বৃক্ষরোপণ পরবর্তী পরিচর্যা হলো চারার বেড়ে উঠা পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা,
রোগবালাই দমন করা এবং গাছের প্রæনিং, ট্রেনিং ও ব্যবস্থাপনা করা। এ সমস্ত পরিচর্যার মধ্যে ট্রেনিং ও প্রæনিং
কাষ্টল বৃক্ষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কাষ্টল বৃক্ষের প্রæনিং
কাষ্টল বৃক্ষের সুষম বৃদ্ধি, সোজা সবল কান্ড ও ভালো মানের কাঠ পাওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে প্রæনিং করার প্রয়োজন হয়।
প্রæনিং এর মাধ্যমে বৃক্ষের শাখা প্রশাখা, পাতা, মূল ইত্যাদি পরিমাণমত ছাঁটাই করা উচিত।
প্রæনিং এর উদ্দেশ্য:
১. বৃক্ষের কান্ড সোজা রাখা ও কাঠের গুনগতমান বৃদ্ধি করা।
২. পাশাপাশি উৎপাদিত অন্য বৃক্ষের বাহু ব্যাহত না করা।
৩. অঙ্গজ বৃদ্ধি ও ফল ধারণের মধ্যে সাম্যতা আনয়ন করা।
৪. বৃক্ষের রোগবালাই আক্রান্ত শাখা-প্রশাখা দূর করা।
৫. একটি নিদিষ্ট পরিমান জায়গায় অধিক গাছ একত্রে জন্মানোর সুযোগ সৃষ্টি করা।
৬. বিভিন্ন প্রজাতির গাছ একত্রে উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হ্রাস করা।
প্রæনিং এর প্রকারভেদ বা পদ্ধতি: বৃক্ষের প্রæনিং বা ছাঁটাইকরণ বিভিন্নভাবে করা হয়। যথা:
কান্ড ছাঁটাই
কাষ্টল গাছের প্রধান কান্ড থেকে যখন অসংখ্য শাখা প্রশাখা বাহির হয় তখন প্রধান কান্ডের কাঠের গুনগতমান নষ্ট হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত শাখা প্রশাখা ছাঁটাইয়ের প্রয়োজন হয়। আবার পুরাতন গাছে নতুন শাখা গজানোর
প্রয়োজনে ছাঁটাই করা হয়ে থাকে।
পাতা ছাঁটাই (খবধভ ঢ়ৎঁহহরহম)
অঙ্গজ বৃদ্ধি শেষে গাছে যখন ফুল, ফল ধরার সময় হয় তখন গাছে পাতার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে
পুষ্পায়ন ব্যাহত হয়ে ফল কম ধরে। সেই সবক্ষেত্রে অতিরিক্ত পাতা ছাঁটাই করলে ফল ধরায় সহায়তা করে। চারাগাছের
ক্ষেত্রে রোপণ পূর্ববর্তী সময়ে প্রস্বেদনের হার কমানোর জন্য পাতা ছাঁটাই করা হয়।
মূল ছাঁটাই
কাষ্টল বৃক্ষের সাথে কৃষি ফসলের চাষাবাদ একত্রে করলে কৃষি ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাষ্টল গাছের মূল
ছাঁটাইয়ের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে মাটির উপরিস্তরে আসা মূল বৃক্ষের গোড়ার একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে মাটি সরিয়ে কোদাল বা
খন্তা দিয়ে কাটতে হবে। এর পর পরই ঝুরা মাটি দিয়ে বৃক্ষের গোড়া ঢেকে দিতে হবে।
ফুল ও ফল ছাঁটাই (ঋষড়বিৎ ধহফ ভৎঁরঃ ঢ়ৎঁহহরহম)
গাছে অতিরিক্ত ফুল ধরলে ফল ধরার পরিমাণ কমে যায়। এই জন্য ফলদ বৃক্ষের ফুল ছাঁটাই করে পাতলা করে দেয়া হয়।
এতে ফলের গুনগত মান উন্নত হয়। একই শাখায় অতিরিক্ত ফল ধরলে ফলের আকৃতিও ছোট হয়ে যায়। যেমন- আম,
কাঁঠাল, ইত্যাদি।
কাষ্টল বৃক্ষের ট্রেনিং
