মূখ্য শব্দ ‘রিহালা-ই-ইবনে বতুতা’, আশরাফ, আতরাফ, বর্ণভেদ প্রথা, জিম্মি ও জিজিয়া
[
সুলতানি আমলে ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস
সুলতানি আমলে ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস জানার উৎস অপ্রতুল। তবে সুলতানি আমলে আগমনকারী
বদেশী পর্যটকদের মনোজ্ঞ ও তথ্যপূর্ণ বিবরণ থেকে ভারতের তৎকালীন অর্থনৈতিক ইতিহাস জানা যায়।
সুলতানি আমলে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা
ভারত মূলত: একটি কৃষি প্রধান দেশ। সুলতানি আমলে ভারতের প্রধান আয়ের উৎস ছিল ভূমি রাজস্ব। কৃষি ব্যবস্থার
উন্নয়নের লক্ষ্যে দিল্লির সুলতানগণ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক (১৩৫১-১৩৮৮
খ্রিস্টাব্দ) কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ৫টি খাল এবং ১৫৩টি কূপ খনন করেন। এর ফলে অসংখ্য পতিত ও অনাবাদী ভূমি
কৃষির আওতাধীনে আসে। এছাড়াও কৃষিঋণ এবং অন্যান্য কৃষি সহায়তা প্রদান করে সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক কৃষির
প্রভূত উন্নতি বিধান করেন। বিদেশী পর্যটকদের বর্ণনানুযায়ী সুলতানি আমলে ভারতের শহর ও গ্রামাঞ্চলে সুলতানদের
অনুপ্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা দানের ফলে শিল্প-বাণিজ্যের যথেষ্ট স¤প্রসারণ ঘটেছিল। সুলতানি আমলে ভারতে তাঁতশিল্পের
বিকাশ ঘটে। সুলতান ও অভিজাত শ্রেণীর চাহিদানুযায়ী শুধুমাত্র দিল্লিতে সরকারি কারখানায় প্রায় চার হাজার তাঁতী নিয়োগ
করা হয়েছিল। এ সময় ভারতের অধিবাসীদের প্রধান জীবীকা কৃষি হওয়া সত্তে¡ও বিভিন্ন শহর, নগর এবং গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন
ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরির জন্য শিল্প ও কল-কারখানা গড়ে উঠেছিল। উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল কাপড়,
শাড়ী, ধুতি, রেশম ও পশমের বস্ত্র, চিনি এবং কাগজ প্রভৃতি। সুলতানি আমলে বিভিন্ন কৃষিজ পণ্য, বস্ত্র এবং নানা রকম
মসলা ছিল প্রধান রপ্তানিযোগ্য দ্রব্য। বিলাসজাতীয় সামগ্রী, ঘোড়া ও অন্যান্য ভারবাহী পশু বাইরে থেকে আমদানি করা
হতো। বাংলা ও গুজরাট হতে সর্বাধিক পরিমাণ সুতি দ্রব্য এসময় বিদেশে রপ্তানি হতো বলে বিদেশী পর্যটকরা উল্লেখ
করেছেন। সুলতানি আমলে ভারতে আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ন্যায় বহির্বাণিজ্যেরও স¤প্রসারণ ঘটেছিল। জল এবং স্থল উভয়
পথে তৎকালীন সময় বাণিজ্য প্রচলিত ছিল। ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল, মালয় দ্বীপপুঞ্জ, চীন এবং প্রশান্ত মহাসাগরের
অন্যান্য দেশের সঙ্গে জলপথে এবং মধ্য এশিয়া, আফগানিস্তান, পারস্য, তিব্বত ও ভুটান এর সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যিক
সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র ছিল বাংলা ও গুজরাটের বন্দর। তুলা, আদা, চিনি,
খাদ্যশস্য ও বিভিন্ন রকমের মাংসের প্রাচুর্যের কারণে বিদেশী পর্যটক বারথেমা বাংলাকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী
দেশ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
মরক্কোবাসী মুসলিম পরিব্রাজক ইবনে বতুতা সুলতান মুহম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ১৩৩৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষে
আগমন করেন। ইবনে বতুতার বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী ‘রিহালা-ই-ইবনে বতুতা’ নামক গ্রন্থে সুলতানি আমলে বাংলার
