সুলতানি বাংলার আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা

মূখ্য শব্দ সত্য পীর, শ্রী-চৈতন্য, আশরাফ, আতরাফ, অগাস্টান যুগ ও বাদশাহী সড়ক
ভ‚মিকা
বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসে সুলতানি শাসন এক যুগান্তকারী অধ্যায়। স্বাধীন সুলতানদের এই শাসনামলে
(১৩৩৮-১৫৩৮ খ্রি.) নানা রাজনৈতিক অবদানের পাশাপাশি এ অঞ্চলে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধিত
হয়েছিল। এসব উন্নয়ন কর্মকাÐ সর্বদা সমানভাবে সম্পন্ন না হলেও ইলিয়াস শাহী, পরবর্তী ইলিয়াস শাহী, হাবশি ও
হোসেন শাহী শাসনামলে শাসকবর্গের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় যেসব আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল তার স্বরূপ নি¤œরূপ:
অর্থনৈতিক কর্মকাÐ
প্রাক মুসলিম শাসনামলে বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন সচ্ছল ছিল না। বাংলায় সেন শাসনের সমাপ্তির পর মুসলিম
শাসন প্রতিষ্ঠা হলে খলজি শাসন যুগে এর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা সূচিত হয় যা ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দে সুলতানি শাসনের
সূত্রপাতের মধ্য দিয়ে বেগবান হয়েছিল। সুলতানি শাসকদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলার কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যে
ব্যাপকতা আসতে থাকে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনায় জানা যায় যে, শাসকদের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় জনগণ
এখানকার উর্বর ভূমিতে চাষাবাদ শুরু করলে কৃষি উৎপাদনে ব্যাপকতা আসে। এ সময় বাংলায় প্রচুর পরিমাণে ধান, পাট,
তুলা, ভুট্টা, তিল, তিষি, সরিষা, ডাল, বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি, আম, কলা, কাঁঠাল সহ নানা দেশীয় ফলমূল উৎপাদিত
হত। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য বাংলার বাইরেও রপ্তানি হতো। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল উৎস ছিল কৃষি।
কৃষি ফলনের প্রাচুর্য থাকলেও এ সময়ের চাষাবাদ পদ্ধতি ছিল অনুন্নত। আধুনিক সময়ের মতো পানি সেচ ব্যবস্থা সে যুগে
ছিল না। কৃষককে অধিকাংশ সময়েই সেচের জন্য বৃষ্টির উপর নির্ভর করতে হতো। তবে এ সময় পারসিক ও দক্ষিণ
ভারতীয় সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করে খরার সময় সেচ প্রদানের তথ্যও পাওয়া যায়।
স্থানীয় কৃষি উৎপাদনে ব্যপকতা এলে কৃষি উৎপাদনকে কেন্দ্র করে এ যুগে নানা শিল্পের বিকাশ ঘটতে থাকে। সমকালীন
বিভিন্ন বর্ণনায় জানা যায় যে, এ সময় কৃষি পণ্যকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগণ, শাসক ও অভিজাতবর্গের চাহিদা পূরণের
জন্য বস্ত্র শিল্প, লবণ শিল্প, রেশম শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, মুদ্রা শিল্প, চিনি শিল্প, কাগজ শিল্প, স্থাপত্য শিল্প, তেল শিল্প,
অস্ত্র শিল্প, অলংকার শিল্প, কাঠ শিল্প সহ নানা ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের উদ্ভব ও পুনরুজ্জীবণ হয়েছিল। শিল্পের ব্যাপক
উন্নয়ন ও উৎপাদনের ফলে এখানে নানা পণ্যের প্রাচুর্য দেখা দেয়। এ সব পণ্যের সুনাম ও বাংলার সম্পদের প্রচুর্যতা
বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে আরব, পারসিক, চীনা, জাভানি, ডাচ ও পর্তুগিজ সহ নানা বিদেশী বণিকগণ এদেশে আসতে
থাকে। ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যাপক সমৃদ্ধি আসে এবং বাংলা আরো সম্পদশালী হয়। মধ্যযুগে বাংলার
রকমারি ক্ষুদ্র শিল্পের কথা জানা যায়। এ প্রসঙ্গে ধাতব শিল্পের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তখন লৌহ নির্মিত দ্রব্যাদির
