আকবরের রাজ্যবিস্তার আকবরের ধর্মনীতি আকবররের রাজপুত নীতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন।

মূখ্য শব্দ দ্বীন-ই-ইলাহী, রাজপুত, ইবাদাতখানা, চাঁদ সুলতানা ও দাক্ষিণাত্য
সম্রাট আকবর
সম্রাট আকবর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। যুদ্ধক্ষেত্র, সমরনীতি, কূটনীতি ও প্রশাসন সকল
ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন মুঘলদের মধ্যে সর্বশেষ্ঠ শাসক। ইতিহাসে তাই তিনি ‘অশনধৎ ঃযব এৎবধঃ’ নামে পরিচিত। সম্রাট
হুমায়ুন যখন শেরশাহ এর নিকট পরাজিত ও রাজ্যচ্যুত হয়ে স্ত্রী হামিদাবানুকে নিয়ে পারস্য অভিমুখে যাত্রাকালে,
রাজস্থানের অমরকোটে ২৩ নভেম্বর, ১৫৪২ সালে আকবর জন্মলাভ করেন। জন্মের পর হুমায়ুন শিশুপুত্রের নামকরন
করেন জালালউদ্দিন। প্রথমে কয়েকবছর আকবর তার চাচা হিন্দাল, শামছুদ্দিন খান ও মাহম আনগার তত্ত¡াবধানে
প্রতিপালিত হন। হুমায়ুন তার পুত্রের প্রথাগত শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করেন। আকবর খুব অল্প বয়সেই মল্লযুদ্ধ, অশ্বচালনা,
তীরন্দাজ ইত্যাদি যুদ্ধকৌশল সহজেই রপ্ত করেন। ১৫৫১ খ্রি: মাত্র ৯ বছর বয়সে স¤্রাট আকবর তার চাচা হিন্দালের কন্যা রুকাইয়া বেগমকে বিবাহ করেন।
সিংহাসন আরোহণ
১৫৫৪ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ুন পুনরায় দিল্লির সিংহাসন অধিকার করেন। কিন্তু তিনি খুব বেশি দিন রাজত্ব করতে পারেননি।
১৫৫৫ খ্রি: আগ্রার লাইব্রেরির সিড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হুমায়ুনের মৃত্যুর প্রাক্কালে আকবর পাঞ্জাবে
বৈরামখানের তত্ত¡াবধানে অবস্থান করছিলেন। বৈরাম খান এখানেই আকবরকে পরবর্তী মুঘল সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন
এবং তার রাজ্য অভিষেকের ব্যবস্থা করেন। ১৫৫৬ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি জালালউদ্দিন মুহাম্মদ আকবর উপাধি নিয়ে মাত্র
১৩ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। বিশ্বস্ত বৈরাম খান আকবরের অভিভাবক নিযুক্ত হন এবং ১৫৬০ খ্রি: পর্যন্ত
স¤্রাট আকবর বৈরাম খানের তত্ত¡াবধানে রাজ্যশাসন করেন।
রাজ্যবিজয়
শেরশাহের মৃত্যু ও হুমায়ুনের সিংহাসন পূনরূদ্ধারের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতে এক বিশৃংখল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ
করছিল। শুর বংশীয় সিকান্দার শুর পাঞ্জাবে এবং আদিল শাহ শুর উত্তর ভারতে শক্তি সঞ্চয় করে মুঘল সাম্রাজ্যের
বিরোধীতা করতে থাকে। মেবার, বুন্দি, সিন্ধু, গুজরাট, মুলতান মালব ও যোধপুর ইত্যাদি রাজ্য দিল্লির নিয়ন্ত্রণকে
প্রত্যাখান করেছিল। একইভাবে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যসমূহ গোলকুন্ডা, বিদর, বিজাপুর, আহমেদনগর মুঘল শাসনকে
অবহেলা করছিল। এই সকল পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে সম্রাট আকবর রাজ্যবিস্তারে বদ্ধপরিকর হন। স¤্রাট আকবরের
রাজ্য বিজয়ের বিবরণ নি¤œরূপ:
পানিপথের ২য় যুদ্ধ (১৫৫৬ খ্রি.)
