সাওম, সাওম, তাকওয়া, মুহাররম, রমাযান, সহমর্মিতা, ঈদুল ফিতর, উম্মাত, ঈমানি
গুণাবলি, নৈতিক গুণাবলি।
৫.১ সাওমের পরিচয়
সাওম ইসলামের পাঁচটি বুনিয়াদের মধ্যে তৃতীয়। প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত ও সুস্থ মুসলমানের ওপর রমাযান মাসে
সাওম পালন করা ‘ফরয' । সাওম মানে বর্জন করা বা বিরত থাকা। ইসলামি শরীআতের পরিভাষায় সুবহে
সাদিকের পূর্ব থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়াতের সাথে যাবতীয় পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকার নাম ‘সাওম'।
হিজরি দ্বিতীয় বছরে রমাযান মাসে ইসলামে সাওম পালন করার বিধান চালু হয়। রমযান মাসকে সাওম সাধনার জন্য
নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। ‘রময' শব্দের অর্থ-পুড়িয়ে ফেলা বা জ্বালিয়ে দেওয়া। মানুষের যাবতীয় খারাপ প্রবণতাকে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য বছর ঘুরে আসে রমযান মাস। এ মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে। রমযান মাস ইবাদাতের
মাস। মানুষ এ মাসে বেশি বেশি ইবাদাত করে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে এ মর্মে ঘোষণা দেন- “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সাওম ফরয করা হল, যেমন ফরয
করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” (সূরা বাকারা ২ : ১৮৩)
রমাযান মাসের সাওম ফরয হওয়ার পূর্বে মহানবি (স) মুহাররম মাসের দশ তারিখে সাওম পালন করতেন। এ সময়ে
রাসূলে করীম (স) ইয়াহ‚দীদের রীতি অনুযায়ী সাওম পালন করতেন।
সাওম একটি প্রাচীন ধর্মীয় বিধান। সাওমের প্রচলন সকল ধর্মের মধ্যে থাকলেও তার ধরন ও উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন।
৫.২ সাওমের ধর্মীয় গুরুত্ব
আত্মিক উৎকর্ষ সাধন : আত্মিক উৎকর্ষ সাধনে রোযা একটি অপরিহার্য বা সকল যুগ ও কালের ইবাদাত। রোযা কেবল
মুসলমানদের জন্যই অপরিহার্য নয় এবং পূর্ববর্তী কালের সকল নবী-রাসূলের উম্মাতের ওপর অপরিহার্য ছিল।
তাকওয়া সৃষ্টি :
রোযার মাধ্যমে মানব হৃদয়ে তাকওয়া ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ক্ষুধা, তৃষ্ণায় কাতর হয়েও মহান প্রভুর
ভালোবাসা ও ভয়ে বান্দার কিছু গ্রহণ না করা এবং যাবতীয় অন্যায়-অনাচার থেকে বিরত থাকা ‘তাকওয়ার' নিদর্শন। মহান
আল্লাহ বলেন- “তোমাদের ওপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন তোমাদেও পূর্ববর্তীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল, যেন
তোমরা তাকওয়ার গুণ অর্জন করতে পার।” রোযার মধ্যে কোনরূপ লৌকিকতা নেই। সাওম একমাত্র আল্লাহর প্রেম ও
ভালোবাসারই নিদর্শন। রোযা মানুষের চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। রোযা রাখলে মানব মনে খোদা-ভীতি জাগ্রত হয়,
সংযমে ও আত্মশুদ্ধিতে উদ্বুদ্ধ করে এবং মানুষকে কঠোর সাধনায় অভ্যস্ত করে। এটা একটি নীরব ইবাদাত।
রোযা ঢাল স্বরূপ : রোযা মানুষকে ষড়রিপুর আক্রমণ থেকে ঢাল স্বরূপ বাঁচিয়ে রাখে। কাম, ক্রোধ, লোভ-লালসা ইত্যাদি
