বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন (১৭৫৭ - ১৯৪৭ খ্রি:)
ভূমিকা:
পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের সহযোগিতার উপহার হিসেবে বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর আলী খান বাংলার সিংহাসন লাভ
করেছিল। তবে রাজকোষ শূন্য থাকায় প্রতিশ্রæত অর্থ প্রদানের জন্য মীর জাফর তাঁর ব্যক্তিগত স্বর্ণালঙ্কার, ও মূল্যবান
আসবাবপত্র বিক্রি করতে বাধ্য হন। অন্যদিকে দরবারে ইংরেজ রেসিডেন্ট রাখার অনুমতিও দিতে হয়েছিল তাকে। ঢাকা ও
পূর্ণিয়ায় সেনাবিদ্রোহ দেখা দেয়। ক্লাইভের সাহায্যে ঢাকার বিদ্রোহ দমন করা গেলেও বকেয়া বেতনের দাবিতে সংঘটিত
পূর্ণিয়ার বিদ্রোহ দমন সম্ভব হয়নি। মীরজাফর নবাবি পেলেও প্রকৃত ক্ষমতা প্রয়োগের শক্তি তার ছিল না। ফলে
বিশ^াসঘাতক মীরজাফরও একটা সময় বিরক্ত হয়ে পড়েন। তিনি ইংরেজদের বাংলা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ
হন। পূর্বতন বিশ^াসঘাতকতার অপরাধবোধ ও অযোগ্যতা এক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছিল। ফলে ওলন্দাজদের সঙ্গে
পত্রালাপ এবং প্রতিশ্রæত অতিরিক্ত অর্থ না দেয়ার অজুহাতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অস্থায়ী গভর্নর ভ্যানসি ট্রাট
মীরজাফরকে সিংহাসনচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলতে গেলে তখন থেকে ঔপনিবেশিক শাসনের শুরু হয়। তারপর
১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে বাংলার ইতিহাসে ঘটে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তার ধারাবাহিক আলোচনা
মূখ্য শব্দ মীর কাশিম, বক্সারের যুদ্ধ ও কোম্পানি শাসন
ভ‚মিকা: পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজিত হওয়ার পর মীর জাফর নামমাত্র নবাব হতে
পেয়েছিলেন। তার অল্পদিন পরে ১৭৬০ সালে ইংরেজরা মীরজাফরের জামাতা মীর কাশিমকে বাংলার
সিংহাসনে বসায়। তিনিও কোম্পানিকে নানা সুবিধাদানের শর্ত দিয়েই ক্ষমতা লাভ করেছিলেন। তবে মীর কাশিম
মীরজাফরের মতো অযোগ্য ও নিকৃষ্ট চরিত্রের মানুষ ছিলেন না। তিনি একজন সুদক্ষ শাসক ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ
ছিলেন। তার স্বাধীনচেতা স্বভাবের পাশাপাশি জনসাধারণের কল্যাণে সচেতনা ছিল উল্লেখ করার মত। এক্ষেত্রে তিনি
ইংরেজদের সাথে সম্মানজনক উপায়ে বাংলার স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। তিনি আর্থিক ও সামরিক দুর্বলতা
কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করেন। প্রথমে মীরজাফরের পক্ষে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে নানা কারণে নবাব মীর কাশিমও
বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। এদিক থেকে দেখলে এই বক্সারের যুদ্ধের মধ্য দিয়েই ইংরেজ আধিপত্য
উপমহাদেশে আরও গভীরভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলার নামমাত্র টিকে থাকা স্বাধীনতা এর মধ্য দিয়েই পুরোপুরি বিনষ্ট
হয়েছিল।
বক্সার যুদ্ধের পটভূমি ও কারণ
মীর কাশিম বাংলার সিংহাসনে বসেই বুঝতে পেরেছিলেন ভবিষ্যতে ইংরেজদের সাথে তাঁর সংঘর্ষ অনিবার্য। ইংরেজদের
সাথে সরাসরি দ্ব›েদ্ব না জড়ালেও তাদের প্রভুর আসনে রাখতে চাওয়ার মনোবৃত্তি ছিল না তাঁর। যেভাবেই হোক ক্ষমতায়
গিয়ে তিনি প্রকৃত নবাব হিসেবে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা শাসন করতে চেয়েছিলেন। ফলে তিনি দেশ, জাতি এবং নিজের
প্রয়োজনে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ইংরেজদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন মুলত বক্সারের যুদ্ধের নেপথ্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা
যেতে পারেÑ
১. রাজধানী স্থানান্তর: মীর কাশিম উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে এদেশে ইংরেজদের রাজনৈতিক-হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে
হবে। এ কাজে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে তারাই এদেশের ভাগ্যবিধাতা হয়ে উঠবে। তাই তিনি রাজধানীতে ইংরেজ
রেসিডেন্টের শাসনকার্যে অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। তিনি প্রশাসনকে ইংরেজ প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য
মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে রাজধানী স্থানান্তর করেন। এক্ষেত্রে নতুন স্থাপিত রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি এর
চারপাশে নানা ধরণের পরিখা-খনন করেছিলেন। পাশাপাশি এখানে শক্তিশালী দুর্গও নির্মাণ করা হয়েছিল। তিনি ধারণা
করেছিলেন ইংরেজরা পুনরায় মীরজাফরকে বাংলার সিংহাসনে বসাতে পারে। তাই ইংরেজদের সম্ভাব্য আক্রমণ
প্রতিরোধের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। এজন্য তিনি সামরু ও মার্কার নামে দু’জন ইউরোপীয় সৈনিকের সাহায্যে
বাংলার সেনাবাহিনীকে ইউরোপীয় সামরিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপারে তিনি কোম্পানির
নিয়ন্ত্রণ হতে স্বাধীন থাকার চেষ্টা করেন। এজন্য মুঙ্গেরে তিনি কামান, বন্দুক ও গোলাবারুদ নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।
বিহারের শাসনকর্তা রামনারায়ণের ইংরেজ প্রীতি ও দুর্নীতি লক্ষ্য করে তাকে পদচ্যুত করা হয়। তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা
হলে মীরকাশিমের উপর ক্ষিপ্ত হয় ইংরেজরা। এই অসন্তোষ একটা পর্যায়ে গিয়ে যুদ্ধের রূপ নিয়েছিল।
২. ফরমান অবমাননা: মুঘল স¤্রাট ফররুখ শিয়ারের কাছ থেকে ১৭১৭ সালে প্রাপ্ত একটি ফরমান বলে ইংরেজ কোম্পানি
বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার লাভ করে। দস্তক নামে পরিচিত ছাড়পত্র দ্বারা কোম্পানির মালামাল চিহ্নিত করার ব্যবস্থা
ছিল। কিন্তু কোম্পানির অনেক কর্মকর্তা এই দস্তকের অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত মালামালকেও কোম্পানির হিসেবে দেখিয়ে
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করেছে। ফলে দেশীয় বণিকগণ ব্যবসা ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনদিকে এবং নবাব নিজেও
প্রাপ্য বাণিজ্য শুল্ক হতে বঞ্চিত হতে থাকেন। যা একটা পর্যায়ে ভয়াবহ সংঘাতের কারণ হয়ে দেখা দেয়।
৩. অবাধ বাণিজ্যের প্রচলন: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এমনিতেই অনেক সুবিধা ভোগ করত। তার উপর কোম্পানির
কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অবৈধ আন্ত:বাণিজ্য দেশীয় বণিকদের কোণঠাসা করে ফেলে। দস্তক নামে পরিচিত ছাড়পত্র দ্বারা
কোম্পানির মালামাল চিহ্নিত করার ব্যবস্থা ছিল। এই দস্তকে সাক্ষর করতেন কোম্পানির কর্মকর্তারা। কিন্তু কোম্পানির
অনেক কর্মকর্তা এই দস্তকের অপব্যবহার করে নিজেদের ব্যক্তিগত মালামালকেও কোম্পানির বলে বহন করেছেন।
পক্ষান্তরে ইংরেজ বণিকদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছিল না তারা। মীর কাশিম এ বিষয়ে গভর্নরের কাছে
প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে তিনি এক পর্যায়ে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ী নির্বিশেষে সকল ব্যবসায়ীদের উপর
থেকে বাণিজ্য শুল্ক উঠিয়ে দিয়েছিলেন। এতে নবাবের রাজস্ব আয় কমে গেলেও দেশীয় বণিকদের সাথে বিদেশী বণিকদের
