দিল্লি সালতানাতের অবক্ষয়ের প্রত্যেকটি কারণ আলাদাভাবে বিশ্লেষণ কর

মূখ্য শব্দ বন্দেগান-ই-চেহেলগান, দিওয়ান-ই-বন্দেগান ও পানি পথের যুদ্ধ
দিল্লি সালতানাতের পতন
১১৯১ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের প্রথম যুদ্ধে পরাজয়ের পর ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে ঘুরের
অধিপতি মুইজউদ্দিন মুহম্মদ বিন সাম ওরফে মুহম্মদ ঘোরি পৃথ্বীরাজ চৌহান-এর নেতৃত্বে পরিচালিত সম্মিলিত বাহিনীকে
শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন করেন। মুহম্মদ ঘোরি গজনীতে
প্রত্যাবর্তনের পূর্বে তাঁর সুযোগ্য এবং বিশ্বস্ত সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবেককে ভারতবর্ষের বিজিত অঞ্চলের প্রতিনিধি
হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে অপুত্রক অবস্থায় মুহম্মদ ঘোরি মৃত্যুবরণ করলে কুতুবউদ্দিন আইবেক মুহম্মদ
ঘোরি ভ্রাতুষ্পুত্র ও ঘুর রাজ্যের অধিপতি গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ কর্তৃক ‘সুলতান’ উপাধি এবং মুক্তির ছাড়পত্র লাভ করে
এবং দিল্লি সালতানাতের প্রথম সুলতান হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করে তথাকথিত দাস বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। মামলুক
বংশ (দাস বংশ), খলজি বংশ, তুঘলক বংশ, সৈয়দ বংশ এবং লোদী বংশ এই পাঁচটি রাজবংশ ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে
১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দিল্লি সালতানাতের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। ১৪১৩ খ্রিস্টাব্দে তুঘলক বংশের পতনের সাথে
সাথেই তুর্কি সাম্রাজ্য অর্থ্যাৎ দিল্লি সালতানাত ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। তুঘলক বংশের পর সৈয়দ ও লোদী বংশ ১৪১৪
খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সুলতানি শাসন পরিচালনা করেছিল। অবশেষে লোদী বংশের দুর্বল শাসক ইব্রাহিম
লোদীর দুর্বলতার সুযোগে কাবুলের অধিপতি জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবর ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে ঐতিহাসিক পানিপথের প্রথম যুদ্ধে
পরাজিত ও নিহত করে এবং দিল্লি সালতানাতের অবসান ঘোষণা করে ভারতবর্ষে মুঘল বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। দিল্লি সালতানাতের পতনের কারণসমূহ:
সুলতানদের স্বেচ্ছাতন্ত্র
ভারতীয় উপমহাদেশে দিল্লির সুলতানদের ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাতন্ত্রের উপর শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত ছিল। সুলতান ছিলেন রাজ্য
শাসনের সর্বশক্তি ও ক্ষমতার উৎস। সুলতানদের নিজস্ব ক্ষমতা ও ব্যক্তিত্বের উপর দিল্লি সালতানাতের স্থায়িত্ব ও
স্থিতিশীলতা নির্ভরশীল ছিল। শক্তিশালী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সুলতানদের শাসনামলে সাম্রাজ্যব্যাপী সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা
পরিচালিত হতো এবং সর্বত্র নিয়ম-কানুন মেনে চলা হতো। কিন্তু দুর্বল ও অকর্মণ্য শাসকদের শাসনামলে সাম্রাজ্যব্যাপী
বিদ্রোহ ও অরাজকতা বিরাজমান থাকত। সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক, শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ, গিয়াসউদ্দিন বলবন,
আলাউদ্দিন খলজি ও ফিরোজ শাহ ব্যতীত দিল্লির অধিকাংশ সুলতান ছিলেন দুর্বল, অযোগ্য ও অকর্মণ্য। এসমস্ত দুর্বল
সুলতানদের শাসনামলে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ, বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল।
সুষ্ঠু উত্তরাধিকার নীতির অভাব
সুলতানি আমলে ভারতে কোন সুষ্ঠু উত্তরাধিকার নীতি ছিল না। ফলে সালতানাতকে কেন্দ্র করে গোলযোগ দেখা দিত।