কাষ্টল বৃক্ষের কাঠামো সুন্দর, সবল ও দৃষ্টিনন্দন করার উদ্দেশ্য শাখা প্রশাখার সংখ্যা ও অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করাকে ট্রেনিং বলা
হয়। ট্রেনিং এর মূল উদ্দেশ্যে হলো বৃক্ষের আকার আকৃতি ও অঙ্গ বৃদ্ধি কাঙ্খিত অবস্থায় রাখা। গাছের ট্রেনিং পদ্ধতির জন্য
প্রথম বছর প্রধাণ কান্ডের নীচ থেকে উপরের শাখা প্রশাখা কান্ডের তিন ভাগের একভাগ উঁচু পর্যন্ত গোড়া থেকে কাটতে
হয়। পরের বছর নির্দিষ্ট আকৃতিতে শাখা প্রশাখা অপসারণ করলে গাছ উপরের দিকে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হবে এবং লম্বাটে দেখাবে।
যেমন- বাবলা, ইপিল-ইপিল প্রভৃতি উপরের দিকে শাখাম্বিত চারা গাছের জন্য শুরুতে ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয় না। পরের
দিকে নিদিষ্ট আকৃতিতে শাখা প্রশাখা ছাঁটাই করা হয়। লিকলিকে চারা গাছ সবল করার জন্য শুরুতে প্রধান কান্ড কেটে
দিতে হয়। যেমন- দেবদারু, সেগুন, শিশু ইত্যাদি। পরবর্তীতে গাছ লম্বায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত না হয়ে পাশে শাখা প্রশাখা গজায়।
তখন নির্দিষ্ট আকৃতিতে শাখা প্রশাখা ট্রেনিং করলে গাছ সুন্দর লম্বাটে আকার ধারণ করে।
ট্রেনিং এর উদ্দেশ্য :
১. ট্রেনিং গাছকে সুঠাম ও শক্ত কাঠামো দানে সহায়তা করে।
২. কাষ্টল গাছের প্রধান কান্ড সোজা হওয়ায় সুন্দর লগ পাওয়া যায়।
৩. বনায়নের জন্য লাগানো গাছের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
৪. ট্রেনিংকৃত গাছ সবল ও মজবুত হয় বলে ঝড়ে সহজে ভাঙ্গে না।
৫. ট্রেনিং করলে গাছে ব্যবহার উপযোগী কাঠের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ট্রেনিং এর প্রকারভেদ/পদ্ধতি
১. উচ্চ কেন্দ্র পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে গাছে প্রধান কান্ডটিকে ছাঁটাই না করে শুধু শাখা
প্রশাখা অপসারণ করা হয়। এতে গাছ দীর্ঘ কান্ড বিশিষ্ট হয়। যেমন- সেগুন, গর্জন, মেহগনি ইত্যাদি।
২. মুক্ত কেন্দ্র ট্রেনিং : এ পদ্ধতিতে গাছের প্রধান কান্ডটিকে বৃদ্ধির সুযোগ দিয়ে পরে অগ্রভাগ
ঁেছটে দেওয়া হয়। এতে গাছ মাঝারি উচ্চতার হয় এবং চারপাশে কিছুটা ছড়ায়। ফলে ফল পাড়া ও অন্যান্য পরিচর্যা
সহজ হয়।
৩. নাতি উচ্চ কেন্দ্র ট্রেনিং : এ পদ্ধতিতে প্রধান কান্ডটিকে প্রাথমিকভাবে ভালভাবে
বাড়তে দেওয়া হয়। যখন পাশের কয়েকটি শাখা প্রশাখা ভালভাবে বেড়ে উঠে তখন প্রধান কান্ডটির অগ্রভাগ ছেঁটে
দেওয়া হয়। এতে গাছ চারপাশে বেশ ছড়িয়ে যায় এবং খাটো থাকে।আম, জাম, আপেল গাছে এ পদ্ধতিতে ট্রেনিং
করা হয়।
প্রæনিং ও ট্রেনিং এর মধ্যে পার্থক্য
প্রæনিং ট্রেনিং
১. প্রæনিং ক্ষেত্রে বৃক্ষের শাখা প্রশাখা, ফুল, ফল,
মুকুল, পাতা প্রভৃতি অপসারণ করা হয়।
১. ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে শুধু শাখা প্রশাখা ও পাতা ছাঁটাই