অন্যায় প্রতিযোগিতার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ নতুন ব্যবস্থার ফলে ইংরেজদের স্বার্থে আঘাত লাগে। তারা চেষ্টা করে
নবাবকে শায়েস্তা করার জন্য।
বক্সারের যুদ্ধের ঘটনাবলী
নবাব মীর কাশিমের গৃহীত নানা সিদ্ধান্ত ইংরেজদের ক্ষোভের কারণ হয়। তারা নবাবকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার
পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। যুদ্ধের শুরুতেই কলকাতায় ইংরেজ কুঠির প্রধান এলিসের
সঙ্গে নবাবের সংঘর্ষ বাধে। ইংরেজ নেতা এলিস হঠাৎ পাটনা আক্রমণ করে শহরটি দখল করে নিলে বাধ্য হয়ে নবাবকে
তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করতে হয়েছিল। মীর কাশিম পাটনা হতে এলিসকে তাড়িয়ে দিয়ে পুরো এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ
পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তারপর কোলকাতা-কাউন্সিল নবাবের বিরুদ্ধে ১৭৬৩ সালে যুদ্ধ ঘোষণা করে। মীর কাশিম মেজর
অ্যাডামসের নেতৃত্বে ইংরেজরা নবাবের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সেনাবাহিনী প্রেরণ করে। সৈন্য সংখ্যা বেশি থাকা সত্তে¡ও
গিরিয়া, কাটোয়া ও উদয়নালার যুদ্ধে (১৭৬৩ খ্রি:) শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিলেন মীর কাশিম। এরপর বাধ্য হয়ে
তিনি অযোধ্যায় আশ্রয় গ্রহণ করেন।
মীর কাশিমের বিরুদ্ধে ১৭৬৩ সালে যুদ্ধ চলাকালীন ইংরেজগণ আবার মীরজাফরকে নবাব হিসেবে বাংলার সিংহাসনে
বসিয়েছিল। নতুনভাবে নবাব হয়ে বিশ^াস ঘাতক মীরজাফর মীর কাশিম কর্তৃক জারীকৃত ইংরেজ স্বার্থবিরোধী প্রত্যেকটি
ঘোষণা ও বিধি প্রত্যাহার করে নেয়। বার বার পরাজিত হয়েও মীর কাশিম হাল ছাড়েননি। তিনি এরপর অযোধ্যার নবাব
সুজাউদ্দৌলা ও মুঘল সম্রাট শাহ আলমের সহায়তা প্রার্থনা করেন। তাদের সহযোগিতায় গঠিত সম্মিলিত বাহিনী নিয়ে
১৭৬৪ সালে মীর কাশিম ইংরেজদের বিরুদ্ধে শক্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। তবে বরাবরের মত এবারেও ভাগ্য
সহায় হয়নি তার। তিনি বিহারের বক্সার নামক স্থানে সংঘটিত যুদ্ধে মেজর মনরোর সেনাদলের কাছে শোচনীয়ভাবে
পরাজিত হন। বলতে গেলে এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলায় স্বাধীনতা ধরে রাখার শেষ সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে যায়। এরপর
ইতিহাসের পাতায় মীর কাশিমের নাম সেভাবে পাওয়া যায়নি। অনেকের মতে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন। কারও
কারও বিশ^াস নবাব সিরাজ উদ্দৌলার মত তাকেও হত্যা করা হয়েছিল।
ফলাফল ও গুরুত্ব
বক্সারের যুদ্ধ বাংলার পাশাপাশি পুরো ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল। তাই এর ফল
যুগান্তকারী এবং সুদূরপ্রসারী। অনেক দিক থেকে এ যুদ্ধ পলাশীর যুদ্ধ অপেক্ষা অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। নিচে এর
গুরুত্বগুলো সংক্ষেপে বর্ণনা কর হলোÑ
১. এ যুদ্ধে পরাজিত দিল্লির মুঘল সম্রাট শাহ আলম ইংরেজদের পক্ষে যোগদান করে। মূলত স¤্রাট শাহ আলমের সঙ্গে
ইংরেজদের একটা চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির বলে কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দিউয়ানি লাভ করে।
২. অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা রোহিলাখÐে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
৩. যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মীর কাশিম গা ঢাকা দিয়েছিলেন। অবশেষে ১৭৭৭ সালের দিকে দিল্লির কাছে তার মৃত্যু হয়।