সিংহাসনের দাবীকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার দ্ব›দ্ব গৃহ-বিবাদ, অন্তর্কলহ, বিদ্রোহ ও হত্যাকান্ড প্রভৃতি সংঘটিত হওয়ার কারণ
সুনির্দিষ্ট উত্তরাধিকার নীতির অভাব। দিল্লি সালতানাতের উত্তরাধিকারী নির্বাচনে অভিজাত শ্রেণী হস্তক্ষেপ করত। সুলতানদের উত্থান-পতনে তাদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের স্বাধীনতা স্পৃহা
দিল্লি সালতানাতের পতনের অন্যতম কারণ প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের স্বাধীনতাস্পৃহা। তুির্ক-আফগান শাসনামলে দিল্লির
অধীনস্ত প্রাদেশিক শাসকগণ নিজ নিজ প্রদেশে ছিলেন সব ক্ষমতার অধিকারী। কেন্দ্রিয় শাসনের দুর্বলতার সুযোগে
প্রাদেশিক শাসনকর্তাগণ প্রায়শই বিদ্রোহ করতেন এবং মাঝে মাঝে স্বাধীনতা ঘোষণা করতেন। দুর্বল ও অযোগ্য
সুলতানদের শাসনামলে প্রাদেশিক শাসনকর্তাগণ বিভিন্ন প্রদেশে গোলযোগ সৃষ্টি করতেন।
সামরিক শক্তির উপর নির্ভরশীলতা
দিল্লির সুলতানগণ ছিলেন অতিমাত্রায় সামরিক শক্তির উপর নির্ভরশীল। এর ফলে প্রজাসাধারণের স্বাভাবিক আনুগত্য ও
জাতীয়তাবোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছিল। শাসন ব্যবস্থায় জনগণের নির্লিপ্ত মনোভাব পরিলক্ষিত
হয়। সামরিক বাহিনীর দুর্বলতার সুযোগে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। সামরিক শক্তি
নির্ভর দিল্লি সালতানাত বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেনি।
সাম্রাজ্যের বিশালতা
দিল্লি সালতানাত সমগ্র উত্তর ভারত এবং দাক্ষিণাত্যের বেশ কিছু অংশে বিস্তৃত ছিল। সুলতান আলাউদ্দিন খলজির
শাসনামলে দিল্লি সালতানাতের আয়তন বিশাল আকার ধারণ করে। বিশাল সাম্রাজ্যে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও যোগাযোগ
ব্যবস্থার অভাবে বাংলা ও দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝে মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিত। শক্তিশালী ও সুদক্ষ সুলতানগণ
এসকল বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হলেও অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন এবং অদক্ষ সুলতানদের শাসনামলে এসকল
বিদ্রোহ দমন ছিল প্রায় অসম্ভব।
অভিজাত শ্রেণির দৌরাত্ম
অভিজাত শ্রেণীর দৌরাত্ম ও দিল্লি সালতানাতের পতনে ভূমিকা পালন করেছিল। সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের পৌত্র
কায়কোবাদের শাসনামলে তাঁর উজির নিজামউদ্দিনের কুশাসন, আলাউদ্দিন খলজির দুর্বল উত্তরাধিকারীদের শাসনামলে
মালিক কাফুরের নির্যাতন, দুঃশাসন এবং কট্টরপন্থী খসরু খানের অপশাসন প্রভৃতির ফলে সা¤্রাজ্যে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা
সূচিত হয়েছিল। এর ফলে সালতানাতের অন্তর্নিহিত শক্তির অবক্ষয় ঘটেছিল।
মুহম্মদ বিন তুঘলকের উচ্চাকাক্সক্ষা প্রসূত পরিকল্পনা
সুলতান মুহম্মদ বিন তুঘলক ছিলেন একজন উচ্চাভিলাষী এবং যুগের চেয়েও অগ্রগামী শাসক। তাঁর অবাস্তব আদর্শবাদিতা,
উচ্চাকাঙ্খা প্রসূত ব্যর্থ পরিকল্পনা প্রভৃতির ফলে দিল্লি সালতানাতের সংহতি ও অভ্যন্তরীণ শক্তি দুর্বল হতে থাকে। তাঁর
শাসনামলে কেন্দ্রিয় শক্তির দুর্বলতার সুযোগে দাক্ষিণাত্য, বাংলা ও সিন্ধু প্রদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফিরোজ শাহ
তুঘলক ছিলেন একজন উদার ও ধার্মিক শাসক। দিল্লি সাম্রাজ্যের পূর্বের গৌরব পুনরুদ্ধার করার মত শক্তি তাঁর ছিল না।
বলা হয়ে থাকে যে, জায়গীর প্রথার পুনঃপ্রবর্তন, উত্তরাধিকারসূত্রে সামরিক পদ লাভ, অযৌক্তিক উদারতা প্রদর্শন এবং
ক্রীতদাস প্রথা প্রবর্তন করে তিনি দিল্লি সালতানাতের পতনের পথ প্রশস্ত করেছিলেন।
নৈতিক অধ:পতন
দিল্লি সালতানাতের শেষ পর্বের সুলতানগণ ও অভিজাতশ্রেণীর নৈতিক স্খলন সালতানাতের পতনের পথ প্রশস্ত করেছিল।
অধিকাংশ সুলতান মদ, নারী ও বিলাসিতায় ডুবে থাকার ফলে একজন আদর্শ রাষ্ট্র নায়কের মহান গুণাবলী ছিল তাদের