অর্থনৈতিক অবস্থার কথা উল্লেখ করেছন। ইবনে বতুতার মতে, তখন বাংলায় ৩ টাকায় ১টি ভালো গরু এবং ১ টাকায় ৮
মণ চাল পাওয়া যেত। সুলতানি আমলে ভারতের গ্রামগুলো ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর
জন্য গ্রামের অধিবাসীদেরকে অন্যত্র যেতে হতো না।
সুলতানি আমলে সামাজিক অবস্থা
সুলতানি আমলে ভারতের প্রধান হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা বসবাস করত। এ আমলে হিন্দু ও মুসলিম
স¤প্রদায়ের সামাজিক সংমিশ্রণের পথ নানাবিধ কারণে রুদ্ধ ছিল। ভারত জয় করার মাধ্যমে মুসলিমগণ সাম্রাজ্য স্থাপন
করে নিজস্ব সংস্কৃতি লালন করতে শুরু করেন। অপরদিকে ভারতের স্থায়ী অধিবাসী হিন্দু সমাজেও রক্ষণশীলতা প্রসূত
সংকীর্ণতা প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে এই দুই স¤প্রদায়ের মধ্যে সংমিশ্রণের পরিবর্তে পার্থক্যই বেশি পরিলক্ষিত হয়।
মুসলমান সমাজের অবস্থা
সুলতানি আমলে ভারতে মুসলমান সমাজ দু’টো শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল। যথা (১) অভিজাত শ্রেণি- যারা বিভিন্ন দেশ থেকে
আগত এবং (২) সাধারণ শ্রেণি-স্থানীয় অধিবাসী যারা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত। অভিজাত শ্রেণী গঠিত হয়েছিল তুর্কি,
ইরানি, তুরানি, আরব ও আফগানদের নিয়ে। এই অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে অনেকেই নিজেদেরকে শেখ, সৈয়দ, পাঠান ও
গাজী প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত করেন। অভিজাত শ্রেণি ছিল শাসক শ্রেণী। যারা ‘আশরাফ’ নামে পরিচিত ছিল। আর
সাধারণ শ্রেণি ছিল শাসিত শ্রেণি। যারা ‘আতরাফ’ নামে পরিচিত ছিল। দিল্লি সালতানাতের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে সাধারণত
অভিজাত শ্রেণির মুসলমানদের নিয়োগ দেয়া হত। রাষ্ট্রীয় গুরত্বপূর্ণ পদ যেমন- আমির, উজির, কাজি, মুফতি, প্রাদেশিক
শাসনকর্তা, সেনাপতি প্রভৃতি পদে তারা নিযুক্ত হতেন। কোনো সুলতান মৃত্যুবরণ করলে তাঁর পরবর্তী উত্তরাধিকারী
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিজাত শ্রেণির মধ্যে আন্ত:কোন্দল দেখা দিত। সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর তাঁর
উত্তরসুরীদের শাসনামলে অভিজাত শ্রেণি উপদ্রব শুরু করলে বাধ্য হয়ে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন ও সুলতান আলাউদ্দিন
খলজি তাদের কঠোর হস্তে দমন করেন। দিল্লি সালতানাতের সর্বশেষ রাজবংশ লোদী বংশের শাসনামলে অভিজাত শ্রেণীর
একটি দল কাবুলের অধিপতি জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবরকে ভারত আক্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। লোদী বংশের সর্বশেষ
শাসক ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে বাবর ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
হিন্দু সমাজের অবস্থা
মুসলমান শাসকগণ হিন্দুদের প্রতি যথেষ্ট উদার ও মানবিক ব্যবহার করতেন। ভারতে হিন্দু সমাজে বর্ণভেদ ও জাতিভেদ
প্রথা (ঈধংঃব ংুংঃবস) প্রচলিত ছিল। জাতিভেদ নীতি দ্বারা আচ্ছন্ন হিন্দু সমাজে শূদ্র ও অস্পৃশ্যদের প্রতি ব্রাহ্মণদের
অত্যাচার ও নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছিল। সুলতানগণ হিন্দুদেরকে জিম্মির মর্যাদা প্রদান করে তাদের সাথে
ন্যায়পরায়ণ ও উদার নীতি গ্রহণ করেন। দিল্লির সুলতানি শাসনামলে হিন্দু স¤প্রদায় ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করত ও
