ফিক্হ, শরী‘আত, ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, নফল।
ফিক্হ
ফিক্হ শাস্ত্র মূলত কুরআন-হাদিসের নির্যাস। মানুষের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম সুষ্ঠু পরিচালনার ক্ষেত্রে এ শাস্ত্রের
গুরুত্ব অপরিসীম। এ শাস্ত্রের কতিপয় পরিভাষা রয়েছে।
ফিক্হ শাস্ত্রে ব্যবহৃত আহকাম
ইসলামি শরীআতের বিধান মতে মানুষের কাজগুলোকে দু ভাগে ভাগ করা যায়Ñ
(১) মাশরু (শরীআত সম্মত)
(২) গাইরে মাশরু (শরীআত পরিপন্থী)।
শরীআত সম্মত কার্যাবলিকে ছয় শ্রেণিতে ভাগ করা হয় :
(ক) ফরয
ফরয অর্থ-অবশ্য পালনীয়। এটি মহান আল্লাহর অলঙ্ঘনীয় আদেশ, যা অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ তা‘আলা
সকল মুসলমানের ওপর তা অপরিহার্য ও অবশ্য কর্তব্য বলে ঘোষণা করেছেন। এর অস্বীকারকারী কাফির। এর
পরিত্যাগকারীর জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে।
ফরয দু প্রকার : যথা- (১) ফরযে আইন ও (২) ফরযে কিফায়া।
(১) ফরযে আইন
এমন ফরয যা প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবেই পালন করতে হয়। এ ধরনের ফরয কাজ এককভাবে অথবা সমষ্টিগতভাবে
আদায় করতে হয়। যেমন- সালাত ও সাওম ইত্যাদি। এজন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকতে হয়।
(২) ফরযে কিফায়া
এমন ফরয যা সমাজের কিছু সংখ্যক লোক আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায়। কিন্তু যদি কেউ আদায়
না করে, তবে সকলেই এর জন্য গুনাহগার হবে। যেমন- জানাযার সালাত ইত্যাদি।
(খ) ওয়াজিব
হাদিস দ্বারা যে সব অবশ্য পালনীয় সাব্যস্ত হয়েছে তাকে ওয়াজিব বলে। ওয়াজিবও ফরযের ন্যায় অবশ্যই পালনীয়। তবে
গুরুত্বের দিক থেকে ফরযের পরে এর স্থান। ওয়াজিব অস্বীকার করলে কাফির হয় না। বিনা কারণে তা ত্যাগ করলে
ফাসিক হবে এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
(গ) সুন্নাত
ফরয এবং ওয়াজিব ছাড়া শরীআতের যে সকল কাজ নবী করীম (স) নিজে করেছেন এবং যা করার নির্দেশ প্রদান করেছেন
বা অনুমোদন করেছেন তাকে সুন্নাত বলা হয়। এছাড়াও খুলাফায়ে রাশেদীন শরীআতের যে সকল কাজ প্রবর্তন করেছেন
সেগুলোকেও মহানবী (স)-এর সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং তা অনুসরণ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। যেমন, হাদিস
শরীফে বর্ণিত হয়েছেঅর্থ : “তোমাদের ওপর অবশ্য কর্তব্য-আমার সুন্নাত এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতের অনুসরণ করা।”
( রেওয়াতে মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-মুয়াত্তা-৩/৮০)
সুন্নাত দু প্রকার। যথা-(১) সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা ও (২) সুন্নাতে গাইরে-মুওয়াক্কাদা বা সুন্নাতে যায়িদাহ।