মধ্যে অনুপস্থিত। রাষ্ট্রনায়কের তেজস্বিতা, কর্মক্ষমতা ও সাহস হারিয়ে ফেলার কারণে সাম্রাজ্যের ভিত ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে
থাকে। সুলতান, অভিজাতশ্রেণী এবং রাজকর্মচারীদের উচ্ছৃঙ্খল ও বিলাসী জীবন যাপনের ফলে দিল্লি সালতানাত ক্রমাগতভাবে অধঃপতনের দিকে ধাবিত হয়েছিল।
ক্রীতদাস প্রথার কুফল
দিল্লির সুলতানগণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্রীতদাস প্রথা বিদ্যমান রেখেছিলেন। ক্রীতদাসদের মধ্য থেকে কয়েকজন
পরবর্তীতে সুলতানের মর্যাদাও লাভ করেছিলেন। সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ তাঁর বিশ্বস্ত ৪০ জন ক্রীতদাসদের নিয়ে
‘বন্দেগান-ই-চেহেলগান’ বা ‘চল্লিশ চক্র’ গঠন করেছিলেন। গিয়াসউদ্দিন বলবন ছিলেন এই চল্লিশ চক্রের অন্যতম
প্রভাবশালী সদস্য। তিনি সুলতান হিসেবে দায়িত্ব লাভের পর চল্লিশ চক্রের কিছু সদস্য তাঁর বিরোধিতা করেছিল। সুলতান
ফিরোজ শাহ তুঘলক ক্রীতদাসদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘দিওয়ান-ই-বন্দেগাণ’ নামক একটি নতুন বিভাগ স্থাপন করেন।
তাঁর শাসনামলে ক্রীতদাসদের সংখ্যা প্রায় ১,৮০,০০০ এ উন্নীত হয়েছিল। এই বিপুল সংখ্যক ক্রীতদাসদের ভরণ-
পোষণের জন্য রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয় হতো। তদুপরি ক্রীতদাসদের মধ্যকার অন্তর্কলহ ও বিবাদের ফলে দিল্লি সালতানাত
পতনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল।
অমুসলিমদের বিরোধীতা
ভারত ছিল একটি হিন্দু অধ্যুষিত দেশ। হিন্দু স¤প্রদায়ের বিরুদ্ধাচরণ ও বৈরী মনোভাব এবং অমুসলিম প্রজাবর্গের
প্রতিবন্ধকতার ফলে দিল্লি সালতানাতের পতন ঘনীভূত হয়েছিল। উত্তর ভারতের রাজপুত শক্তি এবং দাক্ষিণাত্যের হিন্দু
স¤প্রদায় পরিস্থিতি অনুকুল পেলেই দিল্লি সুলতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে কুণ্ঠিত হতো না। কোন কোন সুলতান হিন্দুদের
উচ্চপদে নিয়োগ প্রদান এবং স্বাধীনভাবে ধর্মপালনের অধিকার প্রদান করলেও রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হিন্দু
স¤প্রদায় মুসলিম শাসন মনে প্রাণে গ্রহণ করতে প্রস্তুত ছিল না।
তৈমুর লঙের ভারত আক্রমণ
ভারতবর্ষের বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগে সমসাময়িক মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ত্রাস ও
দিগি¦জয়ী বীর তৈমুর লঙ ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশ করে দিল্লি দখল করেন। তিনি দিল্লিতে
১৫ দিন লুণ্ঠন, ধ্বংস এবং ১,০০,০০০ নিরীহ অধিবাসীকে হত্যা করে সিরি, পুরাতন দিল্লি, জাহানপানাহ, ফিরোজাবাদ,
মীরাট, হরিদ্বার, নগরকোট প্রভৃতি স্থানেও ব্যাপক হত্যাকান্ড ও লুণ্ঠন করেন। দিল্লি সালতানাতের পতনোম্মুখ সময়ে
তৈমুরের ভারত আক্রমণ এবং পৈশাচিক হত্যাকাÐ ও নজিরবিহীন লুণ্ঠন সাম্রাজ্যের স্থায়িত্বের মূলে কুঠারাঘাত করেছিল।
বাবরের আক্রমণ ও সালতানাতের পতন
দিল্লি সালতানাতের সর্বশেষ রাজবংশ লোদী বংশের সর্বশেষ শাসক ইব্রাহিম লোদীর উদ্ব্যত আচরণ ও কঠোর দমন নীতির
ফলে অসন্তুষ্ট আফগান অভিজাত শ্রেণি, পাঞ্জাবের শাসনকর্তা দৌলত খান লোদী এবং ইব্রাহীম লোদীর পিতৃব্য আলম খান
এবং মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহ কাবুলের অধিপতি জহিরুদ্দীন মুহম্মদ বাবরকে ভারত আক্রমণের আহবান জানান।
উচ্চাভিলাষী এবং সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর বাবর এই আহবানে সাড়া দিয়ে ভারত আক্রমণ করেন। ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে
সংঘটিত ঐতিহাসিক পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদী বংশের সর্বশেষ শাসক ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত ও নিহত করে
ভারতর্ষে মুঘল শাসনের গোড়াপত্তন করেন।
শিক্ষার্থীর কাজ দিল্লি সালতানাতের পতনের কারণগুলো লিখুন।
সারসংক্ষেপ :
ইব্রাহিম লোদীর উদ্ব্যত আচরণ ও কঠোর দমন নীতির ফলে অসন্তুষ্ট আফগান অভিজাত শ্রেণি, পাঞ্জাবের শাসনকর্তা
