শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করুন।

শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
মানবসত্তার দুটি মূল দিক হলো শরীর ও মন। এই দুটির সর্বোচ্চ ও সুষম উন্নয়ন ঘটে শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীর দৈহিক ও মানসিক বিকাশের উপর সমভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছে। শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করা হলো:
১। শারীরিক সুস্থতা রক্ষা ও দেহের সুষম বৃদ্ধি
আমাদের দেহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমনÑ হৃদপিন্ড, ফুসফুস, পাকস্থলী, যকৃত কিডনি, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, অগ্নাশয় ইত্যাদি নিয়ে গঠিত। এছাড়াও রয়েছে হাড়, মাংসপেশি, শিরা ও ধমনী। মাংসপেশির প্রধান কাজ হচ্ছে শরীর নড়াচড়া ও গতি প্রদান করা। গতি হলো প্রাণের ভিত্তি। নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দৈহিক তন্ত্রসমূহের সুস্থতা
বৃদ্ধি ও কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। পেশিসমূহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে শিক্ষার্থীরা অধিকতর শক্তি, দম ও উৎসাহের সাথে
প্রাত্যহিক সমস্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক বৃদ্ধির জন্য সুষম আহার, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি পালন, বিশ্রাম ও নিদ্রা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে সুস্থতার সাথে জীবনযাপন করা যায়। শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমেই কেবলমাত্র তা সম্ভব হয়।
২। মানসিক উন্নতি
স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না। মন ভালো না থাকলে কোন কাজে আগ্রহ জন্মায় না। মানবদেহের সার্বিক উন্নতির জন্য শরীর ও মন উভয়ই যেমন ভালো থাকা দরকার, তেমনি উভয়ের সুষম উন্নতিও প্রয়োজন। শারীরিক শিক্ষা তথা খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিক জড়তা, অশান্তি, একাকীত্ব ও পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর হয়ে যায়; পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার মানসিকতা, আত্মসচেতনতা, আত্মনির্ভরতা এবং আত্মপোলব্ধি বাড়িয়ে তোলে।
৩। আবেগ-অনুভ‚তির উন্নতি শারীরিক শিক্ষার ব্যবহারিক দিক তথা খেলাধুলার ক্ষেত্রে জয় বা কৃতকার্যতা সকলের মনে তৃপ্তি, উদ্যম ও বিপুল আনন্দ এনে দেয়। কোনো কোনো সময় আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। আবার পরাজয় বা ব্যর্থতা এনে দেয় হতাশা। কারণ, একজন শিক্ষার্থী জানে খেলাধুলায় জয় ও পরাজয় আছে। বিজয়ে অতি উল্লসিত হয়ে খেলোয়াড়রা দিশেহারা হয়ে যায় না।
এমনিভাবে শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শেখে। পরবর্তীতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে তার এই আবেগ নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস কাজে লাগাতে পারে।
৪। সামাজিক উন্নতি
শারীরিক শিক্ষা তথা খেলাধুলার ম্যধমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ সামাজিক গুণাবলি অর্জন করে থাকে। দলবদ্ধ হয়ে খেলাধুলা ও
শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি পালনের সময় স্বীয় দলকে বিজয়ী করার জন্য সহযোগিতা, সমন্বয়, সহমর্মিতা, দলীয় একাত্মতা
ও সদ্ভাব রক্ষা করে চলতে শেখে। খেলাধুলার মাধ্যমে নেতৃত্বদানের ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। কারণ, খেলাধুলার সময় দলীয়
নেতৃত্বের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীকালে সমাজ জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অন্যদের সাথে চলাফেরা, ওঠাবসা, আচার
আচরণে এবং সামাজিক কোনো কর্মকান্ডে এই গুণগুলো প্রতিফলিত হয়। এছাড়াও শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর
মাঝে দেশপ্রেম, জাতীয় চেতনাবোধ, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত হয়।
৫। নৈতিক উন্নতি
শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে শৃংঙ্খলা এবং বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলতে
শেখে। ফলে শিক্ষার্থী মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে না। ন্যায় ও অন্যায় বিচার করে সে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়। শিক্ষক ও
বড়দের কথা মেনে চলে। নিয়ম মেনে খেলতে গিয়ে বিপক্ষ দলের সাথে খারাপ আচরণ করার সুযোগ থাকে না। এ
অভ্যাসের কারণে অপরাধ প্রবণতা থেকে সরে গিয়ে শিক্ষার্থী উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হয়।
৬। অঙ্গ সঞ্চালন ও খেলাধুলার কলাকৌশল অর্জন
শারীরিক শিক্ষার ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে বসা, দাঁড়ানো, হাঁটা দৌঁড়ানো, লাফানো এবং খেলাধুলার বিভিন্ন
কলাকৌশল শেখানো হয়। খেলাধুলার পূর্বে ওয়ার্ম-আপ করা খুবই জরুরী। শরীরকে ব্যায়ামের মাধ্যমে নির্দিষ্ট খেলার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত করার নাম ওয়ার্ম-আপ। এর ফলে অঙ্গ সঞ্চালনের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। খেলাধুলার কৌশল শেখার মাধ্যমে খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জন করা সম্ভব হয়।
৭। সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটে খেলার সময়কালীন সহযোগী ও প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের অবস্থানের দ্রæত পরিবর্তন হয়। প্রতিযোগিতায় কাঙ্খিত ফল লাভের জন্য প্রত্যেক খেলোয়াড়কে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত দ্রæততার সঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জিত এই অভ্যাসের ফলে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিকাশ লাভ করে।
৮। অবসর ও চিত্তবিনোদন
শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রকারের ব্যায়াম ও খেলাধুলা করে অফুরন্ত আনন্দ লাভ করে। ফলে তারা প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিকভাবে ব্যবহার এবং বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে অবসর সময়গুলোকে আনন্দদায়ক করে তুলতে পারে। খেলাধুলাবিহীন তরুণ সমাজ অবসর সময়ে বিভিন্নভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। একমাত্র আনন্দময় খেলাধুলাই পারে এ অবস্থা থেকে তরুণ সমাজ তথা জাতিকে মুক্ত করতে।
বাংলাদেশের শারীরিক শিক্ষা বর্তমান পৃথিবীর পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় শারীরিক শিক্ষার ধারণাও ক্রমান্বয়ে পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান অবস্থায় এসে > পৌঁছেছে। পূর্বে শরীর সম্পর্কিত শিক্ষাকে শারীরিক শিক্ষা বলা হতো। কিন্তু বর্তমানে শরীর ও মনের সমন্বিত বিকাশ সাধনের শিক্ষাকে শারীরিক শিক্ষা বলে। উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শারীরিক শিক্ষার ইতিবাচক মূল্যায়ন বিবেচনায় নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রমেও শারীরিক শিক্ষাকে গূরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশে ৬টি সরকারি শারীরিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। ¯œাতক উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীরা এইসব কলেজে ভর্তি হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এক বছর মেয়াদী বি.পি.এড (ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন) ডিগ্রী অর্জন করে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) হিসেবে কর্মরত থেকে শারীরিক শিক্ষা কর্মসূচির বাস্তবায়নে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা অধিদপ্তর শারীরিক শিক্ষা নামে একটি ক্ষুদ্র অণু-বিভাগ রয়েছে। এর প্রধান হলেন একজন উপ-পরিচালক। দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে বিভিন্ন ফেডারেশনের