(ঘ) মুস্তাহাব
নবী করীম (স) যে সব কাজ কখনো কখনো অন্যদেরকে করার জন্য উৎসাহিত করেছেন তাকে মুস্তাহাব বলা হয়। মুস্তাহাব
কাজ আদায় করলে সাওয়াব হয়, তবে না করলে গুনাহ হয় না। পরিভাষায় মুস্তাহাবকে ‘নফল' ও মানদুব বলা হয়ে থাকে।
ঙ. মুস্তাহসান
যে সব কাজ উলামা মুতাকাদ্দিমীন ও মুতাআখ্খিরীন (পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আলিমগণ) কুরআন, হাদিস ও সুন্নাতের
আলোকে ভালো বলে গ্রহণ করেছেন তাকে মুস্তাহসান বলা হয়। মুস্তাহসান পালনে সাওয়াব আছে, তবে বাদ দিলে গুনাহ
হয় না।
চ. মুবাহ
যে কাজ করাতে কোন সাওয়াব নেই এবং না করাতে কোন গুনাহ নেই, শরীআতের পরিভাষায় সেসব কাজকে মুবাহ বলা
হয়। ইচ্ছা করলে তা করতে পারে, আবার ইচ্ছা করলে তা নাও করতে পারে।
হালাল
শরীআতের দৃষ্টিকোণ থেকে যে সকল বস্তু ব্যবহার করা বৈধ তাকে হালাল বলা হয়।
মাকরূহ তাহরীমী
যে সকল কাজ নিষিদ্ধ হওয়া অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত নয় ; বিনা কারণে এ সব কাজ করা গুনাহ ও শাস্তিযোগ্য
অপরাধ।
মাকরূহ তানযীহ
যে সকল কাজ পরিত্যাগ করাতে সাওয়াব লাভ হয় না এবং করলে গুনাহগার হয় না। তবে শরীআতের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়
এরূপ কাজ মাকরূহে তানযীহ।
হারাম
যে সকল কাজ নিষিদ্ধ হওয়া অকাট্য দলিল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত তাকে হারাম বলা হয়। বিনা কারণে যে এমন কাজ
করে সে ফাসিক। তার জন্য কঠিন আযাব নির্ধারিত। হারামের অস্বীকারকারী কাফির। ফরয এবং হারাম প্রমাণের বিষয়টি
একই পর্যায়ের। ফরয কাজ করা ফরয আর হারাম কাজ বর্জন করাও ফরয।
ক্স মুফতি
যিনি ফাতাওয়া দান করেন। যে ফিক্হতত্ত¡বিদ বিভিন্ন ঘটনা ও বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দান করেন তাকে মুফতি
বলা হয়। মুফতির জন্য উসূলে শরীআত হতে মাসআলা উদ্ভাবনের যোগ্যতা থাকা অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
আল্লামা শামী (র) বলেন, যে ব্যক্তি মুজতাহিদ নন সে ব্যক্তি মুফতি হতে পারেন না। এমন ব্যক্তির নিকট যখন কোন প্রশ্ন
করা হয়, তখন তার উচিত তার ঐ কথাটি কোন মুজতাহিদের উক্তি তা উল্লেখ করা। এমন ব্যক্তি মূলত ফাতাওয়া
নকলকারী হিসেবে গণ্য হন।
ক্স আল ইমামুল-আযম : (বড় ইমাম)
হানাফি ফিকহের কিতাবে ‘আল-ইমাম' কিংবা আল-ইমামুল আযম শব্দের প্রয়োগ হলে এর মাধ্যমে হানাফি মাযহাবের
ইমাম আবু হানিফা (র) কে বুঝানো হয়ে থাকে।
রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে দ্বীনী ও দুনিয়াবী সকল বিষয়ে যাঁর সঠিক কর্তৃত্ব থাকে, তাঁকেও ইমাম বলা হয়।
ক্স সাহিবাইন, শায়খাইন, তারফাইন