রিপুর তাড়নায় মানুষ বিপদগামী হয়ে ধ্বংসের মুখোমুখি হয়; রোযা মানুষের এসকল কুপ্রবৃত্তি দমন করে। মহানবি (স)
বলেছেন : “রোযা ঢাল স্বরূপ”।
রোযা মুক্তির উপায় : কিয়ামতের কঠিন মুহ‚র্তে রোযা বান্দার মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। এ মর্মে মহানবি
(স) বলেন : “রোযা সুপারিশ করে বলবে, হে প্রভু! আমি এ ব্যক্তিকে দিনে পানাহার ও অন্যান্য কামনা বাসনা হতে
ফিরিয়ে রেখেছি। আপনি আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। আল্লাহ সুপারিশ গ্রহণ করবেন।” (বাইহাকী)
সাওমের ফযীলতও অনেক বেশি। আল্লাহ নিজ হাতে এর প্রতিদান দেবেন। হাদিসে কুদসিতে এসেছে“সাওম একমাত্র আমার জন্য। আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।” (মিশকাত)
রমাযানের শেষের দশ দিন আরও তাৎপর্যপূর্ণ এ জন্য যে, এ সময়ে ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফে অনেক সওয়াব আছে।
রমাযানের পুরো মসই ফযীলতপূর্ণ। এর পর আসে ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয়
পর্ব। এ দিনে মুসলমানরা ঈদগাহে জামাআতে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করেন। সালাতের পূর্বে প্রত্যেক সামর্থ্যবান
মুসলমানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফিতরা আদায় করতে হয়। ফরয সাওম ব্যতীত নফল সাওমও আছে। বছরে পাঁচ দিন ব্যতীত
অন্য যে কোন দিন তা পালন করা যায়।
৫.৩ সাওমের সামাজিক শিক্ষা
সহানুভ‚তি ও সহমর্মিতা সৃষ্টি : সাওমের অনুশীলনের মাধ্যমে সামাজিক জীবনে মানুষ ক্ষুধার্ত, অনাহারী ও অর্ধাহারী মানুষের
দুঃখ-কষ্ট এবং ক্ষুধা-পিপাসার অসহ্য কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে
আদর্শ সমাজ গঠন : সাওম পালনের মাধ্যমে মানুষ ষড়রিপুর তাড়না থেকে রক্ষা পায়। যার ফলে লোভ-লালসা, কামনাবাসনা, ক্রোধ, হিংসা-বিদ্বেষ, মিথ্যা প্রতারণা, প্রবঞ্চনা, পরনিন্দা, ঝগড়া-ফাসাদ, অশ্লীলতার চর্চা প্রভৃতি থেকে মুক্ত হয়ে
সুষ্ঠু-সুন্দর আদর্শ জীবন লাভ করে থাকে।
সদ্ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে : সাওম সমাজের অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের সাথে সদ্ব্যবহারের শিক্ষা দেয়। এ প্রসঙ্গে নবী
করীম (স) -বলেন, “এ মাসে যারা দাস-দাসীদের প্রতি সদয় ব্যবহার কওে, তাদের কাজের বোঝা হালকা করে দেয়,
আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং দোযখের আগুন হতে রক্ষা করেন।”
দৈহিক সুস্থতা বিধান : সাওমের মূল উদ্দেশ্য নৈতিক, আধ্যাত্মিক, ঈমানি গুণাবলি সৃষ্টি করে। কিন্তু এসব গুণাবলি অর্জনের
পাশাপাশি দৈহিক কল্যাণের দিকটি কোনক্রমেই বাদ দেওয়া যায় না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে।
অব্যাহত ভোগ মানুষের দেহযন্ত্রকে অবসন্ন ও একঘরে করে দেয়। এ জন্য মাঝে মধ্যে উপবাস থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
প্রশিক্ষণ : পবিত্র রমযান মাস হচ্ছে মুসলমানদের জন্য প্রক্ষিণের মাস। রমযান মাস হচ্ছে বছরের ১২ মাসের মধ্যে এক
মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স। এটি সমাপ্ত করতে হবে দক্ষতার সাথে। আর এ দক্ষতা বাকি ১১ মাস কাজে লাগাতে হবে।
রমাযান মাসের সাওম পালন একটি সমষ্টিগত ইবাদাত। এ মাসের আগমনের সাথে সাথে সারা দুনিয়ার মুসলমানদের মধ্যে
এক অনাবিল প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়। এ মাসে প্রতিযোগিতা শুরু হয় ইবাদাত-বন্দেগি, দান-খয়রাত, পারস্পরিক
সহানুভ‚তি ও সহযোগিতায় কে কার চেয়ে বেশি অগ্রগামী হবে।
এর মাধ্যমে ঐক্য ও সৎসাহস বৃদ্ধি পায়। এভাবে সাওম আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
আর্থ-সামাজিকতার ক্ষেত্রে : সাওমের অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। মানুষে মানুষে ভেদাভেদহীন ও শোষণমুক্ত আর্থ-
সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে সাওম বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম। মুসলমান এ মাসে দান-খয়রাত, যাকাত-ফিতরা
ইত্যাদির মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসে।
সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা : উন্নতি ও বিকাশের জন্য মানুষের উত্তম পরিবেশ প্রয়োজন। পবিত্র ও পুণ্যময় জীবন যাপনের
জন্য পবিত্র ও সুন্দর অনুক‚ল পরিবেশ একান্ত অপরিহার্য। রমযান মাস মুসলমানদের জন্য এক সুন্দর ও পূতপবিত্র পরিবেশ
নিয়ে আসে।
সারসংক্ষেপ
সাওম মুসলমানদের মধ্যকার সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। রমাযান আসার সঙ্গে সঙ্গে সকল সামাজিক বৈষম্য
দূরীভ‚ত হয়। এ একটি মাস ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল মুসলমানকে সমভাবে পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। যে
ধনী ব্যক্তির ঘরে খাদ্য বস্তুর প্রাচুর্য রয়েছে, তাকেও দু এক দিন নয়, পুরো এক মাস দিনের বেলা অনাহারে কাটাতে হয়।
সুতরাং মুসলিম জাহানে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সকল মানুষকে এ সময়ে একই পর্যায়ে এনে দেয়। রমযান মাসের ক্ষুধার
অনুভ‚তি ধনীর অন্তরে দরিদ্রের জন্য সহানুভ‚তি জাগিয়ে দেয়।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ কোনটি ?
(ক) সালাত
(খ) যাকাত
(গ) সাওম
(ঘ) হজ্জ
২। কার ওপর সাওম বাধ্যতামূলক ?
(ক) প্রাপ্ত বয়ষ্ক সব পুরুষদেরর ওপর
(খ) প্রাপ্ত বয়ষ্ক সব মুসলমানের ওপর
(গ) প্রাপ্ত বয়ষ্ক সব নারীর ওপর
(ঘ) প্রাপ্ত বয়ষ্ক সব মুসলমান পুরুষের ওপর
৩। কখন সাওম এর বিধান চালু হয় ?
(ক) হিজরি প্রথম বছরে রমাযান মাসে
(খ) হিজরি দ্বিতীয় বছরে মুহাররম মাসে
(গ) হিজরি দ্বিতীয় বছরে রমযান মাসে
(ঘ) হিজরি তৃতীয় বছরে রমযান মাসে
৪। রমযানের সাওম ফরয হওয়ার পূর্বে মহানবি (স) কখন রোযা রাখতেন ?
(ক) মুহাররম মাসের দশ তারিখে (খ) রমাযান মাসের দশ তারিখে
(গ) রজব মাসের দশ তারিখে (ঘ) রবিউল আউয়াল মাসের দশ তারিখে
৫। কোন ইবাদত প্রাচীন অনুশাসন ?
(ক) সালাত (খ) যাকাত
(গ) সাওম (ঘ) হজ্জ
৬। রোযা ঢাল স্বরূপ-এটা কার বাণী ?
