মূখ্য শব্দ লোদী, খান-ই-খানান, নিজাম খান, জালালী শহর ও তিব্বী সিকান্দারী
[
লোদী বংশের পরিচয়
দিল্লি সালতানাতের অন্যতম প্রভাবশালী এবং সর্বশেষ রাজবংশ ছিল লোদী বংশ। এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা
ছিলেন বাহলুল খান লোদী। তিনি সুলতানি শাসন ব্যবস্থাকে পুনরূজ্জীবিত করেন। সৈয়দ বংশের সর্বশেষ সুলতান
আলাউদ্দিন আলম শাহ এবং প্রধান মন্ত্রী হামিদ খানের মধ্যে ক্ষমতার দ্ব›দ্ব দেখা দিলে সুলতান পাঞ্জাবের প্রতাপশালী
শাসনকর্তা বাহলুল খান লোদীকে আমন্ত্রণ জানান। বাহলুল লোদী ও সুলতানের সম্মিলিত শক্তি হামিদ খানকে পরাজিত ও
নিহত করে। এই ঘটনার পর শক্তিশালী শাসক বাহলুল লোদী দিল্লি দখল করে নেন। বাধ্য হয়ে সুলতান আলাউদ্দিন আলম
শাহ বাহলুল লোদীর হাতে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা অর্পণ করে তাঁর প্রিয় স্থান বদাউনে গমন করে সেখানে অবসর জীবন যাপন
করেন। ১৪৫১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ এপ্রিল বাহলুল লোদী নিজেকে সুলতান হিসেবে ঘোষণা করে মধ্যযুগীয় ভারতীয়
উপমহাদেশে অন্যতম প্রভাবশালী রাজবংশ লোদী বংশের গোড়াপত্তন করেন। বাহলুল লোদী, সিকান্দার লোদী এবং
ইব্রাহিম লোদী ছিলেন এই বংশের তিনজন সুলতান। তাঁরা ১৪৫১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতীয়
উপমহাদেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। ইব্রাহিম লোদী ছিলেন লোদী বংশের এবং সেই সাথে দিল্লি সালতানাতের
সর্বশেষ সুলতান। ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল ঐতিহাসিক পানি পথের প্রথম যুদ্ধে কাবুলের অধিপতি ও পরবর্তীতে মুঘল
স¤্রাট জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবর সুলতান ইব্রাহীম লোদীকে পরাজিত ও নিহত করেন। ফলে লোদী বংশসহ দিল্লি
সালতানাতের অবসান ঘটে। ভারতবর্ষের মানচিত্রে আবির্ভূত হয় মুঘল বংশ।
বাহলুল লোদী (১৪৫১-১৪৮৯ খ্রি.)
বাহলুল লোদীর পিতামহের নাম মালিক বাহরাম। তুঘলক বংশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের
শাসনামলে মালিক বাহরাম মুলতানের তৎকালীন শাসক মালিক মর্দান দৌলতের নিকট চাকরি গ্রহণ করেন। খিজির খান
ছিলেন সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান। তাঁর শাসনামলে বাহলুল লোদীর পিতা মালিক খান এবং পিতৃব্য ইসলাম খান
(সুলতান শাহ) রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ইসলাম খান মৃত্যুবরণ করলে বাহলুল লোদীকে সিরহিন্দ ও
লাহোরের শাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সৈয়দ বংশের তৃতীয় শাসক মুহম্মদ শাহের শাসনামলে মালব অঞ্চলের
বিখ্যাত শাসনকর্তা মাহমুদ শাহ খলজী বিদ্রোহ করলে সিরহিন্দ ও লাহোরের শাসনকর্তা বাহলুল লোদী তাঁকে পরাজিত করে
বিতাড়িত করেন। এতে সুলতান মুহম্মদ শাহ সন্তুষ্ট হয়ে বাহলুল লোদীকে ‘খান-ই-খানান’ উপাধি প্রদান করেন। সৈয়দ
বংশের সর্বশেষ শাসক আলাউদ্দিন আলম শাহ স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগ করলে বাহলুল লোদী ১৪৫১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ এপ্রিল
দিল্লির মসনদে আরোহণ করে লোদী বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। উল্লেখ্য, বাহলুল লোদী ছিলেন আফগান জাতির লোদী
উপদলভুক্ত লোক। বাহলুল লোদী জৌনপুরের শাসক মাহমুদ শাহ শরকীর দিল্লি আক্রমণ পরিকল্পনা ব্যর্থ করে তাঁর কর্তৃত্ব
সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। সাম্বালের দরিয়া খান লোদী, সুকেতের মুবারক খান, মেওয়াটের আহমদ খান, রেওয়াবীর কুতুব খান,
ঈশা খান প্রমুখ এবং চান্দওয়ার, এটোয়া ও দোয়াবের সামন্ত রাজগণ সুলতান বাহলুল লোদীর নিকট আনুগত্য প্রকাশ
করেন। বাহলুল লোদী জৌনপুরকে দিল্লি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র বরবক শাহকে জৌনপুরের শাসক হিসেবে
নিযুক্ত করেন। তিনি পাঞ্জাবকে দিল্লি সালতানাতের অধীনে নিয়ে আসেন। ১৪৮৯ খ্রিস্টাব্দে গোয়ালিয়রের রাজা কিরাত
সিংহও বাহলুল লোদীর নিকট আনুগত্য স্বীকার করেন। ১৪৮৯ খ্রিস্টাব্দে অসুস্থ অবস্থায় সুলতান বাহলুল লোদী মৃত্যুবরণ
করেন। তিনি ছিলেন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প সংস্কৃতি একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক। সুলতান বাহলুল লোদী ছিলেন লোদী বংশের
শ্রেষ্ঠ সুলতান। চারিত্রিক দৃঢ়তা, সাহসিকতা, বহুমুখী প্রতিভা এবং রাজ্যশাসন পদ্ধতি বিবেচনা করলে নিঃসন্দেহে এটি
প্রতীয়মান হয় যে, ফিরোজ শাহ তুঘলকের মৃত্যুর পর দিল্লির সিংহাসনে উপবেশনকারী সুলতানদের মধ্যে বাহলুল লোদী
ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক।
সিকান্দার লোদী (১৪৮৯-১৫১৭খ্রি.)
