হযরত শেখ বাহাউদ্দিন নকশাবন্দি (র); খাজা মুইনউদ্দিন চিশতি (র); শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (র)

মারিফত, নকশবন্দ, চিশতি, মুজাদ্দিদে আলফে সানি, পীর-দরবেশ, তরিকা, ফয়েয ও
বরকত, সিলসিলা, মুরশিদ, মুরিদ, আফতাবে হিন্দ, গরিবে নেওয়াজ, সুলতানুল হিন্দ।
৫.১ হযরত শেখ বাহাউদ্দিন নকশাবন্দি (র)
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মুহাম্মদ নকশাবন্দি (র) ছিলেন নবম হিজরি শতকের একজন মহান সাধক।
তিনি বুখাবার সন্নিকটে ‘কাসরে আরেফান’ নামক স্থানে ৭১৮ হিজরি সনের মুহাররাম মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার
নাম ছিল হযরত জালালুদ্দিন (র) হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মুহাম্মদ নক্শবন্দী (র.) শৈশবকাল হতেই হযরত মুহাম্মদ
সামমাসী (র) এর সাহচর্যে আসেন। বাল্যকাল হতেই তাঁর চরিত্র-আদর্শে আধ্যাত্মিকতার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যাচ্ছিল।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় তাঁর জীবন যাপন ছিল অতি সাদামাটা।
১৮ বছর বয়সে তিনি বাবা মুহাম্মদ সামমাসির নিকট হতে সূফি তরিকার শিক্ষা লাভ করেন। সামমাসির ইন্তেকালের পর
বাহাউদ্দিন বুখরায় ফিরে যান। এরপর তিনি নাফাস গমন করে আস-সামমানির বিখ্যাত শিষ্য আমির কুলানের নিকট শিক্ষা
গ্রহণ করেন। এরপর আবার বুখারায় ফিরে আসেন এবং আমির কুলানের বিখ্যাত শিষ্য আরিফ আদ্-দাদীক কিরানির নিকট
সূফিবাদের শিক্ষা গ্রহণ করেন। এখানে তিনি দীর্ঘ সাত বছর শিক্ষা গ্রহণ করেন।
নকশাবন্দিয়া সিলসিলার তরিকা
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মুহাম্মদ নকশাবন্দি(র) ছিলেন হানাফি মাযহাবের অনুসারী এবং ‘নকশাবন্দিয়া’ তরীকার প্রতিষ্ঠাতা
ও ইমাম। ‘নকশবন্দ’ অর্থ চিত্রকর। তিনি নকশা বন্দি তরিকার মাধ্যমে তাঁর মুরিদানদের কলবের মধ্যে আল্লাহ পাকের
নকশা বা চিত্র অংকন করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তিনি নকশাবন্দি উপাধি লাভ করেন। তা ছাড়া তিনি ও তাঁর
সুযোগ্য খলিফাগণের প্রচেষ্টায় এ সিলসিলার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলামের প্রচার ও প্রসার লাভ করে। এজন্যও তাঁকে
নকশাবন্দিয়া বলা হয়ে থাকে। তরিকার দিক থেকে তিনি ওয়াস করনির অনুসারী ছিলেন।
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন মুহাম্মদ নক্শবন্দী (র) একবার হজ্জ পালনের জন্য গিয়েছিলেন। ঈদুল আযহার দিনে সকল হজ্জ
যাত্রী পশু কোরবানি দিলেন। তিনি কোন পশু কোরবানি না দিয়ে বলেন, আমি আজ আমার ছোট ছেলেকে আল্লাহর রাস্তায়
কোরবানি দিলাম। পরে জানা যায় যে, তার সাহেবজাদা ঐ ঈদের দিনই ইন্তেকাল করেছিলেন।
এ মহান সূফি সাধক ৭৯১ হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ৩ তারিখ ইন্তেকাল গমন করেন। তাঁকে কাসবে আরেফানে
দাফন করা হয়।
৫.২ হযরত খাজা মঈিনউদ্দিন চিশতি (র)
হযরত খাজা মুইনউদ্দিন চিশতি (র) ইরানের সানজার নামক গ্রামে ৫৩৭ হিজরি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম
গিয়াসউদ্দিন (র)। মাতার নাম উম্মুল ওয়ারাহ। পিতৃ কুলের দিক দিয়ে তিনি ইমাম হোসাইন (রা) এবং মাতৃকূলের দিক
