মূখ্য শব্দ ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট, মুসলিম লীগ, ২১ দফা ও নির্বাচনী ইস্তেহার
ভ‚মিকা
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচন এবং যুক্তফ্রন্টের বিপুল ভোটে বিজয় ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা
তথা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ার একটি পূর্বাভাষ মাত্র। দেশ বিভাগের পরপরই ভাষার প্রশ্নে পশ্চিম পাকিস্তানিদের
মনোভাব বাংলার মানুষকে চরমভাবে ব্যথিত করেছিল। যার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় নির্বাচনে মুসলিম লীগের চরম ভরাডুবির
মাধ্যমে। এজন্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে ১৯৫৪ সালের নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমন্ডিত।
পটভূমি:দেশ বিভাগের পরপরই নানাবিধ কারণে বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি মনোভাব নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের
ঘৃণ্য চেহারা প্রকাশ পেতে থাকে। এই অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তি পেতে পূর্ব পাকিস্তানের নানা স¤প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর
মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা বিকশিত থাকে এবং নানা রকম দল গঠিত হতে থাকে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে
আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক-শ্রমিক পার্টি, পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি, নেজাম-ই-ইসলামী, পাকিস্তান জাতীয়
কংগ্রেস। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ১৯৫১ সালে থাকলেও নানাবিধ কারণে
সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি। তবে ১৯৪৯ সালের একটি উপনির্বাচনে মুসলিম লীগের পরাজয়কে অনেকে এ
দলটি অবস্থানের শুরু হিসেবে দেখেছিল। যাই হোক ১৯৫৩ সালে সংবিধানের ধারা সংশোধন করে ১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলও কর্মসূচি:
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশগ্রহনকারী দলগুলোর মধ্যে মুসলিম
লীগ, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজাম-ই-ইসলামী, খেলাফতে রব্বানী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি,
গণতান্ত্রিক দল, যুবলীগ প্রভৃতি। আবার অমুসলমান প্রধান আসনগুলোতে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিল পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেস,
তফসিলি জাতি ফেডারেশন, পূর্ব পাকিস্তান সমাজতন্ত্রী দল, গণ সমিতি, কুমিল্লার অভয় আশ্রম প্রভৃতি। তবে একথা ঠিক
যে, ভাষা নিয়ে তর্ক ও আন্দোলন সংগ্রাম প্রভৃতি কারণে পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের জনগণ চরমভাবে মুসলিম লীগ বিরোধি
হয়ে ওঠে এবং যার ফলে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যদলগুলো মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে অঘোষিতভাবে অবস্থান নেয়। আর
সরাসরি বিরোধিতা করার জন্য আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজাম-ই-ইসলামী এবং বামপন্থী গণতন্ত্রী দল
সম্মিলিতভাবে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। এই দলগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন যথাক্রমে মাওলানা ভাসানী, এ, কে ফজলুল হক,
মাওলানা আতাহার আলী এবং হাজী দানেশ প্রমুখ। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘নৌকা’ গৃহীত হয়। নির্বাচনের
জন্য এই যুক্তফ্রন্ট তাদের ‘ইশতেহার’ প্রকাশ করে যার ভিত্তি ছিল জাতীয়তাবাদী চেতনা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা। ইশতেহারে
২১ দফা ঘোষণা করা হয়। যথা১. পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ‘বাংলা’র স্বীকৃতি দেয়া হবে।
২. কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ ছাড়া জমিদারি ও সমস্ত খাজনা আদায়কারী স্বত্ব উচ্ছেদ ও রহিত করে ভূমিহীন কৃষকদের
মধ্যে উদ্বৃত্ত জমি বিতরণ করা হবে। উচ্চহারের খাজনা ন্যায়সঙ্গতভাবে হ্রাস করা হবে এবং সার্টিফিকেট যোগে
খাজনা আদায় বাতিল করা হবে।
৩. মুসলিম লীগ মন্ত্রিসভার আমলে সংঘঠিত পাট কেলেংকারির সুষ্ঠ তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে এবং পাট শিল্পকে
জাতীয়করণ করা হবে।
৪. সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষির উন্নতির বিধান করা হবে এবং সর্বপ্রকার কুটির ও হস্তশিল্পে সরকারি
সাহায্য বৃদ্ধি করা হবে।
৫. লবণ কেলেংকারির তদন্ত ও শাস্তি বিধান করা হবে এবং বৃহৎ লবণ শোধণাগার কারখানা স্থাপন করা হবে।
৬. শিল্প ও কারিগরি শ্রেণীর গরিব মোহাজেরদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষে ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনের জন্য খাল খনন ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হবে।
