হযরত হাসান আল-বসরী (র) ও হযরত আব্দুল কাদির জিলানি (র)

মুত্তাকী, তাবেঈ, সাহাবি, আল্লাহ প্রেমিক, উম্মুল মু‘মিনিন, তাহনিক, আবিদ, আওলাদে
রাসূল, গাউসুল আযম।
৪.১ হযরত হাসান আল-বসরী (র)
হযরত হাসান আল-বসরী (র) একজন প্রখ্যাত তাবেঈ ছিলেন। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের একজন বিখ্যাত
জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব। তিনি অত্যন্ত মুত্তাকী ও আল্লাহ প্রেমিক ছিলেন। আধ্যাত্মিক গুণে বিশেষভাবে গুণান্বিত ছিলেন।
হযরত হাসান আল বসরী (র) ২১ হিজরি মোতাবেক ৬৪২ খ্রিস্টাব্দে মদিনা মুনাওয়ারায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম
আবু সাইদ। পিতার নাম ইয়ামার। মাতার নাম খায়েরাহ, যিনি উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামার সেবিকা ছিলেন।
হাসান বসরী মায়ের সাহচর্যে বড় হতে থাকেন। হাসান বসরীর জন্মের সময় হযরত উমর (রা) খলিফা ছিলেন। জন্মের পর
‘তাহনিক’ করার জন্য হযরত উমর (রা) এর নিকট নিয়ে যাওয়া হলে তিনি তাঁকে তাহনিক করে বলেন, ‘বাহ: শিশুটি কি
সুন্দর’! খলিফার ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর নাম রাখেন ‘হাসান’। হাসান শব্দের অর্থ সুন্দর।
হযরত হাসান বসরীর মা খায়েরাহ উম্মুল মু‘মিনিন হযরত উম্মে সালমা (র) এর সেবিকা ছিলেন। হাসান বসরীকে উমে¥
সালামা (র) -এর ঘরে রেখে বিভিন্ন কাজ করতেন। হাসান বসরী যখন ক্ষুধার কারণে কেঁদে ওঠতেন, তখন উম্মে সালামা
(র) তাকে কোলে তুলে নিতেন এবং দুধ পান করাতেন।
হযরত হাসান বসরী ১৪ বৎসর বয়স পর্যন্ত উম্মে সালামার (রা) সাহচর্যে বেড়ে ওঠেন। তারপর তিনি পিতার সাথে বসরায়
চলে যান। সেখানেই তিনি বসতি স্থাপন করেন। এ কারণে তাঁকে ‘বসরী’ বলা হয়। শৈশবে তিনি কুরআন হিফয করেন।
তিনি অসংখ্য সাহাবির সাহচার্য লাভ করেন। সাহাবায়ে কিরামের নিকট হতে কুরআন, হাদিস, ফিকহ ইত্যাদিতে দক্ষতা
অর্জন করেন। মদীনার বাইরেও তিনি বসরার সমকালীন শ্রেষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও ফকিহদের নিকট জ্ঞানার্জন করেন।
হাসান বসরী (র) অনেক সাহাবিসহ হযরত আলী (রা) -এর নিকট নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। তাঁদের নিকট থেকে
তিনি ইল্মে তাসাউফের দীক্ষা লাভ করেন। এভাবে তিনি জ্ঞান ও কর্ম, মহত্ত¡ ও পূর্ণতা, তাকওয়া, খোদাভীরুতা ও
আধ্যাত্মিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ইবনে সা‘দ (র) লিখছেন“হাসান বসরী (র) ছিলেন বহু পূর্ণতার অধিকারী, উচুঁ স্তরের আলিম, সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারি ব্যক্তি। ভুল-ভ্রান্তি থেকে
মুক্ত ফকীহ, পার্থিব ভোগ বিলাসের প্রতি নির্মোহ, আবিদ, অগাধ জ্ঞানের অধিকারী, স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল ভাষী সুদর্শন এক
পুরুষ।”
হাসান বসরী সম্পর্কে ইমাম আয-যাহাবী (র) লিখেছেন‘তিনি মহাজ্ঞানী ও জ্ঞানের সাগর ছিলেন। সাহবীদের মধ্যে হতে তিনি হযরত উসমান, হযরত আলী, হযরত আবু মুসা