রাজ্যবিস্তারের প্রথম ধাপে আকবর আদিল শাহ শুরের সেনাপতি ও প্রধানমন্ত্রী হিমুর মুখোমুখি হন। হিমু হুমায়ুনের মৃত্যুর
পর দিল্লি ও আগ্রা অধিকার করে বিক্রমাদিত্য উপাধি নিয়ে স্বাধীনভাবে রাজ্য পরিচালনা শুরু করেন। আকবরের সাথে
হিমুর যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। বৈরাম খান মুঘল বাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর পানিপথের
প্রান্তরে হিমুকে পরাজিত করেন। যুদ্ধের সময় হিমুর একটি চোখে তীর বিদ্ধ হয় এবং পরে তাকে হত্যা করা হয়।
পানিপথের ২য় যুদ্ধ মুঘল ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। এই যুদ্ধ বিজয়ের মাধ্যমে মুঘলরা হারানো আত্মবিশ্বাস
খুজে পায় এবং ভারতে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরে আসে।
আফগানদের বিরুদ্ধে অভিযান
পানিপথের যুদ্ধে বিজয়ের পর আকবর পাঞ্জাবের আফগান নেতা সিকান্দার শাহ শুরের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন।
মানকোট দুর্গে সিকান্দার শুরের পতন ঘটে। আদিল শাহ শুর ১৫৫৭ খ্রি. মুঙ্গেরে নিহত হন এবং অপর আফগান নেতা
ইব্রাহিম শুর উড়িষ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।
মালব ও গন্ডোয়ানা অধিকার (১৫৬১-৬৪ খ্রি.)
আকবর তার দুধভ্রাতা মাহম আনগার-পুত্র আদম খানের নেতৃত্বে ১৫৬১ খ্রি. মালব অধিকার করেন। ১৫৬৪ সালে আসফ
খান মধ্যভারতের চান্দেল বংশীয় রাজা বীর নারায়ন ও রাজমাতা দুর্গাবতীকে যুদ্ধে পরাজিত করে গন্ডোয়ানা রাজ্য অধিকার করেন।
চিতোর অধিকার (১৫৬৭-৬৮ খ্রি.)
ভারতের প্রাচীন যোদ্ধাজাতি রাজপুত শক্তি খানুয়ার যুদ্ধে ১৫২৭ খ্রি.
চিরতরে শেষ হয়ে যায়নি। রাজপুত রাজাদের মধ্যে শক্তিশালী ও
উদ্ব্যত প্রকৃতির রাজা ছিলেন উদয় সিংহ। তিনি মালবের রাজা
রাজবাহাদুরকে আশ্রয় দিয়ে এবং আকবরের বৈমাত্রেয় ভাই মীর্জা
হাকিমকে সাহায্য করে আকবরের বিরাগজাজন হন। ১৫৬৮ খ্রি.
আকবর মেবারের রাজধানী চিতোর আক্রমণ করেন। রাজা উদয়সিংহ
পালিয়ে যান কিন্তু তার সেনাপতি জয়মল ও পাট্টা প্রায় চারমাস যুদ্ধ
করে পরাজিত হন। অবশেষে চিতোর মুঘল অধিকারে আসে।
রণথম্ভোর ও কালিঞ্জর বিজয়
রনথম্ভোরের রাজা ছিলেন চৌহান বংশীয় সুরজন। ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে
আকবরের নিকট যুদ্ধে পরাজিত হয়ে রাজা সুরজন আকবরের সাথে একটি সন্ধি করেন। আকবর তাকে দুইহাজারী মনসব
প্রদান করেন এবং বারানসী ও চুনারের শাসক নিয়োগ করেন। সুরক্ষিত কালিঞ্জর দুর্গের অধিপতি ছিলেন রাজা রামচন্দ্র।
আকবরের আক্রমনে রাজা রামচন্দ্র ১৫৬৯ খ্রি. মুঘল বাহিনীর নিকট বশ্যতা স্বীকার করেন।
রানা প্রতাপ এর বিদ্রোহ দমন
মেবারের উত্তরাধিকারী উদস সিংহের পুত্র রানা প্রতাপ সিং মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ১৫৭৬ সালে গোলকুন্ডার
নিকট হলদিঘাটে মুঘল রাজপুত বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে রানা প্রতাপ পালিয়ে যান।
গুজরাট বিজয় (১৫৭২ খ্রি.)