লোদী বংশের দ্বিতীয় সুলতান সিকান্দার লোদী ছিলেন। তাঁর বাল্যনাম ছিল নিজাম খান। সুলতান বাহলুল লোদীর মৃত্যুর
পর এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। এসময় আমির উমারাহদের প্রাথমিক বিরোধিতা সত্তে¡ও নিজাম খান ‘সিকান্দার
শাহ লোদী’ উপাধি ধারণ করে ১৪৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুলাই দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। সিংহাসনে আরোহণের
অব্যবহিত পরে জৌনপুরের শাসক এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বরবক শাহ সুলতানের আনুগত্য অস্বীকার করে জৌনপুরের
স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সিকান্দার লোদী বিদ্রোহী ভ্রাতাকে অপসারণ করে তাঁকে কারারুদ্ধ করেন এবং তদস্থলে নতুন
শাসনকর্তা নিয়োগ প্রদান করেন। অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ-বিশৃঙ্খলা দূরীভূত করে সুলতান সিকান্দার লোদী ত্রিহুত, বিহার
প্রভৃতি অঞ্চল নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করে সাম্রাজ্যের সীমা বর্ধিত করেন। ১৪৯৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলার শাসক সুলতান আলাউদ্দিন
হুসেন শাহের সাথে সুলতান সিকান্দার লোদী এক মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন করেন। ১৫০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতিহাস প্রসিদ্ধ
আগ্রা নগরীর গোড়াপত্তন করে সেখানে রাজধানী স্থানান্তর করেন। সুলতান সিকান্দার লোদী ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রতিষ্ঠিত
আগ্রা শহরে মৃত্যুবরণ করেন। লোদী বংশের অন্যতম সফল শাসক সুলতান সিকান্দার লোদী ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা,
ন্যায় পরায়ণ সমরকুশলী এবং প্রজাবৎসল শাসক। তিনি ছিলেন দরিদ্র প্রজা সাধারণের প্রতি সহানুভূতিশীল, জ্ঞানী-গুণী ও
পন্ডিত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ন্যায় বিচারের মূর্ত প্রতীক এবং সদা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। জনগণের আর্থিক
সামর্থ্যের কথা বিবেচনা করে সুলতান সিকান্দার লোদী শস্যকর এবং অভ্যন্তরীণ শুল্ক রহিত করেন। কৃষি, শিল্প ও
বাণিজ্যের স¤প্রসারণের জন্য সুলতান প্রয়োজনীয় পদক্ষেণ গ্রহণ করেন। সুলতান স্বয়ং একজন কবি ছিলেন। তিনি ফারসি
ভাষায় কবিতা লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি এমনকি সাহিত্য ও চিকিৎসা শাস্ত্রেরও একজন উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
সুলতান সিকান্দার লোদীর বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় সংস্কৃত ভাষায় লিখিত চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ‘তিব্বী সিকান্দারী’
ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন।
ইব্রাহিম লোদী (১৫১৭-১৫২৬খ্রি.)