আল-আশ‘আরি, আবদুল্লাহ ইবনে উমর, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আমর ইবনুল আস, আনাস ইবনে মালিক, জাবির
ইবনে মুয়ারিয়া, মাকাল ইবনে ইয়াসার, আবু বাকরা, সামুরা ইবনে জুনদুব, মুগীরা ইবনে শুবা (রা) প্রমুখ শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের
নিকট থেকে হাদিসের জ্ঞান অর্জন করেন।
হাসান বসরী সম্পর্কে আল্লামা নবুবী (র) বলেন- তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত আলিম। কেউ কেউ তাকে সূফি তরিকার
তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করেন। ইমাম শা‘বী বলতেন ‘আমি এই দেশে (ইরাকে) অন্য কাউকে তাঁর চেয়ে ভালো
পাইনি।”
হযরত কাতাদা (র) মানুষকে এই বলে উপদেশ দিতেন যে- “তোমরা হাসান বসরির অনুসরণ করবে।”
ইমাম আল গাযালি (র) বলেছেন- “মানুষের মধ্যে হাসান আল বসরী (র) ছিলেন কথার দিক দিয়ে নবীদের কথার সাথে
সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যক্তি। হিদয়াতের দিক দিয়ে সাহাবিদের অধিক নিকটবর্তী। তাছাড়া ভাষার শুদ্ধতা ও স্পষ্ট
উচ্চারণে তিনি ছিলেন একজন চূড়ান্ত পর্যায়ের মানুষ।”
হযরত হাসান বসরী (র) নিজকে খুবই ছোট মনে করতেন। তিনি সাহাবিদের মতো বিনয়ী জীবন যাপন করতেন। অহেতুক
ও বাজে কথা তিনি কখনো বলতেন না। তাঁর যাবতীয় কথা হতো জ্ঞান-মূলক ও উপদেশমূলক। তিনি বিশুদ্ধ সাবলিল ও
প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলতেন। তিনি অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে কথা বলতেন। তিনি হাজ্জাজ বিন
ইউসুফের বিভিন্ন অপকর্মের জোরালো প্রতিবাদ করে সাহসকিতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
হাসান বসরী বলতেন- “যে ব্যক্তি তার বিনয়ীভাবের জন্য পশমের মোটা পোশাক পরে, আল্লাহ তার দৃষ্টি ও অন্তরের
আলো বাড়িয়ে দেন। আর যে ব্যক্তি লোক দেখানোর উদ্দেশে পরে, তাকে খোদাদ্রোহীদের সাথে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা
হবে।” এমনিভাবে বিভিন্ন উক্তির মাধ্যমে লোকদেরকে তিনি সংযত করার পাশাপাশি আল্লাহ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেন। হাসান
বসরীর (র) চেষ্টায় বসরা, কুফা, বাগদাদ সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইলমে তাসাউফের প্রচার ও প্রসার লাভ করে। এজন্য তাঁকে
সূফিবাদের শাস্ত্রীয় ও তাত্তি¡ক প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
তাঁর শিষ্য হিসেবে রাবেয়া বসরী (র), হাবিব আযমিসহ অনেক উঁচু স্তরের অলি ছিলেন। তিনি আবদুল ওয়াজিদ বিন
যায়েদ (র) কে খিলাফত প্রদান করেছিলেন।
হাসান বসরী (র) ৮৮ বছর জীবিত ছিলেন। তিনি ১১০ হিজরি মোতাবেক ৭২৮ খ্রি. জুমুআর রাতে ইন্তেকাল করেন।
৪.২ হযরত আবদুল কাদির জিলানি (র)
হযরত আবদুল কাদির জিলানি ৪৭০ হিজরি মোতাবেক ১০৭৭ খ্রি. ইরানের জিলান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্মস্থানের
নামানুসারে তাঁকে জিলানি বলা হয়। তাঁর উপনাম আবু সালেহ, উপাধী মাহবুবে সুবহানি (আল্লাহর প্রিয়), কুতুবে রব্বানি
