মূখ্য শব্দ তাজমহল, দারাশিকোহ, ময়ূরসিংহাসন ও মমতাজ মহল
সম্রাট শাহজাহান
প্রাথমিক জীবন ও সিংহাসন আরোহণ
সম্রাট জাহাঙ্গীরের চার পুত্রের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাহজাহান। শাহজাহানের প্রকৃত নাম ছিল খুররম। তিনি জাহাঙ্গীরের
রাজপুত পত্মী জগৎ গোসাইয়ের পুত্র। আকবর ও জাহাঙ্গীরের প্রিয়পাত্র খুররম শৈশব থেকেই ছিলেন শিক্ষা ও সমরবিদ্যায়
কুশলী। তিনি যুবরাজ থাকা অবস্থায় অনেক অভিযান পরিচালনা করেন ও বিজয়ী হন। আহমেদ নগর অভিযানে মালিক
আম্বরকে পরাজিত করে তিনি তার পিতার নিকট হতে শাহজাহান উপাধি লাভ করেন। ১৬২২ সালে শাহজাহান আসফ
খানের কন্যা আরজুমান্দ বানু বেগমকে বিবাহ করেন। পিতার বিরুদ্ধে শাহজাহান বিদ্রোহ করলেও তিনিই ছিলেন জাহাঙ্গীর
এর সবচেয়ে যোগ্য উত্তরাধিকারী। তাই সম্রাট জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর শাহজাহান ১৬২৮ খ্রি. ১৪ ফেব্রæয়ারি গাজী উপাধি
নিয়ে সিংহাসনে বসেন। আসফ খানকে শাহাজাহান প্রধানমন্ত্রীর পদে নিয়োগ দেন।
শাহজাহানের রাজত্বকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ:
খানজাহান লোদীর বিদ্রোহ
আফগান সর্দার খানজাহান লোদী আহমেদ নগরের নিজামুল মুলক এর সমর্থনে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। শাহজাহানের
সেনাপতি আব্দুল্লাহ ও মোজাফফর ১৬৩১ খ্রি. দীর্ঘ ৩ বছর অভিযানের পর কালিঞ্জরের তালসিহোন্দ নামক স্থানে
খানজাহান লোদীকে পরাজিত করেন।
পর্তুগীজদের দমন
সাতগাঁও ও হুগলিতে পর্তুগীর্জদের বাণিজ্যকুঠি ছিল। তাঁদের নানা অপকর্ম এদেশে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে
ক্ষতিসাধন করছিল। সম্রাট নিজেও পর্তুগীজদের উদ্ধত আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিশেষত মমতাজ মহলের দুইজন দাসীকে
অপহরণ করে ও সম্রাট হওয়ার পর শাহজাহানকে উপঢৌকন না পাঠিয়ে পর্তুগীজরা সম্রাটের বিরাগভাজন হন। ১৬৩২
সালে কাসিম খান এর পুত্র এনায়েতউল্লাহ পর্তুগীজদের উপর আক্রমণ চালায়। পর্তুগীজরা তখন সম্পূর্ণভাবে পরাজিত
হয়।
শাহজাহানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত নীতি
সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে কান্দাহার হস্তচ্যুত হলে শাহজাহান এর প্রচেষ্টায় ১৬৩৮ খ্রি. কান্দাহার পুনরায় মুঘল অধিকারে
আসে। কিন্তু ১৬৪৮ খ্রি. পারস্য শাসক শাহ আববাস কান্দাহার জয় করে নেন। শাহজাহান প্রথমে দৌলত খান ও পরে
১৬৪৯ খ্রি. শাহজাদা আওরঙ্গজেব ও প্রধানমন্ত্রী সাদ উল্লাহ খানের নেতৃত্বে অভিযান পাঠান। তবে ১৬৫২ সালে পারস্যের
উন্নত রণকৌশল ও সামরিক দক্ষতার কাছে মুঘল বাহিনী পরাজিত হয়। তাই এই অভিযান ব্যর্থ হয়।
মধ্য এশিয়ানীতি
মধ্য এশিয়ায় মুঘল আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষে শাহজাহান তাঁর পুত্র মুরাদ ও সেনাপতি আলী মর্দানকে প্রেরণ করেন।
মুঘলবাহিনী বলখ ও বাদাখশান জয় করে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় অভিযান অগ্রসর হয়নি। ১৬৪৭ খ্রি. শাহজাদা সুজা ও
আওরঙ্গজেব অপর অভিযান পরিচালনা করে। তবে এই অভিযানও ব্যর্থ হয়।
দাক্ষিণাত্য নীতি
সম্রাট আকবরের সময়ে দাক্ষিণাত্যের খান্দেশ ও বেরার মুঘল অধিকারে এসেছিল। আহমেদ নগরের বিশৃংখলার সুযোগ
নিয়ে বিজাপুর ও গোলকুন্ডা মুঘল হস্তচ্যুত হয়। সম্রাট শাহজাহান এর শক্তিশালী কূটনীতিক নীতির ফলে ১৬৩৩ খ্রি.