৮. আন্তর্জাতিক শ্রমসংঘের মূলনীতি অনুসারে শ্রমিক অর্থনৈতিক; সামাজিক সংপ্রকার অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং
শিল্প ও খাদ্যে দেশকে স্বাবলম্বী বা স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে।
৯. অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করা হবে এবং শিক্ষকদের বেতনভাতার ব্যবস্থা করা হবে।
১০. বৈজ্ঞানিক ও কার্যকরী উপায়ে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে।
১১. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে এবং উচ্চ শিক্ষাকে সহজলভ্য হিসেবে ব্যবস্থা করা
হবে।
১২. সরকারি কর্মচারীদের পর্যায়ভেদে বেতনের সামঞ্জস্যতার বিধান করা হবে এবং যথাসম্ভব শাসন ব্যয় কমানো হবে।
১৩. স্বজনপ্রীতি, ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪. বিনা বিচারে আটক বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে এবং জননিরাপত্তা আইন সংশোধন ও পরিমার্জন করা হবে।
১৫. শাসন বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা হবে।
১৬. শাসন ব্যয় কমানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বর্ধমান হাউজ থেকে সরিয়ে কম বিলাসপূর্ন জায়গায় স্থানান্তর করা
হবে এবং এটি ছাত্রাবাসে পরিণত করা হবে এবং পরবর্তীতে এখানে বাংলা ভাষা গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হবে।
১৭. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং ঐ
ঘটনাস্থলে শহীদ মিনার নির্মিত হবে।
১৮. ২১ ফেব্রæয়ারি ‘শহীদ দিবস’ ঘোষণা করা হবে এবং প্রতিবছর এই দিনটি সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
১৯. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা প্রবর্তন
ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষমতা প্রদেশে বিভাজিত করা হবে। এমনকি অস্ত্রশস্ত্রে বলিয়ান হতে অস্ত্র নির্মাণ কারখানা
স্থাপন করা হবে।
২০. যুক্তফ্রন্ট সরকার কোন অবস্থাতেই তাদের কার্যকাল অনির্বাচিত ও অবৈধভাবে বৃদ্ধি করবে না। যথাসময়ে নির্বাচন
অনুষ্ঠানের জন্য যথাসম্ভব প্রতিশ্রæতিবদ্ধ থাকবে।
২১. মন্ত্রিসভা কোন আসন শূন্য হলে ৩ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করবে এবং পরপর তিনটি উপ-নির্বাচনে
যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী পরাজিত হলে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে। যুক্তফ্রন্টের মতই মুসলিম লীগ ও
তাদের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে। ইশতেহারে কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক শাসনতন্ত্র প্রনয়ন, মসজিদে ইসলামী
শিক্ষাদান ব্যবস্থা প্রণয়ন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূরক কোরআন শিক্ষা প্রবর্তন করার প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়।
এছাড়াও কৃষি, জননিরাপত্তা, পাটশিল্প প্রভৃতির সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলেও সুনির্দিষ্ট কোন প্রস্তাব দেয়া
হয়নি। মুসলিম লীগের প্রচারকৌশলে দুটি শ্লোগান ছিল তা হলো-‘বিপন্ন মুসলিম’, ‘বিপন্ন পাকিস্তান’। উল্লেখ্য
মুসলিম লীগের তুলনায় যুক্তফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে সুনির্দিষ্টভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করায় এবং সর্বোপরি বাংলার
স্বায়ত্বশাসনের উল্লেখ থাকায় জনগণ তাদেরকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়।
নির্বাচনের ফলাফল: ১৯৫৪ সালের ১১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সর্বমোট ৩০৯ আসনের
মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২৩৬টি আসনে জয়যুক্ত হয়। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ মাত্র ১০টি আসন পায়। এছাড়াও বাকী আসনগুলোর
মধ্যে কংগ্রেস ২৪টি, তফসিলি ফেডারেশন ৪টি, খেলাফত-ই-রব্বানী ১টি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩ আসন লাভ করে।
যুক্তফ্রন্টের বিজয় ও মুসলিম লীগের পরাজয়ের কারণ:
১. ভাষার প্রশ্নে মুসলিম লীগ পূর্বপাকিস্তানের লোকদের চরম ক্ষোভের সম্মুখীন হন।
২. পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ শোষণমুক্ত ও প্রাদেশিক স্বাধিকার প্রাপ্তির আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে
ইশতেহারে দেখতে পেয়েছিল। ফলে তারা নিরঙ্কুশ সমর্থনে কার্পন্য করেনি।
৩. মুসলিম লীগের নির্বাচনি ইশতেহার জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। কেননা তাদের একমাত্র বক্তব্য ছিল ইসলামী
শাসনতন্ত্র প্রণয়ন। গণমুখী কোন ইস্যু না থাকায় নির্বাচনের আগেই জনগণ কর্তৃক তাদের ইশতেহার প্রত্যাখ্যাত
হয়েছিল।
৪. কৃষক, শ্রমিক সর্বোপরি মেহনতি মানুষের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন যুক্তফ্রন্টের ইশতেহারে বিদ্যমান ছিল।
