মহান আল্লাহ মানব জীবন পরিচালনার জন্য মানব প্রকৃতির সাথে সংগতিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা প্রদান করেছেন। আর তা হল
ইসলাম। ফিক্হ শাস্ত্র বা ইসলামি আইন বিজ্ঞান কালোত্তীর্ণ বিধান। এর সকল বিধি-বিধান কুরআন ও সুন্নাহ থেকে
উৎসারিত। মহানবীর (স) জীবদ্দশায়ই এর মৌল কাঠামো পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে যুগ জিজ্ঞাসার পরিপ্রেক্ষিতে
মুসলিম মনীষীদের গবেষণায় এটা ইলমে ফিক্হ বা ইসলামি আইন বিজ্ঞান রূপে পরিচিতি লাভ করে।
ফিক্হ হচ্ছে আহকামে শরীআত সম্পর্কে ইসতিম্বাত (আবিষ্কার) করার জ্ঞান। ইসলামি শরী‘আর বিধানাবলি যে শাস্ত্রে
আলোচিত হয় তাকে ফিক্হ শাস্ত্র বলা হয়। দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে বাস্তব কাজকর্ম বিষয়ে শরীআতের হুকুম-আহকাম
সম্পর্কে যিনি অভিজ্ঞ তাকে বলা হয় ‘ফকিহ'।
ফিক্হ শাস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ফিক্হের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মহানবী (স) বলেনÑ “প্রত্যেক বস্তুর কতকগুলো
স্তম্ভ আছে। আর ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে আল্-ফিক্হ।” ফক্ীহগণের মতে- দৈনন্দিন জীবনে জরুরি মাসআলা শিক্ষা করা
ফরযে আইন এবং এর চেয়ে বেশি শিক্ষা করা ‘ফরযে কিফায়া'। ফিক্হ শাস্ত্রের প্রধান উৎস- কুরআন, হাদিস, ইজমা ও
কিয়াস। এ ইউনিটে ইজমা ও কিয়াস এবং ফিক্হ শাস্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ইজমা, শরীআত, মুজতাহিদ, মধ্যমপন্থী, উম্মাত, পরামর্শ, তারাবিহের নামায, শুরা,
ইসলামি চিন্তাবিদ, ফকিহ, ইমাম।
ইজমার পরিচয়
ইজমা শব্দটি আরবি। এর আভিধানিক অর্থ- ঐকমত্য হওয়া, শক্তিশালী করা, দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া, একমত
হওয়া ইত্যাদি। সুতরাং কোন বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করার নামই হলো ইজমা। ইসলামি শরীআতের ভাষায়-“কোন কাজ
অথবা কথার ওপর এক যুগের উম্মাতে মুহাম্মদীর ন্যায়বান মুজতাহিদগণের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তকে ইজমা বলে।” ইজমা
শরীআতের তৃতীয় উৎস। গুরুত্বের বিচারে কুরআন ও হাদিসের পরেই ইজমার স্থান। কোন বিশেষ যুগে আইন সংক্রান্ত
কোন বিশেষ সমস্যার সমাধান কুরআন ও হাদিসকে অবলম্বন করে মুসলিম পÐিতগণ যে সম্মিলিত অভিমত পোষণ
করেছেন ইসলামি শরীআতে সেটা ইজমা।
১.২ ইজমা শরীআতের উৎস হওয়ার প্রমাণ
ইজমা শরীআতের উৎস হওয়ার পেছনে কুরআন ও হাদিসের যে দলিল রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলো- কুরআনে
বলা হয়েছেÑ
“তোমরাই উত্তম উম্মাত, মানব জাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দিবে অসৎকাজের
নিষেধ করবে এবং আল্লাহতে ইমান আনবে।” (সূরা আলে ইমরান-৩ : ১১০)
কুরআনে আরও বলা হয়েছেÑ “আর আমি তোমাদেরকে মধ্যমপন্থী উম্মাতরূপে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা মানুষের