আহমেদনগর মুঘল অধিকারে আসে। শিয়া রাজ্য দুটি বিজাপুর ও গোলকুন্ডা ১৬৩০-১৬৩৬ খ্রি. মধ্যে মুঘল অধিকার
আসে। দাক্ষিণাত্য হস্তগত করে সম্রাট তার তৃতীয়পুত্র শাহজাদা আওরঙ্গজেবকে সেখানকার সুবাদার নিয়োগ করেন।
আওরঙ্গজেব ১৬৪৫ খ্রি. একবার পদচ্যুত হয়ে গুজরাটের সুবাদারি লাভ করেন। কিন্তু দাক্ষিণাত্যে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে
সম্রাট তাকে ১৬৫৩ খ্রি. পুনরায় দাক্ষিণাত্যের সুবাদারি অর্পণ করেন।
স্থাপত্যশিল্পের বিকাশ
মুঘল ইতিহাসে শাহজাহানের রাজত্বকাল “” নামে খ্যাত। সম্রাট শাহজাহান ছিলেন শিল্পকলা,
স্থাপত্য ও সৌন্দর্যের পূজারী। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নির্মাতা। তিনি ইতিহাসে” নামে পরিচিত। তার স্থাপত্যরীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তিনি লাল পাথরে স্থলে মূল্যবান
শ্বেত মর্মম পাথর (ডযরঃব সধৎনবষ) ব্যবহার করেছেন। তার রাজত্বকালে দিল্লি, আগ্রা, লাহোরে ব্যাপক স্থাপত্য শৈলী তৈরী
করা হয়েছিল। কাবুল, কান্দাহার ও কাশ্মিরে মনোরম উদ্যান, প্রাসাদ, মসজিদ ইত্যাদি নির্মিত হয়েছিল। রাজধানী আগ্রাতে
তিনি নির্মাণ করেছিলেন দীউয়ান-ই-আম, দীউয়ান-ই-খাস, মোতি মসজিদ, সালিমার উদ্যান, শীষ মহল ইত্যাদি।
শাহজাহান ১৬৩৮ খ্রি. রাজধানী আগ্রা হতে দিল্লিতে স্থানান্তর করেন এবং নতুন নগরীর নাম দেন শাহজাহানাবাদ। এখানে
তিনি লালকেল্লা, মমতাজ মহল ইত্যাদি নির্মাণ করেন। তার মসজিদ স্থাপত্যের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ছিল দিল্লির
জামে মসজিদ। এছাড়াও তিনি বহু মূল্যবান রতœ খচিত জগৎবিখ্যাত ময়ুর সিংহাসন তৈরি করেন।
তাজমহল
সম্রাট শাহজাহানের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি হল আগ্রার তাজমহল। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত তাজমহল হচ্ছে সম্রাট তার প্রিয়তমা
পতœী মমতাজ মহলের স্মৃতিকে অমর করে রাখার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। বিশ হাজার দক্ষ শিল্পী ও কারিগর সুদীর্ঘ ২২ বছর
যাবৎ এই সমাধিসৌধ নির্মাণ করেন। সম্রাট নিজেই ছিলেন এর পরিকল্পনাকারী। প্রধান স্থাপতি ছিলেন ইসফানদিয়ার রুমী
ও মাস্টার ঈসা। ভারতীয় ও পারসিক শিল্পকলার মিলন ঘটিয়ে তাজমহল নির্মিত হয়েছে। এটি যুগ যুগ ধরে স্থাপত্য বিদ্যার
উৎকর্ষ ও মুঘল শাসনের ¯¦র্ণযুগের নিদর্শন হিসেবে টিকে আছে।
শাহজাহানের পুত্রদের মধ্যকার গৃহযুদ্ধ