ইব্রাহিম লোদী ছিলেন সুলতান সিকান্দার লোদীর জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি ছিলেন লোদী বংশের সর্বশেষ সুলতান। ১৫১৭
খ্রিস্টাব্দের ২১ নভেম্বর সুলতান সিকান্দার লোদীর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ইব্রাহিম লোদী, সুলতান ‘ইব্রাহিম শাহ’ উপাধি
ধারণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি সিংহাসনে আরোহণের পর কুচক্রী অভিজাত শ্রেণির একটি দল সুলতানের
কনিষ্ঠ ভাই জালাল উদ্দিনকে জৌনপুরের সিংহাসনে বসিয়ে তাঁকে স্বাধীন সুলতান বলে ঘোষণা করেন। সুলতান ইব্রাহিম
লোদী প্রভাবশালী অভিজাত ফতেহ খান ও খান জাহানের সাহায্যে বিদ্রোহী ভ্রাতা জালাল উদ্দিনকে পরাজিত ও নিহত
করেন। ইব্রাহিম লোদীর উদ্ধত ব্যবহার ও কঠোর নিয়মনীতির ফলে আফগান অভিজাত শ্রেণি ক্ষুদ্ধ হয়। সুলতান আফগান
অভিজাতদের বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করেন। সুলতান ইব্রাহিম লোদীর কঠোরনীতি ও নিষ্ঠুর আচরণে অসন্তুষ্ট আফগান
আমির উমারাহদের বিশেষ অনুরোধে পাঞ্জাবের শাসক দৌলত খান লোদী, ইব্রাহিম লোদীর পিতৃব্য আলম খান এবং
রাজপুতনার মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহের সম্মিলিত শক্তি কাবুলের অধিপতি বিখ্যাত সমরনেতা জহিরুদ্দিন মুহম্মদ
বাবরকে ভারত আক্রমণ করতে আহবান করেন। বাবর এই আহবানে সাড়া দিয়ে ভারত আক্রমণ করেন এবং ১৫২৬
খ্রিস্টাব্দে ঐতিহাসিক পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদী বংশের শাসক ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে ভারতীয় উপমহাদেশে
মুঘল বংশের গোড়াপত্তন করেন। সুলতান ইব্রাহিম লোদী ছিলেন একজন বুদ্ধিমান, নির্ভীক এবং সাহসী সুলতান। তিনি
ছিলেন একজন ধার্মিক এবং দানশীল শাসক। পিতা সিকান্দার লোদীর ন্যায় সুলতান ইব্রাহিম লোদীও ছিলেন সঙ্গীতের প্রতি
আসক্ত। মানুষ হিসেবে তিনি উদার ও দয়ালু হলেও শাসক সুলভ দুর্বলতার কারণে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে (১৫২৬ খ্রি.)
বাবরের হাতে তাঁর পতন ঘটে। আর এর ফলে দিল্লির সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে।
সারসংক্ষেপ:
বাহলুল লোদী ১৪৫১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ এপ্রিল দিল্লি সালতানাতের চতুর্থ রাজবংশ সৈয়দ বংশের শাসনের অবসান ঘটিয়ে
ভারতীয় উপমহাদেশে লোদী বংশের গোড়াপত্তন করেন। লোদী বংশের প্রথম শাসক বাহলুল লোদী ১৪৫১ খ্রিস্টাব্দে
থেকে ১৪৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। তাঁর পুত্র সুলতান সিকান্দার লোদী এই বংশের দ্বিতীয় শাসক হিসেবে ১৪৮৯
খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। লোদী বংশের সর্বশেষ শাসক ইব্রাহিম লোদী (১৫১৭-১৫২৬খ্রি.)
কাবুলের অধিপতি জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবরের নিকট পানি পথের প্রথম যুদ্ধে পরাজিত হলে দিল্লি সালতানাতের অবসান
ঘটে এবং মুঘল বংশের শাসন শুরু হয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.১১
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান ছিলেন-
ক. বাহলুল লোদী খ. সিকান্দার লোদী
গ. ইব্রাহিম লোদী ঘ. আশরাফ লোদী
২। বাহলুল লোদীর পিতার নাম ছিল-
ক. সালিক কালা খ. মালিক খান
গ. মালিক বাহরাম ঘ. মালিক গফুর
৩। বাহলুল লোদীকে ‘খান-ই-খানান’ উপাধি প্রদান করেন-
ক. খিজির খান খ. মোবারক শাহ
গ. মুহম্মদ শাহ ঘ. আলাউদ্দিন আলম শাহ
উজানীনগরের ‘কাসিমী’ বংশের ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ। স্থানীয় শাসক ইরহামউদ্দিন স্বেচ্ছায় শক্তিশালী শাসক কাসিম বিন
হাফিজের নিকট ক্ষমতা ছেড়ে দেন। তিনি একাধারে এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও শ্রেষ্ঠ শাসক। এ বংশের শেষ শাসক
মুহজাবউদ্দিন বহি:শত্রæর আক্রমনের শিকার হন। যুদ্ধে বহি:শত্রæ কামান ব্যবহার করে। তিনি পরাজিত হন এবং এ বংশের
পতন ঘটে।
১. লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? ১
২. সিকান্দার লোদীর পরিচয় লিখুন। ২
৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত কাসিম বিন হাফিজের সাথে বাহলুর লোদীর সাদৃশ্য মূল্যায়ন করুন। ৩
৪. ইব্রাহীম লোদীর কঠোর নীতি ও নিষ্ঠুর আচরণ লোদী বংশের পতন ত্বরান্বিত করে- ইতিহাসের আলোকে তুলে ধরুন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র