মুখ্য শব্দ গোলটেবিল বৈঠক, জিন্নাহর চৌদ্দ দফা, লাহোর প্রস্তাব ও পাকিস্তান প্রস্তাব
১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করে।
আর ভারতের স্বাধীনতা আইনের সফল প্রয়োগের মাধ্যমে অবসান ঘটে ব্রিটিশ শাসনের যার সূত্রপাত হয়েছিল
১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ দ্দৌলার পরাজয়ের মাধ্যমে। ভারত স্বাধীনতা আইন প্রণয়ন ও ভারত
বিভক্তি এর সফল বাস্তবায়ন একদিনের আন্দোলন ও প্রচেষ্টার প্রতিফলন নয়। এর জন্য ভারতীয়দের অতিক্রম করতে
হয়েছে সুদীর্ঘ ও বন্ধুর পথ।
ভারত বিভক্তির প্রেক্ষাপট ও গতি প্রকৃতি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে-পরে বিশ্বজুড়ে উপনিবেশ অবসানের প্রক্রিয়া হচ্ছিল। ব্রিটিশ সরকারও একটি নিয়মতান্ত্রিক পন্থা
স্থানীয় জনগণের ওপর ভারতের শাসনক্ষমতা ছেড়ে দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৪০ সালের আগস্ট মাসে ব্রিটিশ
সরকার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে যা ‘আগস্ট প্রস্তাব’ নামে বেশি পরিচিত। এতে বলা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে
ভারতের সংবিধান প্রনয়নের দায়িত্ব ভারতীয়দের হাতে ন্যস্ত করা হবে। সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে একটি
উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। সর্বোপরি ভারতকে একটি ব্রিটিশ ‘ডোমিনিয়নের’ মর্যাদা দেওয়া হবে। প্রস্তাবটি কংগ্রেস
কর্তৃক যেমন গৃহীত হয়নি তেমনি মুসলিম লীগ কর্তৃকও সমর্থিত হয়নি। ফলে সরকারের এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
একটি সুনির্দিষ্ট উপায় বের করতে তৎকালীন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস ভারতে আগমন করেন। তিনি ১৯৪২
সালের ৩০ মার্চে একটি প্রস্তাব প্রদান করেন। যেখানে বলা হয়েছিল- ভারত অন্যান্য ব্রিটিশ ডোমিনিয়নের মত মর্যাদা পাবে
এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় একটি ইউনিয়নে পরিণত হবে। বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হলে ভারতের নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি
গণপরিষদ গঠন করা হবে। ব্রিটিশ সরকার এবং ঐ গণপরিষদ ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া
হবে। এবারও অখÐ ভারতের দাবিতে কংগ্রেস প্রস্তাবটিকে গ্রহণ করেনি। আবার মুসলমানদের জন্য আলাদা ভূ-খÐের কথা
উল্লেখ না থাকায় মুসলিম লীগও এটিতে সমর্থন দেয়নি। ফলে এচেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এদেশীয়দের হাতে ক্ষমতা
প্রদানের জন্য ১৯৪৫ সালের ১৪ জুন কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নিকট একটি পরিকল্পনা প্রদান করেন গভর্নর জেনারেল
লর্ড ওয়াভেল। এটি ওয়াভেল পরিকল্পনা নামেও পরিচিত। এতে বলা হয় যে,অচিরেই নতুন সংবিধান প্রনয়ন করা হবে
এবং ততোদিন এদেশে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার দেশ পরিচালনা করবে। প্রশাসনে একমাত্র বড়োলাট ও সেনাপ্রধান ব্যতীত
অন্য সকল পদে এদেশীয়দের নিয়োগ দেয়া হবে। গঠিত শাসন পরিষদে হিন্দু মুসলমান প্রতিনিধির সংখ্যা হবে
সমানুপাতে। সিমলায় ২৫ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দলের সাথে ওয়াভেলের আলোচনা বৈঠক হলেও কংগ্রেস ও
মুসলিম লীগের মধ্যে মতৈক্য না হওয়ায় এ চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সমর্থন পেতে নানা রকম প্রতিশ্রæতি প্রদান করেছিলেন। তার মধ্যে
অন্যতম ছিল ভারতের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। যুদ্ধ শেষে প্রতিশ্রæতি পালনের জন্য ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সরকার
তৎকালীন ভারত সচিব লর্ড পি. লরেন্সের নেতৃত্বে স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস ও এ. ভি. আলেকজান্ডারসহ তিন সদস্যের একটি