সম্রাট শাহজাহান ১৬০৭ সালের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পিতার রোগ শয্যায় তাঁর চারপুত্র সিংহাসনের অধিকার নিয়ে
এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয়। সম্রাটের চার পুত্র ছিলেন বয়সের ক্রমানুসারে দারা শিকো, শাহ সুজা, আওরঙ্গজেব ও
মুরাদ। আর দুই কন্যা ছিলেন জাহনারা ও রওশন আরা। পুত্রগণ সামরিক দিক থেকে সকলে সমান দক্ষ ছিলেন না।
এদের মধ্যে:
জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহ ছিলেন ধর্মীয় ক্ষেত্রে উদার। তিনি ছিলেন পাঞ্জাব ও দিল্লির শাসনকর্তা। তিনি পন্ডিত হলেও
আচার আচরণে উদ্ধত প্রকৃতির ছিলেন।
শাহাসুজা ছিলেন বাংলার শাসনকর্তা। তিনি সুদক্ষ যোদ্ধা, সাহসী, রাজনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন হলেও তিনি ছিলেন আয়েশী প্রকৃতির।
শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেব ছিলেন সর্বাপেক্ষা দক্ষযোদ্ধা, প্রশাসন ও কূটনৈতিক জ্ঞানের অধিকারী। তিনি
ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান একজন মুসলিম।
কণিষ্ঠ পুত্র মুরাদ ছিলেন গুজরাটের সুবাদার। তবে তিনি ছিলেন ইন্দ্রিয়পরায়ণ ও প্রশাসন জ্ঞানে অদূরদর্শি। সম্রাট
শাহজাহানের পুত্রদের মধ্যে উত্তরাধিকার যুদ্ধের পিছনে কতগুলো সুনির্দিষ্ট কারণ বিদ্যমান ছিল। তার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হল:
ক্স সুষ্ঠু উত্তরাধিকার নীতির অভাব-
ক্স ব্যক্তিগত চরিত্রের পার্থক্য-
ক্স পুত্রদের প্রতি সম্রাটের পক্ষপাতমূলক আচরণ
ক্স রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ
ক্স মসনদের মোহ
দারাশিকোহ পিতার রোগশয্যার সুযোগ নিয়ে রাজ্যের শাসন তার হাতে তুলে নেন। তিনি পিতার রোগের সংবাদ তার
ভাইদের নিকট গোপন রাখেন এবং গুজরাট, দাক্ষিণাত্য ও বাংলার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। দারার এমন
কপটচারী আচরণ তার অন্যান্য ভাইদের আহত করে। গৃহযুদ্ধ তখন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে।
বাহাদুরগড়ের যুদ্ধ
দারার অপর তিন ভাই নিজ নিজ অঞ্চলে নিজ নামে খুৎবা পাঠ ও মুদ্রা জারী করেন। আওরঙ্গজেব বোন রওশন আরার কাছ
থেকে প্রকৃত তথ্য গ্রহণ করে শাহ সুজার সাথে দারার বিরুদ্ধে চুক্তি করেন এবং মুরাদকে নিজের দলভুক্ত করে নেন।
শাহসুজা বাংলা হতে দিল্লি অভিমুখে যাত্রা করেন। শাহজাহান দারার পুত্র সুলায়মান শিকোকে প্রেরণ করেন। সুলায়মান
১৬৫৮ খ্রি. ২৪ জানুয়ারি বারানসীর নিকট বাহাদুরগড়ের যুদ্ধে শাহ সুজাকে পরাজিত করেন।
ধর্মাটের যুদ্ধ