ভারতের সম্পদশালী ও বাণিজ্যকেন্দ্র গুজরাট সম্রাট আকবরকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। গুজরাটের শাসক তৃতীয়
মুজাফফর শাহেব দুর্বলতার সুযোগে তার মন্ত্রী ইতিমাদ খান আকবরকে গুজরাট অভিযানের আমন্ত্রণ জানান। আকবর
১৫৭৩ সালে সুরাট দখল করেন এবং আজিজ কোকোকে আহমদাবাদের শাসক নিযুক্ত করেন। গুজরাটের বিদ্রোহী ও
পলাতক আমিরগণ সুরাট, ক্যাম্বে ও আহমদাবাদ দখল করলে আকবরও পুনরায় গুজরাট জয় করে টোডরমলকে এর শাসনকর্তা নিয়োগ করেন।
বাংলা বিজয় (১৫৭৬ খ্রি.)
এই সময় বাংলার শাসক ছিলেন দাউদ খান কররানি। তিনি তার পিতা সুলায়মান কররানীর মত মুঘলদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক বজায় রাখেননি। তিনি নিজ নামে খুৎবা ও মুদ্রা জারি করেন। আকবর প্রথমে জৈনপুরের শাসনকর্তা মুনিম খানকে
বাংলা আক্রমনের নির্দেশ দেন। দাউদ খানের বিচক্ষণ উজির লোদী খানের মধ্যস্থতায় দাউদখান মুনিম খানের সাথে সন্ধি
স্থাপন করেন। কিন্তু ১৫৭৪ খ্রি. আকবর হাজিপুর ও পাটনা অধিকার করেন এবং মুনিম খানকে বাংলার সুবাদার ও
টৌডরমলকে বাংলা অভিযান এর দায়িত্ব অর্পন করে রাজধানীতে ফিরে যান। মুঘল বাহিনী একে একে ভাগলপুর,
কোলগাও, তেলিয়াগিরি হয়ে তান্ডা ও সপ্তগ্রাম অধিকার করে। মুঘলদের সাথে দাউদ খান ১৭৫৭ খ্রি. কটকের সন্ধি স্থাপন
আগ্রা দুর্গ
করে। অবশেষে রাজা টোডরমল ও হোসেন কুলি খান-এর নেতৃতে ১৫৭৬ খ্রি. ১০ জুলাই রাজমহলের যুদ্ধের মাধ্যমে
বাংলা বিজয় সম্পন্ন হয়।
কাবুল, কাশ্মীর ও কান্দাহার বিজয়
আকবরের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা মির্জা হাকিম আগ্রার সিংহাসন লাভের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হলে আকবর ১৫৮১ খ্রি. মির্জা হাকিমকে
পরাজিত করে কাবুল অধিকার করেন। অপরদিকে রাজা ভগবান দাস এর নেতৃত্বে কাশ্মীরের শাসক ইউসুফ শাহের বিরুদ্ধে
আকবর অভিযান প্রেরণ করেন। ১৫৮৬-৮৭ খ্রি. মধ্যে কাশ্মীর মুঘল অধিকারে আসে। ভৌগালিকভাবে গুরুত্বসম্পন্ন কান্দাহার ১৫৯৫ খ্রি. মুঘল সা¤্রাজ্যভুক্ত হয়েছিল।
সিন্ধু বিজয় (১৫৯১ খ্রি.)