প্রতিনিধি দলকে ভারত পাঠানো হয়। মে মাসে তারা ভারত শাসন সংক্রান্ত একটি চূড়ান্ত সুপারিশমালা পেশ করে যা
ক্যবিনেট মিশন নামে পরিচিত। এতে বলা হয় যে, শুরুতে ভারতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকার গঠিত হবে।
ব্রিটিশ ভারত ও দেশীয় রাজ্যপাল নিয়ে একটি ভারতীয় ইউনিয়ন গঠন করা হবে। তিন ধাপে প্রদেশ গুলোকে বিভক্ত করে
হিন্দু প্রধান, মুসলিম প্রধান, বাংলা ও আসাম গ্রæপ গঠিত হবে। প্রত্যেক গ্রæপের জন্য একটি গণপরিষদ গঠিত হবে এছাড়াও
প্রস্তাবে বলা হয় যে, ভারতীয় ইউনিয়ন গঠন ও কার্যকর হলে দেশীয় রাজ্যগুলোর উপর থেকে ব্রিটিশ রাজকীয়
সার্বভৌমত্বের অবসান ঘটবে। যেহেতু এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে মুসলমানরা তাদের লক্ষ অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছাবে
একারণে মুসলিম লীগ এটিতে সমর্থন দান করে। শুরুর দিকে কংগ্রেস অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়টি প্রত্যাখান করলেও তারা
গণপরিষদে অংশ নেবে বলে জানায়। তবে মিশনের একটি বড় শর্ত ছিল যে, উপরোক্ত বিষয়গুলোর আংশিক মেনে
নেওয়ার কোন বিধান থাকবে না। তৎকালীন বড় লাট ওয়াভেলের মুসলিম লীগের হাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা দিতে
কিছুটা অনীহা ছিল। কেননা কংগ্রেস অন্তর্বর্তী সরকারে অংশ নিতে অস্বীকার করে কিন্তু মুসলিম লীগ এ সুযোগের সদ্ব্যবহার
করতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য উৎসাহ দেখালেও ওয়াভেল তা গ্রহণ করেননি। যাইহোক পরবর্তী মাসে ওয়াভেল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য নেহেরুকে অনুরোধ করেন। এতে মুসলিম লীগ চরমভাবে অপমানিত হয় এবং ১৬
আগস্ট সারা দেশে হরতাল ও প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস পালন করে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থা
বেগতিক দেখে বড়লাট ওয়াভেলকে প্রত্যাহার করে লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেনকে তদস্থলে নিয়োগদান করা হয়।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও উত্তেজনা প্রশমন করার দায়িত্ব নিয়েই মাউন্টব্যাটেনকে ভারতে প্রেরণ করা হব। তিনি অনুভব করেন
যে, হিন্দু মুসলিম উভয়ের দাবি না মেনে নিলে তা সম্ভব হবে না। তাই তিনি ভারতে এসেই ঘোষণা করেন যে, পরবর্তী
বছর অর্থাৎ ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যেই সুষ্ঠ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এমন ভারতীয় সরকারের নিকট
ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। মাউন্টব্যাটেন সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে ১৯৪৭ সালের ৩ জুন একটি পরিকল্পনা পেশ
করেন। এতে বলা হয়- আগামী ১৫ ই আগস্ট ভারত স্বাধীন হলে সেখানে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম
হবে। আর যেহেতু বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিতর্ক আছে সেহেতু এদুটি প্রদেশ ধর্মের ভিত্তিতে
বিভক্ত হবে। এছাড়াও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বেলুচিস্তান ও আসামের সিলেট জেলা পাকিস্তানের সাথে থাকবে কিনা
তা নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নব গঠিত ভারত ও পাকিস্তানের গণপরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে যে, তারা কমনওয়েলথভূক্ত হবে
কি না আর উভয় দেশদুটির সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি আইন কমিশন গঠিত হবে। মাউন্টব্যাটেন এর পরিকল্পনা
সংগ্রামরত দুটি বৃহৎ সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমানেরা মেনে নেওয়ায় এই পরিকল্পনা মতই ভারত স্বাধীনত আইন প্রণীত হয়।
