উপক‚লীয় এলাকায় এককভাবে বাগদা চিংড়ি চাষ
লোনা পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়। বাগদা চিংড়ি এদের মধ্যে অন্যতম। এটি বাণিজ্যিকভাবে
চাষ করা হয়। উপক‚লীয় এলাকায় যেখানে জোয়ার-ভাটার প্রভাব থাকে সেখানেই বাগদা চিংড়ির চাষের স্থান নির্বাচন করা
সম্ভব। বাগদা চিংড়ি চাষের জন্য লোনা পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রয়োজন এবং সমুদ্র থেকে তা পাওয়া সম্ভব। এশিয়ার
বিভিন্ন দেশে বাগদা চিংড়ির ব্যাপক চাষ হচ্ছে। বাগদা চিংড়ির উৎপাদন ভাল পেতে হলে হালকা চাষ পদ্ধতি ভালভাবে
প্রয়োগ করে ঘেরের উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব। উন্নত হালকা চাষ পদ্ধতির চারটি পর্যায়ের বর্ণনা নি¤œরূপ :
১. চাষ পুকুর বা ঘের।
২. পোনা মজুদপূর্ব পুকুর বা ঘের প্রস্তুতি।
৩. পোনা নির্বাচন, খাপ-খাওয়ানো ও মজুদ।
৪. পোনা মজুদ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা।
১. চাষ পুকুর বা ঘের :
সুষ্ঠু ঘেরের নি¤œ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে পুকুর বা ঘেরের আয়তন ১-১০ হেক্টর বা ২.৫-২৫ একরের মধ্যে হলে ভাল
হয়। পুকুর বা ঘের বর্গাকার বা আয়তাকার, চারদিকে বাঁধ মজবুত, ফাঁক-ফোঁকরমুক্ত এক মিটার পানি রাখার ব্যবস্থা
আছে এমন পুকুর বা ঘের। পুকুরের তলদেশে সমতল, পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা আছে এমন পুকুর। অমাবস্যা ও
পুর্ণিমার জোয়ারে ৭৫-১০০ সেন্টিমিটার পানি তোলার ব্যবস্থা আছে এমন পুকুর বা ঘের হতে হবে। নতুবা পাম্পের
সাহায্যে পানি সরবরাহ করতে হবে। পুকুরের ¯øুইচ গেটের সংখ্যা, সাইজ ও অবস্থান এমন হবে যেন পূর্ণিমার
জোয়ার-ভাটার সময় কমপক্ষে ৫০ ভাগ পানি নদীর টাটকা পানির সাথে পরিবর্তন করা যায় এবং পানি পরিবর্তনের
সময় সারা পুকুরে ভালো ¯্রােতের সৃষ্টি হয়। বাগদা চিংড়ি চাষের সময় পানির লবণাক্ততা ৮-১৫ পি.পি.টি-এর মধ্যে
থাকতে হবে। ঘেরের মাটির পি-এইচ ৫-এর ওপর হলে ভাল হয়। ঘের জলজ আগাছা ও শেওলামুক্ত থাকতে হবে।
২. পোনা মজুদ-পূর্ব পুকুর বা ঘের প্রস্তুতি :
ঘেরের সমস্ত পানি ভাটার সময় অপসারণ করে দিতে হবে।
ঘেরের তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকাতে হবে এবং তলদেশের জলজ আগাছা মূলসহ অপসারণ করতে হবে।
বাঁধ, ¯øুইচ গেট, বাঁশের বানা বা ছাঁকটি জাল সবকিছু মেরামত করতে হবে।
ঘেরে জোয়ারের পানির সাথে যেন কোন ক্ষতিকর প্রাণী ঢুকতে না পারে সেজন্য ¯øুইচ গেটের মুখে বাঁশের বানা বা
ছাঁকনি জাল স্থাপন করতে হবে।
বানা বা ছাঁকনি জালের উচ্চতা ঘেরের পানির সর্বাধিক উচ্চতা হতে কমপক্ষে আধামিটার হতে হবে।
ঘেরের কোথাও কোন ক্ষতিকর প্রাণী বা মাছ থাকলে তা বিনাশ করতে হবে। চুন প্রয়োগ বা রোটেনন প্রয়োগের
মাধ্যমে ধ্বংস করতে হবে। চুন বা রোটেনন প্রয়োগ করে মাছ মারা নিরাপদ। উপরের কাজগুলো প্রথম তিন
সপ্তাহে করতে হবে।
চতুর্থ সপ্তাহে মাটির পিএইচ পরীক্ষা করতে হবে। মাটির পিএইচ অনুযায়ী চুনের পরিমাণ ঠিক করা যেতে পারে।