করা হয়।
২. গাছের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণের
জন্য করা হয়।
২. বৃক্ষকে সুন্দর গড়ন ও আকার আকৃতি দানের জন্য
করা হয়।
৩. কাঠ ও ক্ষেত্রবিশেষ ফলের গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য
করা হয়।
৩. গাছকে সুন্দর গঠন প্রদানের উদ্দেশ্যে করা হয়।
৪. সব ধরণের ট্রেনিং পদ্ধতিকে প্রæনিং বলে অভিহিত
করা যায়।
৪. সব ধরণের প্রæনিংকে ট্রেনিং বলা যায় না।
৫. বয়স্ক গাছে ফল ধারণের পর করা হয়। ৫. তরুন গাছে ফল ধারণের পূর্বে করা হয়।
বৃক্ষের ক্ষতস্থান ড্রেসিং :
ট্রেনিং ও প্রæনিং কার্যক্রম পরবর্তী বৃক্ষের ক্ষতস্থানসমূহকে ছত্রাকজনিত ও অন্যান্য রোগজীবানুর আক্রমন থেকে রক্ষার
পদ্ধতিকে ক্ষতস্থান ড্রেসিং বলে। ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া, পোকামাকড় গাছের কান্ড বা ডালে সৃষ্ট ক্ষতের মধ্যে প্রবেশ করে
নানান ধরণের উপসর্গ সৃষ্টি করে। এ সব রোগের কারণে গাছের আক্রান্ত স্থানে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতের সৃষ্টি হয় যা আস্তে আস্তে
ক্যান্সারে পরিণত হয়। এ ছাড়াও ঝড় ঝাপটার মাধ্যমে বৃক্ষের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ক্ষত তৈরী হয়।
এ ক্ষত দীর্ঘ সময় উন্মুক্ত থাকলে সেখানে পচন ধরে কান্ড নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কোন পদার্থ যেমন আলকাতরা,
বোর্দা মিক্সচার বা অন্য কোন রঙের প্রলেপ দিতে হয়। গ্রীসের মানুষেরা অনেক সময় এঁটেল মাটি ও গোবরের মিশ্রন দ্বারা
ড্রেসিং পদ্ধতি :
এ কাজের জন্য প্রথমে বৃক্ষের ক্ষতস্থান ধারালো দা বা ছুরি দ্বারা চেঁছে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর পরিষ্কারকৃত ক্ষতস্থানে
আলকাতরা, বোর্দোমিক্সচার বা উপযুক্ত ছত্রাকনাশক পেষ্টের মতো করে লেপে দিয়ে পলিথিন দ্বারা বেঁধে দিতে হবে।
এভাবে কয়েকদিন রেখে দিলে ক্ষতস্থান শুকিয়ে আস্তে আস্তে নতুন টিস্যু সৃষ্টি হয়ে ক্ষতস্থান ভরাট হয়ে যাবে।
ক্ষতস্থান ড্রেসিং এর উপকারিতা :
ক. ড্রেসিং পচন সৃষ্টিকারী জীবানুর অনুপ্রবেশকে বাঁধা প্রদান করে
খ. ড্রেসিং ক্ষতস্থানের আদ্রতা সংরক্ষণ ও ক্ষয় প্রতিরোধ করে
গ. সময়মতো ড্রেসিং করলে ক্ষতস্থান গভীর হয় না ফলে কাঠ ভালো থাকে
ঘ. কান্ড ও শাখা-প্রশাখার বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে বলে গাছ সহজে মারা যায় না।
সারসংক্ষেপ
কাষ্টল বৃক্ষের বেড়ে উঠা ও গুনগতমানের কাঠ উৎপাদন রোপণ পরবর্তী পরিচর্যার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। কাষ্টল
বৃক্ষের পরিচর্যার মধ্যে ট্রেনিং এবং প্রæনিং। বনজ বৃক্ষের বাড়ন্ত অবস্থায় সুষম সার প্রয়োগে মাধ্যমে পরিচর্যা করা দরকার।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-১৫.৫
