কই মাছের সাথে পরিচিত কই মাছের চাষ পদ্ধতি এবং চাষের সুবিধা কই মাছের রোগ এবং রোগের প্রতিকার

কই মাছের একক চাষ পদ্ধতি:
কই মাছ বাংলাদেশের মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি ছোট মাছ। এটি খেতেও যেমন সুস্বাদু, পুষ্টিগুণেও
তেমন ভরপুর। মাছটি পানির উপরে দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে বলে একে জিয়ল মাছ বলা হয়। এক সময়
প্রাকৃতিক ভাবেই এদেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কই মাছ পাওয়া যেত। কিš‘ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও
মানুষ সৃষ্ট কারণে এ মাছটি আজ বিলুপ্তির পথে। স্বাদ, পুষ্টিগুণ, উ”চ বাজারমূল্য ও সর্বোপরি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার্থে
এ মাছকে অবশ্যই গুরুত্ব দেবার সময় এসেছে। তাছাড়া চাষ পদ্ধতিতে মাছটি অন্তভর্‚ক্ত করে উৎপাদন বাড়ানো এখন
সময়ের দাবী। তবে পোনার অপ্রতুলতার কারণে কই মাছের চাষ আশানুরূপভাবে প্রসার লাভ করেনি। দেশীয় কই মাছের
কৃত্রিম প্রজননের চেষ্টা সফল হলেও নি¤œ বর্ধন হারের কারণে মাছটির বাণিজ্যিক চাষের আশা অনেকটা মিইয়ে যায় এই
প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ২০০২ সালে বেসরকারি পর্যায়ে দেশীয় কই মাছের অনুরূপ একটি বর্ধনশীল জাত থাইল্যান্ড থেকে
আমদানি করা হয় যা ‘থাই কই’ নামে পরিচিত। এদেশের আবহাওয়ায় সহজে মানিয়ে
নেওয়ায় বর্তমানে ¯’ানীয়ভাবেই এ মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন সফলভাবে
করা হ”েছ। আমাদানিকৃত থাই কই এর উৎপাদন দেশী কই অপেক্ষা ৫০% বেশি হওয়ায়
বাণিজ্যিক চাষে অধিক মুনাফা করা সম্ভব। পরবর্তিতে ২০১১ সালে আরো একটি কই এর
জাত ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা হয় যা থাই কই এর চেয়েও বেশি বর্ধনশীল।
ভিয়েতনামী কই ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং অনেক চাষীই মাছটি চাষে আগ্রহ দেখা”েছ।
কই মাছ চাষের সুবিধা :
(১) যে কোন ধরনের জলাশয় এমনকি চৌবা”চা বা খাঁচাতেও চাষ করা যায়।
(২) অধিক ঘনত্বে চাষ করা যায়।
(৩) একক এবং মিশ্র চাষের জন্য উপযোগী।
(৪) টেকসই মাছ হওয়ায় বিরূপ পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে।
(৫) কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করা সম্ভব, তাই চাষের জন্য সহজেই পোনা পাওয়া যায়।
(৬) প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করে।
(৭) কম সময়ে (৩-৪ মাস) বাজারজাত করা যায়, ফলে দ্রæত পুঁজি ফেরত পাওয়া যায়।
(৮) অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ থাকায় কই মাছ পানি ছাড়াও দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে, ফলে জীবন্ত অব¯’ায় বাজারজাত
করে বেশি দাম পাওয়া যায়।
(৯) রোগীর পথ্য হিসেবে এবং সুস্বাদু হওয়াতে কই মাছের বাজার চাহিদা ব্যাপক।
কই মাছের একক চাষ পদ্ধতি :
পুকুর নির্বাচন :