ব্যাপক প্রচলন ছিল। কর্মকারগণ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাণ করত। এছাড়া দুধারী তরবারি, ছুরি, কাঁচি, কোদাল ইত্যাদি
নিত্যব্যবহার্য ধাতব দ্রব্য তৈরি হতো। কলকাতা ও কাশিম বাজারে এদেশের লোকেরা কামান তৈরি করতো। কাগজ,
গালিচা, ইস্পাত প্রভৃতি শিল্পের কথাও জানা যায়। দাখিল দরওয়াজা
সামাজিক কর্মকাÐ
সুলতানি শাসনামলে বাংলা নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাÐের জন্য বিখ্যাত ছিল। এ সময় বাংলায় বিভিন্ন
ধর্মালম্বীদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল। হিন্দুগণ নানা উচ্চ রাজপদে নিয়োগ পেতা, ইলিয়াস শাহের সেনাপতি
সহদেব, পরাগল খান, জমিদার কংশ নারায়ণ-এর উচ্চ রাজপদে নিয়োগের দৃষ্টান্ত থেকে যার প্রমাণ মেলে। হিন্দু ও
মুসলমানদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সামাজিক সম্পর্ক থাকায় হিন্দু-মুসলিম উভয়ের নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করত
এবং সত্যপীর ও শ্রী চৈতন্যের প্রতি উভয় গোষ্ঠি সম্মানের দৃষ্টি বজায় রাখতেন। এ সময় হিন্দু সমাজের মাঝে নানা
সামাজিক বর্ণ প্রথা (প্রধানত; ব্রাহ্মণ, ক্ষয়িত্র, বৈশ্য ও শুদ্র) চালু ছিল। মুসলিমদের মধ্যে কোন বর্ণ প্রথা ছিল না, তবে
অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের দিক দিয়ে মুসলিম সমাজে আশরাফ (উচ্চ শ্রেণি) ও আতরাফ (নি¤œ শ্রেণি) ব্যবস্থা
প্রচলিত ছিল। তবে তা সত্তে¡ও সকল মুসলমানরা একসাথে সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান (নামাজ, রোজা, হজ্জ) পালন করতে পারত।
মধ্যযুগে বাংলার নারীদের সামাজিক অবস্থান
এ সময় নারীরা পুরুষের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিল। সুলতানি শাসনামলে সমাজে ব্যপকভাবে বাল্য বিবাহ চালু ছিল। এ
সময় বিধবাদের নানা সামাজিক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হত। হিন্দু বিধবাগণ দ্বিতীয় বিয়ে না করতে পারলেও
মুসলিম সমাজে তা চালু ছিল। হিন্দু সমাজে অমানবিক সতীদাহ প্রথা চালু ছিল। সুলতানি যুগে বাংলায় হিন্দু-মুসলিম উভয়
সম্প্রদায়ের নারীরা পর্দা পালন করতেন বলে জানা যায়। নারীরা মুখ ও মাথা ঢেকে বাইরে বের হতেন। নানা পারিবারিক
সিদ্ধান্তে মুসলিম নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও এক্ষেত্রে হিন্দু নারীগণ অনেক ক্ষেত্রে অধিকার পেতেন না।
সাংস্কৃতিক কর্মকাÐ
সুলতানি শাসনামলে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়। সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ ও সিকান্দর শাহ শিক্ষা
ও সংস্কৃতির একজন উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তবে ইলিয়াস শাহী শাসকদের মধ্যে বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে
উদার পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় শাহ মুহাম¥দ সগীর ইউসুফ জুলেখা
কাব্য রচনা করেন। অনেক ঐতিহাসিক বলেন যে, তিনি বাংলা ভাষায় রামায়ণের রচিয়তা কৃত্তিবাসেরও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
আজম শাহের শাসনামলে পাÐুয়া ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল বলে জানা যায়।
সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ সুফি-দরবেশ, পীর-আউলিয়াদের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। আলাউল হক, নূর কুতুবউল-আলম ও বিহারের সুফি মুজাফ্ফর শামস বলখীকে তিনি অনেক শ্রদ্ধা করতেন। আজম শাহ বাংলায় অগণিত মসজিদ,
মাদ্রাসা, খানক্াহ, এতিমখানা ইত্যাদি নির্মাণ করেন। তিনি মক্কা ও মদিনায় মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য অর্থ ব্যয়
করেন এবং দুই শহরের অধিবাসীদের মধ্যে বিলি করার জন্য বহু অর্থ প্রেরণ করেন।