অনেকের ধারণা বাংলার এই শেষ স্বাধীনতাকামী নবাবকে হত্যা করা হয়েছিল। স¤্রাট শাহ আলমের সঙ্গে ইংরেজদের
একটি চুক্তি হয়েছিল যে চুক্তির বলে কোম্পানি বাংলা বিহার, উড়িষ্যার দিউয়ানি লাভ করে।
৪. এ যুদ্ধের ফলে মীরকাশিমের ইংরেজ বিতাড়ণ ও স্বাধীনতা রক্ষার শেষ স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়। বলতে গেলে উপমহাদেশে
ইংরেজ প্রভাব-প্রতিপত্তি বহুগুণে বেড়ে যায়।
৫. এ যুদ্ধের ফলে উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বিনা বাধায় ইংরেজ আধিপত্য বিস্তারের পথ উন্মুক্ত হয়েছিল। তারা
এর পর থেকেই ভারতবর্ষের নানা স্থানে কুঠি নির্মাণ শুরু করে।
৬. কোম্পানির যোদ্ধারা অযোধ্যার নবাবের নিকট থেকে কারা ও এলাহাবাদ অঞ্চল দু’টি কেড়ে নিয়েছিল।
৭. বক্সারের যুদ্ধে কেবলমাত্র মীর কাশিম পরাজিত হননি। এযুদ্ধে স্বয়ং সম্রাট শাহ আলম ও সুজাউদ্দৌলাও পরাজিত
হয়েছিলেন। এর মাধ্যমে দিল্লি থেকে শুরু করে বাংলা পর্যন্ত সমগ্র উত্তর ভারত ইংরেজদের অধীনে চলে গিয়েছিল।
৮. বক্সার যুদ্ধের ফলে ক্লাইভ দিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্রাটের কাছ থেকে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার দিওয়ানি (রাজস্ব
আদায়ের কর্তৃত্ব) লাভ করে।
সারসংক্ষেপ:
পলাশী যুদ্ধে ইংরেজদের সাহায্য করার পুরস্কার স্বরূপ বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর বাংলার সিংহাসন লাভ করেও প্রকৃত
নবাব হতে পারেননি। ১৭৬৩ সালে কলকাতা কাউন্সিল যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে মীর কাশিম পরপর
গিরিয়া, উদয়নালা ও কাটোয়া সেনাপতি অ্যাডামসের কাছে পরাজিত হন। পরবর্তীকালে বক্সারের যুদ্ধে (১৭৬৪ খ্রি:)
পুনরায় ইংরেজ সেনাপতি মেজর মনরোর হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে বাংলার নবাবের অবশিষ্ট মর্যাদাটুকু
হারিয়েছিলেন মীর কাশিম।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৮.১
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। মীর কাশিম কত সালে বাংলার সিংহাসনে বসেন?
ক) ১৭৬০ খ) ১৭৬১ গ) ১৭৬২ ঘ) ১৭৬৩
২। কত সালে বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
ক) ১৭৬২ খ) ১৭৬৩ গ) ১৭৬৪ ঘ) ১৭৬৫
৩। বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের সেনাপতি ছিলেনÑ
ক) এলিস খ) মনরো গ) এডামস ঘ) হলওয়েল
৪। মীর কাশিম রাজধানী স্থানান্তর করেন কোথায়?
ক) মুঙ্গেরে খ) পাটনায় গ) কলকাতায় ঘ) উদয়নালায়
সৃজনশীল প্রশ্ন:
পলাশী যুদ্ধে জয়লাভের মধ্য দিয়ে ইংরেজরা শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। তারা বিশ^াসঘাতকতার পুরষ্কার হিসেবে মীর
জাফরকে সিংহাসনে বসায়। তারপর মীর জাফরের স্থলে যিনি আসেন তিনি বিশ^াসঘাতক নন। তিনি ইংরেজদের প্রভু
মানতেও প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি ইংরেজদের একচেটিয়া বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গিয়ে ইংরেজ ও এ দেশীয়
ব্যবসায়ী নির্বিশেষে সকল ব্যবসায়ীর উপর থেকে বাণিজ্য শুল্ক উঠিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়।
নতুন এক নেতার আবির্ভাব ঘটে। তিনি চেষ্টা করেছিলেন ইংরেজদের আধিপত্য থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে। উদ্দীপকটি
পড়ে উত্তর দিনÑ
ক) মীর কাশিম কে ছিলেন? ১
খ) বক্সারের যুদ্ধের মূল কারণ কি? ২
গ) উদ্দীপকে আলোচিত যুদ্ধের সঙ্গে বক্সারের যুদ্ধের কি কি মিল রয়েছে? ৩
ঘ) বক্সারের যুদ্ধের সুদূর প্রসারী প্রভাব কি আলোচনা করুন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র