ঘেরের তলদেশ ভালভাবে শুকানোর পর পাথুরে চুন (ঈধঈঙ৩) পরিমাণ মত লোহার ড্রামে বা মাটিতে গর্ত করে
টুকরা করে পানি দিয়ে ঠাÐা করতে হবে। চুন ফুটে ঠাÐা হওয়ার পর তা প্রয়োগ করা উচিত।
পঞ্চম সপ্তাহে চুন ছিটানোর ৭দিন পর ৬০-৮০ সে.মি. জোয়ারের পানি ছেঁকে ঘেরের মধ্যে সরবরাহ করতে হবে।
ঘেরে পানি সরবরাহের সময় প্রতি হেক্টরে ৪০ কেজি ইউরিয়া ও ২০ কেজি টি.এস.পি একত্রে একটি পাত্রে
সারারাত ভিজিয়ে গুলিয়ে তা দিনের বেলায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করার সময় ¯øুইসের মুখে ছিটিয়ে দিতে হবে।
সার প্রয়োগের পর ঘেরের পানি কয়েক দিনের মধ্যে সবুজ বর্ণ ধারণ করে থাকে। পানির স্বচ্ছতা ২৫-৪০ সে.মি.
হলে বুঝতে হবে পানিতে চিংড়ির প্রাকৃতিক খাবার উৎপন্ন হয়েছে।
পানির রং যদি সবুজ না হয় তাহলে পূর্ণমাত্রায় আবার সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। অতঃপর একটি পাত্রে সার
পানি দ্বারা গুলে ঘেরের সমস্ত জায়গায় ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
৩. পোনা নির্বাচন, খাপ খাওয়ানো ও মজুদ
ঘেরের গুণগত মান অনুযায়ী প্রতি হেক্টর জলায়তনের জন্যে ১৫,০০০-৩০,০০০ টি হিসাবে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত
বাগদা পোনা নির্বাচন করতে হবে। বাগদার ভাল পোনার বৈশিষ্ট্যগুলো নি¤œরূপ :
ক) পোনার দেহ বেশ স্বচ্ছ কোথাও ঘোলাটে ভাব বা দাগ থাকে না। খ) দেহে বেশ সোজা কোথাও কোন কোঁকড়ানো
ভাব দেখা যায় না। গ) দেহের লম্বালম্বি কালচে বা খয়েরি দাগটি স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। ঘ) সাঁতার কাটার সময়
পুচ্ছ পাখনা বেশ ছড়ানো অবস্থায় থাকে। ঙ) ঘেরের পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার সঙ্গে যতœ ও ধৈর্য্যরে সাথে
ভালো করে খাপ খাইয়ে নিয়ে পোনা ঘেরে মজুদ করতে হয়।
৪. পোনা মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা
পোনা মজুদের পর প্রথম ৫ সপ্তাহ প্রয়োজন না হলে ঘেরের পানি পরিবর্তন করা যাবে না। তবে পানির উচ্চতা
কমে গেলে পানি সরবরাহ করে ৬০-৮০ সে.মি. করার প্রয়োজন হবে। পানির স্বচ্ছতা ৪০ সে.মি.-এর বেশি হলে
পূর্ণমাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে এবং ২৫ সে.মি.-এর নিচের হলে ঘেরের এক-তৃতীয়াংশ পানি বের করে নতুন
পানি প্রবেশ করাতে হবে। পোনা মজুদের ৫ সপ্তাহ পর পানির গভীরতা বৃদ্ধি করে ৭০-১০০ সে.মি. করতে হবে।
প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ার-ভাটার চক্রে ঘেরের শতকরা ৫০ ভাগ করা উচিত। বর্ষা মৌসুমে চিংড়ির অল্প
পরিমাণ কৃত্রিম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। ত্রিশ গ্রাম বা এর বেশি ওজনের চিংড়িগুলো ধরে ফেলতে হবে। ধরার
পর সাথে সাথে ছায়াযুক্ত স্থানে প্লাস্টিকের বাক্স বা তাপপরিবাহী কোন পাত্রে বরফ ও চিংড়ির স্তর পর্যায়ক্রমে
সাজিয়ে রেখে চিংড়ি সংরক্ষণ করতে হবে। বরফজাতকৃত চিংড়িগুলো অতিদ্রæত প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায়
পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