যা ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট আইনটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস করে।
ভারত স্বাধীনতা আইনের উল্লেখযোগ্য ধারা
১) ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ব্রিটিশ সরকারের পরিবর্তে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে কার্যক্রম
শুরু করবে এবং তারা ডোমিনিয়নের মর্যাদা পাবে।
২) বাংলা প্রদেশ বিভক্ত হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা নামে আলাদা প্রদেশ গঠিত হবে।
৩) প্রত্যেক ডোমিনিয়নের জন্য আলাদা গণপরিষদ ও আলাদা আইন পরিষদ থাকবে।
৪) সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু প্রদেশ, বেলুচিস্তান ও পূর্ব বাংলা নিয়ে গঠিত হবে পাকিস্তান রাষ্ট্র অন্যদিকে ভারতের অন্যান্য
অঞ্চল নিয়ে গঠিত হবে ভারত রাষ্ট্র।
৫) প্রত্যেক রাষ্ট্রে একজন করে ‘হেড অব দি স্টেট’ হিসেবে একজন গভর্ণর জেনারেল দায়িত¦ পালন করবেন।
৬) উভয় দেশ ব্রিটিশ কমনওয়েলথভভূক্ত থাকবে কি না তা গণপরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে।
৭) এই আইন কার্যকর হলে দেশীয় রাজ্যগুলো হতে ইংরেজ শাসনের অবসান হবে এবং ব্রিটেনের রাজা ‘ভারত স¤্রাট’
উপাধি পরিত্যাগ করবেন প্রভৃতি।
আইন কার্যকর:
আইন কার্যকরের মাধ্যমে পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল হন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ আর ভারতের গভর্নর হিসেবে থেকে যান
লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন। জওহরলাল নেহেরু ও লিয়াকত আলী খান যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত
হন। আর ১৪ আগস্ট পাকিস্তান ও ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
ব্রিটিশ শাসনের অবসান
ভারত স্বাধীনতা আইন কার্যকর হবার মধ্য দিয়ে এদেশী হিন্দু ও মুসলমানদের দীর্ঘ দিনের আশা- আকাক্ষা বাস্তবায়িত হয়।
একই সাথে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়। আইনটি ব্রিটেনের পার্লামেন্টে পাস হবার আগে অবশ্য কংগ্রেস কিছুটা অনাগ্রহ
দেখিয়েছিল কিন্তু অন্য দিকে মুসলিম লীগ আপোসহীন থাকায় এবং তৎকালীন অবস্থার প্রেক্ষিতে কংগ্রেস তাতে সমর্থন
জানাতে বাধ্য হয়। তবে একথা ঠিক যে, এই বিভক্তির ফলে সবচেয়ে লাভবান হয়েছিল ভারতীয়রা তথা কংগ্রেস কেননা
তারা অর্জন করেছিল বিশাল ভূখÐ । অপরদিকে মুসলিম লীগ নেতারা যেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অনঢ় ছিল
এবং শেষ দিকে তারাই বেশি সর্বাত্মক আন্দোলন পরিচালনা করেছিল সেই তাদের ভাগ্যেই জুটলো কর্তিত ও তুলনামূলক
ক্ষুদ্র একটি ভূখÐ। পূর্ব বাংলার মানুষেরা যে বুক ভরা আশা নিয়ে ১২শ মাইল দূরের একটি দেশের সাথে তাদের ভাগ্য
এইচএসসি প্রোগ্রাম ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র
ইউনিট ৮ পৃষ্ঠা ২৪৮
জুড়ে নিয়েছিল তা কয়েকদিন ভুল প্রমাণিত হলো। ক্রমেই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষেরা পশ্চিম পাকিস্তানের দাসত্বে পরিনত
হচ্ছিল। সুদীর্ঘ ২৪ বছরের নির্যাতন ও নিপীড়ণের ইতিহাস পাড়ি দেবার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের
ডাকে সাড়া দিয়ে ৯ মাস স্বশস্ত্র যুদ্ধ করে পূর্ব পাকিস্তানের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছিল। যদি দেশ বিভাগের
সময় তৎকালীন বাংলার রাজনীতিবিদরা সতর্ক থাকতেন তাহলে পূর্ব বাংলার ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো এটা
নি:সন্দেহে বলা যায়। তবে একথা ঠিক যে, ভারত বিভক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশদের সুদীর্ঘ ১৯০ বছরের শাসনাবসান ঘটে যা
উপমহাদেশের জনগণের মূল আশা ছিল
ভারত বিভক্তি কী? কেন ভারত-পাকিস্তান
রাষ্ট্রের জন্ম হল?
