মূখ্য শব্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বায়ত্বশাসন ও গণ-অভ্যুত্থান
পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের চূড়ান্ত পর্যায়ের পূর্ব মূহুর্তে ঘটে ঊনসত্তরের
গণঅভ্যুত্থান। সাধারণত ঐতিহাসিক ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন এবং আগরতলা
মামলা পরবর্তী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রভৃতির সমন্বয়ে গণআন্দোলন আইয়ূব খান সরকারের উৎখাত আন্দোলনে রূপ নেয়
যা ১৯৬৯ সালে সংগঠিত হওয়ায় ঐতিহাসিকভাবে ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান’ নামে পরিচিত।
গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
দেশ বিভাগের পর থেকে রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাঙালিরা দারুণ বৈষম্যের
শিকার হয়। বাঙালির মনে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভের সঞ্চার হতে থাকে। এটিতে জ্বালানীর কাজ করে ছয়দফা ভিত্তিক
আন্দোলন এবং প্রহসনমূলক আগরতলা মামলা। উল্লেখ্য যে আগরতলা মামলার আসামিদের মুক্তির আন্দোলন এক পর্যায়
আইয়ূব খান সরকারের উৎখাত আন্দোলনে রূপ নেয়। বাঙালির এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে পূর্ব পাকিস্তানের
৮ টি বিরোধী রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে ‘গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কমিটি’ (উবসড়পৎধঃরপ অপঃরড়হ ঈড়সসরঃঃবব) সংক্ষেপে
উঅঈ নামে একটি ঐক্যজোট গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ছাত্রদের এগারো দফা আন্দোলন এটির সাথে একাত্ম হলে
আন্দোলন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলে।
আন্দোলনের ঘটনাপঞ্জি:
জানুয়ারি, ১৯৬৯
পূর্ব পাকিস্তানের উপর নিপীড়ণ ও দমননীতির প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের দুই গ্রæপ মিলে ৪ জানুয়ারি ১৯৬৯
সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদকে সভাপতি করে একটি সর্বদলীয়
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। পরিষদের অধীনে পূর্বের এগারো দফার ভিত্তিতে একটি দাবিনামা তৈরি করা হয় এবং এর
সঙ্গে ছয়দফার দাবিগুলো একীভূত করা হয়। ৮ জানুয়ারি তারিখে ৮ টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ‘গণতান্ত্রিক সংগ্রাম
পরিষদ’ বা উবসড়পৎধঃরপ অপঃরড়হ ঈড়সসরঃঃবব বা সংক্ষেপে উঅঈ/ডাক’ গঠন করে। এই ‘ডাক’ এর অধীনে ১৪ জানুয়ারি
সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। ১৭ জানুয়ারি ‘ডাক’ এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যৌথ উদ্যোগে দেশ ব্যাপী ‘দাবি দিবস’
পালিত হয়। এই দিনে ‘ডাক’ এর অধীনে বিক্ষোভ মিছির বের করা হলে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে মিছিলে লাঠি
চার্জ করে। পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে পরের দিন অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি সারাদেশে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৮
জানুয়ারি তারিখের ধর্মঘট সহিংসতায় রূপলাভ করলে পুলিশ বেপরোয়াভাবে ছাত্রদের মিছিলে আক্রমণ করে এবং প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্রকে গ্রেফতার করে। এই গ্রেফতার ঘটনার প্রতিবাদে আবার পরবর্তী দিন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া
হয়। ১৯ জানুয়ারি তারিখে আন্দোলনরত ছাত্রদের মধ্য থেকে অনেককে গ্রেফতার করা হয়। আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ
হয় ২০ জানুয়ারি সারা পূর্ব পাকিস্তানে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালনকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে বিক্ষোভরত ছাত্রদের
উপর পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান নিহত হবার পর। আসাদের মৃত্যুর সংবাদ দাবানলের মত সমগ্র
পূর্ব পাকিস্তানে ছড়িয়ে পড়ে এবং এরপর থেকে প্রতিদিন লাগাতার কর্মসূচি পালিত হয়। ২২ ও ২৩ জানুয়ারি তারিখে নানা
কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয় এবং ২৪ জানুয়ারি দেশব্যাপি হরতাল পালন করা হয়। এদিন রাজপথে সর্বস্তরের জনগণের ঢল
নামে। এত জনসমাগম দেখে পাকিস্তান সরকার দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং পুলিশ বাহিনীকে আবারো গুলি চালানোর হুকুম
দেয়। সচিবালয়ের নিকট গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক কিশোর ছাত্র নিহত এবং বহু হতাহত হয়। এই ঘটনা আগুনে জ্বালানীর
সঞ্চালন করে। কেননা জনতা এতই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যে, তারা সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান এবং মর্নিং নিউজ
এর ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফলে পূর্ব পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ কিছু সময়ের জন্য হলেও কেন্দ্রিয় সরকারের হাত ছাড়া
হয়ে যায়। ২৫ জানুয়ারি নানা স্থানে হরতাল পালনকালে অন্তত ২ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। অবস্থা বেগতিক দেখে ২৬