পোনা মজুদের ৬ মাসের মধ্যে ভাটার সময় ঘেরের সমস্ত পানি বের করে দিতে হতে এবং সমস্ত চিংড়ি আহরণ করে পূর্বের
নিয়মে বরফ দ্বারা সংরক্ষণ করতে হবে।
লবণ ক্ষেতে বাগদা চিংড়ি চাষ
বাংলাদেশে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অনেক জমিতে লবণের চাষ করা হয় বহু পূর্ব থেকেই। বর্তমানে লবনের সাথে
অধিক লাভের প্রত্যাশায় লবণ ক্ষেতে চিংড়িও চাষ করা হচ্ছে। ফলে চিংড়ি চাষীরা অধিক লাভবান হতে পারেন। সঠিক
পদ্ধতিতে সর্তকতার সাথে চাষ করলে লবণের জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ লাভজনক হবে যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে
গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে সক্ষম।
চাষ পদ্ধতি :
বাংলাদেশে প্রচলিত পদ্ধতি বাগদা চিংড়ি চাষ এবং লবণ ক্ষেতে বাগদা চাষের সাধারণ কার্যাবলী একই ধরনের।
সন্তোষজনকভাবে ফলন পেতে হলে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় যা নি¤েœ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
ক. জমি প্রস্তুতকরণ : বাগদা চিংড়ির জন্য জমি প্রস্তুতে সময় যে সব বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে সেগুলো নি¤œরূপ :
১. জমির আয়তন ১ - ২ হেক্টর হলে ভালো হলে ভালো যাতে ভালোভাবে সমতল করে তৈরি করা যায়।
২. পানির শ্যাওলা ও আগাছা ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে এবং জমির আইল শক্তভাবে বাঁধতে হবে।
৩. পানির গভীরতা ১ মিটার রাখতে হবে।
৪. লবণাক্ততার মাত্রা ১৭ পিপিটি পর্যন্ত রাখতে হবে।
৫. জৈব সার ১.০ - ১.৫ কেজি, ইউরিয়া ১৭৫ - ২২০ গ্রাম টিএসপি ১৫০ - ২০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।
৬. চিংড়ির পোনা ছাড়ার পূর্বে রাক্ষুসে ও আগাছা দুর করে চুন প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি শতকে ১.০ - ১.৫ কেজি
চুন গুড়া করে পানিতে গুলিয়ে ঠাÐা করে ছিটিয়ে দিতে হবে।
৭. লবণের জমির কিছু অংশে বা নিচু অংশে জলজ গাছ বা গাছের শক্ত পাতা বা শাখা রেখে চিংড়ির আবাসস্থল তৈরি
করতে হবে।
৮. মাটির পিএইচ মেপে চুন প্রয়োগ করে ৭.০ এর উপরে রাখতে হবে।
খ. পানি ঢুকানো ও পোনা ছাড়া : জমি প্রস্তুত ও চুন প্রায়োগের ৭ - ১০ দিন পর ৬০ - ৭০ সে. মি. জোয়ারের পানি
ঢুকাতে হবে। পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হলে পোনা ছাড়তে হবে। প্রতি শতকে ১০০ - ১৫০টি পোনা ছাড়াতে হবে।
গ. সার প্রয়োগ : প্রতি মৌসুমে পোনা ছাড়ার ১ সপ্তাহ পর প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরির জন্য প্রতি শতকে ৭০ - ৯০ গ্রাম
ইউরিয়া, ২০ - ২৫ গ্রাম টিএসপি ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ঘ. চিংড়ি আহরণ : সকল চিংড়ি একসাথে বা মাসে মাসে আহরণ করা যায়। পোনা মজুদের ৫ - ৬ মাস পর থেকে বড়
বড় চিংড়ি আহরণ করা যায়।
ঙ. ফলন বা উৎপাদন :লবন জমিতে উপরোক্ত পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করলে সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে সাধারণত প্রতি হেক্টরে ৪০০ - ৫০০ কেজি চিংড়ি উৎপাদিত হয়।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অনেক জমিতে লবণের চাষ করা হয় বহু পূর্ব থেকেই। বর্তমানে লবনের সাথে