আকবর ১৫৯০ সালে মির্জা আব্দুর রহিমকে মুলতানের গভর্ণর হিসেবে প্রেরণ করেন। আব্দুর রহিম ১৫৯১ খ্রি. জানি
বেগকে পরাজিত করে সিন্ধু ও বেলুচিস্তান দখল করেন।
আকবরের দাক্ষিণাত্য নীতি
উত্তরপূর্ব ও উত্তর পশ্চিম ভারত বিজয়ের পর সম্রাট আকবর দাক্ষিণাত্যের দিকে নজর দেন। কিন্তু একমাত্র খান্দেশ ব্যতীত
অন্যরাজ্যগুলো (আহমেদনগর, বিজাপুর, গোলকুন্ডা) মুঘল আধিপত্য মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ১৫৯৫ খ্রি. আহমেদ
নগরের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরিত হয়। আহমেদ নগরের শাসক বাহাদুর নিজাম শাহের অভিভাবিকা বীরাঙ্গনা চাঁদ সুলতানা
১৫৯৬ খ্রি. সন্ধি স্থাপন করেন। ১৬০১ খ্রি. মুঘল বাহিনীর নিকট আসিরগড় দুর্গের পতন ঘটে। এতে বুরহানপুরসহ খান্দেশ রাজ্যের পতন ঘটে।
আকবরের ধর্ম নীতি
আকবর তার শাসনকালে ধর্মীয়ক্ষেত্রে নতুন নীতি প্রবর্তনের কারণে ইতিহাসে তিনি বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছেন।
আকবর নিজে সুন্নী ধর্মাবলম্বী হলেও তিনি ‘দ্বীন-ই-ইলাহি’ নামক এক নতুন ধর্মমত প্রচলন করতে সচেষ্ট হন। তাই
আকবরের ধর্মীয় নীতি মূলত দ্বীন-ই-ইলাহীকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছে।
দ্বীন-ই-ইলাহী
সম্রাট আকবর ১৫৮২ খ্রি. দ্বীন-ই-ইলাহী নামক এক নতুন ধর্মমত প্রবর্তন করেন। প্রকৃত অর্থে এটি ছিল একটি ভ্রাতৃত্বের
সংঘ। আকবর ফতেহপুর সিক্রিতে একটি ইবাদাতখানা তৈরী করেন। এখানে হিন্দু পন্ডিত, আলেম-উলেমা, জেসুইট
মিশনারী ও অন্যান্য ধর্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতেন ও তাদের নিজ নিজ ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা করতেন। আকবর
সকলের মতামত মনোযোগ সহকারে শুনতেন এবং এই সকল ধর্মের দ্ব›দ্বকে একপাশে রেখে সকল ধর্মের ভাল দিকগুলো
একত্রিত করে একটি নতুন ধর্মমত প্রবর্তন করেন। এটিই দ্বীন-ই-ইলাহি নামে পরিচিত। আকবর নিজে ‘ইমাম-ই-আদিল’
উপাধি গ্রহণ করেন। সম্রাটের ধর্মনীতির মূল কথাই ছিল পরধর্ম সহিঞ্চুতা বা “সুলহ-ই-কুল”। প্রতি রবিবার সম্রাট নিজে
এই ধর্মের দীক্ষা দিতেন। এর কতগুলো নিয়ম ও আচার পদ্ধতি ছিল। এই ধর্মের অনুসারীদের চারটি জিনিস যথা ধন,
জীবন, সম্মান এবং ধর্ম উৎসর্গ করতে হত। স্বার্থসিদ্ধির জন্য অনেকে দ্বীন-ই-ইলাহীর প্রতি আকৃষ্ট হলেও এটি
জনসাধারনের মাঝে জনপ্রিয় হতে পারেনি। হিন্দু রাজা বীরবলসহ মাত্র ১৮ জন ব্যক্তি এই ধর্মমত গ্রহণ করেছিল। সম্রাট
আকবরের মৃত্যুর সাথে সাথে দ্বীন-ই-ইলাহীরও অবসান ঘটে।
আকবরের রাজপুতনীতি
ভারত একটি বহুধা বিভক্ত দেশ। এতে নানা জাতি ও ধর্ম-বর্ণের মানুষ বসবাস করে। এই বিভক্ত জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে
একটি একক ভারত সাম্রাজ্য গড়ে তোলার জন্য সম্রাট আকবর অনেকগুলো নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তার অন্যতম ছিল
রাজপুতনীতি। সাম্রাজ্যকে দৃঢ় ও শক্তিশালী করা ও ভারতের এই যোদ্ধা ও কূটনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য স¤্রাট