দিয়ে ইমাম হাসান (রা) -এর বংশধর। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতিয়া তরিকায় দীক্ষা গ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব করার কারণে তাঁর
নামের শেষে চিশতি শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। চিশতি একটি গ্রামের নাম। এই গ্রামে তাঁর সপ্তম উর্ধ্বতন পীর খাজা ইসহাক
চিশতি (র) বসবাস করতেন। এজন্য তাঁর প্রচারিত তরিকাকে চিশতিয়া তরিকা বলা হয়।
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির (র) বাবা একজন আল্লাহ ভক্ত এবং বিত্তশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সর্বদা কুরআন ও হাদিসের
বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার চেষ্টা করতেন। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতিও বাল্যকালে অত্যন্ত যতœ ও স্নেহের সাথে
প্রতিপালিত হয়েছিলেন। একজন পরিপূর্ণ মানুষের অতি উন্নত চরিত্রের গুণাবলি ফুটে উঠেছে তাঁর মধ্যে। এজন্য তিনি
‘আফতাবে হিন্দ’(ভারতের সূর্য) ‘সুলতানুল হিন্দ’ (ভারতের আধ্যাত্মিক বাদশাহ) এবং ‘গরীবে নেওয়াজ’ (গরিব দরদী) ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (র) এর বয়স যখন সাত বছরে উপনীত হয়েছিলেন, তখন হতেই তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামায
নিয়মিত আদায় করতেন। শুধু নামায আদায় করেই ক্ষান্ত হতেন না, এ শিশু বয়সে তিনি নিয়মিত রোযা রাখতেন ও
যিকিরের মজলিসে যোগ দিতেন। কথিত আছে যে, তিনি যখন নয় বছর বয়সে উপনীত হন, তখন তিনি অর্থসহ কুরআন
শরীফ হিফয করেন। এরপর তিনি তাফসির, হাদিস, ফিক্হ ও ইল্মে তাসাউফের জ্ঞান অর্জন করেন।
১৫ বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। এর কিছু দিন পর তাঁর মাও ইন্তেকাল করেন। অতঃপর তিনি বুখারা গমন করেন এবং
মাওলানা শরফুদ্দীন ও মাওলানা হাসান উদ্দিনের শীষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ২২ বছর বয়সে তিনি বুখারা ত্যাগ করে জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র বাগদাদ গমন করেন। সেখানে তিনি বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানি (র) -এর সান্নিধ্য লাভ
করেন। আবদুল কাদির জিলানি (র) তাঁকে শরী‘আত, মারিফত, তরিকত ও হাকিকতের বাতিনী ইল্ম শিক্ষা প্রদান করেন।
অলী-দরবেশগণের সাহচার্য লাভের জন্য তিনি সিরিয়া, কিরমান, হামাদান, তাবরিজ, আস্তারাবাদ, আরাকান, হিরাত, বলখ
প্রভৃতি স্থান ভ্রমণ করেন। তিনি মক্কা ও মদীনা ভ্রমণ করেন।
বিখ্যাত অলী ও পীর হযরত উসমান হারূনী (র.) -এর নির্দেশনায় সর্বশেষে তিনি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তখন
ভারতবর্ষের সর্বত্র কুফর ও শিরকে পরিপূর্ণ ছিল। সেখানে তখন অত্যাচারী শাসকদের শাসন চলছিল। তাই দ্বীন প্রচারের
শপথ নিয়ে তিনি প্রথমেই দিল্লিতে উপস্থিত হন। সেখান থেকে তিনি আজমির শরীফ গমন করেন। সেখানে তিনি মসজিদ,
মাদরাসা ও খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর হিদায়াতি
বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করে।