(প্রতি পালকের দলের নেতা)। পিতার নাম আবু সালেহ মুসা, মাতার নাম সাইয়্যেদা উম্মুল খায়ের ফাতিমা। আবদুল
কাদির জিলানি পিতার দিক দিয়ে হযরত হোসাইন (রা) -এর বংশধর এবং মাতার দিক থকে ইমাম হোসাইন (রা) -এর
বংশধর ছিলেন। এজন্য হযরত আবদুল কাদির জিলানিকে ‘আওলাদে রসূল’ বলে গণ্য করা হয়।
শিক্ষা- দীক্ষা
বাল্যকাল থেকে আবদুল কাদির জিলানি (র) পড়াশুনার প্রতি খুব মনোযোগী ছিলেন। অল্প বয়সে তার পিতা ইন্তেকাল
করেন। তাঁর মা তাঁর প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। তাঁর মাতা অত্যন্ত পরহেযগার ছিলেন এবং সময় সুযোগ পেলেই
কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে সময় কাটাতেন। আবদুল কাদির জিলানি (র) তখন মায়ের কাছে বসে তা শুনতেন।
মায়ের কুরআন তিলাওয়াত শুনেই তিনি পাঁচ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন শরীফের আঠারো পারা মুখস্থ করে ফেলেন।
উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র বাগদাদ গমন করেন। সেখানে তিনি নিযামিয়া বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তি
হন। সেখান থেকেই তিনি তাফসির, হাদিস, ফিক্হ, উসূল, ধর্মতত্ত¡, তর্কশাস্ত্র, ইতিহাস ও দর্শনে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন।
বয়সের দিক দিয়ে কম হলেও পড়াশুনায় ছিলেন খুবই মনোযোগী। তাই অল্প দিনের মধ্যেই তিনি অনেক কিছু শিখে
ফেলেন। আরবি ভাষায় তিনি দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। আরবিতে সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখতে পারতেন। বাগদাদে শিক্ষা
গ্রহণকালে তিনি কষ্ট স্বীকার করেন। খেয়ে না খেয়ে তিনি লেখা পড়া করেছেন। এ অদম্য ইচ্ছার কারণেই তিনি জগত বিখ্যাত জ্ঞানী হতে পেরেছিলেন।
গ্রন্থ রচনা
আবদুল কাদির জিলানি (র) শুধু ইলমে শরী‘আত ও মারিফাতের পÐিত ছিলেন না ; বরং তিনি কাব্য, দর্শন, ইতিহাস,
ভূগোল প্রভৃতি শাস্ত্রে সুপÐিত ছিলেন। তাঁর প্রণীত কিতাবের মধ্যে রুতুহুল গায়েব, গুনিয়াতুত তালেবিন, ফাতহুর রব্বানী,
কাসীদায়ে গাওসিয়া, হিযবু বাশারিল খাইরাত, জালালুল খাতির, আল-মাওয়াহিবুর রহমানিয়া, বাহ্জাতুল আস্রাত।
সত্যবাদিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন
আবদুল কাদির জিলানি (র) যখন উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশে বাগদান গমন করেন, তখন তাঁর মা তাঁকে ৪০টি স্বর্ণমুদ্রা
জামার আস্তিনের মধ্যে সেলাই করে দিয়েছিলন। আর মিথ্যা না বলার উপদেশ দিয়েছিলেন। মায়ের উপদেশ তিনি মনে-
প্রাণে গ্রহণ করেছিলেন। বাগদাদ যাওয়ার সময় তাঁর কাফেলা ডাকাতের কবলে পড়েছিল। ডাকাতরা যাত্রীদের সব কিছু
লুটে নেয়। অতঃপর ডাকাতরা আবদুল কাদির জিলানির (র) নিকট কিছু আছে কিনা জানত চাইলে তাঁর নিকট ৪০টি
স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে বলে জানান। জামার আস্তিনের মধ্যে লুকানো স্বর্ণ-মুদ্রা দেখে ডাকাতরা সত্য কথা বলার কারণ জানতে
চাইলেন। আবদুল কাদির জিলানি বললেন, ‘আমার মা আমাকে সর্বাবস্থায় সত্যকথা বলা ও মিথ্যা হতে বিরত থাকতে