মুরাদ আওরঙ্গজেবের যৌথ সেনাবাহিনী দিল্লির নিকটবর্তী ধর্মাট নামকস্থানে উপস্থিত হয়। যোধপুরের রাজা যশোবন্ত সিংহ
ও কাশিম খানের মিলিত বাহিনী ১৬৫৮ খ্রি. ১০ এপ্রিল প্রচন্ড লড়াই করে আওরঙ্গজেব ও মুরাদের যৌথ বাহিনীর নিকট
পরাজিত হয়।
সামুগড়ের যুদ্ধ
ধর্মাটের যুদ্ধের পরাজয় যুবরাজ দারা শিকোকে ক্ষুব্ধ করে। ১৬৫৮ খ্রি. প্রায় ৫০ হাজার সৈন্য নিয়ে তিনি আগ্রার নিকটবর্তী
গোয়ালিয়ারের সামুগড়ে এসে পৌছান। বহু রাজপুত যোদ্ধা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু দারার ব্যর্থ রণকৌশলে
মুঘলবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং মুরাদ ও আওরঙ্গজেব এর যৌথবাহিনী তাদের বিজয় নিশ্চিত করে।
গৃহযুদ্ধের শেষ অঙ্ক
গৃহযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে আওরঙ্গজেব আগ্রায় সিংহাসন দখল করেন। তিনি তার পিতা শাহজাহানকে আগ্রাদুর্গে বন্দি
করে রাখেন। শাহজাদা মুরাদকে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গুজরাটের দিওয়ান আলী নকীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড
প্রদান করেন। শাহ সুজাকে দমন করার জন্য আওরঙ্গজেব মীর জুমলাকে প্রেরণ করেন। শাহসুজা আরাকানে পালিয়ে যান।
দারাশিকোহ প্রথমে লাহোর পরে মুলতান ও শেষে গুজরাটে আশ্রয় নেন। আজমিরে যশোবন্ত সিংহের ষড়যন্ত্রে তিনি
দেওয়ারের যুদ্ধে আরঙ্গজেবের নিকট চ‚ড়ান্তভাবে পরাজিত হন।
শাহজাহানের চরিত্র ও কৃতিত্ব
শাহজাহানের ব্যক্তিত্ব ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। তবে তিনি যে কোনো
বিচারে শিক্ষিত, মার্জিত রুচিবোধ ও বিদ্যাৎসাহী ছিলেন। আভিজাত্যের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। তিনি
সামরিক দিক থেকে মোটামুটি সফল ছিলেন। তবে তাঁর উত্তর পশ্চিম সীমান্তনীতি ও মধ্য এশিয়ায় তেমন সাফল্য পাননি।
কিন্তু তাঁর দাক্ষিণাত্য নীতি সফল হয়। তাঁর সময়ে মুঘল সাম্রাজ্য অনেকদূর বিস্তার লাভ করে। তিনি প্রশাসনিক ক্ষেত্রে
সম্রাট আকবরকেই অনুসরণ করেন। তাঁর রাষ্ট্রশাসনে প্রতিভার সমাবেশ লক্ষ্যনীয়। তাঁর সময়ে ভারত এশিয়া ও
ইউরোপের সাথে বাণিজ্য সম্পর্কের সূচনা হয়। তিনি শিক্ষা ও সংস্কৃতিপ্রেমী ছিলেন। আব্দুল হামিদ খান লাহোরী, মির্জা
জিয়াউদ্দিন, আব্দুল হাকিম শিয়ালকোটী, মুহিব আলী সৈয়দী, তুলসীদাস তার পৃষ্ঠপোষকতা পান। তবে সম্রাট শাহজাহানের
রাজত্বকালের চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে তার স্থাপত্য শিল্পে। ঐতিহাসিকগণ তার রাজত্বকালকে ‘ বলে অভিহিত করেন। এই মহান মুঘল সম্রাট এর শেষ জীবন অত্যন্ত