দৌলত খান লোদী এবং ইব্রাহীম লোদীর পিতৃব্য আলম খান এবং রাজপুতনার মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহ কাবুলের
অধিপতি জহিরুদ্দীন মুহম্মদ বাবরকে ভারত আক্রমণের আহŸান জানান। উচ্চাভিলাষী এবং সা¤্রাজ্যবাদী বাবর এই
আহবানে সাড়া দিয়ে ভারত আক্রমণ করেন। ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত ঐতিহাসিক পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদী
বংশের সর্বশেষ শাসক ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে দিল্লি সালতানাতের পতন ঘোষণা করেন এবং ভারতর্ষে মুঘল
১। ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন করেন-
ক. সুলতান মাহমুদ খ. মুহম্মদ ঘোরি
গ. কুতুবউদ্দিন আইবেক ঘ. শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ
২। দিল্লি সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল-
ক. ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে খ. ১২০৫ খ্রিস্টাব্দে
গ. ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে ঘ. ১২০৭ খ্রিস্টাব্দে
৩। দিল্লি সালতানাতের সর্বমোট রাজবংশ ছিল-
ক. চারটি খ. পাঁচটি
গ. ছয়টি ঘ. সাতটি
৪। দিল্লি সালতানাতের পতন ঘটেছিল-
ক. তরাইনের প্রথম যুদ্ধের মাধ্যমে খ. তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে
গ. পানিপথের প্রথম যুদ্ধের মাধ্যমে ঘ. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে
কোনো রাজবংশই চিরকাল টিকে থাকে না। এ উক্তিরই বাস্তব প্রমাণ ভাতুরিয়ার জমিদার বংশের ইতিহাস। শিল্প-সাহিত্য,
শিক্ষা-সংস্কৃতি, স্থাপত্যে অবিস্মরনীয় অবদান রাখলেও একসময় এ শাসনের অবসান ঘটে। পরপর পাঁচটি বংশ এ সময়
ক্ষমতায় আসে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবরণ ও বিশ্লেষণে জানা যায় অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা ও বহি:শত্রæর আক্রমণ এ
শাসনের পতন ইতিহাস রচনা করে। কাবুলের শাসক অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার সুযোগে এ রাজ্য আক্রমণ করে। তার হাতে এ
শাসনামলের পতন ঘটে।
১. সুলতানি আমলের পাঁচটি রাজবংশের নাম লিখুন। ১
২. দিল্লি সালতানাতের চ‚ড়ান্ত পতনের ঘটনা উল্লেখ করুন। ২
৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত বংশের পতনের আলোকে আপনার পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত শাসনামলের পতনের কারণ উল্লেখ করুন। ৩
৪. কোন কোন উচ্চাকাক্সক্ষা প্রসূত পরিকল্পনা দিল্লি সালতানাতের পতন ত্বরান্বিত করেছিল তা লিখুন। ৪
উত্তরমালা
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১ ঃ ১। ক ২। ঘ ৩। ক ৪। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.২ ঃ ১। ক ২। গ ৩। খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৩ ঃ ১। খ ২। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৪ ঃ ১। খ ২। খ ৩। খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৫ ঃ ১। ঘ ২। গ ৩। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৬ ঃ ১। গ ২। ক ৩। খ ৪। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৭ ঃ ১। ঘ ২। ঘ ৩। ক ৪। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৮ ঃ ১। খ ২। ঘ ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৯ ঃ ১। গ ২। গ ৩। খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১০ ঃ ১। ক ২। খ ৩। গ ৪। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১১ ঃ ১। ক ২। খ ৩। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১২ ঃ ১। ২। ৩। খ ৪। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১৩ ঃ ১। খ ২। গ ৩। খ ৪। গ
ভারতবর্ষে মুঘল শাসন (১৫২৬-১৭০৭ খ্রি.)

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]