রাজপুতদের সহিত সহনশীল ও মিত্রতার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। এই লক্ষ্যে ১৫৬২ খ্রি. আকবর আম্বরের রাজা
বিহারীমলের কন্যা যোধাবাঈকে বিবাহ করেন। নিজ পুত্র সেলিমের বিবাহ তিনি ভগবান দাসের কন্যার সাথে সম্পন্ন
করেন। সম্রাট সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ রাজপদে রাজপুতদের নিয়োগ দেন। রাজা মান সিংহ, ভগবান দাস, রাজা
বিহারীমল, বীরবল ও টোডরমল প্রমুখ সবাই ছিলেন উচ্চ রাজপদ অধিকারী ও মনসবদার। সম্রাট হিন্দুদের তীর্থকর ও
জিজিয়া কর রহিত করেন। তিনি হিন্দু মেলা ও মন্দির প্রদর্শন করতেন। সম্রাটের এই রাজপুত নীতি পরবর্তী কয়েকশ বছর
মুঘল সা¤্রাজ্যের জন্য অনেক কল্যাণ বয়ে এনেছিল। এটি ছিল মধ্যযুগীয় রাজনীতি ও শাসনতন্ত্রের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সারাংশ
সম্রাট আকবর শুধু ভারতের ইতিহাসে একজন শ্রেষ্ঠ শাসক নন, তিনি ছিলেন সমসামায়িক বিশ্বের অন্যতম একজন শ্রেষ্ঠ
ণৃপতি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করে তিনি এক বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপন করেন। উত্তরে কাশ্মীর হতে
দক্ষিণে আহমেদনগর ও মধ্য এশিয়ার কাবুল কান্দাহার হতে পূর্ব বাংলা পর্যন্ত একচ্ছত্র মুঘল নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি একটি একক ভারত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী চেয়েছিলেন। তাই তিনি ভারতের প্রাচীন, সমরকুশলী ও মেধাবী
রাজপুত শক্তির সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন এবং ধর্মীয়ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্কার সাধন করেন। তাই ইতিহাসে তিনি ‘আকবর দ্যা গ্রেট’ নামে অভিহিত।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৩.৫
১। আকবর কত বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন?
(ক) ১৪ (খ) ১২ (গ) ১৩ (ঘ) ১৫
২। আকবর আহমেদ নগরের যুদ্ধে কাকে পরাজিত করেন?
(ক) সুলতান রাজিয়া (খ) চাঁদ সুলতানা (গ) নূরজাহান (ঘ) সালিমা বেগম
৩। ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’ কত সনে প্রবর্তিত হয়?
(ক) ১৫৮০ (খ) ১৫৮১ (গ) ১৫৮২ (ঘ) ১৫৮৩
৪। ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’ এর কতজন সদস্য ছিলেন?
(ক) ১৩ (খ) ১৪ (গ) ১৫ (ঘ) ১৬
স¤্রাট ফিরোজ মাহমুদ নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সব ধর্মের নির্যাস নিয়ে
এক নতুন ধর্মমত প্রবর্তন করেন। তিনি তার সা¤্রাজ্যে বহুবিধ রাজ্য বিজয় সম্পন্ন করেন এবং রাজপুতদের সাথে
বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন।
১. পানিপথের ২য় যুদ্ধ কতসালে সংঘটিত হয়? ১
২. দীন-ই-ইলাহী মতবাদ সম্পর্কে ধারণা দিন। ২
৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত শাসকের গৃহীত রাজপুতনীতির সাথে মুঘল বংশের যে শাসকের মিল খুঁজে পাওয়া যায় তা তুলে ধরুন। ৩
৪. পাঠ্যবইয়ের আলোকে উক্ত শাসকের দাক্ষিনাত্য বিজয় সম্পর্কে আলোচনা করুন। ৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]