উপদেশ দিয়েছেন। একারণেই আমি সত্য বলেছি। ডাকাত দল তাঁর এ সত্যবাদিতা ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে তাওবা করে
খাঁটি মুসলমান হয়ে যান।
স্বভাব ও চারিত্রিক গুণাবলি
আবদুল কাদির জিলানি (র.) সাধারণ মানুষ থেকে ব্যতিক্রমী একজন মহান সাধক ও জ্ঞান তাপস ছিলেন। শৈশব কাল
থেকেই তাঁর চারিত্রিক গুণাবলির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হতে থাকে। বর্ণিত আছে যে, দুগ্ধ পোষ্য অবস্থায় তিনি রমযান
মাসে দিনের বেলায় মাতৃদুগ্ধ পান হতে বিরত থাকতেন। তাঁর মাতা তাঁকে দুগ্ধ পান করাতে গেলে তিনি মুখ ফিরিয়ে
নিতেন। নিষিদ্ধ ৫ দিন ব্যতীত সারা বছর তিনি রোযা পালন করতেন। এর মধ্য দিয়েই তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে।
আবদুল কাদির জিলানি (র) অত্যন্ত মানব দরদি ছিলেন। গরিব-দুঃখীদের তিনি অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং সাহায্য
করতেন। তাঁর ছাত্র জীবনে বাগদাদে অনটন দেখা দিয়েছিল। তিনি তাঁর নিকট থাকা স্বর্ণমুদ্রা হতে অভাবীদেরকে সাহায্য
করেছিলেন এবং নিজে না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন।
আবদুল কাদির জিলানি (র) শরী‘আতের জ্ঞানার্জনের পর মারিফাতের (আধ্যাত্মিক) জ্ঞান লাভের জন্য বাগদাদের বিখ্যাত
সূফি-দরবেশগণের দরবারে যাতায়াত শুরু করেন। আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য তিনি ২৫ বছর লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিলেন।
৫২১ হিজরির শেষ ভাগে তিনি পুনরায় লোকালয়ে ফিরে আসেন এবং দ্বীন প্রচার শুরু করেন।
কাদিরিয়া তরিকা প্রতিষ্ঠা
আবদুল কাদির জিলানি (র) -এর নামে সূফিদের একটি তরিকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর নাম তরিকায়ে কাদিরিয়া ( الطريقة
القادرية ।(এ তরিকায় ইলমে শরী‘আত ও ইলমে তাসাউফে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হযরত আবদুল কাদির জিলানি
(র.) এ তরিকার ইমাম। আমাদের দেশে তিনি ‘বড়পীর’ হিসেবে পরিচিত। অনেকে তাঁকে ‘গাউসুল আযম’ও (মহান সাহায্যকারী) বলে থাকেন।
ইন্তেকাল
আবদুল কাদির জিলানি ৯০ বৎসর বয়সে ৫৬১ হিজরি সালের ১১ই রবিউস সানি ইন্তেকাল করেন।
সারসংক্ষেপ
ইমাম হাসান বসরী (র) একজন প্রখ্যাত তাবেঈ ও জ্ঞান সাধক ছিলেন। তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রেমিক মহামণীষী। তাঁর
অবদান যেমন ছিলো ইলমে শরী‘আতে, তেমনি ছিলো ইলমে মা‘রিফাতে। নির্লোভ-নির্মোহ মানবদরদী ও মানবতার বন্ধু
ছিলেন তিনি। আরেকজন মহাজ্ঞানী ও মহাপÐিত ছিলেন আব্দুল কাদির জিলানি (র)। যিনি ছিলেন শরী‘আত ও
মা‘রিফাতের জ্ঞানের মোহনা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত তরিকার নাম কাদিরিয়া তরিকা। তিনি ছিলেন বড় পীর বা মহান শিক্ষক।
তিনিও ছিলেন উন্নত মানবিক চরিত্রের অধিকারী মানবতার বন্ধু।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১. ইসলাম কোন বিষয়টি সমর্থন করে না?