পরবর্তী ইলিয়াস শাহী শাসকদের মধ্যে নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ
জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষা-দীক্ষার প্রসার, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন
এবং সাহিত্য ও বিজ্ঞান চর্চার একজন একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
এজন্য ঐতিহাসিকগণ তাঁর শাসনামলকে ‘বাংলার অগাস্টান যুগ’ বলে
আখ্যায়িত করেছেন। সুলতান নাসিরউদ্দিনের পুত্র রুকনউদ্দিন বরবক
শাহ নিজে পÐিত ব্যক্তি ছিলেন। বৃহস্পতি মিশ্র, কৃত্তিবাস, মনসুর
সিরাজী প্রমুখ কবি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। তাঁর সভা কবি
ছিলেন আমির জয়েনউদ্দিন হাব্বী। বরবক শাহের পুত্র দ্বিতীয়
শামসউদ্দিন আবু মুজাফ্ফর ইউসুফ শাহ বিদ্বান ও জ্ঞানীদের প্রতি
শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর রাজত্বকালে মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’
রচনা সমাপ্ত হয় এবং বিজয় পÐিত ‘মহাভারত’ এর বঙ্গানুবাদ করেন।
হোসেন শাহী শাসকগণ শিল্প-সাহিত্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উদার
পৃষ্টপোষক ছিলেন। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান হোসেন শাহের উৎসাহ ও পৃষ্টপোষকতায় কবি মালাধরবসু কর্তৃক ভগবদ
গীতা, কৃত্তিবাস কর্তৃক রামায়ণ সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলায় অনূদিত হয়। রামায়ণ অনুবাদের জন্য হোসেন শাহ
মালাধরবসুকে ‘গুণরাজ খাঁ’ উপাধি দেন। তাছাড়া কবি মালাধর বসু, মনসা মঙ্গল এর রচিয়তা বিজয় গুপ্ত, মনসা বিজয়ের
কদম রসূল মসজিদের শিলালিপি
লেখক বিপ্রদাস অনেকেই তাঁর সহযোগিতা পেয়েছিলেন। তাঁর অধীনস্থ চট্টগ্রামের শাসনকর্তা পরাগল খাঁর পৃষ্ঠপোষকতায়
কবীন্দ্র পরমেশ্বর বাংলা ভাষায় ‘মহাভারত’ অনুবাদ করেন। এছাড়া সুলতান নসরত শাহ সাহিত্য শিল্প ও স্থাপত্য বিদ্যার
পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁর রাজত্বকালে কবি শ্রীকর নন্দী প্রথমবারের মত
হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় গ্রন্থ মহাভারত বাংলায় অনুবাদ করেন।
তাছাড়া সুলতান আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহের অনুপ্রেরণায় কবি শ্রীধর
কবিরাজ বিখ্যাত প্রেম উপাখ্যান বিদ্যাসুন্দর রচনা করেন।
সুলতানি শাসনামলে অনেক সুরম্য স্থাপত্য ও স্থাপনা নির্মিত হয়েছিল।
সিকান্দর শাহের শাসনামলে পাÐুয়ার আদিনা মসজিদ, দিনাজপুরের
মোল্লা আতার মসজিদ, পীর আঁখি সিরাজ উদ্দিনের মসজিদ ও সমাধি
এবং গৌড়ের কোতোওয়ালী দরওয়াজা নির্মিত হয়। সুলতান
নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহও রাষ্ট্রীয় খরচে রাজধানী গৌড়, পাÐুয়া,
সাতগাঁও, ঢাকা, বাগেরহাট প্রভৃতি জনপদে মসজিদ, খানকাহ, সেতু,
তোরণ, সমাধি ও প্রাসাদ এর মত নানা স্থাপনা নির্মাণে সহায়তা
করেছেন। সুলতান রুকন উদ্দিন বরবক শাহ স্থাপত্যের উদার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে গৌড়ের কদম রসুল মসজিদ, তাঁতিপাড়া
মসজিদ ও পাÐুয়ার চতুষ্কোণ মসজিদ নির্মাণ করেন। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শিল্প স্থাপত্যের একজন শ্রেষ্ঠ নির্মাতা
ছিলেন। গৌড়ের বিখ্যাত ছোট সোনা মসজিদ, মানিকগঞ্জ জেলার নাচাইল মসজিদ, গোমতি ফটক ছাড়া অগণিত মসজিদ,
মাদ্রাসা, সমাধি ও দূর্গ নির্মাণ করে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তিনি ‘বাদশাহী সড়ক’ সহ সামরিক ও বেসামরিক
ব্যক্তিদের চলাচলের জন্য অনেক রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন। সুলতান নসরত শাহ গৌড়ের বিখ্যাত কদমরসুল মসজিদ, বড়
