বয়স ও লিঙ্গভেদে শারীরিক সক্ষমতা অর্জনে ব্যায়াম

বয়স ও লিঙ্গভেদে শারীরিক সক্ষমতা অর্জনে ব্যায়াম
বয়স ও লিঙ্গভেদে শারীরিক সক্ষমতা অর্জনে ব্যায়ামের ধরন ও মাত্রার তারতম্য ঘটে। সব বয়সের জন্য যেমন
সব ধরনের ব্যায়াম উপযোগী নয়; তেমনি লিঙ্গভেদেও ব্যায়ামের তারতম্য ঘটে এবং এর উপযোগিতা নির্ধারণ করা হয়।
বয়সভেদে ব্যায়াম
সব বয়সের লোকরাই শারীরিক শিক্ষা তথা খেলাধুলার কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন। তবে বয়সভেদে এসব কার্যক্রমে
তারতম্য দেখা যায়। শুধু ব্যায়ামই নয় খাবার-দাবার, পছন্দ-অপছন্দ, শারীরিক সক্ষমতা ইত্যাদিও ভিন্নতর হয়। যেমনÑ
শিশুদের শারীরিক সক্ষমতা বড়দের মতো নয়। শিশুদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য ‘খেলার ছলে ব্যায়াম’ এ কথা মনে রেখে
তাদের ব্যায়াম তথা খেলাধুলা নির্বাচন করতে হবে। যেমনÑ ক্যাঙ্গারুর মতো লাফাও, হাতির মতো হাঁটো, ব্যাঙের মতো লাফাও, হাঁসের মতো চলো, দৌড়ে ঐ দেয়াল ছুঁয়ে আসো বা অন্য কোনো চিত্ত বিনোদনমূলক খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের
শারীরিক যোগ্যতা অর্জন করাতে হবে। কিশোরদের জন্য কিছুটা নিয়মতান্ত্রিক ব্যায়াম ও খেলাধুলা নির্বাচন করতে হবে।
যেমনÑ এক লাইনে দাঁড়ানো, ফাইলে দাঁড়ানো, হাত ও পায়ের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা। ছন্দময় ব্যায়াম, সঙ্গীর সাথে
ব্যায়াম, বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা এ জাতীয় ব্যায়াম বা খেলা নির্বাচন করে শারীরিক যোগ্যতা অর্জন
করতে হবে। তবে শিশু ও কিশোরদের ভারোত্তোলন জাতীয় কোনো কঠিন ব্যায়াম করানো যাবে না। যুবকদের জন্য সময়
ও ব্যায়াম নির্বাচন করে নিয়মমাফিক অনুশীলন করাতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলার সঠিক কৌশল জানতে পারবে
এবং ভবিষ্যত খেলাধুলার ভিত গড়ে উঠবে। লক্ষ্য রাখতে হবে অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শিক্ষার্থী যেন অবসাদগ্রস্ত হয়ে না
পড়ে। কোনো অঙ্গের উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম বাছাই করে অনুশীলন করাতে হবে। উপরোক্ত বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমেই শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করাতে হবে। বয়স্কদের জন্য হালকা ব্যায়াম, যেমনÑ হাঁটা, জগিং, ধীরে ধীরে দৌড়, এভাবে ব্যায়াম নির্বাচন করে শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখতে হবে।
লিঙ্গভেদে ব্যায়াম
শারীরিক শিক্ষা অর্থাৎ খেলাধুলা পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক হলেও শিশু বয়সে ছেলে ও মেয়েদের খেলাধুলা ও ব্যায়াম
পৃথক করা যায় না। কারণ সেসময় শারীরিক গঠনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। শিশুদের জন্য
শারীরিক শিক্ষার কার্যক্রম তৈরির সময় নিয়ম কানুন নেই এমন খেলাধুলায় তারা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে, যাতে তারা স্বাধীনভাবে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরিচালনার মাধ্যমে খেলাধুলা করার সুযোগ পায়। শিশুদের
চিন্তাশক্তি ও কল্পনা বিকাশের জন্য কল্পনা ও অনুকরণমূলক খেলাধুলা, যেমনÑ বিভিন্ন জীবজন্তু, যানবাহন ইত্যাদির মতো
হাঁটা, লাফানো ও দৌড়াদৌড়ি রাখতে হবে। শিশুদের শারীরিক গঠনের ও শারীরিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য খেলাধুলার
মাধ্যমে শারীরিক শিক্ষার কার্যক্রম তৈরি করা উচিত যাতে শিশুর মনের বিকাশ সাধন হয়। কিশোর বয়সে অর্থাৎ ৭-১২
বছর বয়সে ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে সামান্য পার্থক্য দেখা যায়। মেয়েরা তখন ভারী কোনো খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে
না। ছেলেরা দলগত খেলার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে। তবে ব্যক্তিগত খেলাধুলায় ছেলেমেয়ে উভয়েই অংশগ্রহণ করে থাকে।