হৃদয়বিদারক ছিল। পুত্র আওরঙ্গজেব কর্তৃক দীর্ঘ আট বছর আগ্রা দুর্গে অন্তরীণ থেকে ১৬৬৬ খ্রি. ২২ জানুয়ারি ৭৪ বছর
বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শাহজাহানের রাজত্বকাল মুঘল ইতিহাসের স্বর্ণময় এক অধ্যায়। তিনি ছিলেন তার পূর্ববর্তী শাসকদের মতই সামরিক
প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনায় দক্ষ এক ণৃপতি। তার সময়কাল মুঘল ইতিহাসের চিত্রকলা ও স্থাপত্যের স্বর্ণযুগ বলে
বিবেচিত ও প্রশংসিত। তবে সিংহাসনকে কেন্দ্র করে তার পুত্রদের মধ্যকার গৃহযুদ্ধের সূচনা ও তিন পুত্রের মৃত্যু তার
শাসনকে কিছুটা কলঙ্কিত করেছে। তবে মুঘল ইতিহাসে তিনি প্রিয়তমা পতœীর স্মৃতিতে তাজমহলের স্রষ্টা নামে আজও বিখ্যাত হয়ে আছেন।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৩.৮
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১) শাহজাহানের মাতার নাম কি?
(ক) মনিবাই (খ) যোধাবাই (গ) জগৎ গোসাই (ঘ) নূরজাহান
২) কতসালে শাহজাহান সিংহাসনে আরোহণ করেন-
(ক) ১৬২৭ (খ) ১৬২৮ (গ) ১৬২৯ (ঘ) ১৬৩০
৩) শাহজাহান কোন ইউরোপীয় শক্তির বিরুদ্ধে অভিযান চালান-
(ক) পর্তুগীজ (খ) দিনেমার (গ) ফরাসী (ঘ) ইংরেজী
৪) শাহজাহানের চার পুত্রের মধ্যে বাংলার শাসক কে ছিলেন?
(ক) দারাশিকোহ (খ) শাহসুজা (গ) আওরঙ্গজের (ঘ) মুরাদ
শাহ আলম চৌধুরী খুবই রুচিবান ও সৌখিন রাজা ছিলেন। তার স্ত্রী রীনা চৌধুরী অনিন্দ্য সুন্দরী ও বিদূষী রমনী ছিলেন।
শাহ আলম চৌধুরীর স্ত্রীর প্রতি ছিল অপরিসীম ভালোবাসা। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় তাঁর স্ত্রী অকালে মৃত্যুবরণ করলে তিনি
তার স্ত্রীর স্মৃতি রক্ষার্থে বহু অর্থ ব্যয়ে যে সৌধটি নির্মাণ করেন তা আজও বিদ্যমান রয়েছে। শাহ আলম চৌধুরীর পুত্রদের
মধ্যে উত্তরাধিকার দ্ব›দ্ব প্রবল হলে তিনি তা দমনে ব্যর্থ হন।
১. তাজমহলের স্থপতি কে ছিলেন? ১
২. স¤্রাট শাহজাহানের পুত্রদের মধ্যে সংঘটিত উত্তরাধিকার দ্ব›েদ্বর প্রধান কারণটি ব্যাখ্যা করুন। ২
৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত শাসকের স্থাপত্যকর্মের সাথে স¤্রাট শাহজাহানের কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে তুলে ধরুন। ৩
৪. স¤্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালকে কেন মুঘল ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলে অভিহিত করা হয়েছে? যুক্তি দিন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র