(ক) তাসাউফ (খ) তাযকিয়া (গ) তারবিয়াত (ঘ) বৈরাগ্যবাদ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ুন এবং ২ ও ৩ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
আবুল কালাম সাহেব প্রখ্যাত দীনদার জ্ঞানী। ইসলামি শরী‘আতের বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে তাঁর কোন ত্রæটি নেই,
ইতোমধ্যে তাকে প্রায়ই দেখা যায় নামাযের পরও দীর্ঘক্ষণ দুনিয়াবি চিন্তা মুক্ত হয়ে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকেন।
২. আবুল কালাম সাহেবের মাঝে কোন বিষয়টির আভাস পাওয়া যায়?
(ক) বৈরাগ্যবাদের (খ) তাসাউফের (গ) যাদুর (ঘ) শারীরিক দুর্বলতার
৩. তাসাউফের জ্ঞানের জন্য শরণাপন্ন হতে হয়র. উস্তাদের রর. হক্কানি মুর্শিদের ররর. বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) রর ও রর (গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ৪ ও ৫নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
মনোয়ার সাহেব অনেক আধ্যাত্মিক পুরুষদের জীবনী পড়েছেন। তাঁদের জীবনী পড়ার মধ্য দিয়ে মনোয়ার সাহেবের মধ্যে
বিরাট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে হাসান আল-বসরী তার জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
৪। হাসান আল-বসরী কী ধরণের লোক ছিলেন ?
(ক) তাবেঈ ছিলেন (খ) ব্যবসায়ী ছিলেন (গ) কবি ছিলেন (ঘ) সাহিত্যিক ছিলেন
৫। হাসান আল-বসরীর যেসব গুণ মনোয়ার সাহেবের মনে প্রভাব বিস্তার করের. মুত্তাকী ও আল্লাহ প্রেমিক রর. একটি সুন্দর নামের কারণে
ররর. কুরআনে হাফিজ ছিলেন
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) রর ও রর (গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন
উদ্দীপক-১
মাজেদ সাহেব একজন মধ্যবয়সী সচ্ছল মানুষ। কিন্তু তিনি কখনো অপব্যয় করেন না এবং মৌলিক ইবাদাত বাদ দেন না।
বর্তমানে তিনি অধিক রাত জেগে সালাত ও যিকির-আযকার করছেন অন্তরের পরিশুদ্ধি এবং আল্লাহর নৈকট্যের আশায়।
তার ভাই নাসিম বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। তিনি শুধু মৌলিক ইবাদতটুকুই করেন। জীবনযাপনের ব্যাপারে
জিজ্ঞাসিত হয়ে বলেন, আমি ব্যস্ত মানুষ সময় পাই না। তাছাড়া একদম রাত জাগতে পারি না।
ক. নৈতিক মূল্যবোধ বলতে কী বোঝেন ? ১
খ. হাসান বসরীর পরিচয় দিন। ২
গ. মাজেদের আচরণ কোন দিকে ইঙ্গিত করে ? তার গুরুত্ব বর্ণনা করুন। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে আত্মশুদ্ধির উপায়গুলো বিশ্লেষণ করুন। ৪
উদ্দীপক-২
আসাদ সাহেব ও আসগর সাহেব দু’জনই ধর্মীয় ব্যক্তি। তারা তাদের ভক্তদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার
জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান। তবে দু’জনের পদ্ধতির মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। আসাদ তার অনুসারীদেরকে কেবল আত্মিক
উন্নতির পাশাপাশি শরীআতের প্রতিটি বিধান মেনে চলার প্রতি জোর তাগিদ দেন।
ক. কোন মনীষীকে মুজাদ্দিদে আলফে সানি বলা হয় ? ১
খ. আব্দুল কাদির জিলানি (র) -এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিন। ২
গ. আসাদ সাহেবের গৃহীত পদ্ধতি বাস্তাবয়নে করণীয়সমূহ কি কি উল্লেখ করুন ? ৩
ঘ. আসগর সাহেবের গৃহীত পদক্ষেপের যথার্থতা বিশ্লেষণ করুন। ৪
উত্তরমালা: ১। ঘ ২। খ ৩। ঘ ৪। ক ৫। ঘ <

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]