৫. ইশতেহারে সদ্য সংগঠিত ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে যুক্তফ্রন্টের সনির্দিষ্ট কর্মসূচি বাংলার মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল।
অন্যদিকে মুসলিম লীগ বাংলার ভাষা আন্দোলন ‘দেশদ্রোহী’ আন্দোলনের সাথে তুলনা করায় তা প্রত্যাখ্যাত হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য:
১. দেশ বিভাগের অনেক আগ থেকেই মুসলিম লীগ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় একচেটিয়া কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল।
কিন্তু এই নির্বাচনে ভরাডুবির পর তাদের সেই কর্তৃত্বের অবসান ঘটে।
২. গণপরিষদের মুসলিম লীগ দলীয় বাঙালি সদস্যরা পূর্ব- পাকিস্তান প্রদেশের সত্যিকারের প্রতিনিধি নন বলে প্রমাণিত
হয়।
৩. এ নির্বাচনে প্রাদেশিক স্বাধিকার ও স্বায়ত্বশাসনের প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতি বাঙালিদের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে বলে
সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত হয়। ফলে জাতীয়তাবোধ ক্রমশ জোরদার হতে থাকে।
৪. পাকিস্তান রাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় বিশেষ করে যথাযথ ও কর্মঠ বিরোধীদলের বিকাশ শুরু
হয়।
৫. এই নির্বাচনে একাধিক তুলনামূলক ক্ষুদ্র দলগুলো মিলে যে জোট গঠনের রীতি প্রচলন করে তা আজ পর্যন্ত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিকশিত। যেমন- ২০ দলীয় জোট, ১৪ দলীয় মহাজোট পভৃতি।
উল্লেখ্য যে, ১৯৫৪ সালের এপ্রিল মাসেই যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষমতায় বসেন। কিন্তু শিল্প এলাকায় দাঙ্গা
শুরু হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রদেশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার অজুহাতে পাকিস্তানের কেন্দ্রিয় সরকার
১৯৫৪ সালের ২৯ মে ফজলুল হক মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেন। তার স্থলে পূর্ব বাংলার গভর্নরের শাসন জারি করা হয়। ফলে
যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতিশ্রæতির অধিকাংশই বাস্তবায়ন ঘটতে পারেনি। তবে মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেবার পর থেকে যুক্তফ্রন্টের
মধ্যেও ভাঙনের সূত্রপাত ঘটে। সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ যুক্তফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যায়। এভাবে
নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করার পরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুক্তফ্রন্টের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়।
সারসংক্ষেপ :
পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৫৪ সালের নির্বাচন ও যুক্তফ্রন্ট গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই নির্বাচনে মুসলিম
লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তান বিরোধী সমমনা দলগুলোর সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক জোট গড়ে ওঠে এবং
তারা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এই নির্বাচনকে বলা হয় মুসলিম লীগ তথা পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে
‘ব্যালট বিপ্লব’। পাকিস্তানিদের নানাধরণের ষড়যন্ত্র ও অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের ফলে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করেও
ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুসলিমলীগকে ব্যালটের মাধ্যমে
প্রত্যাখ্যান করে।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়?
ক. ১৯৫২ খ. ১৯৫৪ গ. ১৯৫৬ ঘ. ১৯৫৮
২। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মোট কতটি দল অংশগ্রহণ করে?
ক. ১৬টি খ.০৬টি গ. ২৬টি ঘ. ১৭টি
৩। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইস্তেহারে কতটি দফা ছিল?
ক. ২১ টি খ. ৪১ টি গ. ১৯ টি ঘ. ৬টি
ক সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত একটি দেশ। সেখানকার সিংহভাগ মানুষ শাসকশ্রেণীর থেকে স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদী চেতনায়
উজ্জীবিত এবং তারা নানামত ও পথ ভুলে গিয়ে একই জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন
রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি রজনৈতিক মোর্চা গঠন করেন। নব গঠিত এই রাজনৈতিক মোর্চাটি শাসক দলের বিরুদ্ধে
নির্বাচনে জয় লাভ করে। এই নির্বাচনে জয়লাভ তাদের জাতীয়তাবাদী চেতনা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ক. যুক্তফ্রন্ট কী? ১
খ. যুক্তফ্রন্টে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কতটি এবং কীকী?। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নির্বাচনের কর্মসূচিসহ ফলাফল লিখুন। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য লিখুন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র