কিন্তু সেখানকার হিন্দুরাজ রাজ্য হারানোর ভয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি ও তাঁর অনুসারীদের ওপর নানাভাবে অত্যাচারনির্যাতন শুরু করে। কিন্তু খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির কারামতের কাছে রাষ্ট্রপক্ষের কোন কৌশলই সফল হয়নি। বরং দিনদিন
তাঁর অনুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঐতিহাসিকদের মতে, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির প্রচেষ্টায় ভারত বর্ষে কিছু দিনের
মধ্য ৯০ লক্ষাধিক লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর পর তিনি স্বাধীনভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেন এবং লাখ লাখ লোক ইসলাম ধর্মে দীক্ষা লাভ করেন।
তাঁর রচিত উল্লেখ্যযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে (১) আনীসুল আরওয়াহ (২) গাঞ্জুল আসরার (৩) হাদিসুল মাআরিফ
(৪) রিসালায়ে অযুদিয়া (৫) দিওয়ানে খাজা (৬) রিসালায়ে দর কাসবে লাফুস ইত্যাদি।
হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রা) ছিলেন উত্তম চরিত্রগুণে গুণান্বিত। গরিব-দুঃখীদের তিনি অত্যন্ত ভালোবাসতেন।
অসহায়, আশ্রয়হীন ও দরিদ্র মানুষ তাঁর দরবারে অবস্থান করত। লক্ষ লক্ষ অমুসলিম তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন,
তা কোন যুদ্ধের ফলে নয় ; বরং তাঁর চরিত্র মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে।
এই মহান অলী হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (র) ৬৩৩ হি: (১১৩৬ খ্রি) ইন্তেকাল করেন। ভারতের আজমিরে তাঁকে
সমাহিত করা হয়।
৫.৩ হযরত শাইখ আহমদ সিরহিন্দি (র)
হযরত শাইখ আহমদ সিরহিন্দি (র.) ছিলেন এ উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলিম, বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা, বিশ্ববিখ্যাত সংস্কারক ও
সাধক। তাঁর নিষ্ঠা, সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগের জন্য তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন।
তাঁর প্রকৃত নাম আবুল বারাকাত বদরুদ্দীন। পিতার নাম শাইখ আহমদ আহাদ। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত
উমর (রা) -এর ২৮তম অধস্তন বংশধর ছিলেন। ভারতের পূর্ব পাঞ্জাব এলাকার সিরহিন্দ নামক স্থানে ১৪ শাওয়াল ৯৭১
হিজরি মোতাবেক ২৬ মে ১৫৬৪ খ্রি. শুক্রবার দিন তিনি জন্ম লাভ করেন।
শিশু বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআন হিফয করেন। তাঁর পিতা একজন বিখ্যাত আলিম ও বুযুর্গ ছিলেন। পিতার কাছেই তিনি
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। অতঃপর স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি ১০ বছর বয়সে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য
কানপুর গমন করেন। তিনি সেখানে দশ বছর অবস্থান করে বিখ্যাত আলিমগণের নিকট হতে কুরআন, হাদিস, তাফসির,
ফিক্হ, সাহিত্য, ইতিহাস, ভ‚গোল, দর্শন ইত্যাদি শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ইসলামের
একজন খ্যাতনামা পÐিত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
মাত্র ১৭ বৎসর বয়সে তিনি কানপুর মাদ্রাসায় অধ্যাপনা শুরু করেন। তাঁর নিকট শিক্ষা লাভের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে
অসংখ্য জ্ঞান পিপাসু আসতে থাকে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে (১) মায়ারিফ-ই-লাদ্দুনিয়্যা (২) রিসালা-ই-মাবদা ওয়া মাআদ (৩) মুকাশিফাত-ইগায়রিয়া (৪) শরহি রুবাইয়াত (৫) রিসালায়ে রদ্দে রাওয়াফিয (৬) মাকতুবাত শরীফ ইত্যাদি।
ধর্মীয় সংস্কার সাধন
তাঁর সময়ে উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে শিরক, বিদআত ও নানারূপ কুসংস্কারের প্রচলন ঘটেছিল। তখন মুসলিম শাসকগণ
স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে দেশ চালাতেন। তারা দেশে ইসলাম পরিপন্থী নানা রূপ রীতিনীতি চালু করেছিলেন। শায়খ
আহমদ সিরহিন্দি এসব দেখে চুপচাপ বসে থাকতে পারেন নি। তিনি দেশে প্রচলিত কুসংস্কারের অসারতা প্রমাণ করে
প্রকৃত ইসলাম প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে এ ভূখÐে প্রকৃত ইসলাম স্থায়িত্ব লাভ
করে।
সে সময় ইসলামের প্রচার ও প্রসারের কাজ মোটেও সহজ ছিল না। স¤্রাট আকবর কর্তৃক প্রচারিত দ্বীন-ই-ইলাহির
বিরোধিতা করায় দীর্ঘদিন তাঁকে কারাগারে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। এত নির্যাতনের মধ্যেও তিনি থেমে যাননি। বরং
তিনি সংস্কারমূলক কাজ চালিয়ে যান। তখন গোয়ালিয়রের কারাগারে যত বন্দী রাখা ছিল তারা সবাই শাইখ আহমদ
সিরহিন্দির ভক্ত ও অনুরক্ত হয়ে গিয়েছিলো। এভাবে কারাগারে থাকতেই ইসলামের এক বিরাট বিপ্লব সৃষ্টি হলো।
আধ্যাত্মিক সাধনা
শাইখ আহমদ সিরহিন্দির ছিলেন মূলত একজন সংগ্রামী সমাজ সংস্কারক। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে
তিনি সংগ্রাম করে গেছেন। পাশাপাশি তিনি আধ্যাত্মিক সাধকও ছিলেন। শরী‘আতের শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি তাঁর পিতার
নিকট আধ্যাত্মিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর তিনি দিল্লির বিখ্যাত পীর হযরত বাকী বিল্লাহর নিকট মুরিদ হন। তিনি তাঁর তরিকায় দীক্ষা গ্রহণ করেন।
মৃত্যুর পূর্বে তিনি খাদেমদেরকে বলেন, “তোমরা আমার জন্য অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করেছ। শুধু আজকের রাতটা আরও
একটু কষ্ট স্বীকার কর। এরপর হয়ত আর করতে হবে না।” শেষ রাতে উঠে উযু করে তাহাজ্জুদের নামায আদায় করে
বিছানায় বসেই বলেন, “এটাই আমার শেষ তাহাজ্জুদের নামায পড়া হলো ; হয়তো আর জীবনে কখনো ঘটবে না।”
সেদিন ফজরের নামায জামায়াতে আদায় করে মোরাকাবা-মোশাহাদায় বসলেন এবং জীবনের শেষ নামায সেদিনই পড়েছিলেন।
ইন্তেকাল
বাংলাদেশ-পাক-ভারতের একজন সাধক, সংস্কারক ও সংগ্রামী আলিম ৬৩ বছর বয়সে ২৮ সফল ১০৩৪ হিজরি
মোতাবেক ৩০ নভেম্বর ১৬২৪ খ্রি. বুধবার সিরহিন্দে ইন্তেকাল করেন। তাঁর ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশ এক মহান সাধক হারালো।
সারসংক্ষেপ
হযরত শেখ বাহাউদ্দিন নকশাবন্দি (র) ছিলেন নবম হিজরি শতকের মুজাদ্দিদ। তিনি ছিলেন হানাফি মাযহাবের
অনুসারী এবং নকশাবন্দিয়া তরিকার ইমাম ও প্রতিষ্ঠাতা।
ইরানের সীস্তান অঞ্চলের সানজার গ্রামে বিশ্ববিখ্যাত কামিল ওলি হযরত মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতি (র) ৫৩৭ হিজরিতে
জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে আফতাবে হিন্দ (ভারত সূর্য), সুলতানুল হিন্দ (ভারতের আধ্যাত্মিক সম্রাট), গরিব নওয়ায
(গরিব দরদী) ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
হযরত শাইখ আহমদ সিরহিন্দি (র) ছিলেন এ উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা, বিশ্ববিখ্যাত সংস্কারক, সাধক,
আলিম। শাইখ আহমদ মুজাদ্দিদে আলফে সানী বা ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সংস্কারক’ তাঁর উপাধি।
তাঁরা সবাই ছিলো মানবদরদী, আধ্যাত্মিক সাধক ও ধর্মীয় নেতা।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
নিচের উদ্দীপকের আলোকে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও
তাহসিন সাহেব একজন পরহেযগার মানুষ। তিনি আন্তরিকতার সাথে নামায, রোযা ও অন্যান্য ইবাদাত বন্দেগি
পালন করন। ইসলামি শরীআতের অন্যসব বিধি-বিধানও তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকেন। তাছাড়াও ইদানিং
তিনি কিছু কিছু সময় ধ্যান মগ্ন অবস্থায় কাটান। তার প্রতিবেশি রিয়াজ সাহেব বলেন- এসবের দরকার কী ? এর
মাধ্যমে তুমি তোমার মূল্যবান সময় নষ্ট করছ।
১. তাহসিন সাহেবের কর্মকাÐ কীসের শামিল?
(ক) বৈরাগ্যবাদের (খ) সুফিবাদের
(গ) মানসিক অসুস্থতার (ঘ) যাদু মন্ত্রের
২. প্রতিবেশি রিয়াজ সাহেবের মন্তব্য-
র. সুফিবাদের পরিপন্থী রর. অসম্ভব ররর. তাসাউফের পরিপন্থী
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) র ও রর (গ) র ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
৩. খাজা মুঈন উদ্দিন চিশতি (র) -এর উপাধির. গরিবে নেওয়াজ রর. গাউসুল আযম ররর. আফতাবে হিন্দ
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) র ও রর (গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
৪. অন্তরকে কলুষিত করের. তাওবা রর. আল্লাহর যিকর ররর. কৃপণতা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) র ও রর (গ) ররর (ঘ) র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন
উদ্দীপক
হযরত শাহজালাল (র) ইয়ামান থেকে বাংলাদেশ আসেন। তিনি অধিকাংশ সময় ধ্যানমগ্ন থেকে আল্লাহর ইবাদত পালন
করতেন। অল্পদিনের মধ্যে তার অসংখ্য অনুসারী গড়ে ওঠে। তার ধর্মীয় শিক্ষা পেয়ে হিন্দু আধ্যুষিত সিলেটে মুসলমানদের
সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক সময় সমগ্র বাংলাদেশ মুসলিম জনপদে পরিণত হয়। বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে মহান
ব্যক্তি হিসেবে হযরত শাহজালাল (র) -এর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
ক. কার নাম অনুসারে নকশাবন্দিয়া তরিকা গড়ে উঠে ? ১
খ. নকশাবন্দিয়া তরিকার নামকরণের কারণ ব্যাখ্যা করুন। ২
গ. হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (র)-এর জীবনের একটি ঘটনা উল্লেখ করুন। ৩
ঘ. হযরত শাইখ আহমাদ সিরহিন্দি (র) -এর সংস্কার মূলক কাজের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন। ৪
উত্তরমালা: ১। খ ২। ঘ ৩। ক ৪। গ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]