প্রতি সাক্ষ্যদানকারী হতে পার। “আয়াতে উম্মাতের ন্যায়পরায়ণতাকে মধ্যপন্থী উল্লেখ করেছে, যা কিনা ইজমার একটি
পরোক্ষ দলিল।
স (লুল্লাহূরাস
“আমার উম্মাত কোন ভুল বিষয়ে ঐকমত্য হবে না।” (ইবনে মাযাহ)
উপরিউক্ত কুরআন ও হাদিসের বাণী প্রমাণ করে উম্মাতের ইজমা শরীআতের উৎস।
ইজমা যে শরীআতের উৎস তা প্রমাণিত হয় সাহাবীগণের ইজমা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। মহানবী (স)-এর ইন্তিকালের পর
মদীনা রাষ্ট্রের ভিত্তি সম্প্রসারিত হলে বিভিন্ন সমাজ ও সভ্যতার সাথে ইসলামের পরিচয় হয়। ফলে সমস্যাও বৃদ্ধি পায়।
তখন সাহাবীগণ বাধ্য হয়ে ইজমার আশ্রয় গ্রহণ করেন। আর সাহাবীদের কর্মের উপরে কোন মুসলমান সন্দেহ পোষণ
করতে পারে না। সুতরাং ইজমা শরীআতের উৎস।
১.৩ ইজমা উৎপত্তির সময়কাল
ইজমা শরীআতের তৃতীয় উৎস। এটা তৃতীয় উৎস হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (স)-এর যুগ থেকেই স্বীকৃতি লাভ করে।
রাসূলুল্লাহ (স)-এর যুগেও কোন সমস্যার সমাধান কুরআনের মধ্যে না পাওয়া গেলে রাসূলুল্লাহ (স) বিশিষ্ট সাহাবাগণের
সাথে পরামর্শ করে তার সমাধান দিতেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন“তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে।” (সূরা শুরা- ৪২ : ৩৮)
যেমনরাসূলুল্লাহ (স) উহুদ যুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাহাবীগণের সংখ্যাধিক্যের ইচ্ছায় গুরুত্ব প্রদান করলে
রসূলুল্লাহ (স) উহুদে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
খোলাফায়ে রাশেদার যুগে
খোলাফায়ে রাশেদার আমলে ইসলামি রাষ্ট্রের পরিসীমা বিস্তৃতি লাভ করলে নানা জাতি-গোষ্ঠীর সাথে ইসলামের পরিচয়
ঘটে। ফলে নানা সমস্যারও উদ্ভব হয়। তখন উদ্ভূত সমস্যার সমাধানের জন্য ইসলামি চিন্তাবিদগণ ঐকমত্য পোষণ করে
ঐ সমস্যার সমাধান করেন। হযরত উমর (রা) নানা বিষয়ে ইজমার মাধ্যমে সমাধান দিয়েছেন। খোলাফায়ে রাশেদার
অন্যান্য খলিফাগণও ইজমার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান দিতেন। সাহাবীদের জীবনে বহু ইজমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঘটনা
ঘটে। তাঁরাও যে সকল বিষয়ে কুরআন ও হাদিস দ্বারা সমাধান দিতে পারেননি, সেসব বিষয়ে ইজমা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
যেমনহযরত উমর (রা)-এর আমলে রমাযান মাসের বিশ রাকআত তারাবীর নামায জামাতের সাথে আদায় জনিত সমস্যার
সমাধানটি উল্লেখ করা যেতে পারে।
তাবিঈগণও কোন সমস্যার সমাধানে সরাসরি কুরআন ও হাদিসের সাহায্য পেতে ব্যর্থ হলে কুরআন ও হাদিসের সাহায্য
নিয়ে ইজমা করতেন।
বর্তমান যুগে ইজমা
বর্তমান যুগেও ইজমা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এ ব্যাপারে সকল আলিম একমত পোষণ করেছেন।
যেমনপবিত্র নগরী জেরুসালেমকে ইয়াহুদিদের হাত থেকে উদ্ধার করতে মুসলমানগণ ইজমার মাধ্যমে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
১.৪ ইজমার প্রয়োজনীয়তা