জানুয়ারি তারিখে সান্ধ্য আইন জারী করা হয়। এমনকি এই দিনেও সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া
যায়। এভাবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে মিছিল-মিটিং, বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
ফেব্রæয়ারি, ১৯৬৯:
১৯৬৯ সালের উত্তাল জানুয়ারির মতই ফেব্রæয়ারি মাসের প্রথমার্ধ হরতাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও নানা কর্মকাÐ পরিচালিত হয়
এই পূর্ব পাকিস্তানে। বিশেষ করে ১, ৬, ৯, ১২ ও ১৪ ফেব্রæয়ারি এরকম কর্মসূচি চলাকালে বহু লোকের হতাহতের খবর
পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রæয়ারি তারিখে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঘটে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এদিন
আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে জেল খানায় গুলি করে হত্যা করা হয় এবং একই ঘটনায়
অপর আসামি সার্জেন্ট ফজলুল হক আহত হন। জহুরুল হকের হত্যার প্রতিবাদে ১৬ ফেব্রæয়ারি দেশব্যাপী আন্দোলন
অগ্নিরূপ ধারণ করে। জনতা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এই মামলার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অগ্নি সংযোগের
মাধ্যমে। পূর্ব পাকিস্তান সরকার অবস্থা বেগতিক দেখে ‘সান্ধ্য আইন’ জারি করে এবং তা ১৭ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত বলবৎ
রাখে। আরেকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ ফেব্রæয়ারি তারিখে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও
প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহাকে বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করা হয় এবং আরো অনেক ছাত্র ও শিক্ষক আহত হন। ফলে দেশের
সামগ্রিক আইন শৃংঙ্খলার দ্রæত অবনতি ঘটে। এতে করে আইয়ূব খান সরকার কিছুটা হলেও ভীত হয়ে পড়ে এবং বিরোধী
দলগুলোর সাথে গোল টেবিল বৈঠকের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তৎকালীন নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে।
এ অবস্থায় নেতারা সরকারকে অসহযোগিতা করার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। অসহযোগিতার ফলে দেশের
অবস্থা আরো অবনতি হতে থাকে। আইয়ূব খান উপলব্ধি কারণ য়ে , মামলা প্রত্যাহার ব্যতিরেকে আর কোন উপায় নেই ।
তাই তিনি ২১ ফেব্রæয়ারি তারিখে এক বেতার ভাষণে ঘোষণা দেন যে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্ব›িদ্বতা
করবেন না। তার ঘোষণা অনুযায়ী শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয় ২২ ফেব্রæয়ারি তারিখে।
কারামুক্তির পরের দিন (২৩ ফেব্রæয়ারি) শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য এক বিশাল গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠনের আয়োজন করা হয়
এবং সেই অনুষ্ঠানে ছাত্র নেতা তোফায়েল আহমেদ তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ২৩ ফেব্রæয়ারির জনসভায়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের ১১ দফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান এবং ৬ দফা ও ১১ দফা অর্জনে আন্দোলন
চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রæতি ঘোষণা করেন। মামলা প্রত্যাহারের পর ২৬ ফেব্রæয়ারি আইয়ূব খান পাকিস্তানের উভয় অংশের
নেতাদের নিয়ে গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করেন। এই বৈঠকেও বঙ্গবন্ধু তার ঘোষিত ৬ দফা এবং ১১ দফা
আদায়ের লক্ষ্যে তার অবস্থান পুনরায় ব্যক্ত করেন। আইয়ূব বিরোধী আন্দোলন এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানেও ব্যাপক আকার
ধারণ করতে থাকে। ফলে আইয়ূব খানের স্বপদে বহাল থাকা কঠিন হয়ে ওঠে।
মার্চ ১৯৬৯:
মার্চ মাসে আইয়ূব বিরোধী আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশে ব্যাপকতর রূপ লাভ করলে প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খান আলাপ
আলোচনার মাধ্যমে আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। তবে ১০ মার্চের গোল টেবিল বৈঠকে আইয়ূব খান
অগত্যা পার্লামেন্টারী পদ্ধতি প্রবর্তন ও প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিন্তু এবারের
বৈঠকেও শেখ মুজিবুর রহমান তার ৬ দফার প্রশ্নে অটল থাকেন। এভাবে নানা আলপ-আলোচনা চলতে থাকে এবং কোন
প্রকার উপায় না দেখে আইয়ূব খান দেশ পরিচালনায় তার অপারগতার কথা স্বীকার করেন এবং ২২ মার্চ জেনারেল
ইয়াহিয়া খানের নিকট ক্ষমতা অর্পন করেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খানকে অপসারণ
করে তদস্থলে এম এন হুদাকে গভর্ণর নিয়োগ করেন। ফলে গোলযোগ আরো বৃদ্ধি পায়।
গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব:
১। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সরাসরি প্রভাব হলো- স্বৈরাচারী শাসক আইয়ূব খানের পতন। আইয়ূবখান সরকার এই
আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হন। কারণ পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের জনগণ এতে অংশ নেয় এবং আর সার্জেন্ট জহুরুল হক
এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যা করা হলে অবস্থা আরো খারাপ হয়। যা
আন্দোলনে নতুন রূপদান করে। ফলে শেষ পর্যন্ত আইয়ূব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ওপেন স্কুল ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র
ইউনিট-৯ পৃষ্ঠা ২৭৫
২। এই আন্দোলনের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা যার উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের দাবি দাওয়া
আদায়ের মূর্ত প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানকে দমনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের স্বাধীকার দাবি আন্দোলন চিরতরে দমন
করা। কিন্তু ইতিহাস চিরদিন শাসকের পক্ষে লেখা হলেও নির্যাতন ও নিপীড়ণকারী এবং শাসনের নামে শোষণকারী
বরাবরই আস্তাকূঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি, যে উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছিল তা তো
সফলতা পায়নি, বরং উল্টো মামলার উদ্যোক্তা আউয়ূব খানকেই ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হতে হয়েছিল।
৩। এই আন্দোলনের অন্যতম সাফল্য হলো সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা এবং সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিনিধি
নির্বাচনের স্বীকৃতি লাভ।
৪। এই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে বাঙালিদের যে জাতীয়তাবোধ ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের
মধ্যদিয়ে জাগ্রত হয়েছিল তার পূর্ণতা পায়।
৫। এই আন্দোলনে সফলতা পাওয়ায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ এবং নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু আলাদা রাষ্ট্র গঠনের
স্বপ্ন দেখেছিলেন তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
৬। এই গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালিদের জাতীয় চেতনার প্রতীক একুশে ফেব্রæয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত হয়।
সারসংক্ষেপ :
ঐতিহাসিক ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ঊনসত্তরের
গণঅভ্যুত্থনের পটভ‚মি রচিত হতে থাকে ১৯৪৭সালের পর থেকেই। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা ঘোষণা
করলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং ১৯৬৮ সালে তাঁকে প্রধান আসামী
করে আগরতলা মামলা দাে য়র করে। এই মামলা পূর্ব বাংলার ছাত্র আন্দোলনকে পুনরায় বেগবান করে। এই আন্দোলন
শেষ পর্যন্ত কেবল ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি তা বাংলার কৃষক,শ্রমিকসহ সর্ব সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই
প্রথম আইযুব খানের পতনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের দু‘অংশের মানুষ একযোগে মাঠে নামে। এই গণঅভ্যুত্থানে
আইয়ুব খানের পতন ঘটে এবং বাঙালিরা স্বাধীনতার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যায়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৯.৬
১। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ফলে কার পতন ঘটে?
ক. আইয়ুব খানের খ. ইয়াহিয়া খানের
গ. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ঘ. খাজা নাজিমুদ্দিনের
২। কয়টি দলের সমন্বয়ে ‘ডাক’ গঠিত হয়?
ক. ৮ খ. ১৯ গ. ১০ ঘ. ১৫
৩। ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান কত তারিখে নিহত হন?
ক. ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি খ. ১৯৬৯ সালের ২২ জানুয়ারি
গ. ১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ঘ. ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি
৪। শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়-
ক. ১৯৬৯ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি খ. ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি
গ. ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি ঘ. ১৯৬৯ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি
সৃজনশীল প্রশ্ন:
জনাব সফিক সাহেব তার কন্যা প্রিয়ন্তিকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বলছিলেন। পিয়ন্তি তার
বাবার কাছে জানতে চাইল কেন বাঙালিরা পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন শুরু করলেন? তার বাবা বললেন,
পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকচক্রের শাসন শোষন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গণ
আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরে।
ক. ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান কী? ১
খ. ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর্যায়গুলো লিখুন? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি এবং ঘটনা লিখুন। ৩
ঘ উদ্দীপকের আলোকে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্ব বর্ণনা করুন। ৪
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র