(ক) আল্লাহর (খ) রাসূল (স) -এর
(গ) আবু বকর (রা)-এর (ঘ) আয়িশা (রা.)-এর
৭। হাশরের মাঠে রোযাদারগণ কোথায় স্থান লাভ করবে ?
(ক) আল্লাহর আরশের নিচে (খ) আল্লাহর আরশের ওপরে
(গ) আল্লাহর আরশের ডান দিকে (ঘ) আল্লাহর আরশের বাম দিকে
৮। রোযার পুরস্কার কী ?
(ক) বান্দার মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে
(খ) বান্দার খাদ্যের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে
(গ) বান্দার পানি লাভের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে
(ঘ) বান্দার সুস্থতার জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে
৯। ই‘তিকাফ কী ?
(ক) রমাযান মাসে মসজিদে অবস্থান করা (খ) মসজিদে অবস্থান করা
(গ) মসজিদের বারান্দায় অবস্থান করা (ঘ) মসজিদের ওপরে অবস্থান করা
১০। কখন ফিতরা দিতে হয় ?
(ক) মুহাররম মাসে (খ) রমাযান মাসে
(গ) রজব মাসে (ঘ) সাবান মাসে
১১। মুসলমানদের প্রশিক্ষণের মাস কোনটি ?
(ক) মুহাররম মাস (খ) সফর মাস
(গ) রমাযান মাস (ঘ) যিলহজ্জ মাস
১২। সর্বজনীন ও সমষ্টিগত আর্ন্তাতিক ইবাদত কোনটি ?
(ক) রমযান মাসে হজ্জ পালন করা (খ) রমাযান মাসে জুমা আদায় করা
(গ) রমাযান মাসে কুরবানী করা (ঘ) রমাযান মাসে রোযা পালন করা
নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ১৩ ও ১৪নং প্রশ্নের উত্তর দিনএকদা জামিল সাহেব তার এক আত্মীয় গফুর সাহেবের বাসায় গেলেন। গফুর সাহেব তখন জামিল সাহেবের
খাওয়ার আয়োজন করলেন। তখন গফুর সাহেব বললেন- আমি আল্লাহর এমন একটি বিধান পালন করছি যা
যাবতীয় পানাহার থেকে বিরত রাখে।
১৩। গফুর সাহেব আল্লাহর কোন বিধানটি পালন করে চলেন ?
(ক) নামায (খ) রোযা
(গ) হজ্জ (ঘ) যাকাত
১৪। রোযা পালন করার মাধ্যমে
র. তাকওয়া সৃষ্টি হয় রর. অপরের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি হয়।
ররর. দৈহিকভাবে সুখী থাকা যায়।
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) র ও রর (খ) রর ও ররর
(গ) র ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন
উদ্দীপক
জামিল সাহেব একজন শিল্পপতি। তার শিল্পকারখানায় অনেক শ্রমিক কাজ করে। তিনি প্রচুর বেতনও দেন। তিনি
গরিব-দুঃখিদের অনেক দান-খয়রাতও করেন। গরিব আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ-খবর রাখেন। তাঁর কোন রোগ-
শোকও নেই। নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। কিন্তু রমযান মাসের সাওম পালন করেন না। তিনি বলেন,
একাধারে একমাস সাওম পালন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তিনি সিয়ামের পরিবর্তে ফিদিয়া আদায়
করেন। বিষয়টি ইমাম সাহেবের কানে গেলে তিনি জুমুআর খুৎবায় সাওমের বিস্তারিত বিধান ব্যাখ্যা করেন।
ক. সাওম কী ? ১
খ. কাদের ওপর সাওম ফরয ? ২
গ. জামিল সাহেবের কর্মকান্ড কাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ? বুঝিয়ে লিখুন। ৩
ঘ. সাওম পালন না করার পরিণতি কুরআন-হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ করুন। ৪
উত্তরমালা: ১। গ ২। খ ৩। গ ৪। ক ৫। গ ৬। খ ৭। ক ৮। ৯। ক ১০। খ
১১। গ ১২। ঘ ১৩। খ ১৪। ঘ
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র