হানাফি মাযহাবে সাহিবাইন শব্দ দ্বারা ইমাম আবু হানিফা (র)-এর শিষ্যদ্বয় যথাক্রমে ইমাম আবু ইউসুফ (র) ও ইমাম
মুহাম্মদ (র) কে একসঙ্গে বুঝানো হয়। অনুরূপভাবে শায়খাইন শব্দ দ্বারা স্বয়ং ইমাম আবু হানিফা ও তাঁর প্রধান শিষ্য
ইমাম আবু ইউসুফ (র) কে একত্রে বুঝানো হয়ে থাকে। তারফাইন শব্দের মাধ্যমে একত্রে ইমাম আবু হানিফা ও তাঁর
অন্যতম শিষ্য ইমাম মুহাম্মদ (র)-কে বুঝানো হয়ে থাকে।
আয়িম্মায়ে ছালাছা
হানাফি মাযহাবে আয়িম্মায়ে ছালাছা বলতে তিন ইমাম অর্থাৎ হযরত আবু হানিফা (র), ইমাম আবু ইউসুফ (র) ও ইমাম
মুহাম্মদ (র) কে বলা হয়। আর সাধারণভাবে ইমাম আযম আবু হানিফা ছাড়া ইমাম মালিক, ইমাম শাফিঈ ও ইমাম
আহমদ (র) কে বুঝানো হয়।
ক্স আয়িম্মায়ে আরবাআ
ফিক্হর কিতাবে আয়িম্মায়ে আরবাআ বলতে চার ইমামকে বুঝানো হয়। ইমাম চার জন হলেনÑ ইমাম আবু হানিফা, ইমাম
শাফিঈ, ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র)।
ক্স মুতাকাদ্দিমীন ও মুতাআখ্খিরীন
ফিকহের কিতাবে মুতাকাদ্দিমীন অর্থাৎ পূর্ব কালের উলামা বলতে সাধারণত তাঁদেরকে বুঝানো হয়ে থাকে, যাঁরা তিন ইমাম
অর্থাৎ, ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ (র)-এর সাহচর্য লাভে ধন্য হয়েছেন। আর তাঁদের
পরবর্তীগণকে মুতাআখখিরীন অর্থাৎ পরবর্তী কালের উলামা বলা হয়।
ক্স ইস্তিহ্সান
ইসতিহসান শব্দের অর্থ কোন কিছুকে ভালো মনে করা। পরিভাষায় ইস্তিহসান শব্দটি এমন দলিলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা
হয়, যা কিয়াসে জলীর মোকাবিলায় আসে।
ক্স ইজতিহাদ ও মুজতাহিদ
ইজতিহাদ শব্দের অর্থ চেষ্টা সাধনা করা। পরিভাষায় কোন ফকিহ আলিমের কোন শরয়ী হুকুম সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভের
নিমিত্তে চিন্তা ও গবেষণা করাকে ইজতিহাদ বলা হয়। শরয়ী হুকুম গবেষণাকারীকে বলা হয় মুজতাহিদ।
ক্স আল মাযাহিবুল আরবাআ
প্রসিদ্ধ ফিক্হী চার মাযহাবকে এক সাথে আল-মাযাহিবুল আরবাআ বলা হয়ে থাকে। মাযহাব চারটি হলÑহানাফি, শাফিঈ,
মালিকি ও হাম্বলী।
সারসংক্ষেপ
জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রাশাখার বিশেষ বিষয়কে নির্দেশ করার জন্য কিছু ভাষা-পরিভাষা থাকে। সে সব
পরিভাষা জানা থাকলে উক্ত জ্ঞানের কথা সহজে বুঝা যায়। ফিক্হ শাস্ত্রেরও পরিভাষা রয়েছে যা আমরা এ পাঠ
থেকে জানলাম।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। ‘গাইরে মাশরু’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) শরী‘আত সম্মত (খ) মধ্যম পন্থী
(গ) শরী‘আত পরিপন্থী (ঘ) কট্টরপন্থী
২। ‘ফরয’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) অবশ্য পালনীয় নয় (খ) ইচ্ছাধীন
(গ) অবশ্য পালনীয় (ঘ) অনিচ্ছাকৃত
৩। ‘ফরয’ কত প্রকার ?