খেলাধুলা বিষয়ক এক সমঝোতা চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় উপ-পরিচালক শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিটি জেলায় একজন করে জেলা ক্রীড়াকর্মকর্তা আছেন। শারীরিক শিক্ষা তথা খেলাধুলার বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করাই জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাদের কাজ। একজন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা শারীরিক শিক্ষার কার্যক্রমকে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে পারেন।
সারাংশ
• আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার মূলমন্ত্র হচ্ছে দৈহিক ও মানসিক বিকাশ সাধন।
• আমাদের দেহ কতগুলো অঙ্গ নিয়ে গঠিত।
• এছাড়াও রয়েছে হাড়, মাংসপেশি, শিরা ও ধমনী।
• মাংসপেশির প্রধান কাজ হচ্ছে শরীরকে নড়াচড়া ও গতিপ্রাপ্ত করা।
• অঙ্গসমূহের সুস্থতা ও মাংসপেশির কর্মক্ষমতা এবং দেহের সুষম বৃদ্ধির জন্য শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজন।
• এছাড়াও শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে মানসিক, আবেগ-অনুভ‚তি বিষয়ক, সামাজিক, নৈতিক উন্নতি সাধিত হয়।
• তরুণ সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে খেলার মাঠে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা অপরিহার্য।
• শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক তৈরি করার জন্য সরকারিভাবে ৬টি শারীরিক শিক্ষা কলেজ রয়েছে। • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এক বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে শারীরিক শিক্ষায় বি.পি.এড ডিগ্রী দেয়া হয়।
• প্রত্যেক জেলায় একজন করে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা খেলাধুলার বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করেন।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন।
১। মাংসপেশির প্রধান কাজ কী?
ক) দেহের কাঠামো গঠন করা খ) শরীরকে নড়াচড়া ও গতিপ্রাপ্তিতে সহায়তা করা
গ) দৈহিক বৃদ্ধিসাধন ঘ) লোহিত রক্তকণিকা গঠন করা
২। দেহের সঠিক বৃদ্ধির জন্যÑ
র. সুষম আহার প্রয়োজন
রর. বিশ্রাম ও নিদ্রা প্রয়োজন
ররর. অতিরিক্ত খাওয়া প্রয়োজন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) রর ও ররর
গ) র ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
জাওয়াদ ও আবিদ দুই বন্ধু। জাওয়াদ প্রতিদিন বিকালে মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। কিন্তু আবিদ মাঝে মধ্যে খেলতে আসে। সবসময়ই তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলতে পছন্দ করে। জাওয়াদ বরাবরই প্রতিপক্ষের অবৈধ আক্রমণেও ক্ষিপ্ত
হয়ে আইন ভঙ্গ করে না। পক্ষান্তরে আবিদ একই কারণে প্রায়ই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকে।
৩। উদ্দীপকে শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ক) মানসিক উন্নতি খ) আবেগিক উন্নতি
গ) সামাজিক উন্নতি ঘ) নৈতিক উন্নতি
৪। আবিদের এইরূপ আচরণের পরিবর্তন কীভাবে ঘটানো সম্ভব?
র. খেলাধুলার মাধ্যমে বহুবিধ কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ^বিদ্যালয় এসএসসি প্রোগ্রাম
ইউনিট ১ পৃষ্ঠা ৯
রর. খেলাধুলায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে
ররর. নিয়মকানুন মেনে খেলাধুলা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) রর ও ররর
গ) র ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
৫। বাংলাদেশে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ কয়টি?
ক) ২ খ) ৪
গ) ৫ ঘ) ৬
চ‚ড়ান্ত মূল্যায়ন
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। শারীরিক শিক্ষার যে কোনো একটি সংজ্ঞা লিখুন।
২। উদ্দেশ্য বলতে কী বোঝায়?
৩। দেহের সঠিক বৃদ্ধির জন্য কী করা উচিত?
৪। শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী কী কী সামাজিক গুণাবলি অর্জন করতে পারেন লিখুন।
উত্তরমালা
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ১.১ : ১। খ ২। গ ৩। ক ৪। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ১.২ : ১। ক ২। ঘ ৩। গ ৪। খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ১.৩ : ১। খ ২। ক ৩। ঘ ৪। গ ৫। ঘ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]