অধিক লাভের প্রত্যাশায় লবণ ক্ষেতে চিংড়িও চাষ করা হচ্ছে। ফলে চিংড়ি চাষীরা অধিক লাভবান হতে পারেন। সঠিক
পদ্ধতিতে সর্তকতার সাথে চাষ করলে লবণের জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ লাভজনক হবে যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে সক্ষম। বাংলাদেশে প্রচলিত পদ্ধতি বাগদা চিংড়ি চাষ এবং লবণ ক্ষেতে বাগদা
চাষের সাধারণ কার্যাবলী একই ধরনের। উপক‚লীয় এলাকায় যেখানে জোয়ার-ভাটার প্রভাব থাকে সেখানেই বাগদা
চিংড়ির চাষের স্থান নির্বাচন করা সম্ভব।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.৪
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
১। প্রতি শতকে কতটি পোনা ছাড়তে হবে।
ক) ১০০-১৫০ টি খ) ২০০-৩০০ টি
গ) ৩০০-৪০০ টি ঘ) ৫০-১০০ টি
২। বাংলাদেশের কোথায় লবণ ক্ষেতে বাগদা চিংড়ি চাষ করা হয়?
ক) সিলেট খ) রাঙ্গামাটি
গ) ময়মনসিংহ ঘ) কক্সবাজার
ব্যবহারিক : প্রদর্শিত চিংড়ি (গলদা ও বাগদা) শনাক্তকরণ
মূলতত্ত¡ :
বাংলাদেশের মানুষের আমিষ জাতীয় খাদ্যের প্রধান উৎস হলো মাছ। আমাদের দেশে নদী-নালা, হাওর, বাঁওড়, খাল-বিল
ইত্যাদিতে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ পাওয়া যায়। বর্তমানে দেশি মাছ ধানের পাশাপাশি অনেক বিদেশি মাছও
আমাদের দেশে চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে সমুদ্র উপক‚লের ঘেরে চিংড়ি চাষের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন
করা হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
(ক) নমুনা চিংড়ি (গলদা ও বাগদা), (খ) ফরমালিন, (গ) ট্রে ও ফরসেফ, (খ) খাতা, কলম ইত্যাদি।
কার্যদ্ধতি :
১. এবার গলদা ও বাগদা চিংড়ি বাজার থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
২. এবার মাছ তিনটি আলাদা আলাদা ট্রেতে রাখতে হবে।
৩. মাছগুলো ফরমালিন দ্রবণে জারের ভিতর সংগ্রহ করতে হবে।
৪. এবারফরসেফ দিয়ে নমুনা মাছগুলো ভালোভাবে নেড়েচেড়ে
বহিরাকৃতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৫. ব্যবহারিক খাতায় চিংড়ি দুটির ছবি এঁকে শনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য
লিখে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করতে হবে।
প্রদত্ত মাছ : ক. গলদা চিংড়ি; খ. বাগদা চিংড়ি
গলদা চিংড়ির শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
১. দেহ হালকা সবুজ থেকে বাদামি।
২. পা বেশ লম্বা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় জোড়া পা চিমটা যুক্ত।
৩. রোস্ট্রাম লম্বা ও বাঁকানো এবং উপরের ও নীচের খাঁজে কাটা থাকে।
বাগদা চিংড়ি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
১. দেহ হালকা বাদামি।
২. এর গায়ে বাঘের মতো ডোরা কাটা কালচে দাগ থাকে।
৩. রোস্ট্রাম বাঁকা ও প্রশস্ত। রোস্ট্রামের উপরের দিকে ৮ টি এবং নীচের