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
নিচের উদ্দীপকের আলোকে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর দিন ।
হারুন সাহেব তার বাগানের গাছের আকার আকৃতি ঠিক রেখে কাঠামো সুন্দর করার জন্য ডাল পালা ছাঁটাই করেন।
গাছের ফুল ও ফল ধরার আগে এ ছাঁটাই করা হয়।
১। গাছের অঙ্গ ছাঁটাইয়ের পদ্ধতিকে কী বলে ?
ক) ড্রেসিং খ) থিনিং
গ) প্রæনিং ঘ) ট্রেনিং
২। উদ্দীপকের ছাঁটাই পদ্ধতি অবলম্বনের কারণে বৃক্ষের -
র. উৎপাদন ভালো হয়।
রর. কাঠের পরিমান কমে যায়।
ররর. প্রধান কান্ড মোটা হয়।
নিচের কোনটি সঠিক ?
ক) র ও রর খ) র ও ররর
গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
ব্যবহারিক : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ ও পরিচর্যা
মূলতত্ত¡ : স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা ও ইহার অভ্যন্তরীন রাস্তা ঘাটের আশে পাশে এবং পতিত জমি
সমূহে বিভিন্ন ধরণের বনজ, ফলদ, ঔষধি গাছসহ বাহারী গাছপালা রোপণ করা যায়। চারা রোপণের সঠিক
পদ্ধতি অনুসরণ এবং রোপণ পরবর্তী পরিচর্যা চারার বৃদ্ধি ও নিখুঁতভাবে বেড়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ ও ইহার পরবর্তী পরিচর্যা সমূহ ধাপে ধাপে নি¤েœ আলোচনা করা হলো।
ক) গাছের চারা রোপণের জন্য গর্ত খনন
প্রাসঙ্গিক তথ্য : বনজ বৃক্ষের অধিকাংশই মূল্যবান কাষ্টল গাছ। এসব গাছের সুষম বৃদ্ধি ও উন্নয়ণের জন্য চারা লাগানোর
পূর্বে গর্ত খনন করতে হবে ও প্রয়োজনীয় সার মেশাতে হবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ : এ কাজের জন্য কোদাল, শাবল, দা, কুড়াল, ঝুড়ি, খুটি, পলিথিন, জৈব ও রাসায়নিক সার।
কাজের ধারা :
১. প্রথমে যে স্থানে গাছের চারা লাগানো হবে সে স্থানের যাবতীয় আগাছা দিয়ে কেটে পরিষ্কার করুন।
২. এবার চারা রোপণের জন্য নির্ধারিত স্থানে গর্তের জন্য খুটি গেড়ে চিহ্নিত করুন।
১. তারপর ঐ নিম্নের চিত্রের অনুরূপ স্থানে ৫০ সে.মি. দৈর্ঘ্য, ৫০ সে.মি. প্রস্থ ও ৫০ সে. মি. গভীর গর্ত খনন
করুন।
২. গর্ত খননের সময় উপরের মাটি এক পাশে এবং নিচের মাটি অন্য পাশে রাখুন।
৩. গর্তের উপরের মাটি একটু শুকিয়ে ভালোভাবে গুড়া করে গর্তের নিচে দিন। এবার মাটির সাথে ১০-১৫ কেজি
গোবর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৩০০-৪০০ গ্রাম টিএসপি ও এমপি সার দিয়ে ভালোভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে দিন।
৪. এবার প্রতিটি গর্তে একটু পানি দিয়ে ১২-১৫ দিন পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখুন।
সাবধানতা :
১. সঠিক দূরত্বে গর্ত করা হচ্ছে কিনা তাহা লক্ষ্য রাখুন।
২. গর্তে প্রয়োগের সার ভালোভাবে মিশানো হয়েছে কিনা খেয়াল করুন।
৩. সাবধানে গর্ত করুন যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হন।