আগস্ট প্রস্তাব কী? মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পনা
সম্পর্কে ধারণা দাও?
সারসংক্ষেপ :
ভারত উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ভারত বিভক্তি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তেমনি ১৯৪৭ সালের ভারত
স্বাধীনতা আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইন প্রণীত না হলে ভারত বিভক্তি সম্ভব হত
না আবার ভারত বিভক্তি এতটাই অনিবার্য ছিল যে ভারত স্বাধীনতা আইন প্রণয়ন ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না।
হঠাৎকরেই ভারত স্বাধীনতা আইন প্রণীত হয়নি এর পেছনে রয়েছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস এবং কতগুলোধারাবাহিক
ঘটনা। ভারত শাসন আইন প্রণয়ণের মাধ্যমেই ভারত এবং পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হল এবং ব্রিটিশ
রাজ ‘ভারত স¤্রাট’ উপাধি পরিত্যাগ করলেন।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৮.১৬
১. ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইনটি কত তারিখে চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে?
ক. ৪ জুলাই খ. ১৪ জুলাই গ. ১৫ জুলাই ঘ. ১৮ জুলাই
২. নি¤েœাক্ত কোন প্রস্তাবটি ভারত স্বাধীনতা আইনের জন্য গৃহীত হয় ?
ক. আগস্ট প্রস্তাব খ. মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব গ. ক্রিপস প্রস্তাব ঘ.ওয়াভেল প্রস্তাব
৩. ভারত স্বাধীনতা আইন অনুযায়ী স্বাধীনতা প্রাপ্ত পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে?
ক. লিয়াকত আলী খান খ. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
গ. মুহম্মাদ আলী জিন্নাহ ঘ. একে ফজলুল হক
ব্রিটিশ শাসনামলে ঢ নামক রাষ্ট্রে জনগনের মধ্যে এক ধরণের ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং দেশটিতে ব্রিটিশ বিরোধী
আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ক্রমবর্ধমান এই আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ
গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সকল উদ্যোগ ফলপ্রসু না হওয়ায় ব্রিটিশ সরকার ক-এর জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য
একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের মাধ্যমে ক দেশটিতে ধর্মের ভিত্তিতে ‘প’ ও ‘ভ’ নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম
হয় এবং উপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে।
(ক) ভারত স্বাধীনতা আইন কত সালে প্রণীত হয়? ১
(খ) ভারত স্বাধীনতা আইন অনুযায়ী বাংলা প্রদেশ বিভক্ত হয়ে কোন দুটি প্রদেশ তৈরি হয়? ২
(গ) উদ্দীপকের আলোকে প্রনীত স্বাধীনতা আইনের প্রধান ধারাগুলো লিখুন। ৩
(ঘ) ভারত স্বাধীনতা আইনের পটভূমিসহ ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করুন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র