(ক) দুই প্রকার (খ) তিন প্রকার
(গ) চার প্রকার (ঘ) পাঁচ প্রকার
৪। ‘ওয়াজিব’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) অবশ্য পালনীয় নয় (খ) ইচ্ছাধীন
(গ) অবশ্য পালনীয় (ফরযের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ)
(ঘ) অতিরিক্ত
৫। ‘সুন্নাত’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) আচার (খ) রীতিনীতি
(গ) অপব্যবহার (ঘ) মত ও পথ
৬। ‘হালাল’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) বৈধ (খ) অবৈধ
(গ) খাওয়ার অনুপযুক্ত (ঘ) ব্যবহারের অনুপযুক্ত
৭। ‘হারাম’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) বৈধ (খ) অবৈধ
(গ) মুবাহ (ঘ) সচরাচর
৮। ‘সাহেবাইন’ কারা ?
(ক) ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম মালিক (র.)
(খ) ইমাম আবূ হানিফা ও ইমাম মুহাম্মদ (র.)
(গ) ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ (র.)
(ঘ) ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম নাসায়ী (র.)
৯। ‘শায়খাইন’ কারা ?
(ক) ইমাম আবূ হানিফা ও ইমাম আবূ ইউসুফ (র.)
(খ) ইমাম আবূ হানিফা ও ইমাম মালেক (র.)
(গ) ইমাম মালিক ও ইমাম আবূ ইউসুফ (র.)
(ঘ) ইমাম আবূ হানিফা ও ইমাম জাফর (র.)
১০। ‘তারফাইন’ কারা ?
(ক) ইমাম আবূ হানিফা ও ইমাম শাফিঈ (র.)
(খ) ইমাম মালিক ও ইমাম মুহাম্মদ (র.)
(গ) ইমাম আবূ হানিফা ও ইমাম মুহাম্মদ (র.)
(ঘ) ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও ইমাম মুহাম্মদ (র.)
১১। ‘মুতাকাদ্দিমীন’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) পূর্বকালের উলামা
(খ) পরের কালের উলামা
(গ) আধুনিক কালের উলামা
(ঘ) মধ্যম যুগের উলামা
১২। ‘মুতাআখখিরীন’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) পূর্বকালের উলামা
(খ) পরবর্তী কালের উলামা
(গ) আধুনিক কালের উলামা
(ঘ) মধ্যম যুগের উলামা
১৩। ‘ইসতিহ্সান’ শব্দের অর্থ কী ?
(ক) কোন কিছুকে খারাপ মনে করা
(খ) কোন কিছুকে মধ্যম মনে করা
(গ) কোন কিছুকে ভালো মনে করা
(ঘ) কোন কিছু মনে না করা
সৃজনশীল প্রশ্ন
উদ্দীপক,
ইমতিয়াজ ও রোহান দু’জনই একটি নামি-দামি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। জীবনের অনেকগুলো
দিন পেরিয়ে এসে তারা আজ কিশোর জীবনে পা ফেলেছে। তারা আধুনিক বিষয় সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন
করলেও ইসলামের মৌলিক জ্ঞানটুকু পর্যন্ত তারা অর্জন করার সুযোগ পায়নি। মুসলিম ছেলে-মেয়েদের যে
ইসলামের ন্যূনতম জ্ঞানটুকু শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিল-একথাটুকু পর্যন্ত তাদের পিতা-মাতা ভুলে গেছে। ফলে
ইসলামে পালনীয় অত্যাবশ্যকীয় বিষয় সম্পর্কে তাদের ন্যূনতম জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
ক. ফরয কী ? ১
খ. ফিক্হ শাস্ত্র বলতে কী বুঝায় ? ২
গ. সাহিবাইন, শায়খাইন, তারফাইন বলতে কাদের বুঝানো হয়েছে ? ৩
ঘ. ফিক্হ শাস্ত্র কী ? ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাতের বর্ণনাপূর্বক উল্লেখ করুন যে,
উদ্দীপকে বর্ণিত সোহান ও রোহান কোন বিষয়ের জ্ঞান থেকে বঞ্চিত ছিল ? ৪
উত্তরমালা: ১। গ ২। গ ৩। ক ৪। গ ৫। খ ৬। ক ৭। খ ৮। গ
৯। ক ১০। গ ১১। ক ১২। খ ১৩। গ
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র