খ) বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ
প্রাসঙ্গিক তথ্য : সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে চারা রোপণ করা জরুরী। সাধারণত বনজ বৃক্ষের চারা বর্গাকার বা
ত্রিভুজাকার নকশা অবলম্বন করে রোপন করা হয়। সারি থেকে সারি এবং গাছ থেকে গাছের দূরুত্ব ১০-১২ মিটার হবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
ক) নির্বাচিত বৃক্ষের চারা খ) কোদাল (গ) খুটি ও রশি (ঘ) ঝাঁঝরি (ঙ) পানি।
কাজের ধারা :
১. পূর্বে খনন কৃত গর্তে দেয়া সার ও মাটি কোদাল দ্বারা কুপিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
২. তারপর গর্তের মাঝখান থেকে চারার গোড়ার মাটির সমপরিমান মাটি সরিয়ে গর্ত করুন
৩. এবার চারার পলিব্যাগটি ব্লেড বা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলুন
৪. এখন দুই হাত দিয়ে চারাটি সোজাভাবে গর্তে বসিয়ে দিন
৫. চারার চার পাশে মাটি চেপে দিন যেন চারার গোড়ার মাটি পাশ্ববর্তী মাটি থেকে খানিকটা উচুঁ থাকে।
৬. এবার ঝাঝরি দিয়ে প্রয়োজনমত পানি দিন ও খুটি দিয়ে চারাটি হালকা করে বেধে দিন।
সাবধানতা :
১. চারা লাগানোর সময় পলিব্যাগ সাবধানে কাটুন যাতে চারার গোড়ার মাটি ভেঙ্গে না যায়।
২. চারা রোপণের সময় যাতে শিকড়ের ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
গ) চারা রোপণ পরবর্তী পরিচর্যা
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
বৃক্ষের চারা রোপণের পর নিয়মিত পানি, সেচ, আগাছা ও রোগবালাই দমন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ : ক) নিড়ানি খ) ঝাঁঝরি গ) বেড়া দেবার সামগ্রী ঘ) রশি ঙ) বালতি ও পানি ইত্যাদি।
কাজের ধারা :
১. চারা লাগানোর পর পর চারার গোড়ায় পানি দিন
২. চারা যেন গরু ছাগল বা ছোট ছোট বাচ্চারা খেলার ছলে উপড়ে না ফেলে সেজন্য বেড়া দিন।
৩. চারা বর্ষার আগে পরে দু’বার প্রয়োজনমত সার দিন।
৪. গাছ লাগানোর পর প্রথম দিকে ঘন ঘন আগাছা পরিষ্কার করে দিন।
৫. রোগ বালাইয়ের আক্রমণ হলে দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
সাবধানতা :
১. চারা লাগানোর পর চারার গোড়ায় যাতে অতিরিক্ত পানি না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
২. বর্ষার সময়ে নালা কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করুন।
সৃজনশীল প্রশ্ন
১। কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য বাদল ও তার সহপাঠীরা প্রিন্সিপাল মহোদয়ের অনুমতিক্রমে প্রস্ততি পর্ব
শেষ করে। প্রিন্সিপাল সাহেবের শিক্ষা সফরের জন্য নির্বাচিত স্থানটি ছিল গাছ-গাছালিতে ভরা। ছাত্ররা নদীর পাড়ে
এমন একটি মনোরম গাছ-গাছালি ভরা পরিবেশ পেয়ে অভিভূত হয়ে পড়ে। কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক ছাত্রদের গ্রæপ করে
বনের গুরুত্ব শেখাতে থাকেন।
ক) বন কাকে বলে ?