মানব সমাজ গতিশীল। মুসলিম রাষ্ট্রের বিস্তৃতির সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে মুসলিম সমাজ এমন কতকগুলো নতুন
সমস্যার সম্মুখীন হয় যার সমাধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা কুরআন ও হাদিসে পাওয়া যায়নি। অথচ কুরআনে আল্লাহ মানুষের
জন্য সব কিছু বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন“আমি কুরআনে কিছু বাদ রাখিনি।” (সূরা আনআম ৬ : ৩৮)
মানব জ্ঞান সসীম। তাদের সীমিত জ্ঞান-গবেষণায় কুরআন থেকে যাবতীয় সমস্যার সমাধান আহরণ করতে সক্ষম হয় না।
সুতরাং সাবাহীদের যুগ হতেই কুরআন-হাদিস থেকে না পাওয়া বিষয় ইজমার মাধ্যমে সমাধান করার প্রয়োজনীয়তা দেখা
দেয়। এ থেকে ইজমার উৎপত্তি।
১.৫ ইজমার গুরুত্ব
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে পরোক্ষভাবে ইজমার প্রতি ইংগিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন“সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরও যারা নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করেছে ও নিজেদেও মধ্যে দ্বিমত সৃষ্টি করেছে, তোমরা তাদের মত
হয়ো না।” (সূরা আলে ইমরান-৩:১০৫)
মহান আল্লাহ আরো বলেন : “তুমি যদি নিজে না জান, তবে যে জানে তাকে জিজ্ঞেস কর।” (সূরা আল নাহল-১৬:৪৩)
মহানবী (স) বলেন : “আমার উম্মত ভুল বিষয়ে একমত হবে না।”
সকল মায্হাবে ইজমাকে আইনের উৎস গন্য করা হয়েছে। সুতরাং কুরআন-হাদিসে নেই এমন কোন বিষয়ে উম্মাহর ইজমা
প্রতিষ্ঠিত হলে তা মেনে চলা প্রত্যেকের কর্তব্য।
১.৬ ইজমার পদ্ধতি
ইজমা তিনটি উপায়ে বা পদ্ধতিতে সংঘঠিত হয়। (ক) ولْ
َق বা মৌখিক উক্তি দ্বারা অর্থাৎ যখন মুজতাহিদগণ কোন বিশেষ
বিষয় সম্পর্কে প্রকাশ্য মতামত প্রকাশ করেন। (খ) علِ ْف বা কর্ম দ্বারা অর্থাৎ কার্যক্ষেত্রে যখন সকলে একই পন্থা অবলম্বন
করে কাজ করে। এতেও ইজমা সংঘঠিত হয় এবং (গ) وتْك ُس ُবা মৌন সম্মতি অর্থাৎ মুজতাহিদগণ যখন এক বা
একাধিক ব্যক্তির প্রকাশিত মতের সঙ্গে মতৈক্য প্রকাশ করেন তখন ইজমা সংঘঠিত হয়।
১.৭ ইজমার হুকুম
ইসলামি শরীআত সংক্রান্ত বিষয়ে ইজমা দ্বারা অকাট্য দলিল সাব্যস্ত হয়। তাই কোন ক্রমেই ইজমার বিরোধিতা করা যায়
না। ইজমার দ্বারা প্রবর্তিত বিধি-বিধান বিনা দ্বিধায় পালন করা কর্তব্য।
সারসংক্ষেপ
ফিক্হ্ শাস্ত্রের চারটি মূল উৎসের মধ্যে ইজমা অন্যতম। চার মাযহাবের ইমামগণ ইজমাকে শরীআতের উৎস হিসেবে
গ্রহণ করেছেন। ইজমা ব্যতীত শরীআতই অপূর্ণ থেকে যায়। সুতরাং ইজমার গুরুত্ব অত্যধিক। যেহেতু এটি কুরআন ও
সুন্নাহর ওপরে গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ফসল তাই ইজমা মেনে চলা ও বিশ্বাস করা অপরিহার্য।
পৃথিবীর সব কিছুই পরিবর্তনশীল। চলমান পৃথিবীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে যুগ জিজ্ঞাসার সঠিক ও যথার্থ সমাধান
পেশকরণে ইজমার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। ইসলামি শরী‘আতের তৃতীয় উৎস কোনটি ?