দিকে ৩টি খাঁজ কাটা থাকে।
রোস্ট্রাম শিরোবক্ষ উদর
অ্যান্টেনা পা উপাঙ্গ পুচ্ছপাখনা
অ্যান্টেনা
রোস্ট্রাম শিরোবক্ষ
উদর
পা উপাঙ্গ পুচ্ছপাখনা
সৃজনশীল প্রশ্ন
১। মুনিরা তার বাবার সাথে মাছ কিনতে বাজারে গেল। সেখানে তারা লোনা ও স্বাদু পানির চিংড়ি দেখতে পেল।
এগুলোর মধ্যে লোনা পানির চিংড়ি পছন্দ হওয়ায় তা ক্রয় করলেন এবং বিক্রেতার কাছ থেকে জানলেন যে দেশে
বর্তমানে প্রচুর চিংড়ি চাষ হচ্ছে।
ক) লোনা পানির চিংড়ির বাংলা ও বৈজ্ঞানিক নাম লিখুন।
খ) বাংলাদেশে লোনা পানির চিংড়ির প্রাপ্তিস্থানগুলোর নাম লিখুন।
গ) মুনিরার বাবা কীভাবে লোনা পানির চিংড়িকে স্বাদু পানি থেকে চিংড়ি আলাদাভাবে সনাক্ত করেছিলেন তা লিখুন।
ঘ) বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা আলোচনা করুন।
২। মাহিন তার গ্রামের বাড়িতে গলদা চাষ করতে আগ্রহী ছিল। চিংড়ির পোনা প্রাপ্তি ও চাষ পদ্ধতি জানার জন্য মৎস্য
কর্মকর্তার নিকট পরামর্শের জন্য তিনি যোগাযোগ করেন। বর্তমানে সে ঘেরে চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে একজন সফল
চাষী।
ক) গলদা চিংড়ির বৈজ্ঞানিক নাম লিখুন।
খ) বাংলাদেশের গলদা চিংড়ির প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে লিখুন।
গ) মৎস্য কর্মকর্তা মাহিনকে গলদা চিংড়ির পোনা সনাক্তকরণ সম্পর্কে কী ধারণা দিলেন তা বিস্তারিত লিখুন।
ঘ) মাহিন ঘেরে কীভাবে গলদা চিংড়ি চাষ করল তা বর্ণনা করুন।
৩। বর্তমানে বাংলাদেশে ধান ক্ষেতে গলদা চিংড়ি চাষের প্রচলন দেখা যায়। এক্ষেত্রে চাষীরা ধানের পাশাপাশি চিংড়ির
চাষ করে যথেষ্ট লাভবান হয়।
ক) ধান ক্ষেতে চিংড়ি চাষের পদ্ধতিগুলোর নাম লিখুন।
খ) সমন্বিত মাছ চাষ বলতে কী বোঝায় তা লিখুন।
গ) ধান ক্ষেতে গলদা চিংড়ি চাষ করে খামারী কেন লাভবান হন তা লিখুন।
ঘ) বাংলাদেশে চাষীরা কীভাবে গলদা চিংড়ি চাষ করেন তা বিস্তারিত লিখুন।
৪। আসিফ সাহেবের বাড়ী চট্টগ্রামে। সেখানে তিনি গ্রীষ্মকালে জমিতে লবণ চাষ করতেন। রেডিওর দুরশীক্ষণ ক্লাশ থেকে
জানতে পেরে তিনি তার লবণ চাষের জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করে বর্তমানে বাড়তি উপার্জন করছেন এবং একজন
সফল চাষী হিসাবে সুপরিচিত হয়েছেন।
ক) বাংলাদেশের উপক‚লীয় অঞ্চলের লবণ চাষের জমিতে বছরের কোন সময় বাগদা চিংড়ি চাষ করা যায়?
খ) লবণ ক্ষেতে বাগদা চিংড়ি কিভাবে আহরণ করা হয় এবং চিংড়ির ফলন কেমন পাওয়া যায়?
গ) আসিফ সাহেব তার লবণ চাষের জমিকে বাগদা চিংড়ি চাষের জন্য কিভাবে উপযুক্ত করেছিলেন?
ঘ) বাগদা চিংড়ি চাষের সময় তিনি কিভাবে পোনা মুজদ এবং মজুদ পরবর্তী পরিচর্যা করেছিলেন তা বিস্তারিত লিখুন।
উত্তরমালা
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১ ঃ ১। ক ২। খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.২ ঃ ১। ক ২। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৩ ঃ ১। খ ২। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৪ ঃ ১। ক ২। ঘ
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র