দরিদ্র আইন কী?

প্রাক-শিল্পযুগে ইংল্যান্ডে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দরিদ্র সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে।
ফলে সরকার বিভিন্ন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সুসংগঠিত উপায়ে সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান
দারিদ্র্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত দারিদ্য্র সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি কার্যক্রমের বেশির
ভাগই ছিল শাস্তি ও দমনমূলক। যার ফলে ১৩৪৯ থেকে ১৬০১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে ইংল্যান্ডে
শাসক শ্রেণি উপলব্ধি করতে সক্ষম হন যে, দমনমূলক পদ্ধতি নয় বরং জনগণের সম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে
বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। আর এ ধরনের মনোভাবের প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ডে পরবর্তী
সময়ে বেশ কতগুলো কার্যকরী আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনগুলো সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত এবং দরিদ্র ও অসহায়
মানুষদের সেবায় নিয়োজিত। সুতরাং বলা যায় যে, দরিদ্র আইন হলো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দরিদ্রদের সাহায্যদানের
জন্য একটি আইনগত পদক্ষেপ যা ইংল্যান্ডের অসহায় ও দরিদ্র জনগনের অভাব মোচনের জন্য একটি সরকারি
অনুশাসনের দৃষ্টান্ত।
২.১.২ দরিদ্র আইনের ধারণা
মূলত বিশ শতকের পূর্বে ইংল্যান্ড এবং আমেরিকাতে সরকার প্রণীত দরিদ্রদের নিয়ন্ত্রণ ও দমনমূলক আইনের সমষ্টি দরিদ্র
আইন হিসেবে পরিগণিত হতো। দরিদ্রদের অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক সেবা প্রদান, দরিদ্রদের নিয়ন্ত্রণ অথবা দারিদ্র্য
প্রসার প্রতিরোধকল্পে গৃহীত আইনগত সেবা ব্যবস্থাকে দরিদ্র আইন নির্দেশ করা হয়। দরিদ্র আইন দরিদ্রাগার স্থাপন, ত্রাণ
ও সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ও অযোগ্য হিসেবে দরিদ্র শ্রেণিবিভাগ এবং ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসাহিতকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের
আইনগত ভিত্তি দান করে।
দরিদ্র আইনগুলোর মধ্যে রাজা অষ্টম হেনরী প্রণীত দরিদ্র আইন, এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন, শ্রমিক আইন এবং দরিদ্র
আইন সংস্কার ১৮৩৪ তে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। চতুর্দশ শতকে ইংল্যান্ডে এমন কতগুলো সমস্যার উদ্ভব হয় যা
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। সামন্ততন্ত্রের অবসান, ভিক্ষাবৃত্তির প্রচলন, কর্মসংস্থানের
অভাব, কালো মৃত্যু, জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রের উদ্ভব, শিল্পবিপ্লবের সূচনা প্রভৃতি দারিদ্র্য অবস্থাকে চরম পর্যায়ে উপনীত করে।
আর এই সমস্যা মোকাবিলায় ১৩৪৯ সালে রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড সর্বপ্রথম শ্রমিক আইন প্রণয়ন করেন। এটা তৎকালীন
সমাজব্যবস্থায় বিরাজমান দারিদ্র্য সমস্যার মূলোৎপাটনে গতিশীলতা বৃদ্ধি করে।
ইংল্যান্ডে সরকারি পর্যায়ে দারিদ্র্য সমস্যা মোকাবিলায় সর্বপ্রথম গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাজা অষ্টম হেনরী।
১৫৩১ সালে তিনি যে আইন প্রণয়ন করেন সেটিই অষ্টম হেনরী আইন নামে পরিচিতি। ১৫৩৬ সালে রাজা অষ্টম হেনরী
দরিদ্রদের সাহায্য দানের জন্য অপর একটি আইন পাস করে প্রকাশ্যে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করার একটি ভিত্তি স্থাপন করেন।
এছাড়াও ১৫৫৩, ১৫৭২, ১৫৭৬ ও ১৫৯৭ সালের আইনের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে সরকারি উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে সার্বিকভাবে
দরিদ্রদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গঠনমূলক সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়।
সারসংক্ষেপ
দরিদ্রদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের অন্যতম বাহক দরিদ্র
আইনসমূহ। যদিও ধর্মীয় অনুভূতি ও মানবসেবামূলক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে দানশীলতা ও অন্যান্য সেবাকার্যক্রম প্রচলিত
ছিল তথাপি সমসাময়িক আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় বিরাজমান সমস্যাকে আরও ভয়াবহ করে
তোলে। তাই এসব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে যায় বহুগুণে। এরই ফলশ্রæতিতে
বিভিন্ন সময়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রণীত হয় দরিদ্র আইনসমূহ।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.১
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন :
১। দারিদ্র্য শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
ক) চড়ড়ৎ খ) ডধহঃ
গ) চড়াবৎঃু ঘ) চৎড়সড়ঃরড়হ
২। রাজা অষ্টম হেনরী কত সালে আইন প্রণয়ন করেন?
ক) ১৫৩১ খ) ১৫৩২
গ) ১৫৩৩ ঘ) ১৫৩৪

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]