রাজকীয় উচ্চ পদে দায়িত্বপালন করত। সুলতান আলাউদ্দিন খলজি ও সুলতান মুহম্মদ বিন তুঘলক রাষ্ট্রের বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ পদে হিন্দুদের নিয়োগ প্রদান করেছিলেন। মুসলিম শাসকরা সামরিক কার্য হতে অব্যাহতি দেওয়ার বিনিময়ে
হিন্দুদের উপর জিজিয়া নামক এক ধরনের নিরাপত্তা কর আরোপ করেন। কিন্তু সামরিক কার্যে যোগদানকারীদের জিজিয়া
প্রদান করতে হতো না। ব্যবসায় বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে হিন্দুরাও মুসলমানদের পাশাপাশি সমানভাবে অংশগ্রহণ করত।
দীর্ঘ সময় ধরে পাশাপাশি অবস্থানের ফলে সুলতানি আমলে ভারতে হিন্দু ও মুসলিম সমাজ পরস্পরকে ব্যাপকভাবে
প্রভাবিত করেছিল। হিন্দুদের শিল্পকলা, স্থাপত্যবিদ্যা, ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলা, ঐতিহ্য ও দর্শন মুসলমান
শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপক উন্নতি লাভ করে।
দাস প্রথা
সুলতানি আমলে ভারতে দাস প্রথা প্রচলিত ছিল। জিনিসপত্রের ন্যায় হাট-বাজারে দাস-দাসী বিক্রি হত। দিল্লির
সুলতানদের মধ্যে কুতুবউদ্দিন আইবেক, শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ এবং গিয়াসউদ্দিন বলবন প্রাথমিক জীবনে ক্রীতদাস
ছিলেন। সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ তাঁর বিশ্বস্ত ৪০ জন তুর্কি ক্রীতদাসের সমন্বয়ে ‘বন্দেগান-ই-চেহেলগান’ প্রতিষ্ঠা
করেন। সুলতান আলাউদ্দিন খলজির শাসনামলে ৫০ হাজার এবং সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসনামলে ১,৮০,০০০
ক্রীতদাস ছিল। ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসনামলে প্রায় ৪০,০০০ ক্রীতদাস সুলতানের প্রাসাদে বসবাস করত। সুলতান
এমনকি ক্রীতদাসদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘দিওয়ান-ই-বন্দেগাণ’ নামক একটি নতুন বিভাগ স্থাপন করেন।
নারীর অবস্থা
সুলতানি আমলে ভারতে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সমাজে নারীদেরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হতো। প্রত্যেক ধর্মের
লোকেরা তাদের নিজস্ব ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসারে জীবনযাপন করতেন। অভিজাত পরিবারে মেয়েরা সাধারণত শিল্প ও
বিজ্ঞান চর্চা করতেন। গ্রামীণ রমণীরা গৃহস্থালীর কাজে ব্যস্ত থাকতেন। পর্দা প্রথা মুসলিম ও হিন্দু স¤প্রদায়ের অভিজাত
রমণীদের মধ্যেও দেখা যায়। বাল্যবিবাহ, সতীদাহ এবং ‘জহরব্রত প্রথা’ হিন্দু সমাজে পালন করা হত।
সুলতানি আমলে ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাস
সুলতানি আমলে ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়কালে ভারতের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিরাট
পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। এ আমলে ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা হয়েছিল। এর ফলে
মুসলমানদের সংস্কৃতি বহুলাংশে হিন্দু স¤প্রদায়ের লোকেরা গ্রহণ করেছিল। দীর্ঘকাল পাশাপাশি অবস্থানের ফলে মুসলিম
সভ্যতা সংস্কৃতি ও ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতির মধ্যে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে সংযোগ স্থাপিত হয়েছিল। হিন্দু ও মুসলিম
সভ্যতা ও সংস্কৃতির মিলন ও সংমিশ্রণে পরস্পর প্রভাবের আদান প্রদানের ফলে ভারতীয় সমাজে পরিবর্তন পরিলক্ষিত
হয়েছিল। হিন্দু ও মুসলিম দুটো স¤প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক জীবনে আচার-আচরণ, ধর্মকর্ম, ভাবভাষা, রীতি-নীতি
