে
ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রাজা। তিনি শাসন ক্ষেত্রে মন্ত্রীমÐলীর পরামর্শ গ্রহণ করতেন। কেন্দ্রিয়
শাসন ব্যবস্থা ছাড়াও প্রদেশ থেকে গ্রাম পর্যন্ত প্রশাসনিক ইউনিট ছিল। তৎকালীন ভারতের সার্বিক অবস্থা মুসলিম বিজয়
অভিযানের অনুক‚লে ছিল।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-১.১
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে কাশ্মীরের রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ছিলেন?
ক) দুর্লভ বর্ধন খ) ললিতাদিত্য মুক্তাপীড় গ) কণিস্কু ঘ) চানক্য
মানচিত্র: মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতবর্ষ
ওপেন স্কুল ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র
ইউনিট ১ পৃষ্ঠা ৫
২. চৌহান বংশীয় কোন রাজার রাজত্বকালে তরাইনের যুদ্ধ দুটি সংঘটিত হয়?
ক) রাজাশূদ্র খ) রাজা দুর্লভ বর্ধন গ) রাজা দাহির ঘ) পৃথ্বীরাজ
৩. প্রাক-মুসলিম ভারতের কোন স্থানে উন্নত চিত্র ও স্থাপত্যকীর্তির নিদর্শন ছিল?
ক) গুজরাট খ) কলকাতা গ) অজন্তা-ইলোরা ঘ) দাক্ষিণাত্য
সৃজনশীল প্রশ্ন:
রাজা মাইকেল সাম্রাজ্য পরিচালনার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শ গ্রহণ করতেন। তবে সমাজ পরিচালনায় রাজার কোন
ভূমিকা ছিল না। শুধু তাই নয় ধর্মীয় কাজে ও সমাজ পরিচালনায় ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের অপ্রতিরোধ্য প্রভাব লক্ষণীয় ছিল।
সাধারণ ও নি¤œশ্রেণির হিন্দুরা ছিল অস্পৃশ্য।
ক. প্রাক-মুসলিম ভারতের প্রাদেশিক প্রধানকে কী বলা হতো? ১
খ. তখনকার হিন্দু সমাজ কয়টি ভাগে বিভক্ত ছিল? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ধর্মীয় ও সামাজিক ব্যবস্থার সাথে আপনার পঠিত ভারতীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে লিখুন। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে ভারতীয় শাসন ব্যবস্থার প্রকৃতি তুলে ধরুন? ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র