সোনা মসজিদ ছাড়াও বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও দরগাহ নির্মাণ করেন। বাগেরহাটের বিখ্যাত ‘মিঠা পুকুর’ তাঁর জনকল্যাণমূলক কূপ খননের কথা স¥রণ করিয়ে দেয়।
শিক্ষার্থীর কাজ সুলতানি শাসনামলের সাংস্কৃতিক উৎকর্ষের পরিচয় দিন।
সারসংক্ষেপ :
বাংলার সুলতানি শাসনামল আর্থ-সামজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে উন্নততর ছিল। এ সময় ইলিয়াস শাহী, গণেশীয়,
পরবর্তী ইলিয়াস শাহী, হাবশি ও হোসেন শাহী শাসনামলের দীর্ঘ প্রায় দুইশত বছর ধরে শাসকবর্গের উদার
পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যাক্তি উদ্যেগে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা উন্নতি সাধিত হয়েছিল।
মুসলিম শাসকগণ এ সময় উদার সাম্য ভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করেছিল ফলে দরবারে অমুসলিমগণ উচ্চ রাজপদে
নিয়োগ পেত। সমাজে নারীদের সীমিত অধিকার এবং বাল্য বিবাহ ছিল। হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ
সামাজিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৫.৯
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১. সুলতানি বাংলায় কোন বিদেশেী বণিকদের সন্ধান পাওয়া যায়?
ক. আরব ও জাভানি খ. জাপানি ও কোরীয় গ. ইংরেজ ও ফরাসি ঘ. আফ্রিকান ও স্পেনীয়
২. কোন শাসনামলকে বাংলার ‘অগাস্টান যুগ’ বলা হয়?
ক. ইলিয়াস শাহ খ. গিয়াসুদ্দিস আজম শাহ
গ. নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ ঘ. আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
৩. ‘গুণরাজ খাঁ’ কার উপাধি ছিল?
ক. শ্রীকর নন্দী খ. পরাগল খাঁ গ. বিজয় গুপ্ত ঘ. মালাধরবসুকে
সৃজনশীল প্রশ্ন:
টিভিতে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলছিল সেখানে বিরোধীদলীয় বক্তা বলছিলেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশে পাশর্^বর্তী ঢ দেশের
আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব এত প্রকট হয়ে উঠেছে যে, আমাদের দেশের জনগণ প্রতিদিন সে দেশের টি. ভি চ্যানেল
উপভোগ করছে এবং সে দেশের সাংস্কৃতিক উপাদানের দ্বারা ব্যপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা এমনকি
দৈনন্দিন জীবনধারণে আমরা তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। জবাবে সরকারি দলের বক্তা বলেন, নানা বৈশি^ক কারণে এমনটা
হলেও একসময় বাংলা আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে উন্নত ছিল।
ক. বাংলার কোথায় কামান তৈরি হতো? ১
খ. সুলতানি শাসনামলে বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শাসনামলের সাথে বাংলার কোন যুগের শাসনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়- তা প্রমাণসহ তুলে ধরুন। ৩
ঘ. সুলতানি বাংলার সাংস্কৃতিক জীবণ একটি উন্নত সাংস্কৃতিক ধারার যাত্রা সূচনা করেছিল ব্যাখ্যা দিন। ৪
উত্তরমালা:
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.১ : ১. খ ২. খ ৩. ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.২ : ১. খ ২. খ ৩. গ ৪. ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৩ : ১. ক ২. ঘ ৩. খ ৪. খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৪ : ১. ঘ ২. ক ৩. খ ৪. ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৫ : ১. ক ২. ক ৩. গ ৪. খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৬ : ১. ঘ ২. খ ৩. গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৭ : ১. খ ২. ঘ ৩. খ ৪. ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৮ : ১. খ ২. ক ৩. ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৯ : ১. গ ২. গ ৩. ঘ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]