খ) কি কি উপায়ে বনের সৃষ্টি হতে পারে ?
গ) উদ্দীপকের বাদলদের দেখা গাছ-গাছালি ভরা পরিবেশের সাথে বনায়নের তুলনা করুন।
ঘ) কৃষি বিজ্ঞান শিক্ষকের বর্ণনাকৃত বনের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব মতামত ব্যাখ্যা করুন।
২। ফুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব গোলাম হোসেন একজন বিচক্ষণ মানুষ। তার এলাকায় পতিত জমি ও
রাস্তার পাশে এলাকাগুলো নিয়ে সামাজিক বনায়নের উদ্দ্যোগ নেন। জমির মালিকদের সাথে কথা বলে তিনি সামাজিক
বনায়নের কার্যক্রমে তার এলাকা অন্তর্ভ‚ক্ত করেন। চেয়ারম্যানের এই উদ্দ্যোগে সবাই তাকে সাধুবাদ জানায়।
ক) সামাজিক বনায়ন কী ?
খ) “কৃষি বনায়ন ও সামাজিক বনায়ন সমার্থক”- ব্যাখ্যা করুন
গ) চেয়ারম্যান সাহেব সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগীদের দায়িত্ব কর্তব্য কিভাবে ব্যক্ত করেছেন তা ব্যাখ্যা করুন।
ঘ) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের এলাকায় সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করুন।
৩। ডালিম মিয়া তার বাড়ির পাশের ভিটায় মেহগনি গাছের বাগান করেছেন। পাঁচ বছরে বাগানের গাছগুলো অনেক বড়
হয়ে উঠেছে। তিনি গাছগুলোকে সবল ও উৎপাদনমূখী করার জন্য অপ্রয়োজনীয় ডাল পালা কেটে ফেলেন। ডালিম
মিয়ার একাজের ফলে বাগানটি লাভজনক অবস্থায় পৌঁছেছে।
ক) ট্রেনিং কী ?
খ) ফসল ক্ষেতে লাগানো বৃক্ষের মূল ছাঁটাই ফসলকে কিভাবে উপকার করে ?
গ) কীভাবে ডালিম মিয়া তার বাগানের গাছের প্রæনিং করেন ? ব্যাখ্যা করুন।
ঘ) ”উদ্দীপকের ডালিম মিয়ার কার্যক্রম মেহগনি কাঠের গুণগতমান বৃদ্ধি করবে”- বিশ্লেষণ করুন।
৪। রোস্তম আলী কৃষি বিজ্ঞান না পড়েও নানা গাছগাছালির প্রতি আগ্রহী। ছোট বোন শিমুলকে সে শোনায় বাহারি গাছের
নাম, কোথায় পাওয়া যায় এসব। শিমুল নামটাও যে একটা গাছের নাম তা শুনে সে আনন্দ পায়। সুন্দর বনে বেড়াতে
যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বলে সে তার বোনকে।
ক) চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বনকে কী বন বলে ?
খ) ইকোলজিক্যাল বিবেচনায় দেশের বনাঞ্চলের ভাগ কিভাবে করা হয়েছে ?
গ) উদ্দীপকের রোস্তম আলীর বন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করুন।
ঘ) সুন্দরবনের বৃক্ষরাজির বৈশিষ্ট্য ছকে সাজিয়ে লিপিবদ্ব করুন।
উত্তরমালা
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ১৫.১ ঃ ১। গ ২। খ ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ১৫.২ ঃ ১। খ ২। ক ৩। খ ৪। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ১৫.৩ ঃ ১। ক ২। গ ৩। ক ৪। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ১৫.৪ ঃ ১। ঘ ২। গ ৩। ক ৪। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ১৫.৫ ঃ ১। গ ২। খ
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র