৪-৬ মাস পানি থাকে এ রকম যে কোন পুকুর কই চাষের জন্য উপযোগী। পুকুরের আয়তন ১৫-৫০ শতাংশ হলে ভালো
হয়। নিচের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে পুকুর নির্বাচন করা উচিত:
 মজুদ পুকুর আকৃতিতে আয়তকার হবে।
 পুকুরের মাটি দো-আঁশ হবে।
 পুকুরের তলায় ১৫ সে.মি. এর অধিক কাদা থাকবে না।
 বন্যামুক্ত ¯’ানে পুকুর নির্বাচন করতে হবে।
 পুকুরের ¯’ানটি আলো-বাতাস পূর্ণ হবে।
পুকুর প্র¯‘তকরণ : পুকুর প্র¯‘ত ভালোভাবে না হলে মাছ চাষ চলাকালীন নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তাই নির্বাচিত পুকুর
কই মাছ চাষের জন্য ভালোভাবে প্র¯‘ত করে নিতে হবে। পুকুর প্র¯‘তকরণের ধাপগুলো নি¤œরূপঅবাঞ্চিত প্রাণী ও আগাছা দমন
পুকুরের পানিতে আগে থেকেই বসবাসকারী রাক্ষুসে ও অবাঞ্চিত মাছ ও প্রাণি দূর করার ব্যব¯’া নিতে হবে। বাজারে
বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রোটেনন, ফসটক্সিন ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যায় যা ব্যবহার করে উক্ত কাজটি করা যেতে
পারে। তবে পরিবেশের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে এসব দ্রব্য যতটা সম্ভব না ব্যবহার করাই ভাল। সেক্ষেত্রে ছোট/চিকন মেসের
জাল বার বার টেনে রাক্ষুসে মাছ ও ক্ষতিকর প্রাণি দূর করা যায়। পুকুর সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে কাজটি করলে সবচেয়ে ভাল
হয়। এসময় আগাছাও পরিস্কার করে ফেলতে হবে।
তলা ও পাড় মেরামত
পুকুরের তলার অতিরিক্ত পঁচা কালো কাদা অপসারণ করে পুকুরের পাড়ের গর্ত খানাখন্দ মেরামত করতে হবে। তলা সমান
করে নিতে হবে। পুকুরের পাড়ের ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে চারিদিকে এক ফুট উঁচু জাল দিয়ে এমনভাবে ঘিরে দিতে হবে
যেন জালের নিচের প্রান্ত পাড়ের মাটিতে গ্রোথিত থাকে। এর ফলে মৎস্যভ‚ক প্রাণি যেমন-সাপ, গোসাপ প্রবেশ করতে পারবে না। আবার কই মাছ ও পুকুর থেকে পালাতে পারবে না।
চুন ও সার প্রয়োগ
পুকুরের পানিতে অনেক ধরনের ক্ষতিকর রোগ-জীবাণুথাকে। এসব জীবাণু ধ্বংস করতে এবং পানির গুণাগুণ ঠিক রাখতে
প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন পানিতে গুলে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরে চুন প্রয়োগের ৩-৪ দিন
পর এবং কই মাছের পোনা মজুদের ৭-৮ দিন আগে সার প্রয়োগ করতে হবে। পানির রং বুঝে পুকুরে সার প্রয়োগ করতে
হবে। কারণ উর্বর পুকুরে অনেক সময় চুন প্রয়োগের পর পানিতে প্রচুর ফাইটোপ্ল্যাংকটন জন্মে। সেক্ষেত্রে পুকুরে সার
প্রয়োগের কোন প্রয়োজন নাই। কই মাছ প্রকৃতিতে সাধারণত জুপ্ল্যাংকটন ও জলজ কীটপতঙ্গ খায়। জুপ্ল্যাংকটনের
উৎপাদন নির্ভর করে ফাইটোপ্ল্যাংকটনের প্রাচুর্যতার উপর। আর পুকুরে সার প্রয়োগের উদ্দেশ্যই হলো ফাইটোপ্ল্যাংকটনের
উৎপাদন বাড়ানো। সাধারণত জৈব ও অজৈব উভয় প্রকার সার পুকুরে প্রয়োগ করতে হয়। পুকুরে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ
করলে সাধারণত চাষের প্রথম এক মাসের পর আর সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। কারণ চাষের এ পর্যায়ে পানিতে
পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য এমনিতেই তৈরি হয় এবং পানির রং যথেষ্ট সবুজ হয়ে যায়। তবে পানিতে যথেষ্ট প্রাকৃতিক খাদ্য না
থাকলে চাষ চলাকালীন সার দিতে হবে (সারনি ২)।
সারণি ২: সার প্রয়োগের মাত্রা
সারের নাম প্রয়োগমাত্রা/শতাংশ
গোবর ৫-৭ কেজি
কম্পোষ্ট ৮-১০ কেজি
ইউরিয়া ১৫০-২০০ গ্রাম
টিএসপি ৭৫-১০০ গ্রাম
(বি:দ্র:জুপ্ল্যাংকটন উৎপাদনের জন্য জৈবসারের (গোবর, কম্পোষ্ট) মাত্রা কিছুটা বেশি। ইউরিয়ার অর্ধেক পরিমানে টিএসপি সার দিতে হয়।)
পোনা মজুদ
নির্ভরযোগ্য সরকারি/বেসরকারি হ্যাচারি থেকে পোনা সংগ্রহ করতে হবে। ধানী পোনার ক্ষেত্রে ১৫-২০ দিন নার্সারি পুকুরে
রেখে ৪-৬ সে.মি লম্বা হলে অথবা ওজন ৩-৪ গ্রাম হলে স্ত্রী পোনাগুলোকে আলাদা করে পুকুরে চাষ করলে ভাল ফল
পাওয়া যায়। পুকুর ব্যব¯’াপনা ও সম্পূরক খাদ্যের ওপর নির্ভর করে শতাংশ প্রতি ৫০০-১০০০টি সু¯’-সবল পোনা মজুদ
করা যেতে পারে। পোনাকে অবশ্যই পুকুরের পানির সাথে কন্ডিশনিং করে তারপর ছাড়তে হবে। পোনা মজুদ করার উত্তম
সময় হল সকাল বেলা।
সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ
কই মাছের পুষ্টি চাহিদা বিশেষ করে আমিষের চাহিদা কার্পজাতীয় মাছের চেয়ে বেশি। কই মাছের পোনার আমিষের
চাহিদা ৩০-৩৫% এবং চাষযোগ্য মাছের ক্ষেত্রে তা ৩০%। অধিক ঘনত্বে কই মাছ চাষে ভাল উৎপাদন পেতে হলে
প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি মাছকে সম্পূরক খাদ্য দিতে হবে। কই মাছের একটি আদর্শ খাবারে আমিষ ৩০-৩৫%, চর্বি
৪-৫%, শর্করা ৪%, ছাই (অংয) ১৪%, আঁশ (ঋরনৎব) ৫% ও জলীয় অংশ ১১% থাকা প্রয়োজন। ইদানিং বাজারে
বিভিন্ন কোম্পানির পিলেট খাদ্য (ডুবন্ত ও ভাসমান) কিনতে পাওয়া যায়। এসব খাদ্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানির
নির্দেশনাও মানা যেতে পারে। খামারে তৈরি ভিজা খাবারের পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে প্র¯‘তকৃত ভাসমান পিলেট খাবার
কই মাছের পুকুরে প্রয়োগ করা সর্বোত্তম। নিচের সারণি অনুসরণ করে প্রতিদিনের খাদ্যকে দু’ভাগ করে সকাল ও বিকালে ২ বার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
সারণি ৩: কই মাছের খাদ্য প্রয়োগের তালিকা (প্রতি শতাংশে)
দিন দৈহিক ওজন (গ্রাম) খাদ্য প্রয়োগের হার (%) প্রতিদিনের খাদ্য (গ্রাম)
১-৯ ১ ২০ ৬০
১০-১৯ ৪ ১৫ ১৬৮
২০-২৯ ৭ ১২ ২৩৫
৩০-৩৯ ১২ ১০ ৩৩৬
৪০-৪৯ ২০ ৮ ৪৪৮
৫০-৫৯ ২৮ ৭ ৫৪৮
৬০-৬৯ ৩৮ ৬ ৬৩৮
৭০-৭৯ ৫২ ৫ ৭২৮
৮০-৮৯ ৬৫ ৪.৫ ৮১৯
৯০-৯৯ ৮০ ৪ ৮৯৬
১০০-১১০ ১০০ ৩.৫ ৯৮০
আহরণ ও বাজারজাতকরণ
আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চাষ করলে ৩-৪ মাসে কই মাছ গড়ে ৯০-১০০ গ্রাম (ভিয়েতনামী কই ২০০-৩০০ গ্রাম) হবে। এ