(ক) ইজমা (খ) কিয়াস
(গ) কুরআন (ঘ) হাদিস
২। গুরুত্বের বিচারে ইজমার স্থান কোথায় ?
(ক) কুরআনের পরে (খ) হাদিসের পরে
(গ) উরফের পরে (ঘ) কিয়াসের পরে
৩। ইজমার আভিধানিক অর্থ কী ?
(ক) ঐকমত্য হওয়া (খ) নীরব থাকা
(গ) সমর্থন করা (ঘ) সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪। ইজমার উৎপত্তির সময়কাল কখন ?
(ক) হযরত আদম (আ.)এর সময় থেকে (খ) হযরত রাসূলুল্লাহ (স) এর সময় থেকে
(গ) হযরত আবূ বকরের এর সময় থেকে (ঘ) হযরত উসমানের সময় থেকে
৫। তারাবির নামায জামায়াতের সাথে আদায়ের বিধান কিসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
(ক) কুরআনের মাধ্যমে (খ) কিয়াসের মাধ্যমে
(গ) ইজমার মাধ্যমে (ঘ) হাদিসের মাধ্যমে
৬। ইজমার মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়র.নতুন মূলনীতি রর. নতুন সমস্যার সমাধান
ররর.ইজমার সমাধান
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) র ও রর (খ) র ও ররর
(গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
৭। ইজমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পদ্ধতি কয়টি ?
(ক) ২টি (খ) ৩টি
(গ) ৪টি (ঘ) ৫টি
৮। ইজমা কত প্রকার ?
(ক) ২ প্রকার (খ) ৩ প্রকার
(গ) ৪ প্রকার (ঘ) ৫ প্রকার
সৃজনশীল প্রশ্ন
উদ্দীপকÑ১
জনাব আদিলুর রহমান শুক্রবারে মসজিদে জুমু‘আ নামায আদায় করতে যায়। মসজিদের ইমাম সাহেবের বক্তব্য
থেকে তিনি জানতে পারেন যে, তারাবির নামাযের বিধান ইসলামের প্রথম যুগে ছিল না। মহানবী (স)-এর
ইন্তেকালের পর হযরত উমরের সময় ইজমার মাধ্যমে জামায়াতের সাথে তারারির নামাযের বিধান প্রচলিত হয়।
ইজমার অনুমোদিত না হলে জামায়াতের সাথে তারারির নামায আদায়ের বিধান হয়তো পেতাম না।
ক. ইজমা কী ? ১
খ. ইজমার উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে ? ২
গ. ইজমা ইসলামি শরী‘আতের উৎস হওয়ার প্রমাণ কী ? ৩
ঘ. ইসলামি শরী‘আতে ইজমার প্রয়োজনিয়তা কতটুকু ? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করুন ৪
উদ্দীপক-২
জহির সাহেব বাস্তব জীবনে কুরআন ও হাদিসের পূর্ণ অনুসরণ করার চেষ্টা করেন। তিনি মনে করেন, পবিত্র
কুরআন ও হাদিসের শিক্ষার বাইরে অন্য কোন মত ও পথ খোঁজ করা উচিত নয়। কিন্তু জুবায়ের সাহেব মরণোত্তর
চক্ষুদান বিষয়ে শরী‘আতের ফয়সালা জানতে চান। তিনি জানতেন কুরআন হাদিস ব্যতীত শরী‘আতের আরও
দুটি উৎস রয়েছে, সেগুলোর ওপর আমল করা জায়েয এবং এর মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ করা যায়।
ক. ইসলামি শরী‘আতের উৎস কয়টি ? ১
খ. ইজমা কত প্রকার ও কি কি ? ২
গ. জহির সাহেবের উল্লিখিত মনোভাব পোষণ কী যথার্থ ? ব্যাখ্যা করুন। ৩
ঘ. জুবায়ের সাহেবের সাথে জহির সাহেবের মনোভাবের কী পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় বলে
আপনি মনে করেন ? এ ব্যাপারে আপনার মতের পক্ষে প্রমাণ দিন। ৪
উত্তরমালা: ১। ক ২। খ ৩। ক ৪। খ ৫। গ ৬। ক ৭। খ ৮। ক
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র