নিয়মকানুন প্রভৃতির বিনিময় ঘটেছিল। মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি হতে হিন্দু ধর্ম, সাহিত্য, বিজ্ঞান শুধুই যে উপাদান গ্রহণ
করেছিল এমনটি নয় বরং হিন্দু সংস্কৃতির প্রকৃতি এবং মানসিক গঠনেও পরিবর্তন এসেছিল, মুসলমানরাও জীবনের প্রত্যেক
ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তনের ধারায় সমানভাবে সাড়া দিয়েছিল।
সারসংক্ষেপ :
সুলতানি আমলে ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মেলামেশার ফলে মুসলমানদের সংস্কৃতি বহুলাংশে হিন্দু
স¤প্রদায়ের লোকেরা গ্রহণ করেছিল। দীর্ঘকাল পাশাপাশি অবস্থানের ফলে মুসলিম সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং ভারতীয় তথা
হিন্দু সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। হিন্দু ও মুসলিম সভ্যতা ও
সংস্কৃতির পরস্পর প্রভাবের ফলে ভারতীয় সমাজে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছিল। হিন্দু ও মুসলিম দুটো স¤প্রদায়ের
মধ্যে সাংস্কৃতিক জীবনে আচার-আচরণ, ধর্ম-কর্ম, ভাব-ভাষা, রীতি-নীতি নিয়মকানুন প্রভৃতির বিনিময় ঘটেছিল।
মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি হতে হিন্দু ধর্ম, সাহিত্য, বিজ্ঞান শুধুই যে বিভিন্ন উপাদান গ্রহণ করেছিল এমনটি নয়;
এমনকি হিন্দু সংস্কৃতির প্রকৃতি এবং মানসিক গঠনেও পরিবর্তন এনেছিল, মুসলমানরাও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সেই
পরিবর্তনের ধারায় সমানভাবে সাড়া দিয়েছিল।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.১২
১। চীনা পর্যটক মাহুয়ান আগমন করেন-
ক. সিকান্দার শাহের রাজদরবারে খ. ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের রাজদরবারে
গ. শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের রাজদরবারে ঘ. গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের রাজদরবারে
২। বারবোসা ভারতে আগমন করেন-
ক. ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে খ. ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে
গ. ১৫১৮ খ্রিস্টাব্দে ঘ. ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে
৩। ইবনে বতুতা ছিলেন-
ক. চীন দেশীয় পর্যটক খ. মরক্কোর পর্যটক
গ. জাপানের পর্যটক ঘ. ইংল্যান্ডের পর্যটক
৪। ইবনে বতুতা ভারতবর্ষে আগমন করেন-
ক. ১৩৩১ খ্রিস্টাব্দে খ. ১৩৩২ খ্রিস্টাব্দে
গ. ১৩৩৩ খ্রিস্টাব্দে ঘ. ১৩৩৪ খ্রিস্টাব্দে
সৃজনশীল প্রশ্ন:
দিল্লি নগরীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে ‘ক’ আমলের ইতিহাস। এসময় ভ‚মি রাজস্ব ছাড়াও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, অভ্যন্তরীন
ও বহিঃবাণিজ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম পরিচায়ক ছিল। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিল পার্থক্য। সমাজে ছিল
উচু-নিচু স্তরবিন্যাস। তবে হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির মিশ্রণ এ সময়ের উল্লেখযোগ্য বিষয়।
১. সুলতানি আমলে আয়ের প্রধান উৎস কি ছিল? ১
২. সুলতানি আমলে আর্থ-সামাজিক ও সংস্কৃতিক ইতিহাস রচনার উৎস সম্পর্কে লিখুন। ২
৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত শাসনামলের অর্থনেতিক কর্মকান্ডের বিবরন দিন। ৩
৪. সামাজিক স্তরবিন্যাস সকল সমাজে বিদ্যমান-এই উক্তির আলোকে সুলতানি আমলে সামাজিক স্তরবিন্যাসের চিত্র
উপস্থাপন করুন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র