যেমনÑ ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, দৌড় ইত্যাদি। এ সময় থেকেই ছেলেমেয়েদের শারীরিক সক্ষমতার জন্য শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি পৃথক করতে হয়।
যৌবন প্রাপ্তির সাথে সাথে ছেলেমেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। এ কারণে তাদের কার্যক্রম ভিন্নতর হতে থাকে।
ছেলেরা দলগত খেলার সাথে সাথে অ্যাথলেটিক্স্, সাঁতার ইত্যাদি খেলা পছন্দ করে। ছেলেরা এ সময় সাহসিকতা এবং
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না। মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের ফলে তাদের আচরণে সংকোচ ও লজ্জাভাব দেখা
যায়। সেজন্য শারীরিক শিক্ষার কার্যক্রম আলাদা হয়ে থাকে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিযোগিতা হয় যেমনÑ
সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স্, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ইত্যাদি ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথকভাবে আয়োজন করা হয়। ছেলে
ও মেয়েদের মধ্যে শারীরিক শক্তি ও সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পার্থক্য থাকায় শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রম ভিন্ন হয়।
সুতরাং লিঙ্গভেদে শিশু পর্যায়ে পার্থক্য করা না গেলেও বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
• বয়স ভেদে শারীরিক শিক্ষার কার্যক্রমে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
• শিশুদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য খেলার ছলে ব্যায়াম তথা খেলাধুলা নির্বাচন করতে হবে।
• কিশোরদের জন্য কিছুটা নিয়মতান্ত্রিক ব্যায়াম ও খেলাধুলা নির্বাচন করে শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
• শিশু ও কিশোরদের জন্য ভারোত্তোলন জাতীয় কোনো কঠিন ব্যায়াম করানো ঠিক নয়।
• অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শিক্ষার্থী যেন অবসাদগ্রস্ত হয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
• বয়স্কদের জন্য হালকা ব্যায়াম যেমনÑ হাঁটা, জগিং এর মাধ্যমে শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখতে হবে।
• শিশু বয়সে শারীরিক গঠনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায় না বলে একই ধরনের ব্যায়াম ও
খেলাধুলা দেয়া যায়। শিশুদের চিন্তাশক্তি ও কল্পনা বিকাশের জন্য কল্পনা ও অনুকরণমূলক খেলাধুলা যেমনÑ জীবজন্তুর মতো হাঁটা, লাফ, দৌড়াদৌড়ি দিতে হবে।
• কিশোর বয়সে (৭-১২ বছর) ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সামান্য পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। মেয়েরা তখন ভারী কোনো খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে না।
• যৌবন প্রাপ্তির সাথে সাথে ছেলেমেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের কারণে শারীরিক শিক্ষার কার্যক্রম ভিন্নতর হতে থাকে।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন।
১। শিশুদের জন্য কী ধরনের ব্যায়াম প্রয়োজন?
ক) খেলার ছলে ব্যায়াম খ) কঠিন ব্যায়াম
গ) নিয়মতান্ত্রিক ব্যায়াম ঘ) সুনির্দিষ্ট ব্যায়াম
২। কিশোরদের জন্য কী ধরনের ব্যায়াম ও খেলাধুলা প্রয়োজন?
ক) অনিয়মতান্ত্রিক ব্যায়াম খ) নিয়মতান্ত্রিক ব্যায়াম
গ) কঠিন ব্যায়াম ঘ) খেলার ছলে ব্যায়াম
৩। অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে কী হয়?
র. শরীর সুগঠিত হয়
রর. শরীর লম্বা হয়
ররর. শরীর অবসাদগ্রস্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র খ) রর
গ) র ও রর ঘ) ররর
৪। বয়স্কদের জন্য কোনটি দরকার?
ক) দৌড় খ) খেলাধুলা
গ) হাঁটা ঘ) দ্রæত দৌড়
৫। কোন বয়সে ছেলেমেয়েদের মধ্যে সামান্য পার্থক্য দেখা যায়?
ক) শিশু বয়সে খ) কিশোর বয়সে
গ) যৌবনে ঘ) বৃদ্ধ বয়সে
৬। যৌবনে মেয়েদের আচরণে কী দেখা যায়?
ক) সংকোচ ও লজ্জাভাব খ) স্বাভাবিকতা
গ) কঠোরতা ঘ) অসংলগ্নতা

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]