সময় জাল টেনে বা পানি শুকিয়ে মাছ ধরার ব্যব¯’া নিতে হবে। নিচের সারণিতে একর প্রতি কই মাছের উৎপাদন দেখানো
হলোÑ
সারণি ৪ : একর প্রতি কই মাছের উৎপাদনমজুদ মজুদ বিক্রিযোগ্য মাছের সংখ্যা/একর উৎপাদন (মোট্রিকটন/একর)
ঘনত্ব/শতাংশ ঘনত্ব/একর (২০% মৃত্যুহার ধরে) গড় ওজন ৯০ গ্রাম ধরে গড় ওজন ১০০ গ্রাম ধরে
৫০০ ৫০,০০০ ৪০,০০০ ৩.৬ ৪
১০০০ ১,০০,০০০ ৮০,০০০ ৭.২ ৮
ওপেন স্কুল এইচএসসি প্রোগ্রাম
পৃষ্ঠা-১৮ বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
বাজারজাতকরণের আগের দিন জাল টেনে মাছ ধরে ছেড়ে দিতে হবে। এর ফলে বাজারজাত করার সময় মাছের মৃত্যুহার
কম হবে। মাছ ধরার পর পরিস্কার পানি দিয়ে মাছগুলো ধৌত করা শ্রেয়। এরপর প্লাষ্টিকের ড্রামে পরিমাণমত পানি নিয়ে
জীবন্ত অব¯’ায় কই মাছ বাজারজাত করা যেতে পারে। এতে করে ভালো দাম পাওয়া যায়।
কই মাছের রোগ ব্যব¯’াপনা:
 পুকুর প্র¯‘তকরণের কাজটি যথাযথভাবে করতে হবে।
 সু¯’ সবল পোনা মজুদ করতে হবে।
 উৎপাদন উপকরণ ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে।
 পরিমিত পরিমানে সুষম খাবার প্রয়োগ করতে হবে।
 প্রতিমাসে অন্তত: একবার নমুনায়নের মাধ্যমে মাছের স্বা¯’্য পরীক্ষা করতে হবে।
 প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তর ২০-৩০% পানি পরিবর্তন করে দিতে হবে।
তাছাড়া কই মাছ পরিবহনের সময় আঘাত প্রাপ্ত হলে ক্ষত রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ক্ষত রোগের প্রাদুর্ভাব হলে টিমসেন
প্রতি শতাংশ পুকুরে (১ মিটার গভীরতায়) ২.৬৫ গ্রাম হারে ব্যবহার করা যেতে পারে (ইউনিট-৪ এ ক্ষত রোগ ও এর
প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আছে)। পুকুরে জীবাণুনাশক হিসেবে অ্যাকুয়াম্যাজিক ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবহার মাত্রা
প্রতি একর পুকুরে ১ মিটার গভীরতার জন্য ৫ কেজি। তাছাড়া পোনা মজুদের পর ১০ গ্রাম/শতাংশ হারে কপার সালফেট ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়।
সারসংক্ষেপ
কই মাছ অতি পরিচিত মাছ। দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে বলে একে জিয়ল মাছ বলে। বর্তমানে থাইল্যান্ড থেকে
আমদানিকৃত চাষযোগ্য থাই কই এর বানিজ্যিক প্রসার রেখেছে। আধা নিবিড় পদ্ধতিতে ৩-৪ মাসেই কই ৯০-১০০ গ্রাম
হয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়নসঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। কোনটি জিয়ল মাছ?
(ক) রুই (খ) খাতলা
(গ) মৃগেল (ঘ) কই
২। কী কারনে কই মাছ পানি ছাড়াই দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে?
(ক) বেশ শক্ত গড়নের হওয়ার কারনে (খ) অতিরিক্ত শ্বাসন অঙ্গ থাকার কারনে
(গ) পাখনায় কাটা থাকার কারনে (ঘ) দেহে আঁইশ থাকার কারনে
৩। কই মাছ কত দিনে বাজারজাতকরনের উপযোগী হয়?
(ক) ৩-৪ মাস (খ) ৮-১০ মাস
(গ) ১১-১৪ মাস (ঘ) ১৫-২০ মাস

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]